বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ | ৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রমজানের প্রস্তুতি রজব মাস থেকেই

রজব হলো আরবি চান্দ্র বর্ষের সপ্তম মাস। রজব মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আর রজব আর মুরাজজাব’ বা ‘রজবুল মুরাজ্জাব’। রজব অর্থ সম্ভ্রান্ত, প্রাচুর্যময়, মহান। মুরাজ্জাব অর্থ সম্মানিত; রজবে মুরাজ্জাব অর্থ হলো প্রাচুর্যময় সম্মানিত মাস। হারাম তথা সম্মানিত মাসসূহের অন্যতম হলো রজব। হারাম মাসচতুষ্টয় হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। হাদীস শরীফে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আসমান জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বৎসর হয় বারো মাসে। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি একাধারে, জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং ‘রজব মুদার’, যা জুমাদাল উখরা ও শাবানের মধ্যবর্তী। (মুসলিম)। ‘মুদার’ উভয়বিদ বা বহুবিদ কল্যাণের সম্মিলন। রজব ও শাবান মাসদ্বয়কে একত্রে রজবান বা রজবদ্বয় বলা হয়।

রজব ও শাবান মাসের বিশেষ দোয়া:

রাসুলুল্লাহ (স.) রজব ও শাবান মাস ব্যাপী এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজব ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান আমাদের নসীব করুন।’ (সুনানে বায়হাকী ও মুসনাদে আহমাদ)।

রজব ও শাবান মাসের ফজিলত ও আমল:

হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন: যখন রজব মাস আসতো তা আমরা নবীজির আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম। উম্মে সালমা (রা.) বলেন: নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে অতপর রজব মাসে। কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়- নবীজি রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন; রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমী)।
হাদীস শরীফে আছে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘রজব হলো আল্লাহ’র মাস, শাবান হলো আমার (নবীজির) মাস; রমজান হলো আমার উম্মাতের মাস।’ (মুসনাদ)। রসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যারা রজব মাসে জমি চাষ দিবে না, শাবান মাসে বীজ বপন করবে না; তারা রমজান মাসে ফল লাভ করতে পারবে না।

রজব ও শাবান মাসের বিশেষ কিছু আমল:

বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। বিশেষত: প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার; মাসের ১, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ২০, ২৯, ৩০ তারিখ নফল রোজা রাখা। বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। বিশেষ করে: তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত- দোহা, জাওয়াল, আউওয়াবীন; তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মাসজিদ ইত্যাদি আদায় করা। বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। যারা তিলাওয়াত জানেন না তারা তিলাওয়াত শেখা, যারা জানেন তারা সহীহ করা, যাদের সহীহ আছে তারা অর্থসহ শেখা। নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা-কিরাত, দোয়া-কালাম ও মাআলা-মাসায়িল ভালোভাবে শেখা; যেহেতু রমজানে নামাজ বেশি বেশি পড়া হবে। প্রয়োজনে কোরআন শিক্ষা করা বা শিক্ষা দেওয়া; যেহেতু রমজানে কোরআন তিলাওয়াত বেশি বেশি করা হবে। নেক আমল বা ভালো কাজ বেশি বেশি অভ্যাস ও চর্চা করা। বদ আমল বা মন্দ কাজ ও মন্দ স্বভাব পরিহার, পরিত্যাগ ও বর্জন করা। দ্বীনী ইলম তথা ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়া।

রজব মাসের নফল নামাজ

হযরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রজব মাসের প্রথম তারিখে ১০ রাকআত নফল নামাজ পড়তে হয়। হযরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অতি মহান চারটি রাত; যথা: রজব মাসের প্রথম রাত, শাবান মাসের মধ্যদিবসের রাত (শবে বারাআত), শাওয়াল মাসের প্রথম রাত (ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদের রাত), জিলহজ্জ মাসের দশম রাত (ঈদুল আযহা বা কুরবানী ঈদের রাত)।

রজব মাসের প্রথম তারিখ মাগরিব ও ইশা এর মাঝে দুই দুই রাকআত করে ২০ রাকআত নফল নামায পড়বে। রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রোজা রাখবে এবং প্রথম জুমুআর রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত সন্ধায়) মাগরিব ও ইশা এর মাঝে দুই দুই রাকআত করে ১২ রাকআত নফল নামায পড়বে।

রজব মাসের প্রথম শুক্রবার জোহর ও আসর এর মধ্যখানে ৪ রাকআত বা ১২ রাকআত নফল নামায পড়বে। রজব মাসের পনের তারিখে একশত রাকআত নফল নামায পড়া মুস্তাহাব। রজব মাসের ষোল তারিখ থেকে শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রতি দিন পঞ্চাশ রাকআত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব।

সলাতুল মি’রাজ বা মিরাজের নফল নামাজ:

রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত ২৭ রজনীতে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিরাজে গমন করেন। যাকে শবে মিরাজ বা লাইলাতুল মিরাজ তথা মিরাজ রনী বলা হয়। এই রাতে ১২ রাকআত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহসান; একে সলাতুল মি’রাজ বলে। (খাযিনাতুল আসসার ও ইসলামের মহতী শিক্ষা)।
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালমা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদাত দ্বারা) ক্ষেত চাষ দিলো না এবং শাবান মাসে (ইবাদাতের মাধ্যমে) ক্ষেত আগাছা মুক্ত করলো না; সে রমজান মাসে (ইবাদাতের) ফসল তুলতে পারবে না। (বায়হাকী)।

রমানের প্রস্তুতি:

রজব মাস ও শাবান মাস হলো রমজান মাসের প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতি শারিরীক মানসিক আর্থিক ও সার্বিক বা সামগ্রিক। রমজান মাসে যেহেতু ইবাদাতের সময় সূচি পরিবর্তন হবে তাই সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে এবং রমজান মাসের শেষ দশকে অতিব গুরুত্বপূর্ণ আমল ইতিকাফ রয়েছে, তাই পূর্ব হতেই তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে মজুদদারী, মুনাফাখোরী পণ্যে ভেজাল ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। ইবাদাতের মাস রমজানে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড করা অত্যন্ত গর্হিত ও খুবই ঘৃণিত কাজ। পাপ সকল সময়েই পাপ কিন্তু পবিত্রতম সময়ে বা পবিত্রতম স্থানে পাপ করা মহাপাপ বা সীমা লঙ্ঘন। কুরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার বলেছেন: ‘তোমরা সীমা লঙ্ঘন করো না’; তিনি আরও বলেছেন: “আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না”। (আল কুরআন, ৫০:২৫, ৬৮:১২, ৮৩:১২, ৯:১০, ২:১৯০, ৫:৮৭, ৬:১১৯, ৭:৫৫, ১০:৭৪)।

সুতরাং রজব ও শাবান মাসের নেক আমল ও পাপ বর্জনের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তওবা ও ইস্তিগফার বেশি বেশি করতে হবে। মোহমুক্তি ও পাপ পরিহার করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সমাজের একে অন্যকে সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করতে হবে। রমজান মাসে যেনো ইবাদাতের পরিবেশ রক্ষা হয়, সে বিষয় দৃষ্টি দিতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের কাজের চাপ কমাতে হবে। রমজানে গরীব মানুষ যেনো ভালোভাবে সাহরী ও ইফতার করতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে পরিকল্পনা রজব শাবান মাসেই নিতে হবে।

রমজান মাসে যেনো ইবাদাতের পরিবেশ রক্ষা হয়, সে বিষয় প্রস্তুতি নিত হবে। দান খয়রাত বাড়াতে হবে। রমজানে গরীব মানুষ যেনো ভালোভাবে সাহরী ও ইফতার করতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে পরিকল্পনা রজব শাবান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল।

চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা প্রতিমাসের মতো এ মাসেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা নবীজি (স.) কখনো তরক করেননি। অনুরূপ তাহাজ্জুদ নামাজও নবীজি (স.) কখনো ছাড়েননি। রমজানের প্রস্তুতি মানে ইবাদাতের প্রস্তুতি, তাই এই মাস থেকেই ইবাদাতের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফরজ ইবাদাতের প্রতি অবহেলা বা উদাসীনতা ও শিথিলতা পরিহার করে সচেতনভাবে সযত্ন আমল করতে হবে।

আরবী মাসের তথা চান্দ্র তারিখের হিসাব রাখতে হবে এবং ২৯ ও ৩০ তারিখ শাবান মাসের নতুন চাঁদ দেখার চেষ্টা করতে হবে। নতুন চাঁদের উদয় নিশ্চিত হলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং ঈমান ও নেক আমলের সামর্থের দোয়া করতে হবে। নিজে আমল করার পাশাপাশি অন্যদের আমলে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শিশু ও সন্তানদের কালেমা, নামাজ ও কুরআন শিক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে। এবং সবার ঈমান ও আমলের হেফাজতের জন্য দোয়া করতে হবে।

 

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

 

Header Ad
Header Ad

বাদুড়ের শরীরে মিলল নতুন ভাইরাস, ঝুঁকি এখনও অজানা

বাদুড়ের শরীরে মিলল নতুন ভাইরাস। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলে বাদুড়ের মধ্যে গবেষকরা একটি নতুন ভাইরাস শনাক্ত করেছেন। এর ফলে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের শ্বাসযন্ত্রজনিত সিনড্রোম ‘মার্স-কোভ’ এর সঙ্গে নতুন ভাইরাসটির অনেক মিল রয়েছে। তবে মানুষের মধ্যে এটির সংক্রমণের ক্ষমতা এখনও অজানা।

গত মঙ্গলবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

জার্নাল অব মেডিকেল ভাইরোলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণাটি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সাও পাওলো এবং সিয়ারার বিজ্ঞানীরা পরিচালনা করেছেন। গবেষকরা দেখেছেন, ভাইরাসের জিনগত ক্রমের সাথে মার্স-কভের ৭২ শতাংশ মিল রয়েছে।

বিশেষ করে ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিন মার্স ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম শনাক্ত হওয়া মার্স ভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

জার্নাল অব মেডিকেল ভাইরোলজি-তে প্রকাশিতেএই গবেষণার লেখক ব্রুনা স্টেফানি সিলভারিও বলেন, “এটি মানুষকে কতটা সংক্রামিত করতে পারে তা এখনই আমরা নিশ্চিত নই। তবে আমরা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের কিছু অংশ শনাক্ত করেছি, যা মার্স-কোভের ব্যবহৃত রিসেপ্টরের সঙ্গে সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়। আরও গবেষণা চালানো হচ্ছে। আমরা চলতি বছরে হংকংয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছি।”

এই ভাইরাসটি মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য চলতি বছর হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের হাই বায়োসিকিউরিটি নিয়ে পরীক্ষাগারে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এই পরীক্ষাগুলোই নির্ধারণ করবে যে— ভাইরাসটি মানবকোষের সঙ্গে কতটা আবদ্ধ হতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা। এর ফলে নতুন ভাইরাসটি মানুষের ওপর কতটা ঝুঁকি তৈরি করে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

মূলত ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য বাদুড় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাদুড় প্রাকৃতিকভাবেই ভাইরাস বাহক এবং সার্স, মার্স এবং ইবোলা-সহ বেশ কয়েকটি বড় রোগের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গেও যুক্ত। তবে বেশিরভাগ বাদুড়ের ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কম হয়ে থাকে।

গবেষণার সিনিয়র গবেষক রিকার্ডো ডুরেইস-কারভালহো বলেন, “বাদুড় হলো গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাল জলাধার। যে কারণে আমাদের ক্রমাগত নজরদারি প্রয়োজন। সব পর্যবেক্ষণ করে আমাদের বুঝতে হবে ভাইরাসগুলো সঞ্চালিত হয়ে অন্যান্য প্রাণী এমনকি মানুষের জন্যও কোনও ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে কিনা।”

সংবাদমাধ্যম বলছে, গবেষণায় ১৬টি ভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের ৪২৩টির মুখে এবং মলদ্বার সোয়াব পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ এরমধ্য়ে উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের ফোর্টালেজা শহরে সংগৃহীত বাদুড়ের সোয়াবের পাঁচটিতে সাতটি করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে।

গবেষকরা দেখেছেন, নতুন ভাইরাসের সঙ্গে মানুষ এবং উটের মধ্যে পাওয়া মার্স-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস প্রজাতির সঙ্গে মিল রয়েছে। পাঁচটি বাদুড়ের মধ্যে দুটি ভিন্ন প্রজাতির ছিল: মোলোসাস, একটি কীটপতঙ্গভোজী এবং আর্টিবিয়াস লিটুরাটাস, একটি ফ্রুগিভোজী।

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ব্রাজিলে পাওয়া নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রায় ৭২ শতাংশ মিল রয়েছে মার্স-কোভের জিনোমের সঙ্গে।

Header Ad
Header Ad

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল। ছবি: সংগৃহীত

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। যার শুনানি হতে পারে আজ।

এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছিলেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি–জামায়াত জোট সরকার। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলা হয় মতিঝিল থানায়। মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে তৎকালীন সরকার নানা তৎপরতা চালায় বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলার তদন্ত নতুনভাবে শুরু করে।

পরে ২০০৮ সালে এ মামলায় প্রথমে ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এ মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক) অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানান, মামলাগুলোর বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ। কারণ, তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন স্বামীও

ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন। আর সেই খবর পেয়েই কাজ থেকে দ্রুত বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তারও জীবিত অবস্থায় আর বাড়ি ফেরা হলো না। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো ওই ব্যক্তির।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মীরগঞ্জে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, মীরগঞ্জ এলাকায় স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। সঞ্জয় (২৮) নামে ওই ব্যক্তি তার ছোট ভাই রিঙ্কুর (২২) সাথে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। তবে সোমবার গভীর রাতে ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি অজ্ঞাত গাড়ি তাদের ধাক্কা দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই সঞ্জয় মারা যান, আর রিঙ্কু গুরুতর আহত হন এবং বরেলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ সুপার (উত্তর) মুকেশ চন্দ্র মিশ্র বলেন, “বাহরাইচের কাইজারগঞ্জ থানা এলাকার রামুয়াপুর রঘুবীর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় পাঞ্জাবে শ্রমিকের কাজ করতেন। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার ছোট ভাইয়ের সাথে বাড়ির পথে রওনা হন। দুর্ভাগ্যবশত, বরেলিতে তারা মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন।”

তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা সঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করেন, আর রিঙ্কুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সঞ্জয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় সঞ্জয়ের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের স্ত্রী পূজার। তার মৃত্যুর খবর পেয়েই কাজ থেকে দ্রুত বাইক নিয়ে বেরিয়ে আসেন। বাইক চালাচ্ছিলেন সঞ্জয়। পেছনে বসে ছিলেন তার ভাই রিঙ্কু।

২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বরেলীর কাছে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। দু’জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সঞ্জয় এবং রিঙ্কুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা সঞ্জয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রিঙ্কুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ছয় বছর আগে পূজার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঞ্জয়ের। তাদের চার বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দুদিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল সন্তানসম্ভবা পূজাকে। বাড়িতে নতুন অতিথি আসার আনন্দে মেতেছিল পরিবার।

কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ হাসপাতাল থেকে খবর আসে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে পূজার মৃত্যু হয়েছে। পূজার মৃত্যুর খবর গিয়েছিল সঞ্জয়ের কাছেও। স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি।

তারপরই পাঞ্জাব থেকে বাইকে উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে আসছিলেন। কিন্তু বরেলির কাছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাদুড়ের শরীরে মিলল নতুন ভাইরাস, ঝুঁকি এখনও অজানা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল
স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন স্বামীও
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, বোরকা পরে পালানোর সময় আটক শাহ্ আলম
১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
বগুড়ার সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
‘কেবল শুরু’ বলে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞের সতর্কবার্তা দিলেন নেতানিয়াহু  
২২ ছক্কার সঙ্গে ৫০ চারে একাই ৪০৪ রান করলেন মুস্তাকিম  
পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে  
ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত    
তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করলো ডাকাতদল  
খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণকে গণপিটুনি, পুলিশের ওপর হামলা
সোনার দাম ফের বাড়ল
চুয়াডাঙ্গায় শিশু খাদ্য, কাপড় ও কসমেটিক্সের দোকান মালিককে ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ৬ সদস্য নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার
আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক: ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টায় আটক ১৫ বাংলাদেশি
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি আটক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার, আলোচনায় থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব