মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের মেয়েদের আফসোসের হার

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

এত কাছে, তবু কত দূরে। উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের জন্য নিগার সুলতানাদের প্রয়োজন মাত্র ১৪১ রান। এবারের মেয়েদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগের তিন ম্যাচের দিকে দৃষ্টি ফেরালে এই রান অতিক্রম করা অসম্ভব কিছু নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০৭ রানের জবাব দিতে নেমে ১৭৫ রান, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৭ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ী হওয়া ম্যাচে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান। কিন্তু এবার উইন্ডিজকে হাতের মুঠোয় পেয়েও বোতল বন্দি করতে পারলো না বাংলার মেয়েরা। বের হয়ে গেছে ম্যাচ। পাওয়া হয়নি মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয়। ৩ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে নিশ্চিত জয়ী হওয়া ম্যাচ হাতছাড়া হয়। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও এভাবে জয়ী হওয়া ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের ব্যাটিংটাই ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু সেই তারাই এবার হতাশ করলেন। আগের তিন ম্যাচের সফল উদ্বোধনী জুটি এবার শুরুতেই ব্যর্থ হলেও শারমিন (১৭), ফারজানা (২৩) নিগারের (২৫) ব্যাটে ছিল লক্ষ্য পূরণের পথে। কিন্তু মিডল অর্ডারের একটা মিনি ধস বাংলাদেশকে কক্ষচ্যুত করে দেয়। ২ উইকেটে ৬০ রান থেকে ৫ উইকেটে ৬০ রান। এরপর ৮৫ রানে নেই ৭ উইকেট। বাংলাদেশের জয় তখন হাতের মুঠো থেকে বের হয়ে দূর আকাশের তারা হয়ে গেছে। কিন্তু নাহিদা আক্তার যেন সেই তারাকে আবার হাতের মুঠোয় ভরতে ছিলেন বদ্ধ পরিকর।

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

আট নম্বারে ব্যাট করতে নেমে সালমা, জাহানার ও ফরিয়া তৃষ্ণাকে নিয়ে তিনি অসাধ্য সাদনের দিকে ছুটেছিলেন। সালমাকে (২৩) নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে ২৫, জাহানারাকে নিয়ে (৮) নবম উইকেট জুটিতে ১২ ও শেষ উইকেট জুটিতে ফারিয়াকে (০) নিয়ে ১৪ রান যোগ করেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। প্রথম ৩ বলে (একটি ছিল ডট বল) তিনি ৩ রান নেন। কিন্তু স্ট্রাইক পেয়ে ফারিয়া আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। স্টিফেনি টেলরের বলে বোল্ড হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিভি পর্দায় ভেসে উঠে বাংলার বাঘিনিদের মাথায় হাত উঠার দৃশ্য। চাখে-মুখে রাজ্যের বিষ্ময় এই ম্যাচও হেরে গেলাম। ম্যাথিউস ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। টেলর ও ফ্লেচার ২৯ রান করে দিয়ে নেন ৩টি করে উইকেট।

দুই দলের ইনিংসে একটা মিল ছিল। উইইন্ডিজের ৭০ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাকিরা মিলে যোগ করেছিলেন আরো ৭০ রান। বাংলাদেশের ৭ উইকেট পড়েছিল ৮৫ রানে। বাকিরা মিলে ৫১ রান যোগ করে ম্যাচকে জমিয়ে তুলেছিলেন।

এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস জিতে যে উদ্দেশ্য নিয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন, তার সেই লক্ষ্য পূরণ যথাযথভাবেই করেন তারা। পিচকে উইন্ডিজের ব্যটসম্যানদের জন্য বিচরনভুমি হয়ে উঠতে দেয়নি। মেতে উঠেন রান না দেওয়ার কৃপণতায়। ফলে উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। মাত্র ৪ জন ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করেন। এর মাঝে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৩ রান করেন ক্যাম্পবল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ওপেনার হাইলি ম্যাথিউসের ১৮। ১৭ রান করে করেন আরেক ওপেনার ডেন্দ্রা ডট্টিন ও লোয়ার অর্ডারে ফ্লেচার। গোটা ইনিংসে কোনো ছক্কা হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বাউন্ডারি ছিল মাত্র ১২টি। এর মাঝে ইনিংসের এক পর্যায়ে ১২ ওভার ৩ বল থেকে ৩৩ ওভার অর্থ্যাৎ ২০ ওভার ৪ বল পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা।

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

উইন্ডিজের শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি। ২৯ রান আসে দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে। ডেন্দ্রা ডটিনকে ১৮ রানে জাহানারা ফিরিয়ে দেয়ার পরই শুরু হয় তাদের উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল। এরপর নাহিদা-সালমার তোপে পড়ার সঙ্গে দুইটি রান আউটে মেরুদন্ড ভেঙে পড়ে উইন্ডিজের। ৭০ রানে হারায় ৭ উইকেট। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখার পাশাপাশি ক্যাম্পবল হাল ধরে দলের ভান্ডারে কিছু রান জমা করার চেষ্টা করেন। সেখানে তিনি সফলও হন। তাকে কেউ আউট করতে পারেনি। ১০৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। অষ্টম ও নবম উইকেট জুটিতে তিনি ফ্লেচারকে নিয়ে ৩২ ও ৩৮ রানের জুটি গড়লে উইন্ডিজ অলআউট না হয়ে দলের সংগ্রহকে ১৪০ পর্যন্ত নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে তাদের জয়ে রাখে বড় ভুমিকা।

অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৭ জন বোলার ব্যবহার করেন। ৪ জনই রান দিয়েছেন ওভার প্রতি তিনের অনেক কম। সবচেয়ে বেশি কৃপণতা দেখান রুমানা ওভার প্রতি ১ দশমিক ৮৩ করে রান দিয়ে। জাহানারা ও ফারিয়া তৃষ্ণা ওভার প্রতি তিনের উপরে রান দেন। শুধুমাত্র রিতু মনি ওভার প্রতি ৫ করে রান দেন মাত্র ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে।

বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার। দুই জনই ২৩ রান করে দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। আগের ম্যাচের সেরা বোলার ফাহিমা খাতুন কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে ১৯ রান দেন।

এমপি/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। মঙ্গলবার (১ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে এই দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন তিনি।

সামি জানান, তিনি নিজের উদ্যোগে নয়, বরং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আহ্বানে উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী পদ। কোনো সম্মানি বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয়, শুধুমাত্র ক্রিকেটের উন্নয়নে সহযোগিতার উদ্দেশ্যেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি বিশেষ গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। সামির ভাষায়, “সেদিনই (দায়িত্ব ঘোষণার দিন) থেকে একটা মহল আমার রেপুটেশন খারাপ করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। কেন, তা আমি জানি না। আমি তো প্রেসিডেন্টের চাওয়াতেই এসেছিলাম।”

 

সামি জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল নিয়ে প্রথম বৈঠকে অংশ নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রস্তাব দেন—যেমন পেসার হান্ট প্রতিযোগিতা, প্যারেন্টাল কোচিং গাইডলাইন, শিশুদের জন্য টেস্ট ক্রিকেটভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি। পরবর্তীতে দেশের চারটি বিভাগে ঘুরে গিয়ে মাঠ পর্যায়ের সমস্যা চিহ্নিত করে তা বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে জমাও দেন।

তবে মাঠপর্যায়ের কাজের পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সামি জানান, তার পেশা হচ্ছে কনটেন্ট তৈরি, আর সেটাই বিসিবি জানত। তবুও একটি গোষ্ঠী তার কাজকে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে প্রচার করতে থাকে। অথচ, তিনি নিজ খরচে ক্যামেরাম্যানসহ কনটেন্ট তৈরি করেছেন এবং এর জন্য বিসিবির কোনো অর্থও গ্রহণ করেননি।

এই বিতর্কে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নিজেই—এমন মন্তব্য করে সামি বলেন, “একটা সফল কার্যক্রমের দিনশেষে প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে হাসি উড়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র আমাকে ঘিরে গড়ে ওঠা একটি কৃত্রিম সংকট তাকে ডিস্ট্র্যাক্ট করছে।”

