বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

এক সাঁকো দিয়ে ৫ ইউনিয়নের পারাপার, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি সাঁকো। সেই সাঁকোটি নির্মিত হয়েছে স্থানীয় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের স্বেচ্ছায় অর্থ দানের টাকায়। নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন পার হতে হয় লেংগুটিয়া, শ্রিপুর, জাংগালিয়া, গোপালপুর, আলিমাবাদসহ ৫ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং আলিমাবাদ ইউনিয়নসহ ৫টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম কাজির চর খালের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ শত শত মানুষ পারাপার হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও একটি ব্রিজের ব্যবস্থা করতে পারেনি এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। দুই পাড়ের গ্রামবাসী মিলে কোনো ভাবে যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করেন। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের সময় কাজিরচর খালটিতে প্রবল স্রোতধারা প্রবাহিত হবার কারনে সাঁকো ভেঙে যায়। তখন বর্ষামৌসুমে আর সাঁকো নির্মান করা সম্ভব হয়না বলে পার হতে হয় ডিঙ্গি নৌকায়।

বর্ষা কমে এলে আবার গ্রামবাসী মিলে কোনো ভাবে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করে সাঁকো। এভাবে চলছে বছরের পর বছর। ফলে বিভিন্ন সময় বাঁশ ভেঙে খালে পড়ে যাওয়াসহ ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা ঘটে। একাধিকবার পারাপারে ঘটেছে শিশু শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনাও।

জানা যায়, এই সাঁকো পার হয়ে শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়, আলিমাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা, পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আসমানীয়া ডিগ্রি মাদ্রাসা সহ এলাকার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শত শত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ নিয়মিত আসা যাওয়া করে।

এ বিষয়ে কাজিরচর গ্রামের তরিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে আলিমাবাদ মাদ্রাসাসহ আশপাশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক কর্মচারী ও এখানকার একমাত্র বড় বাজার মাঝকাজী বাজারে আসা অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা ও বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন যাতায়াত করে। কিন্তু এই সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাঁকো পারাপারে অনীহা প্রকাশসহ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাও অনেকাংশে কমে গেছে।

একই গ্রামের একজন শিশু শিক্ষার্থী হাসানাইনের মা হাজেরা বেগম বলেন আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের সাঁকো পার করে দিয়ে মাদ্রাসায় পাঠাই ছুটির সময় হলে আতঙ্কে থাকি, আবার সাঁকোর কাছে এসে বসে থাকি ছেলে মেয়ে আসলে পার করে নেই। হাজেরা বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারায় যেন আমাদের এখানে একটি ব্রিজ হয় আমাদের ছেলে মেয়েরা নির্বিঘ্নে স্কুলে যেতে আসতে পারে, আতঙ্ক মুক্ত থাকতে পারি।

আলিমাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক বাবুল বয়াতি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের যে উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় কাজীরহাট বাজার সংলগ্ন কাজির চর খালের উপর দ্রুত একটা ব্রিজ নির্মাণ করা হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এই ব্রিজটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, স্থানীয়দের স্বেচ্ছায় দেওয়া বাঁশ, গাছ ও টাকার সহায়তায় এই নড়বড়ে সাঁকো ব্যাবহারে প্রতিবছরই কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সবুজ হাওলাদার বলেন আমার নির্বাচনীয় এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের এই সাঁকোটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে আলিমাবাদ ইউনিয়নসহ মেহেন্দীগঞ্জের ৫ টি ইউনিয়নের লোক যাতায়াত করে। আর প্রতি বছরই সাঁকো ভেঙ্গে পড়ে পথচারীরা গুরুতর আহত হয় এবং প্রানহানির মত ঘটনা ঘটে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মান করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।

১০নং আলিমাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, এখানে ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন (এলজিইডি) জানান, সাঁকোর সমস্যার বিষয় আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিষ্ট দিয়েছি এই সাঁকোটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা জেনেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করা হবে।

/এএস

Header Ad
Header Ad

প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি

এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা’—এমন শিরোনামে দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত ২৪ জুন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) আক্তার হোসেন বলেছেন, হাসনাত আবদুল্লাহ যখন প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন কী ঘটেছে, তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন; যে তিনি ভুল করেছেন। দুদক কর্মকর্তাদের নামে যারা ফোন দিয়েছিল, তারা ছিল প্রতারক। সেসব প্রতারকদের ধরতে দুদকসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, যে বিষয়টি হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে তুলে এনেছেন, সে বিষয়টির ওপর দুদক অনুসন্ধান করছে। এছাড়াও এ বিষয়ে অনুসন্ধানের আরও অনেক দিক আসবে। তবে হাসনাত আবদুল্লাহ একটা দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে ভেরিফাই না করে এ ধরনের তথ্য ছড়ালে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠান যাতে বিতর্কিত না হয়, নিশ্চয়ই সবাই সহযোগিতা করবো।

আক্তার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে একটা এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানের পরপরই যে চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, এনফোর্সমেন্ট অভিযানে তার নাম এসেছে বলে দাবি করেছেন। কিন্তু দুদক থেকে যখন অভিযানের তথ্য গণমাধ্যমে দেওয়া হয়, তখন তার নাম দেওয়া হয়নি। তিনি অন্যভাবে নাকি জেনেছেন। তাকেও এই অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে বার বার অভিযোগ করছিলেন। এখন কেন তিনি প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়েই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি পোস্ট কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন।

এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে দুদক বলে, একটি প্রতারক চক্র দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। যার সঙ্গে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নন। ইতিমধ্যে কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

এর আগে, ২৪ জুন রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা।' ওই স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করা হয়, 'আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে।'

তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা দাবি করা হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার ও একজন উপপরিচালকের পরিচয়ে। মাহমুদাকে বলা হয়, 'আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না। আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।'

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় দুদকের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা নেই।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত

বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমে একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

পরে বিকেল ৪টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফার্স্ট কনসার্ন্স (বিওয়াইএফসি)-এর আয়োজনে একটি আলোচনা সভা ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমশের আলী মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম এবং বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শাহ্ আলম মন্ডল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিওয়াইএফসি'র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সম্রাট বেপারী। আলোচনা সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা বিষয়ে মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

আলোচনা শেষে বিওয়াইএফসি’র পক্ষ থেকে উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খেলার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও তরুণ সমাজকে খেলাধুলা ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের

সারোয়ার তুষার ও নীলা ইসরাফিল। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেত্রী নীলা ইসরাফিল পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সরোয়ার তুষার বারবার তাকে ভিডিও কলে কথা বলতে এবং ব্যক্তিগত ছবি পাঠাতে চাপ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এনসিপি গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া অভিযোগপত্র নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন নীলা ইসরাফিল। অভিযোগপত্রে তিনি নিজেকে এনসিপির সদস্য এবং ধানমন্ডি থানার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

নীলা ইসরাফিলের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তার প্রাক্তন স্বামীর দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়ে শারীরিক, মানসিক এবং সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে মানবিক সহায়তা দেন সরোয়ার তুষার। পরে রাজনৈতিক যোগাযোগের এই সম্পর্ককে সরোয়ার তুষার ব্যক্তিগত ও অনৈতিক রূপ, যৌন হয়রানি করতে উদ্যত হন। 

এ ঘটনায় চারটি সুস্পষ্ট অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন নীলা ইসরাফিল। সেগুলো হলো-

১. নৈশকালীন ব্যক্তিগত ও আপত্তিকর আলাপ:

তিনি (সরোয়ার তুষার) প্রায়ই রাতের বেলা কল করে বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে কথা ভালো লাগে না, তোমার কণ্ঠে ভালো লাগে প্রতিবাদের স্লোগান’, ‘তোমার ঠোঁট সুন্দর’, ‘একটা সুন্দর ছবি পাঠাও’— এ ধরনের মন্তব্য বারবার আমাকে অস্বস্তি ও অপমানের মধ্যে ফেলেছে।

২. ভিডিও কলে কথা বলার চাপ ও ব্যক্তিগত ছবি চাওয়া:

আমি বারবার অনুরোধ করেছি পেশাদারির সীমা রক্ষা করতে। এরপরও তিনি (সরোয়ার তুষার) বারবার ব্যক্তিগত আলাপের দিকে আলোকপাত করেন। ছবি চাইতেন এবং ভিডিও কলে কথা বলতে চাইতেন।

৩. ডিবি অফিসারের কাছে আমার সম্পর্কে মিথ্যা দাবি:

তিনি (তুষার) বলেন— ‘তোমার বিষয়ে ডিবি অফিসার আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলেছি, তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।’ একজন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এ ধরনের ভ্রান্ত তথ্য প্রদান চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং আমার সামাজিক মর্যাদাকে হেয় করার শামিল।

৪. ফোনালাপ রেকর্ড ও প্রচারের ঘটনা:

আমি যখন বুঝতে পারি, এই রাজনৈতিক সম্পর্ক আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ও মানসিকভাবে নিঃশেষ করছে, তখন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে তুষারের সঙ্গে কয়েকটি ফোনালাপ রেকর্ড করি। 

১৬ জুন সেই রেকর্ডের একটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তুষার আমাকে চাপ দিতে থাকেন যেন আমি ফেসবুকে বলি, তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। 

আমি তখন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফোনালাপও রেকর্ড করি এবং এগুলো কিছু মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রচারে সম্মতি দিই। কেননা, সেইগুলো উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানিমূলক, এবং যৌন হয়রানিমূলক অপরাধ করে তা প্রকাশ করা থেকে বিরত করবার চেষ্টাও হয়েছিল অবিরত।

অভিযোগপত্রের শেষে নীলা লিখেছেন, আমি এই অভিযোগ করেছি দীর্ঘ আত্মসংযমের পর, অনেক চিন্তা ও মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। আমি দলীয়ভাবে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি এবং বিশ্বাস করি, সত্যের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে এনসিপি একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে, যেখানে নারী কর্মী কেবল ভুক্তভোগী নয়, বরং সম্মানিত ও নিরাপদ রাজনৈতিক অংশীদার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি
রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালকে ২ লাখ জরিমানা
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন দায়ে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
৮৩ লাখ মাদকাসক্ত দেশে, গাঁজা সেবনকারী সবচেয়ে বেশি
নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৫১ হাজার ৬১৫ বাংলাদেশি, মৃত ৩৮