সোমবার, ৫ মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যস্ফীতি

মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যস্ফীতি

সারাদিন অফিস শেষে মনজুরুল নিজের রুমে পত্রিকা পড়ছে । ছোট ভাই জহির নিজের রুম থেকে এসে বড় ভাইয়ের রুমে ঢুকল।

নীরবতা ভেঙে জহির প্রশ্ন করল, ভাইয়া! এক কথায় মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বুঝায়?
মনজুরুল: একটি দেশের অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বা পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে মুদ্রাস্ফীতি বলে।

জহির: আর মূল্যস্ফীতি?
মনজুরুল: একটি নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য বা সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়াকে মূল্যস্ফীতি বলে।

জহির: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে মূল্যস্ফীতির সম্পর্ক কী?
মনজুরুল: মুদ্রাস্ফীতির কারণেই মূল্যস্ফীতি হয়ে থাকে।

জহির: একটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলো?
মনজুরুল: মনে কর, দেশের অর্থনীতিতে মোট ২০০ টাকা আছে। একইভাবে মনে কর, বাজারে মোট ১০ কেজি চাল মজুত আছে (অন্য কোনো কিছু বিবেচনায় নেব না, অর্থনীতির সকল টাকা চাল কেনার জন্যই বরাদ্দ)। এখন যদি কেউ এক কেজি চাল কিনতে চায়, তাহলে ১ কেজি চালের দাম হবে কত?
জহির: প্রতি কেজি ২০ টাকা।

মনজুরুল: খুবই ভালো। এবার মনে কর, অর্থনীতিতে মুদ্রার পরিমাণ বেড়ে ৪০০ টাকা হয়ে গেল কিন্তু বাজারে চালের মজুত আছে সেই আগের ১০ কেজি। এখন যদি কেউ এক কেজি চাল কিনতে চায়, তাহলে তাকে কত খরচ করতে হবে।
জহির: খুবই সহজ, ৪০ টাকা লাগবে।

মনজুরুল: তুই তো অংকে খুবই পাকা।
জহির: ইয়ার্কি কর না।

মনজুরুল: বিষয়টা হচ্ছে, অর্থনীতিতে যখন মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায় কিন্তু পণ্য বা সেবার পরিমাণ আগের মতো একই থাকে, তখন পণ্য বা সেবা বেশি মূল্য দিয়ে কিনতে হয়। আর এই পণ্য বা সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়াকে বলে মূল্যস্ফীতি।

জহির: তাহলে, শুরুতেই যেমনটা বলেছিলে, মুদ্রাস্ফীতির ফলেই মূল্যস্ফীতি হয়।
মনজুরুল: হুম, বুঝতে পেরেছিস।

জহির: আচ্ছা, মূল্যস্ফীতি কি ভালো না খারাপ?
মনজুরুল: এখন এই ব্যাখ্যায় যেতে পারব না। এখন ঘুমাব। আরেকদিন বুঝিয়ে বলব। তবে মনে রাখিস, কাম্যমাত্রার মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির জন্য ভালো।

জহির: আচ্ছা, আর প্রশ্ন করব না। আমিও আমার রুমে চলে যাচ্ছি।

লেখক: রিয়াজুল হক, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

Header Ad
Header Ad

টানা ১০ দিনের কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত

১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে টানা কর্মবিরতিতে গেছেন সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।

আজ সোমবার থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচি চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। প্রথম দফায় তারা প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন।

এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সরকারের কাছে দাবি-দাওয়া জানিয়েছিলেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতারা। সেখানে তারা ৪ মে’র মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ৫ মে থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

বেঁধে দেওয়া সময়ে দাবি মেনে না নেওয়ায় সোমবার থেকে সহকারী শিক্ষকরা এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ।

Header Ad
Header Ad

যে উপায়ে এসি চালালে কম আসবে বিদ্যুৎ বিল

ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকালে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এসি । অনেকে নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। তবে জানেন কি, কোন এসি আপনার ঘরের জন্য উপযুক্ত। কোন এসি আপনার মাসের বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেবে না।

এসি কেনার পরে কেউ যদি ইলেকট্রিক বিল কমানোর সমাধান খোঁজেন, তাহলে ইনভার্টার এসি কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এছাড়া এসি ব্যবহারের কৌশলেই আপনি বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন।

ইনভার্টার এসি এবং নন-ইনভার্টার এসি মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তফাত রয়েছে। আসলে ইনভার্টার এসির কম্প্রেসর মোটর তার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে একবার ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে ইনভার্টার প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার ঘরের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা বজায় রাখতে মোটরের গতিও কমিয়ে দেয়।

এয়ার কন্ডিশনারে অনেকগুলো মোড রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সব ধরনের এসি-তে আপনি ড্রাই মোড, হিট মোড, স্লিপ মোড, কুল মোড এবং অটো মোড পাবেন। এই সব মোড বিভিন্ন অবস্থা এবং আবহাওয়ার তারতম্য অনুযায়ী সেট করা হয়।

এই মোডগুলো যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে এসির আয়ু বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধিও অনায়াসে রোধ করা যায়। আপনিও যদি এসির বিল নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই আপনার এসি ‘অটো মোডে’ রাখা শুরু করে দিন।

এয়ার কন্ডিশনারটি অটো মোডে সেট করার সঙ্গে সঙ্গে এসির ড্রাই মোড, কুল মোড এবং হিট মোডও চালু হয়ে যায়। এসির অটো মোড তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসির গতি এবং শীতলতা নিয়ন্ত্রণ করে।

এসির অটো মোড নির্ধারণ করে কখন এসির ফ্যান চলবে, কখন কম্প্রেসার চালু হবে এবং কখন বন্ধ থাকবে। এই মোডটি ক্রমাগত ঘরের তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করে এবং সেই অনুযায়ী এসিটির কার্যকারিতা ঘরের সঙ্গে ব্যালান্সড করে রাখে।

এসির ডায়েট মোডে ৮১ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারেন গ্রাহক। ঘর ঠান্ডাও হয় ভালো। সোজা কথায়, বিদ্যুৎ বিল কমবে আবার ঘর ঠান্ডাও হবে।

 

Header Ad
Header Ad

রাতের আঁধারে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৪ মে) রাতে গোলাগুলির ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এনিয়ে টানা ১১ রাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। সোমবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও গতকাল রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর থেকে টানা ১১ রাত ধরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর একতরফা গুলিবর্ষণ করছে। সর্বশেষ ৪ ও ৫ মে-র মধ্যবর্তী রাতে কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দরবনি ও আখনুর সেক্টরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী “পাল্টা জবাব” দিয়েছে।

এছাড়া চলমান এই সংঘর্ষের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের একেকজন সেনাকে আটক করেছে। ভারতের বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাহু গত ২৩ এপ্রিল সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করলে তাকে পাকিস্তান রেঞ্জার্স আটক করে। এর পাল্টা হিসেবে ৩ মে রাজস্থানে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করে বিএসএফ।

এই গোলাগুলি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন এপ্রিলের ২২ তারিখ পেহেলগামে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানাপড়েন চরমে পৌঁছেছে। দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিচ্ছে।

মূলত পেহেলগাম হামলার পরদিনই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির ঘোষণা। ভারতের দাবি, হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে।

জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে। এমনকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

এছাড়া পাকিস্তান ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এবং হুঁশিয়ারি দেয়, পানি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেটি “যুদ্ধ ঘোষণার” শামিল হবে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান গত শনিবার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান “সিন্ধু মহড়ার” অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টানা ১০ দিনের কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
যে উপায়ে এসি চালালে কম আসবে বিদ্যুৎ বিল
রাতের আঁধারে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বনলতা ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
৪-৫টি মোটরসাইকেলে এসে হাসনাতের গাড়িতে হামলা: পুলিশ
কুরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
রেমিট্যান্সে রেকর্ড ধারাবাহিকতায় এপ্রিলেও এলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়
হুথিদের হামলায় আশঙ্কায় এবার ইসরায়েলগামী ভারতের সব ফ্লাইট বন্ধ
আনসার-ভিডিপির মানবিক উদ্যোগে দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিলেন সদস্যরা
ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ, মাকে 'নাকে খত' দেওয়ালেন বিএনপি নেতা
সংযুক্ত আরব আমিরাত আবারও বাংলাদেশিদের দিচ্ছে ভিজিট ভিসা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা: উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
সিরাজগঞ্জে রহস্যময় ‘আয়না ঘর’: বন্দী নারী ও বৃদ্ধ উদ্ধার, মূল রহস্য এখনো অজানা
গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা
এনা ও স্টারলাইন পরিবহনের ১৯০টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ
টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক লিটন দাস
যশোরে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক
জম্মু-কাশ্মিরে ভারতীয় তিন সৈন্য নিহত
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন
নওগাঁ আ'লীগের অফিসে চুরি করতে গিয়ে ৭ তলা থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু