এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে ভারত!

ছবি: সংগৃহীত
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক উত্তেজনা শুরুর পর থেকেই এশিয়া কাপ নিয়ে শঙ্কা ছিল। ভারত আর কখনোই পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চায় না ক্রিকেটে, সে কথাও চাউর হয়েছিল।
যদিও কথার সঙ্গে কাজের মিল এতটা দ্রুত এসে যাবে, সেটাও হয়ত ভাবনাতে রাখেননি অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত এটাই ঘটতে যাচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, আসন্ন এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে ভারত।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সূত্রে খবরটি প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সেখানে বলা হয়েছে, পুরুষদের এশিয়া কাপের পাশাপাশি নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকেও নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত।
ঠিক কেন এমন সিদ্ধান্ত, এর ব্যাখ্যাও এসেছে ভারতের গণমাধ্যমে। ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, ভারত দল এমন এক টুর্নামেন্টে খেলতে পারে না যার আয়োজক এসিসি এবং এর প্রধানের পদে আছেন একজন পাকিস্তানি মন্ত্রী। এটা পুরো দেশের আবেগ। আমরা এসিসির সঙ্গে মৌখিকভাবে যোগাযোগ করেছি আসন্ন নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহারের বিষয়ে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে তাদের (এসিসি) ইভেন্টে আমাদের অংশগ্রহণ স্থগিত রাখতে। আমরা সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।'
সূত্র জানিয়েছে যে বিসিসিআই জানে যে ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ একটি সম্ভাব্য বিকল্প নয় কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টের বেশিরভাগ স্পনসর ভারতের। তাছাড়া, অর্থ-কাটা ভারত-পাকিস্তান প্রতিযোগিতা ছাড়া এশিয়া কাপ সম্প্রচারকদের আগ্রহী করবে না। ২০২৪ সালে এশিয়া কাপের স্বত্ব পরবর্তী আট বছরের জন্য সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেয়। যদি টুর্নামেন্টের এই সংস্করণটি না হয়, তাহলে চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এসিসি'র প্রধানের পদে আছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। তিনি একইসঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের পদে আছেন। যে কারণে ভারত এই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে।
আপাতত নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হলেও আগামীতে পুরুষদের এশিয়া কাপ থেকেও নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত- এমনই জানিয়েছে ভারতের আরও বেশ কিছু গণমাধ্যম। তাদের ভাষ্য মতে, চলমান সংকটের মাঝে মহসিন নাকভি প্রধানে থাকলে এশিয়া কাপেও যাচ্ছে না ভারত।
এদিকে ভারত এশিয়া কাপ থেকে সরে যাওয়ার অর্থ, ২০২৫ সালের আসরকে নিয়ে সঙ্কট তৈরি হওয়া। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ভারতই ছিল আয়োজক দেশ। আসর থেকে তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়ে, নতুন কোনো ভেন্যু খুঁজতে হবে এসিসিকে।
