মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইসির সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগের স্বাগত, বিএনপির না

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে সেটা নিয়ে এখনো দেশের প্রধান দুটো রাজনৈতিক দল বিপরীতমুখী অবস্থানে অনড়। ক্ষমতাসীন সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের অধীনেই। আর বিএনপি নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না; নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন।

এ নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা যখন একে অপরের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন ঠিক তখন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ঘোষণা করেছে আগামী নির্বাচনে ইভিএমএ নয়, ভোট হবে ব্যালটে।

ইসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ এপ্রিল) ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ লক্ষ্যে ইভিএম মেরামতের জন্য সরকারের কাছে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়েছিল ইসি। ওই টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় ৩০০ আসনেই স্বচ্ছ ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভোট ইভিএমে হলো না কি ব্যালটে হলো সেটি নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। ইভিএম বা ব্যালট কোনো বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভোটচুরির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। সুতরাং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচনে জনগণ বা বিএনপি যাবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে যে, ইভিএমে নয়, ব্যালটেই নির্বাচন হবে। এটাতে আমাদের এতটুকু আগ্রহ নেই। কারণ, আমার কাছে যেটা মনে হয়...আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে, আজকে জাতির যে সংকট সেই সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন সরকার থাকবে, কী ধরনের সরকার থাকবে-সেটিই প্রধান সংকট। এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগনের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের একজন সদস্য বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট নেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিল। ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচন কমিশনের সংলাপেও বেশিরভাগ দল ইভিএমের বিপক্ষে ছিল। এখন ইভিএমে ভোট না করার ইসির সিদ্ধান্তে তারাও আশ্বস্ত হবে, ইসির উপর আস্থা রাখতে পারবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। তারা স্বাধীনভাবে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে হিসেবে নির্বাচন কমিশন ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই।

জাতীয় পার্টি (এরশাদ) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম ব্যালটে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন তা মেনে নিয়েছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে এটাই সমস্যার সমাধান নয়। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, না কারচুপি হবে তা সরকার ঠিক করে। কে জিতবে, কে হারবে তাও সরকার নির্ধারণ করছে, এটাই সমস্যা।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আগামীতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাব না। আমাদের ১০ দফা দাবির মূল দাবি হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন। শেখ হাসিনা সরকার যদি বলে কালকে থেকে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে আমি পদত্যাগ করব তাহলে আমরা কালকে থেকেই কিছু বলব না।

তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা যুদ্ধ করেছি শোষণ ও বঞ্চনা মুক্তির জন্য। আমরা যুদ্ধ করেছি আইনের সুশাসনের জন্য। আর সেই দেশেই গণতন্ত্র থাকবে না, তাহলে আমরা কী আঙুল চুষব?’

এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইভিএম কিংবা ব্যালেট সবচেয়ে বড় সমস্যা নির্বাচন কমিশন নিয়েই। কারণ, নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের আস্থা নেই। কোনো দলীয় সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, কেননা আমরা দেখেছি অতীতের যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়েছে। তবে নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে, নাকি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হবে তা নির্ধারণ করবে রাজনৈতিক দলগুলো। আমরা শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করছি। তা ছাড়া সংবিধান সংস্কার করে ইসির অধীনে থাকা সংস্থাগুলো শক্তিশালী করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গুরুত্ব পেয়েছিল ইভিএম ইস্যুও। সংলাপ শেষে অনধিক ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এ জন্য সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ইভিএম কেনার প্রকল্প নেয় ইসি। কিন্তু তাতে সরকারের সায় না পাওয়ায় প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়।

ইসি সূত্র জানায়, বিদায়ী হুদা কমিশন দেড় লাখ ইভিএম রেখে গিয়েছিল। সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় প্রায় ৪০ হাজার ইভিএম ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাকি এক লাখ ১০ হাজার ইভিএমও মেরামত করতে হবে। এজন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি

প্রতীকী ছবি। ফাইল ছবি

দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। অসহনীয় গরমে ঘরের বাইরে টেকা দায়। সূর্যের প্রখরতায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে আবারও দুঃসংবাদই দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আগামীকাল মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

৩০ এপ্রিল যেমন থাকবে আবহাওয়া:

আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ৬টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবি ও সোমবার পত্নীতলা ও বদলগাছী উপজেলায় ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৬টি ভাটার স্বত্বাধিকারীর কাছ থেকে জরিমানা অর্থ আদায় করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া।

তিনি বলেন, ৬টি ইটভাটার জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৭ টি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত মার্চ মাসে সদর ও মান্দা উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৬টি ইটভাটায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আত্রাই ও মহাদেবপুর উপজেলার দুটি ইটভাটার এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদফতরর কার্যালয়ের পরিদর্শক উত্তম কুমার। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে- পত্নীতলা ও বদলগাছী উপজেলা বেশ কিছু ইটভাটা গড়ে তোলে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতরের নজরে আসে। সেই সূত্র ধরে অভিযানে নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদস্যরা। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র না থাকা, খড়ি পোড়ানো ও সঠিক পদ্ধতিতে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা না করায় পত্নীতলা উপজেলার ছালিগ্রাম এলাকার মেসার্স এমএবি ব্রিকস এরে ৫০ হাজার টাকা, কাশিপুর এলাকার বিএসপি ব্রিকস এর ৫০ হাজার, বালুঘা এলাকার এসবিবি এফ ব্রিকস এর ১ লাখ ও চকদুর্গারায়াম এলাকার ফাতেমা ব্রিকস এর ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং বদলগাছী উপজেলার বুড়িগঞ্জ বাজার এলাকার আদিল ব্রিকস এর ৩ লাখ টাকা এবং এমবিএফ ব্রিকস এর ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, অবৈধ যে-সকল ইটভাটা রয়েছে সেগুলো পরিবেশ সুরক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দেশে যে-সকল অবৈধ ইটভাটা আছে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত দুইদিন থেকে নওগাঁর পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৬টি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরিবেশ সুরক্ষায় এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মাঝে ঘটনাস্থলে দুইজন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরো তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ জন। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার খোদাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মৃত মফিজুর রহমান ছেলে আবু আহমেদ, একই এলাকার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন, গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া, এবং একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল থেকে বাঁশখালী উপজেলার ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে কক্সবাজার থেকে বাঁশখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে মারা যান ৫ জন এবং বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।

চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মো. মোজাম্মেল হক জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর খোদাইবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজন নারী-পুরুষকে দুপুর ১টার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার আগে মারা যান আরো একজন৷

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে। ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী