বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শবে বরাতে নবী করিম সাঃ যেসব আমল করেছেন

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহতায়ালা যেমন বিশেষ কিছু ঋতুকে ফল-ফসলে সমৃদ্ধ করেছেন ঠিক তেমনি শেষ উম্মতকেও দিয়েছেন অল্পসময়ে বেশি লাভজনক আমল করে নেওয়ার সুযোগ। এতে করে মানবজীবনে স্বল্পদৈর্ঘ্যতার দুর্বলতা দূর হয়েছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে অনেক অবাক করা বিষয় আমরা লক্ষ্য করি।

আদিযুগে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে সম্পাদন করা অনেক কাজই খুব স্বল্প সময়ে সম্পাদন করা যায়। ঠিক সেভাবে শেষ নবী হজরত মোহাম্মাদ (সা.)-এর উসিলায় আমরা পেয়েছি পরকালের প্রভূত কল্যাণ লাভের অনন্য সব মৌসুম। এগুলো অল্পসময়ে আমল করে অভাবনীয় পারলৌকিক কল্যাণ লাভ করা সম্ভব। এভাবে মহান আল্লাহ আমাদের ওপর দয়া করেছেন। এই সুযোগগুলোকে অস্বীকার করা বা এড়িয়ে যাওয়া চরম মূর্খতার পরিচায়ক।

হাদিসের ভাষ্যমতে এমনই একটি মূল্যবান মৌসুম হলো- শাবান মাসের মধ্য রজনী। এই মহিমান্বিত রজনীর ডাকনাম- ‘শবে বরাত। ’

শাবান হলো পবিত্র রমজানের পূর্ববর্তী মাস। গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো কাজের আগে প্রস্তুতি গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কাজটিকে সুন্দরভাবে পালনে সহায়তা করে। তাই পবিত্র সিয়াম সাধনা পালনের একমাস আগ থেকে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সওম পালনের অনুশীলন করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘শাবান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে নবীকে (সা.) এত বেশি নফল সওম আদায় করতে দেখিনি। ’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

এক রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজ আরম্ভ করলেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন, হজরত আয়েশার (রা.) আশঙ্কা হলো, তিনি হয়তো আর দুনিয়ায় নেই। তাই তিনি উঠে নবী করিম (সা.)-এর পায়ের আঙ্গুল নাড়া দিলেন। বুঝলেন, তিনি জীবিত আছেন। এতে তার সান্ত্বনা লাভ হলো। নামাজ শেষ করে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটি কোন রাত? হজরত আয়েশার উত্তর, আল্লাহ এবং তার রাসূলই (সা.) ভালো জানেন। এবার নবী (সা.) বললেন, এটি শাবানের পনেরোতম রজনী। এ রাতে মহান আল্লাহ নিজ বান্দার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দান করেন এবং ক্ষমা প্রার্থীকে ক্ষমা করেন। রহমতপ্রার্থীকে রহম করেন। আর বিদ্বেষীদের নিজ বিদ্বেষে ছেড়ে রাখেন। -শোয়াবুল ঈমান ও তারগিব-তারহিব

মহিমান্বিত এই রজনীর প্রভূত কল্যাণের কথা যেমন অস্বীকার করার উপায় নেই, ঠিক তেমনি সুযোগ নেই নবী (সা.)-এর আদর্শ পরিহারের।

এক শবে বরাতে হজরত আয়েশা (রা.) রাসূলুল্লাহকে (সা.) ঘরে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে মদিনার ‘বাকিতে’ তাকে পেলেন। নবী (সা.) তাকে দেখে বললেন, শাবানের মধ্যরজনীতে আল্লাহ দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং বনী কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের সংখ্যার চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করে দেন। ’

উল্লেখ্য, তদানীন্তনকালে উল্লিখিত গোত্রে বিপুল পরিমাণ বকরি ছিল। নবী (সা.) নিজ কথায় মুক্তিপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যাধিক্য বুঝাতে চেয়েছেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রায় সব মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে নফল রোজা রাখতেন। বিশেষ করে শাবান মাসে ১ থেকে ২৭ তারিখে তারিখে তার রোজা রাখার বিশেষ আমল দেখা গিয়েছে। সে হিসেবে শাবানের ১৫ তারিখেও তিনি রোজা রেখেছেন। সুনানে ইবনে মাজাহ ও শোয়াবুল ঈমানে এই সংক্রান্ত হাদিস বিদ্যমান।

ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, আমাদের কাছে রাসূলুল্লাহর (সা.) এই হাদিস পৌঁছেছে; তিনি ইরশাদ করেছেন, পাঁচটি রাতে দোয়া কবুল হয়। তন্মধ্যে শাবান মাসের ১৫ তারিখ অন্যতম।

ইমাম শাফেয়ি (রহ.) আরও বলেন, উল্লিখিত রাত সম্পর্কে আমি যা বলেছি সেগুলোকে আমি মোস্তাহাব মনে করি, ফরজ মনে করি না। -কিতাবুল উষ্ম ও সুনানে কুবরা

নিজের পরকালীন কল্যাণ লাভের নিমিত্তে রাসূলুল্লাহ (সা.) বরকতময় এই রাতে দীর্ঘ সময় একাকী নফল নামাজ আদায় করেছেন। এই নফল ইবাদত তিনি এতটাই নিঃশব্দ ও গোপনে করেছেন, পাশে শুয়ে থাকা প্রিয় মানুষটিও টের পেয়েছেন বেশ বিলম্বে। বিশাল হদিস ভাণ্ডারের গবেষণার আলোকে প্রতীয়মান হয়, জীবনে মাত্র একবার এই রাতে তিনি কবরস্থানে গিয়ে মৃতদের জন্য মাগফেরাত কামনা করেছেন নীরবে-নিভৃতে। পরের দিন সওম পালনের মতো কষ্টসাধ্য আমলও তিনি উম্মতের আদর্শ হিসেবে রেখে গিয়েছেন পারলৌকিক কল্যাণের স্বার্থে।

তাই আসুন, নিজের কৃতকর্মের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে পাপরাশি মোচনের নিমত্তে মহান প্রভুর দরবারে হাত তুলি মহিমান্বিত এই রজনীতে মনের সবটুকু আবেগ উজাড় করে দিয়ে নীরবে নিভৃতে। অন্তর থেকে মুছে ফেলি সব হিংসা-বিদ্বেষ। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমা করবেন। তিনি পরম দয়ালু। আমাদের ধারনার চেয়েও বহুগুণে মহিমাময়, প্রেমময়।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এখন আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা এখন আর আগের মতো আইএমএফ নির্ভরশীল নই। সেই দিন চলে গেছে। বাজেট সাপোর্টের অর্থ সাধারণত ৫ বছরের মধ্যে ফেরত দিতে হয়, অথচ প্রকল্প চলে ২০ বছর। তাই আমরা প্রতিটি ঋণের আগে অনেক হিসাব-নিকাশ করি। শুধু টাকা দিলেই গ্রহণ করব না। ঋণের বোঝা নিতে আমরা আগ্রহী নই।”

আইএমএফের দীর্ঘসূত্রিতা ও কঠিন শর্তাবলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নয় মাস ধরে আইএমএফের টাকা আসছে না। তবে আমরা শক্ত অবস্থান নেব। টাকা না দিলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইন্দোনেশিয়ায় এমনটাই হয়েছিল, অনেকের চাকরি চলে যায়। এমন ঘটনা মালয়েশিয়াতেও ঘটেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট এবং রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে পেরেছি আইএমএফের টাকা ছাড়াই। এমনকি এই সরকার আসার পর আইএমএফ থেকে এক টাকাও পাইনি। তবুও আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো আছে। রিফর্ম দ্রুত হয়েছে, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”

আইএমএফের শর্ত প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তাদের কিছু শর্ত আছে, যেমন—এনবিআরকে স্বতন্ত্র করা এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ওপেন করে দেওয়া। তবে আমরা সব শর্ত মানতে চাই না। আমাদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের জন্য আমরা এক বিলিয়ন ডলার চেয়েছি, তারা ৫০০ মিলিয়ন দিতে চাচ্ছে—আমরা চিন্তাভাবনা করছি।”

তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প ঋণ চলমান থাকবে। পাশাপাশি এডিবি, এআইআইবি, এনডিবি এবং ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তা পাইপলাইনে রয়েছে। প্রজেক্ট সাপোর্ট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তবে বাজেট সাপোর্ট নিয়ে কিছু আলোচনা চলছে।”

অর্থ উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবি, আইএফসি, আইওএম, ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ইউএস সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যেমন—এনার্জি, স্টেট, লেবার, কৃষি এবং ট্রেজারি বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “এবারের সফর সফল। আগে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পেছনে দৌড়াতো সবাই, এখন দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সরাসরি ইউএস প্রেসিডেন্ট অফিস ও অন্যান্য বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।”

অর্থসংস্থানের বিষয়েও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, “ওপেক ফান্ডের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে, যা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হবে। আইএফসিও ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”

সব মিলিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক সচেতন ও শক্তিশালী। আমরা আর কাউকে চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করি না। আমাদের নিজস্ব কৌশলে সামষ্টিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছি।”

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে হামলার জবাবে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। এর ফলে সেনাবাহিনী এখন প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এক উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের জাতীয় সংকল্প অটুট। আমি আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি।”

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। সরকারি সূত্র জানায়, পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সহায়ক সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য সামরিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

ভারত ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। কেবলমাত্র পাকিস্তানি হিন্দু এবং দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদিত বাসিন্দাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে অবস্থানরত প্রায় ১,০০০ পাকিস্তানি নাগরিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়াও, ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্দু পানি চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ চুক্তির ফলে পাকিস্তান যে পানির ৮৫ শতাংশ পেত, তা এখন ভারতের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এ সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করেছে।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ দেশটির গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “পরবর্তী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বক্তব্যে বারবার জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “১৪০ কোটির ভারতের জনগণের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসের ঘাঁটি চিরতরে ধ্বংস করার। ভারত আর আতঙ্কে ভয় পায় না—আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্রকারীকে খুঁজে বের করব এবং জবাব দেব।”

এই অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের কড়া অবস্থান এবং সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণা গোটা অঞ্চলে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সারাদেশে শিলাবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি ও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উপর দিয়ে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত থাকায় মঙ্গলবার থেকে শনিবার (৩ মে) পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

আগামী পাঁচদিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী:

- ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

- কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

তাপমাত্রা প্রসঙ্গে জানানো হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সামান্য ওঠানামা করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১টার মধ্যে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে
সারাদেশে শিলাবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা
'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম