সাহিত্য

আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন


ঢাকাপ্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশ :০৮ মে ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম

আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৫শে বৈশাখ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সাধক, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দে, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করে তোলার এই অনন্য সাধকের জন্মদিন আজ দেশজুড়ে নানা আয়োজনে উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।

রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক। তার অসংখ্য কবিতা, গান, নাটক, গল্প ও প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে এক নতুন রূপ ও গভীরতা। মাত্র আট বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন তিনি।

আজকের বিশেষ দিনটি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। সবচেয়ে বড় আয়োজনটি হচ্ছে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে, যেখানে কবি দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন জমিদারির কাজের ফাঁকে সাহিত্যচর্চায়। পাশাপাশি নওগাঁর পতিসর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগেও উদ্‌যাপিত হচ্ছে জন্মবার্ষিকী। এসব স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবীন্দ্রমেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

এবারের জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য: “রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ”। এই উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপে বিশ্বকবির ছবি, কবিতা ও চিত্রকর্ম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান, যেখানে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র, চিত্র প্রদর্শনী ও সংগীতানুষ্ঠান। বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও থাকছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যজগৎ যেমন গভীর, তেমনই বহুবর্ণ; ‘চারুলতা’, ‘বিনোদিনী’, ‘গোরা’র মতো চরিত্রগুলো আজও জীবনের গভীর প্রতিচ্ছবি হয়ে পাঠকের হৃদয়ে জীবন্ত। তার স্বদেশপ্রেম, মানবতা, আত্মদর্শন ও বিশ্বদৃষ্টি আজও সমান প্রাসঙ্গিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হন নোবেল বিজয়ী প্রথম এশীয়।