অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি

০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৯ পিএম


অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে যে সংকট রয়েছে সেটা আস্থার সংকট। অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের (সংসদ নির্বাচন) চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।

রোববার (০১ অক্টোবর) নির্বাচিত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশ নেন ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা।

সিইসি বলেন, আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাবো সেখানে যেন আস্থার সংকট না থাকে। আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করবো, নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা যারা আছেন আরপিও অনুযায়ী দায়িত্বটা ভালোভাবে নেবেন। যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেই বক্তব্যগুলো মনোনিবেশ সহকারে শ্রবণ ও বোঝার চেষ্টা করবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো প্রশ্নের উদ্রেগ হলে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। দায়িত্বটা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ইসি থেকেও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। জানার চেষ্টা করবো কে কোথায় কী দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা সে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র। প্রজাতন্ত্র অর্থ প্রজারা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে শাসন করেন। এই জিনিসটা একটু মাথায় রাখবেন। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন তর্ক ও বিতর্ক হতে পারে। অতীতেও যে হয়নি তা নয়। অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০, ৭০ বছরের ইতিহাসও ঘাটি, ব্রিটিশ আমলে যে নির্বাচন হয়েছে তখন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে... তবে মাত্রাটা কিছু কম ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমানে যে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি সেটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগ বা বিতর্কের মাত্রাটা অতিরিক্ত। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের চাপটা এসে আমাদের ওপর পড়েছে। কাজেই আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে এগুলো সত্য হতে পারে। আবার মিথ্যাও হতে পারে, সেদিকে যাচ্ছি না।

সিইসি বলেন, ক্রেডিবল বলে একটা শব্দ আছে। সব দেশের আইনেও আছে এটা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বলা হয় নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা আনতে পারি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রচার করতে পারে। ফ্রি, ফেয়ার একটা কথা বলা হয়। বাজারে যে কথা আছে। আমাদের ওপর, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই, আগামীর নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে, একইসঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা আমরা দেখতে চাইবো মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


যে কারণে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা হলেন টেলর সুইফট

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১০ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১২ পিএম


যে কারণে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা হলেন টেলর সুইফট
টেলর সুইফট। ছবি: সংগৃহীত

এ বছরটাই ছিল টেলর সুইফটের। চলতি বছর এই পপ সেনসেশন রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙেছেন। নিজের নামের পাশে গড়েছেন অসংখ্য মাইলফলক। আর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় টেলর ছিলেন সবার উপরে। তাই সেরার সম্মান নিয়েই বছর শেষ করতে যাচ্ছেন পপকুইন, তা বলাই বাহুল্য। যার শুরুটা হলো টাইম ম্যাগাজিনের সেরা ব্যক্তিত্বের সম্মাননার মধ্য দিয়ে। ২০২৩ সালে ‘বর্ষসেরা ব্যক্তি’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে টেলর সুইফটকে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছর সুইফট তার প্রায় দুই দশকের খ্যাতি ও প্রভাবের শীর্ষে পৌঁছেছেন। তিনিই প্রথম শিল্পকলার ব্যক্তি, যিনি বিনোদনদাতা হিসেবে সাফল্যের জন্য সম্মানিত হয়েছেন।

টেলর সুইফট

 

১৯২৭ সাল থেকে টাইম ম্যাগাজিন প্রতি বছর 'পার্সন অব দ্য ইয়ার' খেতাব দিয়ে আসছে বিশ্বসেরা গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তিত্বকে। বেশিরভাগ সময় বছরজুড়ে হেডলাইন আর লাইমলাইটে থাকা ব্যক্তিত্ব, বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও অর্থনীতিতে গুরুত্ব বহন করা ব্যক্তিরা পান এই সম্মাননা। তবে এ বছরের সব হিসাব ওলট-পালট করে দিয়েছেন মেগা পপ তারকা সুইফট।

৩৩ বছর বয়সী এই তারকা তার 'ইরাস ট্যুর'-এর অংশ হিসেবে বছরজুড়ে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে পুরো ক্যারিয়ারের সঙ্গীত প্রদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি টিকিট বিক্রির রেকর্ড ভেঙেছেন। প্রতিটি শহরের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছেন।

টেলর সুইফট

 

সুইফট টাইমকে বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে গর্বিত, সুখী, সবচেয়ে সৃজনশীল এবং স্বাধীন অভিজ্ঞতা।

২০২৪ সালে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান 'ইরাস ট্যুর' বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী হওয়ার পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকান সংগীত ও বিনোদন ম্যাগাজিন বিলবোর্ড। সুইফটের এই ট্যুরে ২০২৩ সালজুড়ে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার আয় এসেছে। প্রতি শোতে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি।

টেলর সুইফট

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেডিয়ামে দর্শক-চাহিদা গত বছর এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, প্রতি টিকিট ২৮ হাজার ডলারে পৌঁছেছিল। বেশি দামে টিকিট বিক্রি নিয়ে মামলা এবং একটি ফেডারেল তদন্তও হয়েছিল।

বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, সুইফটের 'ইরাস ট্যুর'র ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতিবাচক অর্থনৈতিক সূচকের দেখা মিলেছে। বিশ্বজুড়ে বাদ-বিবাদ আর হানাহানির মাঝে তিনি কনসার্টের মাধ্যমে সুতার মালায় গেঁথেছেন বিশ্ববাসীকে। দেশের সীমানা পেরিয়ে টেইলর এক ধরনের একাত্মতাবোধ অনুভব করতে বাধ্য করেছেন বিশ্ববাসীকে। তাই সবাইকে পেছনে ফেলে হয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব।

টেলর সুইফট

 

ফোর্বস ম্যাগাজিন চলতি সপ্তাহে সুইফটকে বিশ্বের পঞ্চম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ক্ষমতাধর নারী প্রধানমন্ত্রীসহ ভাইস প্রেসিডেন্টের মতো ব্যক্তিদের পেছনে ফেলেছেন তিনি।


মুরগির বাচ্চাও এখন বিএনপির টার্গেট: ওবায়দুল কাদের

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১২ পিএম


মুরগির বাচ্চাও এখন বিএনপির টার্গেট: ওবায়দুল কাদের
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তা রেকর্ড স্থাপন করছে। গতকাল পর্যন্ত ৬০০ গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ১০টি রেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন , বৈঠকে আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি। আলোচনা হয়েছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।

পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতি নয়।

বাংলাদেশি পন্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিয়ে বলেন, যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দেবে বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে কোনো পণ্য নেবে না

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নেই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কীভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

 


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

সকাল থেকেই টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত তাই বেরসিক বৃষ্টির কাছে হার মেনে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল চলমান মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা।

এ কারণে ম্যাচের তৃতীয় দিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে আধঘণ্টা খেলা বেশি হবে। ম্যাচ শুরু হবে ৯টা ১৫ মিনিটে, দিনের শেষেও বাড়তি খেলা হবে ১৫ মিনিট। দুদিক মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার খেলা হবে।

আগের দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা আগে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সোয়া নয়টায়। কিন্তু এদিন ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিনে পিচ থেকে কখনোই কাভার সরানো হয়নি। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন আড্ডায়। দুয়েকজন অবশ্য ইনডোরে গিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে আসেন। তবে মাঠে আর ক্রিকেট ফিরতে পারেনি।

এর আগে বুধবার প্রথম দিন ছিল বোলারদের দাপট। দু দল মিলিয়ে এদিন ১৫ উইকেট নেন। বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)।

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১২*, ব্লান্ডেল ০, ফিলিপস ৫*; শরিফুল ১-১-০-০, মিরাজ ৬-১-১৭-৩, তাইজুল ৫.৪-০-২৯-২)।

অনুসরণ করুন