শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানব পাচার রোধে প্রয়োজন জনসচেতনতা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ

ইউএন

সাধারণত জোড়পূর্বক শ্রম, যৌন দাসত্ব অথবা পাচারকৃত মানুষদেরকে ব্যবসায়িক যৌনশোষণমূলক কাজে নিয়োজিত করার জন্য সংঘটিত অবৈধ মানব বাণিজ্যকে মানব পাচার বলে। মানব পাচার একটি দেশের অভ্যন্তরে অথবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সংঘটিত হতে পারে। তবে মানব পাচার যেখানে এবং যেভাবেই সংঘটিত হোক না কেন, তা বড় ধরনের অপরাধ।

মানব পাচার আইন-২০১২ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির অধিকার হরণ করে জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায়, দাসত্বমূলক আচরণ, পতিতাবৃত্তি বা যৌন শোষণ বা নিপীড়নের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে শোষণ বা নিপীড়ন করা হলে তা মানবপাচার হিসেবে গণ্য হবে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী, মানবপাচার হচ্ছে মানুষের অধিকারের লঙ্ঘন।আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে, যা দু:খজনক। অভাবের তাড়নায় কিংবা অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে অথবা উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে নারী-পুরুষ মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় প্রতিনিয়ত পাচারের শিকার হচ্ছেন। উন্নত জীবন আর ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের পাচার করার পর শেষ পর্যন্ত তাদেরকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। অর্থলোভী, অসৎ ব্যক্তি এবং দালালদের খপ্পরে পড়ে এভাবেই নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক মানুষের জীবন। সম্প্র্রতি ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচার চক্রের প্রধানসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যব। সেই সাথে উদ্ধার করা হয় পাচার হতে যাওয়া ২৩জন নারীকে। বিদেশে চাকরিসহ নানা প্রলোভনে তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল। গত বছরের ২৭ মে লিবিয়ায় ৩০ জন অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাঁদের অধিকাংশই ছিল মানব পাচারের শিকার।

 

২০১৫ সালের ১ মে থাইল্যান্ডের গহিন অরণ্যে পাওয়া গিয়েছিল গণকবর। তারপর মালয়েশিয়াতেও পাওয়া যায় গণকবর। আর ওইসব গণকবরে পাওয়া যায় অনেক বাংলাদেশীর লাশ, যাদের অধিকাংশই মানব পাচারের শিকার। ওই বছর ওই দুটি দেশ আর ইন্দোনেশিয়া থেকে মানব পাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার ১৭৫ জনকে দেশে ফিরে আনা হয়। এরপরও থেমে নেই মানব পাচার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানব পাচারকারীরা ইউরোপে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের মানুষকে লিবিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকায় এসময় মানব পাচারকারীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। বর্তমানে মানব পাচারকারীদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মায়ানমার থেকে নির্যাতন-নিপিড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। পাচারকারীরা রোহিঙ্গা পুরুষদের চাকরি ও মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের চেষ্টা করে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলা থেকেই পাচার হয়েছে এক লাখের বেশি লোক। পরবর্তী সময়ে মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া হয় যৌনপলি­তে, আর শিশুদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছে অবৈধ ও জবরদস্তি শ্রমে। এমনও দেখা গেছে, ইউরোপে যেতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে নির্যাতনের কারণে এবং খাদ্যের অভাবে সাগরেই মর্মান্তিকভাবে মারা গেছে। আর এভাবেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমানোর স্বপ্ন ভেসে যায় সাগরে, কখনোবা সেই স্বপ্নের কবর রচিত হয় গহীনবনে, অথবা গণকবরে কিংবা পতিতাপল্লীতে।

 

বাস্তবতা হচ্ছে, মানব পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় অনেক মামলা হলেও শেষ পর্যন্ত এসব মামলার তদন্ত এবং বিচার এগোয় না। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১২ সালে দেশে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মানব পাচার সংক্রান্ত প্রায় ৬হাজার মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয় ৯ হাজার ৬৯২ জন। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এসব মামলায় সাজা হয় মাত্র ৫৪ জনের। আর মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির হার খুব-ই কম। মূলত: পাচারের শিকার অধিকাংশ পরিবারগুলো সমস্যা আর ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করে। আর মানব পাচারকারী ও দালালেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিনেমার ‘দাদা ভাই’-এর ন্যায় পর্দার অন্তরালে থাকে। ফলে মানব পাচার বন্ধ হয় না। অনেক সময় মানব পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে ঘাটতি থাকায় আসামিরা খালাস পেয়ে যায়। বলা বাহুল্য, আইনের প্রকৃত শাসন থাকলে এত মানুষ পাচারের শিকার হতো না। এটা বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার প্রয়োজন। বর্তমানে মানব পাচারের সবচেয়ে বড় রুট হচ্ছে কক্সবাজার। এখানে মানব পাচারের মামলা হয়েছে ৬৩৭টি। কিন্তু নিষ্পত্তি হয়েছে দু-একটি। অর্ধেক মামলা তদন্তাাধীন রয়েছে আর খারিজ হয়ে গেছে ১৬টি মামলা। ইতোপূর্বে দেশে মানব পাচার বিষয়ক কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না। তখন দন্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মানবপাচার সংক্রান্ত অপরাধের বিচার করা হতো। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২’ নামক আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের ৬ ধারায় মানব পাচার নিষিদ্ধ করে এর জন্য অনধিক যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও  কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়। আইনটির ৭ ধারায় সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের সাজা মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা কমপক্ষে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়। এ আইনের অধীনে কৃত অপরাধগুলো আমলযোগ্য এবং তা আপস ও জামিনের অযোগ্য অপরাধ।

 

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন হওয়ার পর গত নয় বছরে এ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ৫ হাজার ৭১৬টি। এ পর্যন্ত মাত্র ২৪৭টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থ্যাৎ মামলা নিষ্পত্তির হার মাত্র ৪%। অনেক বিচার এখনো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই হচ্ছে। মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পেছনে এটিও একটি কারণ।আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে মানব পাচার মামলায় আদালতে পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হওয়া। মানব পাচার মামলায় সাধারণত নিয়মিতভাবে সাক্ষী পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগীরা সহায়তা না করলে শেষ পর্যন্ত মামলা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় কথা,মানব পাচাররোধে আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটানো হলে, সরকারিভাবে দেশে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে এবং জনগণ কর্তৃক দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার মানসিকতা পরিহার করলে মানবপাচারের সংখ্যা নি:সন্দেহে কমে আসবে। যেহেতু দেশে মানব পাচারের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে, তাই মানব পাচার রোধে এখন আইনের কঠোর প্রয়োগের বিকল্প নেই। পাশাপাশি মানব পাচার রোধে গণমাধ্যমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অধিকতর তৎপর হতে হবে। অন্যথায়, মানব পাচার বন্ধ হবে না এবং মানব পাচারকারীরাও শাস্তি পাবে না।

Header Ad

ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া

অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের প্রাচীন চলচ্চিত্র উৎসব বলা হয় কানকে। ১৪ মে বসেছে উৎসবের ৭৭তম আসর। প্রতিবারের মতো এবারও কানের রেড কার্পেটে হাঁটেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়।

বৃহস্পতিবার ঐশ্বরিয়াকে ‘গডফাদার’ খ্যাত নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার নতুন ছবি ‘মেগালোপোলিস’ এর প্রিমিয়ারে লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা গেছে। সোনার বিবরণসহ একটি কালো এবং সাদা পোশাকে। পোশাকটি ডিজাইন করেছেন ফাল্গুনী শেন ময়ূর।

বরাবরের মতো এবারের আসরেও দ্যুতি ছড়ালেন ঐশ্বরিয়া। তার আগে মেয়ে আরাধ্যর হাত ধরে হাজির হন বচ্চন বধূ। প্লাস্টার করা হাতে মুম্বাই এয়ারপোর্টে তাকে দেখে অনেকে চমকে গিয়েছিলেন। কানের লাল গালিচায়ও প্লাস্টার হাতেই দেখা যায় ঐশ্বরিয়াকে।

ঐশ্বরিয়া কোনোভাবে ডান হাতে চোট পেয়েছেন। করা হয়েছে প্লাস্টার। কানে যোগ দেওয়ার আগে তার হাতের এ অবস্থা দেখে মন ভেঙে যায় বহু ভক্ত অনুরাগীদের। কিন্তু দমে যাননি ঐশ্বরিয়া। ভাঙা হাত নিয়েই কানের লাল গালিচা মাতান, সঙ্গে মানুষের হৃদয়ও জয় করে নেন।

 

উল্লেখ্য, ঐশ্বরিয়া রায় ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়না সহ নীতা লুল্লা শাড়িতে প্রথম হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার ছবি দেবদাস সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন।

এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল’রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে রেড কার্পেট রেখেছেন মাতিয়ে।

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ

ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা এখন ৪০ এর ঘরে। তীব্র গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই তাপপ্রবাহ।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায়, ঢাকা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।

ফলে রবিবার (১৯ মে) থেকে তাপপ্রবাহ কিছু এলাকায় কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাংশের কিছু জায়গায় কমতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রবিবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। একই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই দিন আগে ১৫ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ঢাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ৩।

আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ

আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ। ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনার ঈশ্বরদীতে ফের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশের জন্য খিচুরি রান্না করার দায়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৭ ডেগ খিচুরি জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামে তরিকুল ইসলাম ভাদুর বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান।

জানা গেছে, আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের সমর্থনে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ভাদুর বাড়িতে নির্বাচনি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে উপস্থিত ভোটারদের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়।

গোপন সূত্রের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দের পাশাপাশি তরিকুল ইসলাম ভাদুরকে দশ হাজার জরিমানা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, সমাবেশের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। পরে জব্দকৃত খিচুড়ি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৪ মে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন শোকজ করেন। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রিটার্নিং অফিসার প্রথমবারের মতো তাকে ক্ষমা করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের হামলা হামাসের জন্যই: মাহমুদ আব্বাস
নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান
২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল
স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা
বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল : আইনমন্ত্রী