শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রমজানের প্রস্তুতি রজব মাস থেকেই

রজব হলো আরবি চান্দ্র বর্ষের সপ্তম মাস। রজব মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আর রজব আর মুরাজজাব’ বা ‘রজবুল মুরাজ্জাব’। রজব অর্থ সম্ভ্রান্ত, প্রাচুর্যময়, মহান। মুরাজ্জাব অর্থ সম্মানিত; রজবে মুরাজ্জাব অর্থ হলো প্রাচুর্যময় সম্মানিত মাস। হারাম তথা সম্মানিত মাসসূহের অন্যতম হলো রজব। হারাম মাসচতুষ্টয় হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। হাদীস শরীফে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আসমান জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বৎসর হয় বারো মাসে। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি একাধারে, জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং ‘রজব মুদার’, যা জুমাদাল উখরা ও শাবানের মধ্যবর্তী। (মুসলিম)। ‘মুদার’ উভয়বিদ বা বহুবিদ কল্যাণের সম্মিলন। রজব ও শাবান মাসদ্বয়কে একত্রে রজবান বা রজবদ্বয় বলা হয়।

রজব ও শাবান মাসের বিশেষ দোয়া:

রাসুলুল্লাহ (স.) রজব ও শাবান মাস ব্যাপী এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজব ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান আমাদের নসীব করুন।’ (সুনানে বায়হাকী ও মুসনাদে আহমাদ)।

রজব ও শাবান মাসের ফজিলত ও আমল:

হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন: যখন রজব মাস আসতো তা আমরা নবীজির আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম। উম্মে সালমা (রা.) বলেন: নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে অতপর রজব মাসে। কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়- নবীজি রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন; রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমী)।
হাদীস শরীফে আছে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘রজব হলো আল্লাহ’র মাস, শাবান হলো আমার (নবীজির) মাস; রমজান হলো আমার উম্মাতের মাস।’ (মুসনাদ)। রসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যারা রজব মাসে জমি চাষ দিবে না, শাবান মাসে বীজ বপন করবে না; তারা রমজান মাসে ফল লাভ করতে পারবে না।

রজব ও শাবান মাসের বিশেষ কিছু আমল:

বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। বিশেষত: প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার; মাসের ১, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ২০, ২৯, ৩০ তারিখ নফল রোজা রাখা। বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। বিশেষ করে: তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত- দোহা, জাওয়াল, আউওয়াবীন; তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মাসজিদ ইত্যাদি আদায় করা। বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। যারা তিলাওয়াত জানেন না তারা তিলাওয়াত শেখা, যারা জানেন তারা সহীহ করা, যাদের সহীহ আছে তারা অর্থসহ শেখা। নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা-কিরাত, দোয়া-কালাম ও মাআলা-মাসায়িল ভালোভাবে শেখা; যেহেতু রমজানে নামাজ বেশি বেশি পড়া হবে। প্রয়োজনে কোরআন শিক্ষা করা বা শিক্ষা দেওয়া; যেহেতু রমজানে কোরআন তিলাওয়াত বেশি বেশি করা হবে। নেক আমল বা ভালো কাজ বেশি বেশি অভ্যাস ও চর্চা করা। বদ আমল বা মন্দ কাজ ও মন্দ স্বভাব পরিহার, পরিত্যাগ ও বর্জন করা। দ্বীনী ইলম তথা ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়া।

রজব মাসের নফল নামাজ

হযরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রজব মাসের প্রথম তারিখে ১০ রাকআত নফল নামাজ পড়তে হয়। হযরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অতি মহান চারটি রাত; যথা: রজব মাসের প্রথম রাত, শাবান মাসের মধ্যদিবসের রাত (শবে বারাআত), শাওয়াল মাসের প্রথম রাত (ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদের রাত), জিলহজ্জ মাসের দশম রাত (ঈদুল আযহা বা কুরবানী ঈদের রাত)।

রজব মাসের প্রথম তারিখ মাগরিব ও ইশা এর মাঝে দুই দুই রাকআত করে ২০ রাকআত নফল নামায পড়বে। রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রোজা রাখবে এবং প্রথম জুমুআর রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত সন্ধায়) মাগরিব ও ইশা এর মাঝে দুই দুই রাকআত করে ১২ রাকআত নফল নামায পড়বে।

রজব মাসের প্রথম শুক্রবার জোহর ও আসর এর মধ্যখানে ৪ রাকআত বা ১২ রাকআত নফল নামায পড়বে। রজব মাসের পনের তারিখে একশত রাকআত নফল নামায পড়া মুস্তাহাব। রজব মাসের ষোল তারিখ থেকে শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রতি দিন পঞ্চাশ রাকআত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব।

সলাতুল মি’রাজ বা মিরাজের নফল নামাজ:

রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত ২৭ রজনীতে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিরাজে গমন করেন। যাকে শবে মিরাজ বা লাইলাতুল মিরাজ তথা মিরাজ রনী বলা হয়। এই রাতে ১২ রাকআত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহসান; একে সলাতুল মি’রাজ বলে। (খাযিনাতুল আসসার ও ইসলামের মহতী শিক্ষা)।
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালমা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদাত দ্বারা) ক্ষেত চাষ দিলো না এবং শাবান মাসে (ইবাদাতের মাধ্যমে) ক্ষেত আগাছা মুক্ত করলো না; সে রমজান মাসে (ইবাদাতের) ফসল তুলতে পারবে না। (বায়হাকী)।

রমানের প্রস্তুতি:

রজব মাস ও শাবান মাস হলো রমজান মাসের প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতি শারিরীক মানসিক আর্থিক ও সার্বিক বা সামগ্রিক। রমজান মাসে যেহেতু ইবাদাতের সময় সূচি পরিবর্তন হবে তাই সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে এবং রমজান মাসের শেষ দশকে অতিব গুরুত্বপূর্ণ আমল ইতিকাফ রয়েছে, তাই পূর্ব হতেই তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে মজুদদারী, মুনাফাখোরী পণ্যে ভেজাল ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। ইবাদাতের মাস রমজানে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড করা অত্যন্ত গর্হিত ও খুবই ঘৃণিত কাজ। পাপ সকল সময়েই পাপ কিন্তু পবিত্রতম সময়ে বা পবিত্রতম স্থানে পাপ করা মহাপাপ বা সীমা লঙ্ঘন। কুরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার বলেছেন: ‘তোমরা সীমা লঙ্ঘন করো না’; তিনি আরও বলেছেন: “আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না”। (আল কুরআন, ৫০:২৫, ৬৮:১২, ৮৩:১২, ৯:১০, ২:১৯০, ৫:৮৭, ৬:১১৯, ৭:৫৫, ১০:৭৪)।

সুতরাং রজব ও শাবান মাসের নেক আমল ও পাপ বর্জনের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তওবা ও ইস্তিগফার বেশি বেশি করতে হবে। মোহমুক্তি ও পাপ পরিহার করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সমাজের একে অন্যকে সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করতে হবে। রমজান মাসে যেনো ইবাদাতের পরিবেশ রক্ষা হয়, সে বিষয় দৃষ্টি দিতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের কাজের চাপ কমাতে হবে। রমজানে গরীব মানুষ যেনো ভালোভাবে সাহরী ও ইফতার করতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে পরিকল্পনা রজব শাবান মাসেই নিতে হবে।

রমজান মাসে যেনো ইবাদাতের পরিবেশ রক্ষা হয়, সে বিষয় প্রস্তুতি নিত হবে। দান খয়রাত বাড়াতে হবে। রমজানে গরীব মানুষ যেনো ভালোভাবে সাহরী ও ইফতার করতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে পরিকল্পনা রজব শাবান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল।

চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা প্রতিমাসের মতো এ মাসেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা নবীজি (স.) কখনো তরক করেননি। অনুরূপ তাহাজ্জুদ নামাজও নবীজি (স.) কখনো ছাড়েননি। রমজানের প্রস্তুতি মানে ইবাদাতের প্রস্তুতি, তাই এই মাস থেকেই ইবাদাতের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফরজ ইবাদাতের প্রতি অবহেলা বা উদাসীনতা ও শিথিলতা পরিহার করে সচেতনভাবে সযত্ন আমল করতে হবে।

আরবী মাসের তথা চান্দ্র তারিখের হিসাব রাখতে হবে এবং ২৯ ও ৩০ তারিখ শাবান মাসের নতুন চাঁদ দেখার চেষ্টা করতে হবে। নতুন চাঁদের উদয় নিশ্চিত হলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং ঈমান ও নেক আমলের সামর্থের দোয়া করতে হবে। নিজে আমল করার পাশাপাশি অন্যদের আমলে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শিশু ও সন্তানদের কালেমা, নামাজ ও কুরআন শিক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে। এবং সবার ঈমান ও আমলের হেফাজতের জন্য দোয়া করতে হবে।

 

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

 

Header Ad
Header Ad

‘জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি’

অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। ছবি: সংগৃহীত

মা সবসময় সন্তানের চাহিদা পূরণে চেষ্টা করেন এবং সাধারণত সন্তানকে নিরাশ করেন না। ঠিক তেমনই, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর মমতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে মনে রেখে আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় একবার নিজেকে তাঁর সুযোগ্য সন্তান হিসেবে দাবি করে একটি আবদার জানিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্রের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যা এর আগেও কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে।

২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা, যা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভাইরাল হয়। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলের পর সেই আবেদনপত্রটি ফের ভাইরাল হয়।

এদিকে দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক স্যাটায়ার বানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা ও অন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি গল্পে ‘৮৪০’ ওয়েব সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। এর আগেই বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘৮৪০’-এর বিশেষ প্রিমিয়ার শো।

‘৮৪০’ শিরোনামের ওয়েব সিনেমাটিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। সিনেমটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমি চাওয়া প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে শাহরিয়ার নাজিম জয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমার জমির প্রয়োজন আছে। তাই ড. ইউনুস স্যারকে বাবা ডাকতে হলেও ডাকবো। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে জমি চাওয়াতে আমি মোটেও অনুতপ্ত না। একটা জিনিস পাওয়ার জন্য বাবা, দাদা, মা ডাকা যায়। আর আমি আমার কাজের জন্য ভবিষ্যতেও ডাকবো। তবে হ্যাঁ আমি তখনও বলেছি বিগত সরকার যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল আর তাদের পতনের জন্য যত লোক প্রাণ দিয়েছে তা অনেক সেন্সেটিভ ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আর ওই সকাররের প্রধানকে আমি মা বলেছি সেটার জন্য আমি অনুতপ্ত।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের উর্ধ্বমুখী আলু বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। এই আলুগুলো মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মেসার্স আতিফ এক্সপোর্ট সুজাপুর কালিয়াচক মালদা শহর থেকে আমদানি হয়ে বেনাপোল রেল স্টেশনে পৌঁছেছে।

রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স নামক একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেছেন। আগামীকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়া থেকে খালাস করা হবে।

সি এন্ড এফ এজেন্ট আলম এন্ড সন্সের প্রতিনিধি নাজমুল আরেফিন জনি বলেন, ভারত থেকে ট্রেনের একটি রেক-এ ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য আগামীকাল শনিবার বেনাপোল কাস্টম হাউজে কাগজপত্র সাবমিট করা হবে। কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম সম্পন্নের পর বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হবে। নওয়াপাড়া থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।

বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের টাটা ট্রেডার্স নামক এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেন। ভারতের মালদার আতিপ এক্সপোর্ট নামক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুর চালানটি রপ্তানি করেছেন। একটি ট্রেনের রেক-এ ৯৪৬০ ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ৪৬৮০০০ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ১০৭৬৪০ মার্কিন ডলার।

Header Ad
Header Ad

কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার

ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। ছবি: সংগৃহীত

চীনা দাবাড়ু ডিং লিরেনকে হারিয়ে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। এর মধ্য দিয়ে প্রথম ভারতীয় এবং সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১৮ বছর বয়সী গুকেশ ৭.৫-৬.৫ স্কোরে জিতেছেন।

কিন্তু গুকেশের অভাবনীয় এ অর্জনের উল্লাসে পানি ঢেলে দিল রাশিয়ান দাবা ফেডারেশন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক দিন না যেতেই বিতর্ক উঠেছে ডিং লিরেনের বিপক্ষে হওয়া গুকেশের ম্যাচটি নিয়ে।

রাশিয়ার দাবা সংস্থার প্রধান আন্দ্রে ফিলাতভের অভিযোগ, ডিং লিরেন ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হেরেছেন। যে কারণে ফিডেকে তদন্ত শুরু করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। এক সংবাদ সংস্থা এমনটা জানিয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গুকেশ হারিয়ে দেন লিরেনকে। ১৪তম ক্লাসিকাল ম্যাচটি জেতেন ভারতীয় দাবাড়ু। ১৩তম ম্যাচ শেষে দু’জনের পয়েন্ট সমান ছিল। শেষ ম্যাচ জিততেই সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ।

কিন্তু সেই জয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ফিলাতভের অভিযোগ, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ম্যাচ সকলকে অবাক করে দিয়েছে। চীনের দাবাড়ু যেভাবে হেরেছেন তা সন্দেহজনক। এটা নিয়ে ফিডের তদন্ত করা উচিত। লিরেন ম্যাচটা যে জায়গা থেকে হেরেছে, তা একজন প্রথম শ্রেণীর দাবাড়ুর পক্ষেও হারা কঠিন। চীনের দাবাড়ুর এই হার ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে।’’

 

এবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ম্যাচেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন গুকেশ। অন্যদিকে লিরেন বরাবরই রক্ষণাত্মক খেলছিলেন। শেষ ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল। সময়ের চাপে সমস্যায় পড়েন লিরেন। প্রথম ৪০ চালের পর শেষ দিকে সময় কমছিল লিরেনের। তখন বোর্ডে গুকেশের রাজা ও দু’টি বোড়ে পড়ে ছিল। অন্য দিকে লিরেনের ছিল রাজা ও একটি বোড়ে। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা ড্র হবে। সেখানেই ভুল করে বসেন চীনা দাবাড়ু।

এদিকে, ম্যাচ শেষে লিরেন বলেছেন, ‘চাপের মধ্যে একটা চালে ভুল করে ফেলি। তারপরই গুকেশের মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম, ও কতটা আনন্দ পেয়েছে। তখন আর আমার কিছু করার ছিল না।’ গুকেশ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি যে লিরেন এত বড় ভুল করেছে। কয়েক সেকেন্ড পরে বুঝতে পারি। সেটা কাজে লাগাই।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি’
বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু
কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার
রাগের বশে ২ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যা করে পুকুরে ফেলেন মা!
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান: তারেক রহমান
যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছর তারা কী করেছেন: রিজওয়ানা
পদত্যাগ করলেন পাকিস্তান টেস্ট দলের প্রধান কোচ
অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি
তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে আগুন, নারী-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের নিন্দা ৫৩ নাগরিকের
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ইস্যুতে যা জানাল আমেরিকা
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩০ ফিলিস্তিনি
গণমাধ্যমই দেশের ভালো-মন্দের অতন্দ্র প্রহরী: শাকিল উজ্জামান
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
কুবির দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের কাছে তুলে দিলো শিক্ষার্থীরা
তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট