রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের মেয়েদের আফসোসের হার

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

এত কাছে, তবু কত দূরে। উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের জন্য নিগার সুলতানাদের প্রয়োজন মাত্র ১৪১ রান। এবারের মেয়েদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগের তিন ম্যাচের দিকে দৃষ্টি ফেরালে এই রান অতিক্রম করা অসম্ভব কিছু নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০৭ রানের জবাব দিতে নেমে ১৭৫ রান, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৭ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ী হওয়া ম্যাচে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান। কিন্তু এবার উইন্ডিজকে হাতের মুঠোয় পেয়েও বোতল বন্দি করতে পারলো না বাংলার মেয়েরা। বের হয়ে গেছে ম্যাচ। পাওয়া হয়নি মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয়। ৩ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে নিশ্চিত জয়ী হওয়া ম্যাচ হাতছাড়া হয়। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও এভাবে জয়ী হওয়া ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের ব্যাটিংটাই ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু সেই তারাই এবার হতাশ করলেন। আগের তিন ম্যাচের সফল উদ্বোধনী জুটি এবার শুরুতেই ব্যর্থ হলেও শারমিন (১৭), ফারজানা (২৩) নিগারের (২৫) ব্যাটে ছিল লক্ষ্য পূরণের পথে। কিন্তু মিডল অর্ডারের একটা মিনি ধস বাংলাদেশকে কক্ষচ্যুত করে দেয়। ২ উইকেটে ৬০ রান থেকে ৫ উইকেটে ৬০ রান। এরপর ৮৫ রানে নেই ৭ উইকেট। বাংলাদেশের জয় তখন হাতের মুঠো থেকে বের হয়ে দূর আকাশের তারা হয়ে গেছে। কিন্তু নাহিদা আক্তার যেন সেই তারাকে আবার হাতের মুঠোয় ভরতে ছিলেন বদ্ধ পরিকর।

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

আট নম্বারে ব্যাট করতে নেমে সালমা, জাহানার ও ফরিয়া তৃষ্ণাকে নিয়ে তিনি অসাধ্য সাদনের দিকে ছুটেছিলেন। সালমাকে (২৩) নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে ২৫, জাহানারাকে নিয়ে (৮) নবম উইকেট জুটিতে ১২ ও শেষ উইকেট জুটিতে ফারিয়াকে (০) নিয়ে ১৪ রান যোগ করেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। প্রথম ৩ বলে (একটি ছিল ডট বল) তিনি ৩ রান নেন। কিন্তু স্ট্রাইক পেয়ে ফারিয়া আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। স্টিফেনি টেলরের বলে বোল্ড হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিভি পর্দায় ভেসে উঠে বাংলার বাঘিনিদের মাথায় হাত উঠার দৃশ্য। চাখে-মুখে রাজ্যের বিষ্ময় এই ম্যাচও হেরে গেলাম। ম্যাথিউস ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। টেলর ও ফ্লেচার ২৯ রান করে দিয়ে নেন ৩টি করে উইকেট।

দুই দলের ইনিংসে একটা মিল ছিল। উইইন্ডিজের ৭০ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাকিরা মিলে যোগ করেছিলেন আরো ৭০ রান। বাংলাদেশের ৭ উইকেট পড়েছিল ৮৫ রানে। বাকিরা মিলে ৫১ রান যোগ করে ম্যাচকে জমিয়ে তুলেছিলেন।

এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস জিতে যে উদ্দেশ্য নিয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন, তার সেই লক্ষ্য পূরণ যথাযথভাবেই করেন তারা। পিচকে উইন্ডিজের ব্যটসম্যানদের জন্য বিচরনভুমি হয়ে উঠতে দেয়নি। মেতে উঠেন রান না দেওয়ার কৃপণতায়। ফলে উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। মাত্র ৪ জন ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করেন। এর মাঝে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৩ রান করেন ক্যাম্পবল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ওপেনার হাইলি ম্যাথিউসের ১৮। ১৭ রান করে করেন আরেক ওপেনার ডেন্দ্রা ডট্টিন ও লোয়ার অর্ডারে ফ্লেচার। গোটা ইনিংসে কোনো ছক্কা হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বাউন্ডারি ছিল মাত্র ১২টি। এর মাঝে ইনিংসের এক পর্যায়ে ১২ ওভার ৩ বল থেকে ৩৩ ওভার অর্থ্যাৎ ২০ ওভার ৪ বল পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা।

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

উইন্ডিজের শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি। ২৯ রান আসে দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে। ডেন্দ্রা ডটিনকে ১৮ রানে জাহানারা ফিরিয়ে দেয়ার পরই শুরু হয় তাদের উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল। এরপর নাহিদা-সালমার তোপে পড়ার সঙ্গে দুইটি রান আউটে মেরুদন্ড ভেঙে পড়ে উইন্ডিজের। ৭০ রানে হারায় ৭ উইকেট। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখার পাশাপাশি ক্যাম্পবল হাল ধরে দলের ভান্ডারে কিছু রান জমা করার চেষ্টা করেন। সেখানে তিনি সফলও হন। তাকে কেউ আউট করতে পারেনি। ১০৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। অষ্টম ও নবম উইকেট জুটিতে তিনি ফ্লেচারকে নিয়ে ৩২ ও ৩৮ রানের জুটি গড়লে উইন্ডিজ অলআউট না হয়ে দলের সংগ্রহকে ১৪০ পর্যন্ত নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে তাদের জয়ে রাখে বড় ভুমিকা।

অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৭ জন বোলার ব্যবহার করেন। ৪ জনই রান দিয়েছেন ওভার প্রতি তিনের অনেক কম। সবচেয়ে বেশি কৃপণতা দেখান রুমানা ওভার প্রতি ১ দশমিক ৮৩ করে রান দিয়ে। জাহানারা ও ফারিয়া তৃষ্ণা ওভার প্রতি তিনের উপরে রান দেন। শুধুমাত্র রিতু মনি ওভার প্রতি ৫ করে রান দেন মাত্র ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে।

বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার। দুই জনই ২৩ রান করে দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। আগের ম্যাচের সেরা বোলার ফাহিমা খাতুন কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে ১৯ রান দেন।

এমপি/এসএ/

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন