জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধকে ৭২ এর সংবিধানের পক্ষে ঢাল বানানোর চালাকি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আখতার তার পোস্টে বলেন, ‘কিন্তু সত্য হলো বিদ্যমান সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খাকে ধারণ করে না। এই সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের রক্ষাকবচ হতে পারেনি। এই সংবিধান আওয়ামী চেতনার মোড়কে আবৃত।’
তিনি বলেন, ‘অতি ক্ষমতায়ন প্রধানমন্ত্রীকে সাংবিধানিকভাবেই স্বৈরাচারী হবার সুযোগ দিয়ে রেখেছে। নাগরিক অধিকার সংকুচিত হয়ে আছে এতে। সীলগালা করে ফেলা হয়েছে এর প্রায় এক তৃতীয়াংশকেই।
আখতার আরো বলেন, ‘সুতরাং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের আকাঙ্খাকে ধারণ করতেই নতুন সংবিধান প্রয়োজন। এ জাতি এবার সুযোগ পেয়েছে, কোনোভাবেই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।’
দেশের সব বিভাগেই আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে প্রকাশিত ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য কমবে বা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে তাপপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার পাশাপাশি খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতও হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়—১৫৬ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি গোপন সংগঠন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্য হত্যার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাকিব বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলে আসছে। আমরা বারবার জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।” তিনি সাম্যকে সাহসী ছাত্রনেতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সাম্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার চাই।”
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, “সাম্য হত্যাকে ঘিরে যে গোপন সংগঠন মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে একমাত্র ছাত্রদলই মাঠে আছে-অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের কোনো ভূমিকাই নেই।”
এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা অর্ধদিবস স্থগিত রাখা হয়। শোকপ্রকাশ ও বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের নানা কর্মসূচি চলেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দির গেটসংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফখরুল আলমের বাড়ি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছিল সরাসরি সম্প্রচার। পর্দার ওপারে হাজারো অনুসারী চেয়ে ছিল ভ্যালেরিয়া মার্কেজের দিকে, যিনি নিজের বিউটি সেলুন থেকে লাইভে ছিলেন। কিন্তু কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই সেই দৃশ্য রূপ নেয় এক মর্মান্তিক বাস্তবতায়—লাইভ চলাকালেই গুলি করে হত্যা করা হয় ২৩ বছর বয়সী এই তরুণী ইনফ্লুয়েন্সারকে।
ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর জালিস্কো রাজ্যের গুয়াদালাজারায়, ভ্যালেরিয়ার নিজের সেলুন ‘Blossom The Beauty Lounge’-এ। স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ মে) সেলুনের ভেতরেই ঘটে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড।
ভ্যালেরিয়া তার টিকটক লাইভে অনুসারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তিনি একটি টেবিলে বসা, হাতে একটি পুতুল। হঠাৎ পেছন থেকে একটি পুরুষ কণ্ঠ শোনা যায়—"এই, ভ্যালে?" তিনি উত্তর দেন, "হ্যাঁ।" কয়েক সেকেন্ড পরেই শব্দ বন্ধ করে দেন লাইভের, আর ঠিক তারপরেই পেছন থেকে গুলির শব্দ। গুলিবিদ্ধ হয়ে ভ্যালেরিয়া প্রথমে নিজের পাঁজরে হাত দেন, তারপর টেবিলের ওপর লুটিয়ে পড়েন। ভিডিওতে স্বল্প সময়ের জন্য হামলাকারীর মুখও ধরা পড়ে, যিনি পরে ফোনটি তুলে নিয়ে চলে যান।
ভ্যালেরিয়া মার্কেজ। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ভ্যালেরিয়া তার লাইভে বলেছিলেন, তিনি অনুপস্থিত থাকার সময় এক ব্যক্তি তার সেলুনে ‘দামি উপহার’ রেখে গিয়েছিলেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি অপেক্ষা করব না, যদি সে ফিরে আসে।’
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকারী মোটরসাইকেলে এসেছিল এবং ‘উপহার দেওয়ার’ অজুহাতে সেলুনে প্রবেশ করে। ভ্যালেরিয়ার বুক ও মাথায় গুলি করা হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, মার্কেজের হত্যাকাণ্ড নারীহত্যা বা ‘ফেমিসাইড’ প্রোটোকল অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। ফেমিসাইড মানে লৈঙ্গিক কারণে নারীদের হত্যা করা। জালিস্কো রাজ্য কৌঁসুলির কার্যালয়ের মতে, ফেমিসাইডের সঙ্গে অবমাননাকর সহিংসতা, যৌন নির্যাতন, খুনির সঙ্গে সম্পর্ক বা জনসমক্ষে ভুক্তভোগীর দেহ প্রদর্শন যুক্ত থাকতে পারে। কৌঁসুলির কার্যালয় এখনো পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি।
ভ্যালেরিয়ার মৃত্যু নতুন করে সামনে এনেছে মেক্সিকোতে নারী সহিংসতা ও সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ। ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে তার ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী ছিল প্রায় দুই লাখ। অনলাইনে তিনি মূলত বিউটি ও লাইফস্টাইল বিষয়ক কনটেন্ট তৈরি করতেন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে নারীহত্যার দিক থেকে মেক্সিকোর অবস্থান চতুর্থ। এর আগেও এই অঞ্চলে টার্গেট করে নারী ইনফ্লুয়েন্সার বা কর্মীদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষীদের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।