মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রমজানের প্রস্তুতি রজব মাস থেকেই

রজব হলো আরবি চান্দ্র বর্ষের সপ্তম মাস। রজব মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আর রজব আর মুরাজজাব’ বা ‘রজবুল মুরাজ্জাব’। রজব অর্থ সম্ভ্রান্ত, প্রাচুর্যময়, মহান। মুরাজ্জাব অর্থ সম্মানিত; রজবে মুরাজ্জাব অর্থ হলো প্রাচুর্যময় সম্মানিত মাস। হারাম তথা সম্মানিত মাসসূহের অন্যতম হলো রজব। হারাম মাসচতুষ্টয় হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। হাদীস শরীফে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আসমান জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বৎসর হয় বারো মাসে। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি একাধারে, জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং ‘রজব মুদার’, যা জুমাদাল উখরা ও শাবানের মধ্যবর্তী। (মুসলিম)। ‘মুদার’ উভয়বিদ বা বহুবিদ কল্যাণের সম্মিলন। রজব ও শাবান মাসদ্বয়কে একত্রে রজবান বা রজবদ্বয় বলা হয়।

রজব ও শাবান মাসের বিশেষ দোয়া:

রাসুলুল্লাহ (স.) রজব ও শাবান মাস ব্যাপী এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজব ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান আমাদের নসীব করুন।’ (সুনানে বায়হাকী ও মুসনাদে আহমাদ)।

রজব ও শাবান মাসের ফজিলত ও আমল:

হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন: যখন রজব মাস আসতো তা আমরা নবীজির আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম। উম্মে সালমা (রা.) বলেন: নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে অতপর রজব মাসে। কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়- নবীজি রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন; রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমী)।
হাদীস শরীফে আছে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘রজব হলো আল্লাহ’র মাস, শাবান হলো আমার (নবীজির) মাস; রমজান হলো আমার উম্মাতের মাস।’ (মুসনাদ)। রসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যারা রজব মাসে জমি চাষ দিবে না, শাবান মাসে বীজ বপন করবে না; তারা রমজান মাসে ফল লাভ করতে পারবে না।

রজব ও শাবান মাসের বিশেষ কিছু আমল:

বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। বিশেষত: প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার; মাসের ১, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ২০, ২৯, ৩০ তারিখ নফল রোজা রাখা। বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। বিশেষ করে: তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত- দোহা, জাওয়াল, আউওয়াবীন; তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মাসজিদ ইত্যাদি আদায় করা। বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। যারা তিলাওয়াত জানেন না তারা তিলাওয়াত শেখা, যারা জানেন তারা সহীহ করা, যাদের সহীহ আছে তারা অর্থসহ শেখা। নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা-কিরাত, দোয়া-কালাম ও মাআলা-মাসায়িল ভালোভাবে শেখা; যেহেতু রমজানে নামাজ বেশি বেশি পড়া হবে। প্রয়োজনে কোরআন শিক্ষা করা বা শিক্ষা দেওয়া; যেহেতু রমজানে কোরআন তিলাওয়াত বেশি বেশি করা হবে। নেক আমল বা ভালো কাজ বেশি বেশি অভ্যাস ও চর্চা করা। বদ আমল বা মন্দ কাজ ও মন্দ স্বভাব পরিহার, পরিত্যাগ ও বর্জন করা। দ্বীনী ইলম তথা ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়া।

রজব মাসের নফল নামাজ

হযরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রজব মাসের প্রথম তারিখে ১০ রাকআত নফল নামাজ পড়তে হয়। হযরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অতি মহান চারটি রাত; যথা: রজব মাসের প্রথম রাত, শাবান মাসের মধ্যদিবসের রাত (শবে বারাআত), শাওয়াল মাসের প্রথম রাত (ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদের রাত), জিলহজ্জ মাসের দশম রাত (ঈদুল আযহা বা কুরবানী ঈদের রাত)।

রজব মাসের প্রথম তারিখ মাগরিব ও ইশা এর মাঝে দুই দুই রাকআত করে ২০ রাকআত নফল নামায পড়বে। রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রোজা রাখবে এবং প্রথম জুমুআর রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত সন্ধায়) মাগরিব ও ইশা এর মাঝে দুই দুই রাকআত করে ১২ রাকআত নফল নামায পড়বে।

রজব মাসের প্রথম শুক্রবার জোহর ও আসর এর মধ্যখানে ৪ রাকআত বা ১২ রাকআত নফল নামায পড়বে। রজব মাসের পনের তারিখে একশত রাকআত নফল নামায পড়া মুস্তাহাব। রজব মাসের ষোল তারিখ থেকে শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রতি দিন পঞ্চাশ রাকআত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব।

সলাতুল মি’রাজ বা মিরাজের নফল নামাজ:

রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত ২৭ রজনীতে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিরাজে গমন করেন। যাকে শবে মিরাজ বা লাইলাতুল মিরাজ তথা মিরাজ রনী বলা হয়। এই রাতে ১২ রাকআত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহসান; একে সলাতুল মি’রাজ বলে। (খাযিনাতুল আসসার ও ইসলামের মহতী শিক্ষা)।
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালমা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদাত দ্বারা) ক্ষেত চাষ দিলো না এবং শাবান মাসে (ইবাদাতের মাধ্যমে) ক্ষেত আগাছা মুক্ত করলো না; সে রমজান মাসে (ইবাদাতের) ফসল তুলতে পারবে না। (বায়হাকী)।

রমানের প্রস্তুতি:

রজব মাস ও শাবান মাস হলো রমজান মাসের প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতি শারিরীক মানসিক আর্থিক ও সার্বিক বা সামগ্রিক। রমজান মাসে যেহেতু ইবাদাতের সময় সূচি পরিবর্তন হবে তাই সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে এবং রমজান মাসের শেষ দশকে অতিব গুরুত্বপূর্ণ আমল ইতিকাফ রয়েছে, তাই পূর্ব হতেই তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে মজুদদারী, মুনাফাখোরী পণ্যে ভেজাল ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। ইবাদাতের মাস রমজানে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড করা অত্যন্ত গর্হিত ও খুবই ঘৃণিত কাজ। পাপ সকল সময়েই পাপ কিন্তু পবিত্রতম সময়ে বা পবিত্রতম স্থানে পাপ করা মহাপাপ বা সীমা লঙ্ঘন। কুরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার বলেছেন: ‘তোমরা সীমা লঙ্ঘন করো না’; তিনি আরও বলেছেন: “আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না”। (আল কুরআন, ৫০:২৫, ৬৮:১২, ৮৩:১২, ৯:১০, ২:১৯০, ৫:৮৭, ৬:১১৯, ৭:৫৫, ১০:৭৪)।

সুতরাং রজব ও শাবান মাসের নেক আমল ও পাপ বর্জনের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তওবা ও ইস্তিগফার বেশি বেশি করতে হবে। মোহমুক্তি ও পাপ পরিহার করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সমাজের একে অন্যকে সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করতে হবে। রমজান মাসে যেনো ইবাদাতের পরিবেশ রক্ষা হয়, সে বিষয় দৃষ্টি দিতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের কাজের চাপ কমাতে হবে। রমজানে গরীব মানুষ যেনো ভালোভাবে সাহরী ও ইফতার করতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে পরিকল্পনা রজব শাবান মাসেই নিতে হবে।

রমজান মাসে যেনো ইবাদাতের পরিবেশ রক্ষা হয়, সে বিষয় প্রস্তুতি নিত হবে। দান খয়রাত বাড়াতে হবে। রমজানে গরীব মানুষ যেনো ভালোভাবে সাহরী ও ইফতার করতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে পরিকল্পনা রজব শাবান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল।

চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা প্রতিমাসের মতো এ মাসেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা নবীজি (স.) কখনো তরক করেননি। অনুরূপ তাহাজ্জুদ নামাজও নবীজি (স.) কখনো ছাড়েননি। রমজানের প্রস্তুতি মানে ইবাদাতের প্রস্তুতি, তাই এই মাস থেকেই ইবাদাতের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফরজ ইবাদাতের প্রতি অবহেলা বা উদাসীনতা ও শিথিলতা পরিহার করে সচেতনভাবে সযত্ন আমল করতে হবে।

আরবী মাসের তথা চান্দ্র তারিখের হিসাব রাখতে হবে এবং ২৯ ও ৩০ তারিখ শাবান মাসের নতুন চাঁদ দেখার চেষ্টা করতে হবে। নতুন চাঁদের উদয় নিশ্চিত হলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং ঈমান ও নেক আমলের সামর্থের দোয়া করতে হবে। নিজে আমল করার পাশাপাশি অন্যদের আমলে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শিশু ও সন্তানদের কালেমা, নামাজ ও কুরআন শিক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে। এবং সবার ঈমান ও আমলের হেফাজতের জন্য দোয়া করতে হবে।

 

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন