শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

৪ দিন বন্ধ থাকবে বিটিআরসির আইএমইআই যাচাই সেবা

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আইএমইআই যাচাই (মোবাইলফোন হ্যান্ডসেটের বৈধতা) সংক্রান্ত সেবা ৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এনএআইডি সিস্টেম স্থানান্তরের জন্য শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, আইএমইআই ডাটাবেজ অ্যান্ড এনওসি অটোমেশন সিস্টেমের (এনএআইডি) কার্যক্রম বিটিআরসির নবনির্মিত ভবনে স্থানান্তর করা হবে। ফলে ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাইকরণ সংক্রান্ত সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের একটি এনএআইডি সিস্টেম রয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মোবাইল সেটের গ্রাহকরা নিজ ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD লিখে একটি Space দিয়ে ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে মোবাইলফোন হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২

ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২৬২ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন পুরুষ। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২১৪ জনই ঢাকার বাইরের।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪১ জন, যাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী।

এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৮৪ জন, যার মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৮৩ জন পুরুষ ও তিন হাজার ৯০১ জন নারী।

Header Ad
Header Ad

কূটনৈতিক অস্ত্র পানি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান, শঙ্কায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান

ছবি: এআই

১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক গঙ্গা পানি চুক্তি শেষের পথে। ৩০ বছর মেয়াদি এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরেই। আর তার আগেই চুক্তির শর্ত পুনর্বিবেচনার বার্তা দিয়ে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান চরম উদ্বেগ তৈরি করেছে বাংলাদেশে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু দুই দেশের সম্পর্কের জন্য নয়— গোটা উপমহাদেশের পানি নিরাপত্তা ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

নয়াদিল্লি স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিয়েছে— পুরনো চুক্তির পরিবর্তে একটি ‘স্বল্পমেয়াদি ও নমনীয়’ পানি বণ্টন কাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে। ভারতের দৃষ্টিতে উত্তর ভারতের কৃষিকাজে পানির চাহিদা বাড়ছে, হুগলি নদীর নাব্যতা বজায় রাখা জরুরি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পানি ব্যবস্থাপনায় কৌশলগত পরিবর্তন দরকার। ভারতের কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্যমতে, গত এক দশকে উত্তর ভারতীয় রাজ্যগুলোতে সেচের পানির চাহিদা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের পথে ভারত যেভাবে এগিয়েছে, তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে— পানি এখন ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।

বাংলাদেশের জলের ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে গঙ্গা তথা পদ্মা নদীর উপর। আর এই নদীর মূল প্রবাহ আসে ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে। ফলে ভারতের সিদ্ধান্ত একতরফা হলে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে—খাল-বিল শুকিয়ে যাবে, নদীর মোহনায় লবণাক্ততা বাড়বে, মিঠা পানির মাছ ও কৃষি উৎপাদন হুমকিতে পড়বে।

২০২১ সালে ইউনেস্কো প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে জলজ জীববৈচিত্র্য, মাছ ধরা এবং ফসল উৎপাদনে উল্লেখযোগ্যভাবে পতন ঘটেছে।

পরিবেশবিদ ও পানিবিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভারত চুক্তির শর্ত তার অনুকূলে নিতে চাইছে।

বিশ্বব্যাংকের ২০২৪ সালের তথ্য অনুসারে, ভারতের জলসংরক্ষণ সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ১৪০ মিলিয়ন হেক্টর এলাকায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত যদি গঙ্গার অধিকাংশ পানি নিজেদের কৃষি ও শিল্পে ব্যয় করে, তাহলে বাংলাদেশকেও পাকিস্তানের মতো ভয়াবহ পানিসঙ্কট, কৃষিক্ষেত্রে ধস ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে এখনই আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘ বা বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী আলোচনায় যেতে হবে।

এছাড়াও, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা, সেচ আধুনিকীকরণ, পানির সংরক্ষণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের দিকেও অগ্রসর হওয়া জরুরি।

গঙ্গা নদী শুধু দুই দেশের সীমারেখায় আবদ্ধ কোনো সম্পদ নয়— এটি উপমহাদেশের কোটি মানুষের টিকে থাকার অবলম্বন। তাই এটিকে কূটনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করে, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের ভিত্তিতে টেকসই সমাধানের পথে হাঁটা সময়ের দাবি। কারণ, পানি যখন অস্ত্র হয়— তখন শুধু ফসল নয়, বন্ধুত্বও শুকিয়ে যায়।

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে তোলপাড়

পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলায় এক নারী শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে সহবাসে বাধ্য করা, গর্ভপাত ঘটানো এবং প্রতারণার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা শুধু স্থানীয় পর্যায়ে নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান, ২০১৩ সালে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে নবগ্রাম থানার চাণক্য এলাকার একটি আশ্রম পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং একই আশ্রমে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, আশ্রমে থাকার সুবাদে একপর্যায়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। প্রথমে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেও, পরবর্তীতে নানা চাপ ও পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়।

নারী শিক্ষিকার দাবি, একাধিকবার তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং একপর্যায়ে গর্ভবতী হলে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়। দীর্ঘদিন এসব ঘটনা সহ্য করার পর অবশেষে আইনের আশ্রয় নেন তিনি।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বৃহস্পতিবার রাতে নবগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগকারিণীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে এবং ঘটনার অন্যান্য দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কে কী বলেছে, আমি কিছুই জানি না। আমার আইনজীবী বিষয়টি দেখবেন।” তিনি জানান, অভিযোগ নিয়ে তিনি মোটেই বিচলিত নন।

এই ঘটনায় নবগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় জনমত স্পষ্টভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মহারাজের অনেক অনুসারী অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করছেন। অপরদিকে, অনেকে ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে উল্লেখ করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন।

কার্তিক মহারাজ ২০২২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী সম্মাননা পান। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই ঘটনার পর তাঁর ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত চলছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২
কূটনৈতিক অস্ত্র পানি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান, শঙ্কায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান
পশ্চিমবঙ্গে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে তোলপাড়
দুধ আমদানি করা লজ্জার বিষয়: উপদেষ্টা ফরিদা
পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ সেনা নিহত
ছায়ানটের সভাপতি হলেন ডা. সারওয়ার আলী, কার্যনির্বাহী কমিটিতে নতুন মুখ
জুলাই যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে চাই: রিজভী
৮ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে হেগে পাকিস্তানের আইনি জয়, রায় প্রত্যাখ্যান করল ভারত
আগস্টে ঢাকার ৩ এলাকায় চালু হবে ই-রিকশা
বিনিয়োগকারীদের জন্য বিডার নতুন ওয়েবসাইট চালু
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই
আবাসিক হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের খুশির খবর দিল সৌদি আরব
চীন সফর অত্যন্ত ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ইনিংস ব্যবধানে হারের পরই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন (ভিডিও)
কলম্বো টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
গাজায় আবারও রক্তক্ষয়, একদিনেই প্রাণ হারালেন ৭২ জন