বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২০

স্নানের শব্দ

শবনমকে যদি এই মুহূর্তে কেউ জিজ্ঞেস করে, পদোন্নতি হওয়ার পর সে সুখী কিনা। তাহলে হয়তো সরাসরি এর উত্তর ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ বলে এক কথায় সে দিতে পারবে না। তবে যদি কেউ জানতে চায় সে খুশি কি না, তখন হয়তো সে নিজেকে একজন খুশি মানুষ বা সন্তুষ্ট মানুষ বলে দাবি করতে পারবে।

ক্যারিয়ারে পদ-পদবি অবশ্যই একটা প্রাপ্তি কিন্তু শবনম আসলে আনন্দ খুঁজে পায় তার কাজে। সেজন্যই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শুধু রুটিন কাজ না করে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও গতিশীল ও শৃঙ্খলাপূর্ণ করা যায় সেসব নিয়ে ভাবছিল সে। বোর্ড মেম্বারদের অনুমোদনের জন্য কিছু পেপার ওয়ার্কও গুছিয়ে রাখছিল। এক ধরনের সূক্ষ্ম আত্মতুষ্টি, হয়তো অবচেতন মনের খুব নিচের স্তরের তলানিতে ছাই চাপা আগুনের মতো হাল্কা আত্মঅহংকারও জন্ম নিয়েছিল শবনমের মনে।
এর মধ্যেই ওসমান গণির দুর্নীতি তদন্তে গঠিত কমিটি ও অফিশিয়াল তথ্য ফাঁসকারীদের চিহ্নিতকরণ কমিটি তাদের তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করল। অফিসে বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক রকম কানাঘুসা শোনা যাচ্ছিল। তাতে মনিরুজ্জামান ও তার সঙ্গী ছেলেটা মানে ইন্টারনাল অডিটের কিবরিয়া খুব ঘাবড়ে গিয়েছিল।

পর পর দুইদিন ফোনে মনিরুজ্জামানের আকুতি ঝরে পড়লো। ‘ম্যাডাম, একটু কথা বলতে চাই আপনার সাথে, প্লিজ ম্যাডাম একটু সময় দেন! আমরা কি আপনার রুমে এসে দেখা করবো?’

প্রথমে শবনম পাত্তা দিতে চায়নি, পরে বাধ্য হয়েই বললো, ‘অফিসে না। শুক্রবার সকালে আমার বাসায় আসো।’
শবনম দেখলো দুজনেই ভীষণ মুষড়ে পড়েছে। চেহারায় চিন্তার ছাপ। চোখের নিচে নিদ্রাহীনতার কালি। শবনম ওদের ড্রইংরুমে বসিয়ে রাহেলার মাকে বললো চা দিতে। তারপর দুজনের মুখোমুখি বসে ধমকের সুরে বললো,
‘কি ব্যাপার? চেহারা এমন হয়েছে কেনো? যেন কত বছর ধরে খাও না, ঘুমাও না!’
‘ম্যাডাম, খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু ঘটবে। আমার ডিপার্টমেন্টের প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমাকেও।’
কিবরিয়া বললো কাঁপা কণ্ঠে।
‘আচ্ছা, সে তো করবেই। তুমি কি সব বলে দিয়েছো?’
‘না ম্যাডাম, বলিনি তবে উনারা খুব চেপে ধরেছিল। জেরার পর জেরা। আমার খুব ভয় লাগছে ম্যাডাম। উনারা বলছেন প্রয়োজনে নাকি আবারো ডাকবেন।’
‘শোনো কিবরিয়া, আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করো। নিজে শক্ত থাকলে অন্যরা কিছু করতে পারবে না। ওই কথাটা তো জানো, নৌকা এমনি এমনি ডুবে না। পানি যখন বাইরে থেকে নৌকার ভেতরে ঢোকে তখনই নৌকা ডোবে। আর নৌকাতে ফুটা থাকলেই পানি ঢোকার সুযোগ পায়।’
‘আপনি কিন্তু বিষয়টা সিরিয়াসলি দেখবেন ম্যাডাম! আপনার জন্যই কাজটা করেছি।’ মনিরুজ্জামান কাতর স্বরে অনুনয় করে।
‘নিশ্চয়ই দেখব।’ শবনম আশ্বাস দেয়। তারপর একটু থেমে বলে, ‘কাজটা কি শুধু আমার জন্যই করেছো নাকি ওসমান গণিকে অপছন্দ করতে বলে করেছো, ঠিক করে বলো তো!’
‘দুটো কারণই সত্যি ম্যাডাম।’ মনিরুজ্জামান কাঁচুমাচু হয়ে বলে।
‘আমি কি তোমাদের কখনো বলেছিলাম ওসমান গণির দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ খুঁজে বের করো! তোমরা নিজ দায়িত্বে সেটা করেছ, হ্যাঁ, এর ফল আমার পক্ষে গেছে বলে আমার কাজে লেগেছে। সেই জন্যই তোমাদের পাশে আছি আমি। চিন্তা করো না।’

ওরা দুজন চলে যাওয়ার পর তারেক জানতে চেয়েছিল, অফিসে কোনো সমস্যা কিনা। শবনম মৃদু হেসে বিয়য়টা এড়িয়ে গেছে।

এই মুহূর্তে শবনমের টেবিলের ওপর দুই কমিটির রিপোর্ট পাশাপাশি পড়ে আছে। কিছুক্ষণ আগে এসেছে এইগুলো। ছাদে ঘুরতে থাকা ফ্যানের বাতাসে স্ট্যাপল করা রিপোর্টের পাতাগুলো একটু একটু উড়ছে। তদন্তে অফিসের স্টাফ বাস কেনায় ওসমান গণির দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। অবশ্য নিয়মিত বাৎসরিক এডিটের সময় সেটা ঠিকই ধরা পড়তো। ওসমান গণির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যেহেতু সে আগেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছে সেক্ষেত্রে হয়তো তার প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে সে। কিংবা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করতে পারে।

দ্বিতীয় রিপোর্টটি অফিশিয়াল গোপনীয়তা লঙ্ঘন বা জরুরি তথ্য ফাঁসকারীদের শনাক্তকরণ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে— তদন্তকারীদের কাছে নিশ্চিতভাবে প্রতীয়মান হয়েছে, এই তথ্য ফাঁস করার সাথে অফিসের অভ্যন্তরীণ কর্মচারি কর্মকর্তাদের যোগসাজস রয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে যে চার জনের নাম এসেছে তার মধ্যে কিবরিয়া আর মনিরুজ্জামানের নামও আছে। কমিটি এই চারজনকেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করার জন্য সুপারিশ করেছে।

দুটি রিপোর্টই সরাসরি শবনমের কাছে এসেছে। বোর্ড মেম্বারদের সামনেও এটা তাকেই উপস্থাপন করতে হবে। পারসোনাল সেক্রেটারিকে ফোন করে কড়া এক কাপ কফি পাঠাতে বললো শবনম। প্রচণ্ড মাথা ধরেছে তার। এ কি এক পরীক্ষার মধ্যে ফেললো তাকে বিধাতা! অভিযুক্তদের বরখাস্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নাকি নিতে হবে তাকেই।

ওসমান গণি চাকরি ছেড়ে দিলেও তার অনুসারীরা এখনো অফিসে তৎপর আছে। শবনম যদি মনিরুজ্জামানদের বরখাস্ত না করে তবে স্বাভাবিকভাবেই সেই অনুসারীরা শবনমকে তাদের মদতদাতা হিসেবে চিহ্নিত করবে। এমনিতেই তারা একট রব তুলেছে যে ওসমান গণির পতনে যেহেতু শবনম সবচে বেশি লাভবান হয়েছে, তখন স্বভাবতই কোনো না কোনোভাবে এই ঘটনার সঙ্গে শবনমের যোগসূত্র আছে। একবার যদি এটা তারা প্রমাণ করতে পারে তবে শবনমের পক্ষে এই পদে টিকে থাকা কঠিন হবে।

আবার নিজ হাতে এই ছেলেগুলোর চাকরিই বা কীভাবে খাবে সে? একধরনের কৃতঘ্নতা হবে সেটা। এমন বিব্রতকর, অস্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে তার চাকরি জীবনে আর কখনো সে পড়েছে কিনা সন্দেহ। মনিরুজ্জামানদের প্রতি এটা অনেকটা লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বুক ফুলিয়ে ওদের পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক জোরটাও পাচ্ছে না শবনম। সেটা কি এই জন্য যে ওদের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে গেলে তার নিজের অবস্থানটা নড়বড়ে হয়ে যাবে!

মনিরুজ্জামানরা নিশ্চয়ই শবনমের ভেতরকার টানাপোড়েনের ব্যাপারটা বুঝতে চাইবে না। তারা ওর উপরেই সমস্ত দোষ চাপাবে। ভাববে ওদের ঘাড়ে পা রেখে উপরে উঠে ম্যাডাম ওদের কথা ভুলে গেছে। শুধু ভুলে যাওয়াই নয়, কর্মস্থল থেকে এখন ওদের বিতাড়নও করতে চাইছেন তিনি। তারা হয়তো একবারো ভাববে না এখানে শবনমের কোনো হাত নেই। পরিস্থিতিটা এমন উত্তপ্ত হয়ে আছে যে সেখানে শবনমের কিছুই করার ছিল না।

গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে হঠাৎ নিজের উপরই রাগ হয় শবনমের। কি দরকার ছিল মনিরুজ্জামানদের সমর্থন দেওয়ার বা নেওয়ার? এইসব বাছুরদের সাহায্য না নিলেও তো পারতো সে! না হয় সিইও হতে পারতো না, না হয় যেখানে ছিল সেখানেই থাকতো অন্তত এরকম যন্ত্রণার মধ্যে তো আর পড়তে হতো না। যাকগে যা হবার তাতো হয়েছেই, এখন আর আফসোস করে কি হবে? চিন্তা করতে হবে কীভাবে দুকূলই রক্ষা করা যায়! যাতে সাপও মরে আবার লাঠিও না ভাঙে!

শবনম না চাইলেও বিকাল নাগাদ অফিসের পিয়ন দারোয়ান থেকে শুরু করে প্রতিটি আসবাব, চেয়ার টেবিল, ইট কাঠ পর্যন্ত জেনে গেল তদন্ত কমিটির রিপোর্টের কথা। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার জন্য বেরুতে যাবে, অমনি শবনমের কক্ষের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো মনিরুজ্জামান। মাথার চুল উসকোখুশকো। চেহারা মলিন।

‘ম্যাডাম, এইটা কি হলো? আপনি থাকতে এই রকম একটা অবস্থায় পড়লাম আমরা ..’
মনিরুজ্জামানের কণ্ঠে হতাশা। শবনম হঠাৎ কি উত্তর দেবে ভেবে পেল না, পি এসকে বলে রেখেছিল কেউ যেন ঘরে না ঢোকে। কোন ফাঁকে কীভাবে মনিরুজ্জামান ঢুকে পড়লো কে জানে! পিএস কি ওয়াশ রুমে গেছে!
‘আমাদের এভাবে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়ে আপনিও কিন্তু ছাড় পাবেন না ম্যাডাম।’
মনিরুজ্জামানের গলার স্বর পাল্টে গেল। চোখ দুটোতে হিংস্র দৃষ্টি। শবনমের চোখে চোখ রেখে সে বললো,
‘আমরা সবাইকে বলবো এই সব আপনি নিজের স্বার্থে আমাদের দিয়ে করিয়েছেন। আপনার প্ররোচনায় আমরা তথ্য ফাঁস করেছি। আপনি হুকুমদাতা।’
‘তুমি কি ব্ল্যাক মেইলিং করতে চাও নাকি? হুমকি দিচ্ছো? এত বাড় বেড়েছে তোমাদের?’
শবনম দাঁতে দাঁত চেপে চাপা গলায় হিসহিস করলো।
‘সেটা আপনি যা মনে করেন ম্যাডাম। কথা পরিষ্কার। আমরা না থাকলে আপনিও থাকবেন না, ব্যাস। যেমনে পারেন এই সিদ্ধান্ত বদলান। নয়তো পরিণতির জন্য আমরা দায়ী থাকব না।’

শবনমকে স্তব্ধ নির্বাক করে দিয়ে যেমন এসেছিল তেমনি আবার ঝড়ের গতিতে বেরিয়ে গেল মনিরুজ্জামান

চলবে…

আরও পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৮

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আজ মোট পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তিগুলো হলো- কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের 'দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স'-এর  উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ১৫তম ব্যাচে ৪২ জন পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা  আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম'র সার্বিক নির্দেশনায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, কুষ্টিয়ার পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান উদ্‌বোধনী ক্লাসে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে পোশাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); চুয়াডাঙ্গা; মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); চুয়াডাঙ্গা; আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); চুয়াডাঙ্গা; আবদুল আলীম, আরওআই, রিজার্ভ অফিস, চুয়াডাঙ্গা; আমিনুল ইসলাম, আরআই, পুলিশ লাইন্স, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

আব্দুল লতিফ প্রধান ও শাকিল আকন্দ বুলবুল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে যাচাই-বাছাই শেষে রিটানিং অফিসার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাচাই-বাছাই শেষে যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মেসবাহ নাহিফুদ দৌলা, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আব্দুল মতিন মোল্লা, পাপন মিয়া, মাহাবুর রহমান ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পাপিয়া রানী দাস, মমতা বেগম, আফরুজা খাতুন, সাকিলা বেগম, ফাতেমা বেগম, উম্মেজাহান, সাথী আক্তার।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২ মে সকল প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

সর্বশেষ সংবাদ

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা
সাঘাটায় নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন টিটু
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