সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাজারে আসছে স্যামসাং এর নতুন দুই ফাইভ জি স্মার্টফোন

গেল ১৭ মার্চ স্যামসাং লঞ্চ করেছে গ্যালাক্সি এ সিরিজের দুটো নতুন ফাইভ জি স্মার্টফোন। এ ফিফটি থ্রি ও এ থারটি থ্রি। স্যামসাং জানিয়েছে আসছে এপ্রিলেই আন্তর্জাতিক বাজারে ফোনদুটো কিনতে পাওয়া যাবে।

স্যামসাং দাবি করেছে ফোন দুটো তাদের সম্পূর্ণ নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয় করে তৈরিকৃত যা ব্যবহারকারীকে 'সাধ্যের মধ্যে সব' প্যাকেজের অভিজ্ঞতা দিবে। দুটো ফোনেই স্যামসাং তাদের নতুন চিপসেট ব্যবহার করেছে যার সাথে থাকছে তাদের নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা। পাশাপাশি দুটো ফোনেই থাকছে হাই রিফ্রেশ রেটের সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি।

গেল বছরে স্যামসাং বাজারে ছাড়ে গ্যালাক্সি এ সিরিজের পাঁচটি ফোন যথাক্রমে এ থারটি টু, এ ফিফটি টু, এ থারটি টু ফাইভ জি, এ ফিফটি টু ফাইভ জি ও এ ফিফটি টু এস ফাইভ জি। পাঁচটি ফোনই বাজারে স্যামসাং এর বেশ ব্যবসা সফল স্মার্টফোন ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে এ থারটি টু, এ ফিফটি টু ও এ ফিফটি টু এস ফাইভ জি এই তিনটি ফোনই পাওয়া যাচ্ছে। ২৬ হাজার থেকে ৪৬ হাজার টাকার মধ্যে তিনটি ফোনই দেশের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

স্যামসাং এ থারটি থ্রিএ ফিফটি থ্রি দুটো স্মার্টফোনে একই প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে স্যামসাং জানায়নি তারা কি তাদের নিজস্ব এক্সোনাস চিপসেট ব্যবহার করেছে নাকি মিডিয়াটে বা স্ন্যাপড্রাগন। তবে তারা বলেছে প্রসেসরটি নতুন সংস্করণ। আট কোরের এই প্রসেসরটি ২.৪ গিগাহার্জ পর্যন্ত স্পিড আপ করতে সক্ষম। সহায়ক হিসাবে থাকছে ৬ ও ৮ জিবি র‍্যাম। গ্রাফিক্স কার্ডের কথাও উল্লেখ করেনি স্যামসাং কিন্তু হাই রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে ব্যবহার করায় ধারনা করা যাচ্ছে মালি বা অ্যাড্রিনো যে গ্রাফিক্স কার্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন ভালো পারফরম্যান্সের জিপিউ-ই ব্যবহার করা হয়েছে। আরও থাকছে ১২৮ ও ২৫৬ গিগাবাইট স্টোরেজের সুবিধা। দুটো ফোনই চলবে অ্যান্ড্রোয়েড টুয়েলভ অপারেটিং সিস্টেমে আর ইউজার ইন্টারফেস বা ইউআই থাকছে স্যামসাংয়ের নিজস্ব ওয়ান ইউআই ৪.১। ফোন দুটো পাওয়া যাবে ৬/১২৮; ৮/১২৮ ও ৮/২৫৬ তিনটি ভ্যারিয়েন্টে। দুটো ফোনেই আলাদা ১ টেরাবাইট পর্যন্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা থাকছে।

এ থারটি থ্রি-তে ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৪ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ইনফিনিটি ইউ মনিটর যা ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটে অপারেট করা যাবে। ডিসপ্লের রেজুলেশন ১০৮০বাই২৪০০ (ফুল এইচডি)। ডিসপ্লের সুরক্ষায় স্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ফাইভ।

এ ফিফটি থ্রি স্মার্টফোনটিতে ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ইনফিনিটি ও মনিটর যা ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটে অপারেট করা যাবে। এই ডিসপ্লের রেজুলেশনও ১০৮০বাই২৪০০ (ফুল এইচডি) এবং এতেও ডিসপ্লের সুরক্ষায় থাকছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ফাইভ।

এ থারটি থ্রি-তে পিছনের ক্যামেরা প্যানেলে ৩টি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচারের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড। সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ২.২ অ্যাপারচারের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ১২৩ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড। তৃতীয় ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ২.৪ অ্যাপারচারের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ম্যাক্রো এবং সাথে থাকছে ২.৪ অ্যাপারচারের ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর। আর বরাবরের মতো অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন তো থাকছেই। ভিডিও ধারণ করা যাবে ফোর-কে ফরম্যাটে। সেলফি ক্যামেরা হিসাবে থাকছে ২.২ অ্যাপারচারের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।

এদিকে এ ফিফটি থ্রি-তে পিছনের ক্যামেরা প্যানেলেও ৩টি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচারের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড। সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ২.২ অ্যাপারচারের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ১২৩ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড। তৃতীয় ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ২.৪ অ্যাপারচারের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ম্যাক্রো এবং সাথে থাকছে ২.৪ অ্যাপারচারের ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর। এতেও অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন থাকছে। ভিডিও ধারণ করা যাবে ফোর-কে ফরম্যাটে। সেলফি ক্যামেরা হিসাবে থাকছে ২.২ অ্যাপারচারের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড।

দুটো ফোনেই সাউন্ড সিস্টেম হিসাবে থাকছে স্টেরিও স্পিকার। তবে এ থারটি থ্রি-তে ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক থাকলেও এ ফিফটি থ্রি-তে থাকছেনা। দুটো ফোনেরই ফ্রেম ও ব্যাকশেল পাস্টিকের। এ থারটি থ্রি এর ওজন ১৮৬ গ্রাম এবং এ ফিফটি থ্রি এর ওজন ১৮৯ গ্রাম।

দুটো ফোনই সচল রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলি ব্যাটারি যা ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড। দুটো ফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাশের পাওয়ার বাটনে ইনভার্ট করা। চারটি কালারে ফোন দুটো পাওয়া যাবে সাদা, কালো, পীচ ও আকাশী।

এ থারটি থ্রি-এর মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৪০০ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। আর এ ফিফটি থ্রি-এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৯ হাজার টাকা।

স্যামসাং জানিয়েছে আগামী ১ এপ্রিল থেকে এ ফিফটি থ্রি এবং ২২ এপ্রিল থেকে এ থারটি থ্রি আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যাবে। তবে এই ফোনটি বাংলাদেশে কবে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।

/এএস

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ

সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এখন আর শুধু একজন বাংলাদেশি নাগরিক নন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস সিটিজেনশিপ সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক নাগরিকত্ব শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং পরে নাগরিকত্ব সনদপত্র গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেছেন।

জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২২ জন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ছিলেন। এদের একজন ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি শপথ নেওয়ার সময় একজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানে ‘বি’ অক্ষরে বাংলাদেশের নাম ডাকার পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে জয় শপথ নেন।

তবে এর আগে, ২৪ এপ্রিল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সঙ্গে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।”

তাঁর ওই পোস্ট এবং সাম্প্রতিক নাগরিকত্ব গ্রহণের মধ্যে বৈপরীত্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে।

Header Ad
Header Ad

জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত না দিলে, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়—এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধবিরতির পর শনিবার (২২ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ২২ মিনিটের ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ভাষণে মোদি স্পষ্টভাবে বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস না হলে সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুতেও কোনো আলোচনা হবে না। তিনি ‘সন্ত্রাসবাদে’ সমর্থন দেওয়ার জন্য পাক সেনাবাহিনী এবং সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সতর্ক করেন—এ ধারা একদিন পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

মোদি বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না, রক্ত ও পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কখনো পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা কথা বলি, তাহলে সেটা হবে শুধু সন্ত্রাস ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর বিষয়েই।”

এদিকে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সঙ্গে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে—পহেলগামের হামলার পর ভারতের স্থগিত করা সিন্ধু পানি চুক্তি পুনরায় সক্রিয় করার দাবি। তবে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, ৬৫ বছর পুরনো ওই পানিবণ্টন চুক্তিতে ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কোনো শর্তে সম্মত হয়নি ভারত।

ভারত বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিদের অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় বা অর্থায়ন করে না।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে তার মাটিতে “অপারেশন সিন্দুর” চালায় ভারত। পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও, ফলে দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ভারত ও পাকিস্তান শিগগিরই আলোচনায় বসতে পারে। সোমবার দুই দেশের সামরিক মহাপরিচালকদের মধ্যে টেলিফোনে কথাও হয়।

Header Ad
Header Ad

রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে কথা বলেন ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’র অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ক প্রথমবারের মতো ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২২ জুন। “গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার” শীর্ষক এ কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি শিক্ষক ও গবেষকদের কাছ থেকে গবেষণা প্রবন্ধ আহ্বান করা হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কনফারেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হবে এই কনফারেন্স। যৌথভাবে আয়োজন করছে ‘শ্যাডো রিফর্ম কমিশনস’ এবং ‘পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন’।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে ১১টি ছায়া সংস্কার কমিশন। দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে যুক্ত থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশমালা তৈরি করেছেন। কনফারেন্সে এসব কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবেন, তাদের জন্য এই রিপোর্টগুলো হতে পারে একটি দিকনির্দেশনা। আমাদের প্রতিবেদনগুলো বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে রিভিউ করা হয়েছে এবং জনমত নেওয়া হয়েছে। এখন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।”

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন বলেন, “এই আয়োজন বিভাগকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।” অন্যদিকে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ছায়া সংস্কার কমিশনের এই উদ্যোগ অ্যাকাডেমিক প্রচেষ্টা, যেখানে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব নেই।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবা-উল-আযম সওদাগর বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্পৃক্ততা জরুরি। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়েই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

কনফারেন্স বাস্তবায়নের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কনফারেন্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছেন– অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. স ম আলী রেজা, অধ্যাপক এ কে এম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, মেজবা-উল-আযম সওদাগর, সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ, সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ান হোসাইন এবং সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া আফরিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ
জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: নির্বাচন কমিশন
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি
৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি চৌধুরী
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর রিশাদকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পলাতক
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতই করেছে, পাকিস্তান করেনি’
টাঙ্গাইলে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ দলের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইট
চুয়াডাঙ্গায় কমেছে তাপমাত্রা, স্বস্তিতে জনজীবন
বুর্জ খলিফায় বেনজীরে স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি
ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: আসিফ মাহমুদ
আ.লীগ নিষিদ্ধের উল্লাসে শাহবাগে নেতাদের নাম দিয়ে গরু-ছাগল জবাই
সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মোদির জরুরি বৈঠক, উপস্থিত শীর্ষ কর্মকর্তারা