সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভোটকেন্দ্রে না গেলে গায়েবি মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার ইসি মো: আনিছুর রহমানের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ তারিখে যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের গায়েবি নাশকতার মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। আনিছুরদের মতো আওয়ামী দলদাসদের বলে রাখি- অবৈধ নির্বাচনকে না বলার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেড় দশক ধরে জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা দৈত্যের পতন এবং একতরফা পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ১৮ কোটি জনগণকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গলির গুন্ডাদের মতো শাসাচ্ছেন। বিএনপিকে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছেন আনিছুর রহমানরা। পুলিশকে লেলিয়ে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে গোলাম ভাবা শুরু করেছে!

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের গোলামির পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার কোটায় নির্বাচন কমিশনার হওয়া এই ব্যক্তির জেনে রাখা উচিত- বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু প্রতিটি জনপদে নৌকা এবং ডামিরা ভোট দিতে না গেলে জনগণকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে নীরব এই আনিছুররা।

রিজভী বলেন, ৭ তারিখে যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের গায়েবি নাশকতার মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। আনিছুরদের মতো আওয়ামী দলদাসদের বলে রাখি—অবৈধ নির্বাচনকে না বলার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আপনি বাধা দেওয়ার কে? ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জোর করে নিয়ে যাওয়া যে অপরাধ, তা আপনি জানেন না? গত ১৫ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তার প্রতিকারে কোন আইন করেছেন? যারা ১৫ বছর ভোট দিতে দেয়নি তাদের কত বছর জেল দেবেন সেই ঘোষণা জনগণ শুনতে চায়। যারা মৃত মানুষের ভোট দিয়েছে, ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোট দিয়েছে তাদের কত বছরের জেল দিয়েছেন? আপনাদের নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে শত শত নেতাকর্মীকে আটক করে নির্যাতন করছে পুলিশ।

তিনি বলেন, অনেক জায়গায় লিফলেট নিয়ে পড়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মানিকগঞ্জে বিএনপির লিফলেট নিয়ে পড়ার কারণে শহীদ রফিক সড়কের ডলি প্লাজা মার্কেটের এক পোশাক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রাখেন তৈরি পোশাক-ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, দলদাস আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এখন নির্বাচন কমিশন নব্য নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তবে শোনেন আনিছুর সাহেবরা, আপনাদের মতো দুই দিনের দলদাসদের রক্তচক্ষু দেখার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। এই একদলীয় ভোট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যত ভয়ভীতি-কেরামতি যাই করেন ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার পাবেন না। এই ফলাফল ঘোষণার নির্বাচনের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসহায় ভোটারদের বাধ্য করতে এক অভিনব অমানবিক নির্যাতনের পন্থা প্রয়োগ করছে ভোট ডাকাত সরকার। পত্র পত্রিকায় প্রতিদিন খবর বেরুচ্ছে, গণভবনের নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপকারভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে, যা ভোট প্রদান সাপেক্ষে ফেরত দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। যশোর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ অনেক জেলায় ইতিমধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা, ভিডব্লিউবি, ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, টিআর, ওএমএস, টিসিবির সামাজিক সুরক্ষার উপকারভোগীদের কার্ড জমা নিয়েছেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় নৌকার প্রার্থীরা হুমকি দিচ্ছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির আসন ভাগ-বাটোয়ারার ‘আমি-ডামির’ ভোট প্রহসন জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং তার ডামি নির্বাচন কমিশনসহ পুরো আওয়ামী চক্র-দলদাস রাষ্ট্রযন্ত্র। এখন তারা ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেছে। গোটা দেশকে অভাবনীয় নরকপুরিতে পরিণত করেছে। পুরো বাংলাদেশকে জেলখানা বানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দেশে নিরপেক্ষ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্বচ্ছতা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে স্থবির করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদাহরণ টেনে আমীর খসরু বলেন, “গত ১০ মাসেও সরকার দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সবারই এক প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? নির্বাচন না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না।”

তিনি আরও বলেন, “অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো অর্থনীতি টেকসই হতে পারে না। এই বাস্তবতা সরকার অনুধাবন করতে পারছে না।”

বিএনপি নেতা বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের সামনে কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ দিচ্ছে না। বরং নানা ইস্যু তৈরি করে সময়ক্ষেপণ করছে। অথচ নির্বাচনই এখন দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির প্রধান চাবিকাঠি।”

তিনি মনে করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক পথে ফিরিয়ে আনা।”

সরকারের বাজেট প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আমীর খসরু।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতে ভুল তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এতে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হবে।”

মিয়ানমারকে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “এটি একটি স্পর্শকাতর ও কূটনৈতিক বিষয়। এই সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। এসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।”

বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ের জন্য গঠিত। তাদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই। জনগণের পালস বোঝার ক্ষমতাও তাদের নেই।”

Header Ad
Header Ad

ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে বিএনপি ও ছাত্রদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং আন্দোলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেন, বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে ছাত্রনেতাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন তিনি নিজেই।

নুর বলেন, “ইশরাক ভাই, তাবিথ ভাইদের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে এদের (ছাত্রনেতাদের) বাসা ভাড়া দিয়েছি। বিএনপির নেতাদের এই আন্দোলনের মধ্যে বলেছি — আমি তো জানি, এই নেতাদের ডিভাইস চেঞ্জ করা, নতুন ডিভাইস কেনার টাকাটা সালাহউদ্দিন ভাই এখানে পাঠিয়েছিলো।”

তিনি আরও বলেন, “বরকতউল্লাহ বুলু পলাতক, আরেকজনকে দিয়ে পাঠাচ্ছে। নতুন ডিভাইস কেনা লাগবে — ওই টাকাটাও পর্যন্ত পাঠিয়ে দিয়েছে।”

নুরুল হক নুর টকশোতে দাবি করেন, “তারেক রহমানের সাথে আলাপ করে এই আন্দোলনে কিভাবে ছাত্রদল, যুবদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দিন ছাত্রদল যেন ব্যাংকারের মতো দাঁড়িয়ে থাকে — ওইদিনই ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করতে হবে — এই সমস্ত ফর্মুলা আমরা দিয়েছি।”

তিনি এও উল্লেখ করেন, “আজকে মাস্টারমাইন্ড বা এই সমস্ত মানুষের নাম তো তারা জীবনেও নিবে না।”

আলোচনার এক পর্যায়ে নুর বলেন, “একবার বলেছিলাম, মালয়েশিয়াতে আমাদের ছাত্র তরুণদেরকে মামলা দিয়েছিল, যারা অ্যাম্বাসেডর — সেই অ্যাম্বাসেডর এখনো আছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এখনো যারা বিদেশি মিশনে আছে, দেশের মধ্যে স্মরণ হয়নি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “দেশের দশ বিভাগের যারা বিভাগীয় কমিশনার — তারা এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। কিন্তু কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

নুরুল হক নুর বলেন, “দুইজন উপদেষ্টার কথা শুনে বেয়াক্কেল হলাম, এজন্য যে তারা বলছে, ‘ওদেরকে দিয়ে ভালো কাজ করানো যায়।”

Header Ad
Header Ad

হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই

ছবি: সংগৃহীত

জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কায় দেশটি ছাড়ছেন অনেক পর্যটক এবং আতঙ্কিত কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। পূর্ব এশিয়ার পর্যটকদের মধ্যে এই ভীতির মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, অনেকে জাপান সফর বাতিল করেছেন, কেউবা স্থগিত রেখেছেন। আর এই ভয়ের পেছনে রয়েছে একটি জনপ্রিয় মাঙ্গা, কিছু আলোচিত ভবিষ্যদ্বাণী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণা।

আলোচিত জাপানি মাঙ্গা শিল্পী রিয়ো তাতসুকির ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত বই ‘দ্য ফিউচার আই স’–এ ২০১১ সালের মার্চে একটি 'মহা দুর্যোগ'-এর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে ওই সময়েই ঘটে তোহোকু অঞ্চলের ৯.০ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প, যা জাপানের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ।

২০২১ সালে প্রকাশিত ওই মাঙ্গার ‘পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ’-এ বলা হয়, “পরবর্তী বড় ভূমিকম্প ২০২৫ সালের জুলাইয়ে আসবে।” এরপর থেকেই বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

জাপান ও হংকংয়ের কিছু আত্মঘোষিত ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ও ফেং শুই বিশেষজ্ঞরাও ২০২৫ সালের দিকে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাদের কথাও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে, আর এই জল্পনাকে ঘিরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চীন, হংকং, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের পর্যটকদের মধ্যে।

হংকংয়ের একটি ট্রাভেল এজেন্সি WWPKG-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি এন ইউয়েন জানান, “ইস্টার ছুটিতে জাপানে ভ্রমণসংক্রান্ত বুকিং ৫০ শতাংশ কমে গেছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”

চীন ও হংকং জাপানের অন্যতম প্রধান পর্যটক-উৎস দেশ। এদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় জাপানের পর্যটন খাত ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গুজব শুধু আতঙ্কই বাড়াচ্ছে না, বরং জাপানের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

জাপান সরকার ২০২৫ সালের জুলাইয়ে কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করেনি। তবে জানুয়ারিতে তারা জানিয়েছিল, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে নানকাই ট্রাফ এলাকায় একটি ৮.০ মাত্রার ভূমিকম্পের ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ভূকম্পবিদরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময় ধরে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া বিজ্ঞানসম্মত নয়। অনেকেই এমন গুজব ও কল্পনার ভিত্তিতে আতঙ্ক ছড়ানোকে ‘বিপজ্জনক অপপ্রচার’ হিসেবে দেখছেন।

বর্তমানে TikTok, X (সাবেক টুইটার), ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে জাপানে না যাওয়ার অনুরোধ, প্রস্তুতির পরামর্শ এবং মাঙ্গার ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ বিশ্লেষণ। কেউ কেউ ভিডিও বানিয়ে দাবি করছেন, জুলাই মাসে বড় দুর্যোগ আসছে।

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল ‘রিং অফ ফায়ার’-এর অন্তর্ভুক্ত জাপান এমন দুর্যোগের আশঙ্কায় পূর্বেও বহুবার পড়েছে। তবে এবারের আতঙ্কের ভিত্তি একটি মাঙ্গা কমিক এবং কিছু অনুমাননির্ভর বক্তব্য।

বিশ্লেষকদের মতে, “এই ধরনের গুজব ও জনমনে তৈরি হওয়া ভয় শুধু পর্যটনে নয়, আন্তর্জাতিক আস্থা ও বিনিয়োগেও প্রভাব ফেলতে পারে।” এখন দেখার বিষয়, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে আদৌ কোনো ঘটনা ঘটে কিনা, নাকি এটি হয়ে থাকে আরেকটি ‘কাকতালীয় গুজব’ মাত্র।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক
হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি, ক্ষমা চাইলেন ইশরাক হোসেন
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, ব্যাপক স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ক্ষমা চাইতে হাসনাতকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম কুমিল্লা জেলা বিএনপির
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক
১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সরকার: প্রেস সচিব
বিরামপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ!
একযোগে ১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!
বদলে গেলো নাম, ধানমন্ডি ২৭ এখন 'শহীদ ফারহান ফাইয়াজ' সড়ক
ফার্স্ট সিকিউরিটি থেকে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নির্বাচনের দাবিতে ফের মাঠে নামার হুঁশিয়ারি ১২ দলীয় জোটের
পলাতকদের অর্থ জব্দ, লুটের টাকা গরিবের কল্যাণে ব্যবহার হবে: গভর্নর
৬০ ভাগ তরুণ-তরুণী ভুগছেন ‘টেক্সট নেক’-এ, জানুন কারণ ও করণীয়