চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন ছুটির অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
আগে এ ছুটি ছিল ৩ দিন। গত ২১ অক্টোবর ছুটির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দুই দিন ২৯ ও ৩০ মার্চ (শনি ও রবিবার) এবং ঈদের পরের দুই দিন ১ ও ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে। ২৮ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ হিসাবে সব মিলিয়ে টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দুই দিন ২৯ ও ৩০ মার্চ (শনি ও রবিবার) এবং ঈদের পরের দুই দিন ১ ও ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে।
এদিকে ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এ হিসেবে সব মিলিয়ে টানা ছয় দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) অফিস খোলার কথা।
তবে বৃহস্পতিবার ছুটি নিলে পরের দুই দিন ৪-৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। অর্থাৎ ৩ এপ্রিল ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি টের পেয়ে পাইলট প্লেনটি জরুরি অবতরণ করেন। প্লেনটিতে ২৯০ জন যাত্রী ছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টার দিকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট এর একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করেন।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটের ঘটনা ঘটতে পারে। তখন পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন। যাত্রীরা নিরাপদ আছেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের প্লেন থেকে অফলোড করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা (বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ফ্লাইটটি পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। ফ্লাইটে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল।
হংকং, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০৫ রানও যথেষ্ট হলো না শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে এই রানও তুলে ফেললো আরব আমিরাত! ১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো স্বাগতিকরা!
শেষ ২ ওভারে আরব আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। টেলএন্ডার ব্যাটাররা কি এই রান আর তুলতে পারবে? এমন একটি ভাব ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে। যার ফলে ভুলটা করলেন শরিফুল ইসলাম। ১৯তম ওভারে তিনি দিলেন ১৭ রান। ওভারের শেষ বলে গিয়ে ওভার থ্রোতে বাউন্ডারি খেয়ে বসলেন। অহেতুক ৫টি রান হজম করে হারতে হলো টাইগারদের।
১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো স্বাগতিকরা। ছবি: সংগৃহীত
তবুও, শেষ ওভারে আমিরাতের প্রয়োজন ১২ রান। তানজিম হাসান সাকিব প্রথমেই দিলেন ওয়াইড। পরের বলে ১ রান। এরপর খেলেন ছক্কা। ৪ বলে ৪ রান প্রয়োজন। তৃতীয় বলটিতে দারুণ ডেলিভারি দিলেন, বোল্ড হলো ব্যাটার। ম্যাচ তখন জমে উঠলো।
তিন বলে চার রান দরকার। মাতিউল্লাহ ১ রান নিলেন। চাপের মুখে চতুর্থ বলটিকে নো করে বসলেন তানজিম। এসময় রান আউটেরও দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু উইকেটরক্ষক জাকের আলির দুর্বল থ্রো এবং তানজিম সাকিবের তৎপরতার অভাবে রানআউট হলো না। পরের বলে ২ রান নিলেন হায়দার আলি। রান আউটের এবারও দারুণ সুযোগ। কিন্তু তাওহিদ হৃদয় বলটা প্রথমে থ্রো করেননি। কিন্তু যখন থ্রো করলেন তখন দেরি হয়ে গেছে। প্রথমে থ্রো করলেও রান আউট হতো নিশ্চিত।
ছোট ছোট এসব ভুলের কারণে ২০৫ রান করেও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো বাংলাদেশকে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম রান প্রসবিনী, আরও একবার প্রমাণ হলো। যে কারণে দুই দল মিলে টি-টুয়েন্টিতে তুলতে পারলো ৪১১ রান। এমন ম্যাচে হারতে হলো বাংলাদেশকে।
অথচ, সিরিজ জয় আজই নিশ্চিত করে ফেলার দারুণ সম্ভাবনা ছিল। আগের ম্যাচে ১৯১ রান করেও ২৭ রানে জয় পেয়েছিল লিটন দাসের দল। আজ ২০৫ রান করার পর জয় কেন নয়! এমনটাই ছিল সমর্থকদের চাওয়া।
কিন্তু ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের দুই ওপেনার মুহাম্মদ জোহাইব ও মোহাম্মদ ওয়াসিম মিলে ১০৭ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েই বাংলাদেশকে পেছনের পায়ে ঠেলে দেন। ১০.১ ওভারে তানভির ইসলাম যখন জুটি ভাঙেন তখন আরব আমিরাতের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।
দুই ওপেনার জোহাইব ও ওয়াসিম মিলে অনবদ্য এক জুটি গড়েই বাংলাদেশকে পেছনের পায়ে ঠেলে দেন। ছবি: সংগৃহীত
৩৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হন মুহাম্মদ জোহাইব। এরপর রাহুল চোপড়াকে রিশাদ হোসেন দ্রুত (২ রানে) ফিরিয়ে দিলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের কাজ করে দিয়ে গেছেন তিনি। ৪২ বলে খেলে গেছেন ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই আরব আমিরাতের উইকেট নিতে থাকে বাংলাদেশের বোলাররা। আসিফ খান ১২ বলে ১৯ এবং আলিশান শরাফু ৯ বলে ১৩ রান করে কিছুটা চড়াও হতে চাইলেও নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম তাদেরকে বেশি এগুতে দেননি। এরপর আরিয়ানস শর্মা ৭ রানে আউট হলে বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি চলে আসে।
কিন্তু ধ্রুব পারাসার ১১ রান করে এবং হায়দার আলি ৬ বলে ১৫ রান করে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা কেড়ে নেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও দায় কম নয়। অভিজ্ঞতায় স্রেয়তর দল হিসেবে এসব ভুলগুলো না করলে ম্যাচ বাংলাদেশেরই থাকতো।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাস মিলে ৯০ রানের বিশাল জুটি গড়েই বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন। এরপর শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ওপেনার তানজিদ তামিম ৩৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হন। তাওহিদ হৃদয় ২৪ বলে করেন ৪৫ রান এবং লিটন দাস করেন ৪০ রান। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৭ রান।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলিদের হামলা। চলমান এই হামলায় মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে হামলার জেরে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
আল জাজিরা বলছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর মধ্যরাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে এবং আরও ৩৮ জনকে হত্যা করেছে।
এদিকে কানাডা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা গাজায় নতুন করে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “জোরালো পদক্ষেপ” নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে ২২টি দেশ অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ১৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হাজার ৪৮৬ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ৩৬৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৯৮ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।