সামি আক্ষেপ করে লেখেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই, বড় ব্যবসায়ী নই, বড় কোনো ব্যাকআপও নেই। ডার্টি পলিটিক্স আমার কাজ না। আমি শুধু কাজটাই করতে পারি—রিসার্চ, হোমওয়ার্ক, ডে রিপোর্ট, মাঠপর্যায়ে ঘুরে ঘুরে সমস্যা চিহ্নিত করা, সমাধানের চেষ্টা করা।”

তিনি বলেন, তার এই কাজের মনোভাবই গত ১০ বছর যমুনা টেলিভিশনে স্থিতিশীল ক্যারিয়ারের পেছনে মূল কারণ। সব টিভি চ্যানেল তাকে স্পোর্টস প্রোগ্রামে রাখে তার হোমওয়ার্ক ও এফোর্টের কারণে।

 

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

নিজের সরে দাঁড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে সামি দেখান বিসিবি সভাপতির স্বচ্ছ, দেশপ্রেমিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি না করাই। তিনি বলেন, “বুলবুল ভাই দেশের ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের সূচনা করেছেন। আমি থাকলে হয়তো উনার পথ আরো কঠিন হয়ে যাবে। আমি বিতর্কের কারণ হতে চাই না।”

ফেসবুক পোস্টের শেষাংশে সামি লেখেন, “একটা বাস্তবতার শিক্ষা আমার স্ত্রী আমাকে বারবার দিতেন—‘বাংলাদেশে শুধু মেধা বা ট্যালেন্ট দিয়েই সব হয় না।’ আজ আবার মনে হলো, Wife is always right।”

Header Ad
Header Ad

বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই

ছবি: সংগৃহীত

আজ ১ জুলাই। দিনটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান’-এর সূচনাদিবস হিসেবে। এক বছর আগে এই দিনে দেশের শিক্ষাঙ্গনে শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের নতুন ঢেউ, যা পরিণত হয়েছিল ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে রাজপথে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

“কোটা না মেধা, মেধা মেধা” স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। আন্দোলনকারীরা সরকারকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেন, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ৩৬ দিনের এক বিরল গণআন্দোলনে। ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও, ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধেই ১ জুলাই ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সেদিন শিক্ষার্থীরা কলাভবন, শ্যাডো, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও হলগুলো ঘুরে ভিসিচত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হন। সেখানে তারা উত্থাপন করেন চার দফা দাবি: ১) ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বহাল রাখা, ২) মেধাভিত্তিক নিয়োগ অব্যাহত রাখা, ৩) কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল, এবং ৪) কেবল সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যই সুযোগ রাখার প্রস্তাব।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট বার্তা দেন, দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। ২ জুলাই ঢাবি থেকে গণপদযাত্রা এবং ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষাবর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৪ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের উচিত আমাদের দাবির চূড়ান্ত আইনি সমাধান ঘোষণা করা।’ তিনি জানান, একইসাথে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেও গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ওইদিন আন্দোলনে সরব ছিলেন। তারা জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন। তাদের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট—"১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অথচ আজও আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। চাকরিতে কোটা নয়, নিয়োগ হতে হবে মেধার ভিত্তিতে।"

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জাবির প্রধান ফটকে গিয়ে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। ১০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় দিক বন্ধ রেখে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দেন তারা—৪ জুলাইয়ের মধ্যে রায় বাতিল না হলে এই মহাসড়ক পুরোপুরি অবরোধ করে রাজধানী অচল করে দেওয়া হবে।

একইসাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা রায়সাহেব বাজার হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রফিক ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখান থেকে তারা ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে রক্ত দিয়েও কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ঘোষণা করেছে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ নামের দেশব্যাপী কর্মসূচি। আজ সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হবে এ কর্মসূচি। এরপর গাইবান্ধা ও রংপুর সদরে পথসভায় অংশ নেবেন দলটির নেতারা।

অন্যদিকে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবার।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা