রংপুরে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত

২৯ মে ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২২ এএম


রংপুরে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত

রংপুরে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন।

সোমবার (২৯ মে) সকালে জিলা স্কুল মাঠ থেকে সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘পিস কিপার রান’ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ক্যান্টপাবলিক স্কুল অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা, র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম প্রমুখ। পরে ক্যান্টপাবলিক স্কুল অডিটরিয়াম মিলনায়তনে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির স্ব-পক্ষে অবদানের জন্য তাকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ দেওয়া হয়। এ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর হওয়ায় এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে জাতিসংঘের অধীনে ১৪টি দেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর ৭ হাজার ৪৩৬ জন সদস্য শান্তি রক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৫৭২ জন নারী সদস্যও রয়েছেন। শান্তিরক্ষার এ সুমহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর ১৪৪ জন ও পুলিশ বাহিনীর ২৩ জন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৪৭ জন ও পুলিশ বাহিনীর ১২ জন সদস্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

এসজি


বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম


বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য
ছবি সংগৃহিত

বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী প্রবেশ সীমিত করতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পেতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের সীমা বৃদ্ধি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্ত।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী প্রবেশ ব্যাপক হারে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে দেশটিতে নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ছিল রেকর্ড ৭ লাখ ৪৫ হাজার। এটি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে।

চাপের মুখে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, অভিবাসী অনেক বেশি। এটিকে নামিয়ে আনার জন্য আজ আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। অভিবাসন যেন যুক্তরাজ্যের জন্য সবসময় উপকারী হয়, তা নিশ্চিত করবে এই পদক্ষেপগুলো।

ব্রিটিশ সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, কেবল স্নাতকোত্তর গবেষণা ডিগ্রিতে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীরাই পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিতে পারবেন। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

এছাড়া, দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বিদেশিদের বেতন ন্যূনতম বেতনের সীমাও বাড়াতে চলেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ভিসা পেতে হলে ন্যূনতম ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড আয় করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। বর্তমানে এই আয়ের সীমা হচ্ছে ২৬ হাজার পাউন্ড (৩৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা প্রায়)।

এসব সিদ্ধান্ত আগামী বছরের শুরুর দিকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ক্লেভারলি।

কী কী রয়েছে যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনায়:

১. বিদেশি সেবা কর্মীদের পরিবারের সদস্য নিয়ে আসা বন্ধ করা এবং ভিসা স্পন্সর করার জন্য ইংল্যান্ডের কেয়ার ফার্মগুলোকে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হওয়া। নতুন নিয়মের কারণে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ এই পদ্ধতিতে আগমন ২০ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২. দক্ষ কর্মী ভিসায় যাওয়া ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক আয় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড করা।

৩. ঘাটতি থাকা পেশাগুলোর জন্য ২০ শতাংশ বেতন ছাড়ের অবসান ঘটানো এবং ঘাটতি পেশার তালিকা সংস্কার করে বিদেশ থেকে কম খরচে কর্মী গ্রহণ বাতিল করা।

৪. পারিবারিক ভিসার জন্য দক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম আয়ের (৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড) দ্বিগুণ আয় থাকা।

৫. শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম কঠোর করা। এর জন্য স্নাতক রুট পর্যালোচনা করবে একটি উপদেষ্টা কমিটি।

 


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫২ পিএম


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর
মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটলেও তা ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলমগীর।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের চাপ একেবারেই নেই। তারা এসে আমাদের কাছে যেটা জানতে চান সেটা হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কী কী কাজ করেছি। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।

প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অতীতেও জেলা প্রশাসন পর্যায়ে কখনো কখনো পরিবর্তন করা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর মধ্যে একটা দাবি ছিল প্রশাসনের রদবদল করতে হবে। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?
ছবি সংগৃহিত

পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকে প্যান্ট, পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরে থাকেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৭৮৭) জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে।

টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা টাখনুর নিচে কাপড় পরলে ধর্মের কী অসুবিধা? তার সরল উত্তর হলো, অসুবিধা ধর্মের নয়, অসুবিধা আমাদের নিজেদের। কারণ দুনিয়াতেও টাখনুর নিচে কাপড় পরার অপকারিতা কম নয়। পুরুষের পায়ের টাখনুতে থাকে টেস্টোস্টেরন নামক যৌন হরমোন, যা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রয়োজন। টাখনুকে ঢেকে রাখলে টেস্টোস্টেরন হরমোন শুকিয়ে যায়। যার প্রভাবে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রাণু কমে যায়। ফলে সহজে বাচ্চা হয় না। এ সমস্যাটি আমাদের সমাজে মহামারি আকার ধারণ করছে। তা ছাড়া টেস্টোস্টেরনের অভাব মস্তিষ্ক ‘ঘোলাটে’ করে দেয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।

অনেকে ইসলামের বিধান মেনে টাখনুর নিচে কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকেন। তবে শীতের সময় ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরতে চান। এবিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- শীতের কারণেও টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে না। কারণ এর সমাধান জায়েজ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। সেটি হল, মোটা মোজা বা চামড়ার মোজা পরিধান করা। যেহেতু ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার বিকল্প ব্যবস্থা আছে, সেখানে নিষিদ্ধ কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই।

তবে যদি কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, আর ঠান্ডার কারণে পা জমে যাওয়া বা মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তাহলে টাখনুর নিচে জামা পরিধান জায়েজ হবে ইসলামি শরীয়তের এই মূলনীতির ভিত্তিতে, যেখানে বলা হয়েছ, তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তু হালাল করে দেয়। তবে যখনি তীব্র প্রয়োজন দূর হয়ে যাবে, সঙ্গেসঙ্গে আবার তা হারাম হয়ে যাবে এবং আবারও কাপড় টাখনুর ওপর উঠাতে হবে। (শরহু কাওয়ায়িদিল ফিক্বহিয়্যাহ লিজযারক্বা, কায়দা নং-২০)

 

অনুসরণ করুন