সোমবার, ৩ জুন ২০২৪ | ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাকার কাছে কম খরচের ১০ রিসোর্ট

ব্যস্ততার ভিড়ে একটু ছুটি মিললেই কোথায় ঘুরতে যাবেন তা নিয়ে পরিকল্পনার শেষ নেই। যানজট এড়িয়ে কম দূরত্বে যদি কোথাও যাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। এ কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঢাকার কাছের রিসোর্টগুলো। যারা ১ দিনের জন্য ঢাকার আশেপাশে ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গা খুঁজছেন, তাঁরা জেনে নিন ঢাকা বিভাগের আশেপাশের জেলাগুলোতে অবস্থিত এমন ১০টি মনোরম জায়গার নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য । এসব রিসোর্টে তুলনামুলক কম খরচে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

১। ভাওয়াল রিসোর্ট: 

সরকারি পিকনিক স্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম গাজীপুরের এ ভাওয়াল উদ্যান। চত্ত্বর গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর থানা জুড়ে অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। খেলাধুলার জন্য রয়েছে বড় একটি মাঠ।তাছাড়া রয়েছে এখানে একটি চিড়িয়াখানা। পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের আদলে ৬,৪৭৭ হেক্টর জমিতে ১৯৭৩ সালে এ উদ্যান সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের মূল উদ্ভিদ হলো শাল। এছাড়াও নানারকম গাছ-গাছালিতে পরিপূর্ণ এ উদ্যান। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বেশকয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র, ১৩টি কটেজ ও ৬টি রেস্ট হাউস রয়েছে। উদ্যানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৬ টাকা। এছাড়া পিকনিক স্পট ব্যবহার করতে হলে, বন বিভাগের মহাখালী কার্যালয় (০২-৮৮১৪৭০০) থেকে আগাম বুকিং দিয়ে আসতে হবে।

২। ছুটি রিসোর্ট:

ছুটি রিসোর্টে রয়েছে নৌভ্রমণের ব্যবস্থা, বিরল প্রজাতির সংরক্ষিত বৃক্ষের বনে রয়েছে টানানো তাঁবু। ছনের ঘর, রেগুলার কটেজ, বার্ড হাউস, মাছ ধরার ব্যবস্থা, হার্বাল গার্ডেন, বিষমুক্ত ফসল, দেশীয় ফল, সবজি, ফুলের বাগান, বিশাল দুটি খেলার মাঠ, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, দুটি পিকনিক স্পট, গ্রামীণ পিঠা ঘর, বাচ্চাদের জন্য কিডস জোনসহ সারা দিন পাখির কলরব, সন্ধ্যায় শিয়ালের হাঁক, বিরল প্রজাতির বাঁদুড়, জোনাকি পোকার মিছিল ও আতশবাজি, ঝিঁঝিঁ পোকার হৈচৈ। আর ভরা পূর্ণিমা হলে তো কথাই নেই।

৩। নক্ষত্রবাড়ী রিসোর্ট:

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকায় শিল্পীদম্পতি তৌকির-বিপাশা গড়ে তুলেছেন নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। প্রায় ২৫ বিঘার এই রিসোর্টে রয়েছে কনফারেন্স সেন্টার, রেস্তোরাঁ ও সুইমিংপুল। থাকার জন্য আবাসিক হলের পাশাপাশি রয়েছে বাঁশ এবং প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি ১১টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৭২২২৪২৮১ নাম্বারে।

৪। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট:

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বিপরীত দিকের বড় সড়ক থেকে ডানের গলিপথ ধরে সবুজের অরণ্যে হঠাটি হারিয়ে যাবেন আপনি। ভবানীপুর বাজার পেরিয়ে চিকন রাস্তা ধরে আরও কিছুটা দূর…। পথের দুধারে ঘন শালবন। যতদূর চোখ যায়, শুধুই গাছ আর গাছ। পুকুরপাড়ের গাছটিতে মাছরাঙা পাখি শিকারের আশায় বসে। পুকুরের তীর ঘেঁষে বকের হাঁটাহাঁটি। হরেক রকম পাখি দেখে মনে হতে পারে, হয়তো কোনো গহীন জঙ্গলে এসে পড়েছেন। সত্যিই গহীন অরণ্য। রাস্তার দুধারে দূরের শালবন ছাড়াও খেজুরগাছ, বটগাছ। রাস্তার পাশে আদিবাসীদের কিছু বাড়িঘর।

গাজীপুরের শালবনের গহীনে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে ২৬টি কটেজ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট। এখানে কয়েকটি মাটির ঘরও রয়েছে। চাইলে রিসোর্টের লেকে মাছ ধরতে এবং নৌকা চালাতে পারেন। সাইমিংপুলের পাশাপাশি সাইক্লিং করার ব্যবস্থাও রয়েছে। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৯৩৩১৩৬৬২ নাম্বারে।

৫। সারাহ রিসোর্ট:

ঢাকার কাছে পরিবার নিয়ে আনন্দময় সময় কাটাতে পারেন সারাহ রিসোর্টে। গাজীপুরের রাজাবাড়িতে ২০০ বিঘাজুড়ে নির্মিত সারাহ রিসোর্টে আছে ৬টি বাংলো, ওয়াটার লজ, রাজা ভিউ টাওয়ার, সুইমিং পুল, ৯ডি মুভি থিয়েটার, ভিআর গেমস, মিনি বার, জিম, জাকোজি, মাড হাউস, কিডস জোন, ইনডোর ও আউটডোর গেম, কায়াকিং, বোট রাইডিং, সাইকেল রাইডিং, মিনি চিড়িয়াখানা ইত্যাদি। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯৮০০০৩০০০ নাম্বারে।

৬। জল ও জঙলের কাব্য:

পূর্ণিমায় বিলের পাশে বসে জোসনা দেখার অন্যরকম অনুভূতি পেতে চাইলে যেতে পারেন জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্টে। পুরোপুরি গ্রামীণ পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে জল ও জঙ্গলের কাব্য। ডে-টুরের জন্য এই রিসোর্ট জনপ্রিয়। চাইলে রাতে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। রিসোর্টের পাশের বিলে নৌকা ভ্রমণেও সময় কাটাতে পারেন। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮৮৫০০৭৭৭৭ নাম্বারে।

৭। পদ্মারিসোর্ট , মাওয়া:

পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই রিসোর্টের কটেজগুলোতে বেশ আরামদায়ক এবং নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পারবেন। কটেজগুলোর নামকরণও করা হয়েছে বেশ সুন্দরভাবে। ১২টি কটেজের নাম রাখা হয়েছে বাংলা বছরের ১২টি মাসের নামানুসারে। আর বাকি চারটির নাম নেওয়া হয়েছে চারটি ঋতু থেকে। যদি ভরা বর্ষায় আসেন তাহলে কটেজগুলোর সামনে পানি টলমল করবে। এর ওপর কাঠের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। মনে হয় কটেজগুলো যেন ভেসে আছে পানিতে।

ছুটির দিন কিংবা ঈদের বন্ধ ছাড়া বুকিং না করে গেলেও সাধারণত কটেজ খালি পাওয়া যায়। বুকিংয়ের জন্য পদ্মা রিসোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাওয়া যাবে। এখানে যদি শুধু দিনের বেলা ভাড়া করতে চান, তাহলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত থাকতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে ২৩০০ টাকা। আর যদি দিনসহ রাতও কাটাতে চান, তাহলে ভাড়া লাগবে ৩৪০০ টাকা। মোট ১৬টি কটেজ। এই কটেজগুলোই মূল আকর্ষণের জায়গা। ফোনঃ ০১৭৩৭৪৫৮৮৬৬,০১৬৮৯৭৭৭৪৪৪।

৮। রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট:

রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত। এখানে রয়েছে বনভোজন কেন্দ্র, লেকে মাছ ধরা ও বেড়ানোর ব্যবস্থা এবং কটেজে অবকাশ যাপনের ব্যবস্থা। শালগাছ ঘেরা এই রিসোর্টের লেকে নৌ-ভ্রমণের ব্যবস্থার সঙ্গে সুইমিং পুলও রয়েছে। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮১১৪১৪০৭৪ নাম্বারে।

৯। দ্যা বেজ ক্যাম্প বাংলাদেশ:

দ্যা বেজ ক্যাম্প বাংলাদেশের প্রথম আউটডোর অ্যাক্টিভিটি ক্যাম্প। ২০১৩ সালে এটি গড়ে তোলা হয়। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য দারুণ একটি জায়গা এটি। গরমে শীতলতা পাওয়ার জন্য রয়েছে সুইমিংপুল। শিশুদের জন্য রয়েছে স্পেশাল জোন। শালবনে ট্রেকিংসহ পুকুরে মাছ ধরারও ব্যবস্থা রয়েছে। চাইলে রাতে তাঁবুতে থাকতেও পারব্নে। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯৫২৭৭৭৯৯৯ নাম্বারে।

১০। নুহাশ পল্লী:

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ি ও শুটিং স্পট। প্রায় ৯০ বিঘা জায়গা নিয়ে এই নন্দন কাননে আছে একটি ছোট আকারের চিড়িয়াখানা, শান বাঁধানো ঘাটসহ একটি বিশাল পুকুর, দৃষ্টিনন্দন কটেজ, ট্রি হাউস বা গাছবাড়িসহ আরো অনেক আয়োজন। নুহাশ পল্লীর ভেতরের বিশেষ আকর্ষণ হলো ঔষধি গাছের বাগান। এত সমৃদ্ধ ঔষধি বাগান এদেশে বিরল। সবমিলিয়ে নুহাশ পল্লী ছবির মতো সাজানো গোছানো এক প্রান্তর। যেখানে গেলে আপনা আপিনি মন ভালো হয়ে যাবে। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই তিনমাস বনভোজনের অনুমতি মেলে নুহাশপলস্নীতে। যোগাযোগ :০১৬৩৬৯৯৯৩৩৩, ০১৭৩৭৪৫৮৮৬৬।

 

Header Ad

গাজা ইস্যুতে সংহতি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি ফেরত দিলেন শহিদুল আলম

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস অব লন্ডনের (ইউএএল) কাছ থেকে পাওয়া সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি ফেরত দিয়েছেন। গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবজ্ঞার কারণে তিনি এই ডিগ্রি ফেরত দিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন শহিদুল আলম।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে এই আলোকচিত্রী বলেছেন, শিক্ষার স্বাধীনতা এবং বাক্‌স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিশ্রুতিবদ্ধার কারণে তিনি ২০২২ সালের ৮ জুলাই এই সম্মানজনক ডিগ্রি গ্রহণ করেন। কিন্তু এই অবস্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ভাইস চ্যান্সেলর জেমস পুর্নওয়েলের বিচ্যুতি দেখে তিনি হতাশ হয়েছেন। জেমস পুর্নওয়েল একজন কট্টর ইহুদিবাদী বলেও আখ্যা দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।

শহিদুল আরও বলেছেন, গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখে তিনি আনন্দিত হয়েছেন। তবে তাঁদের প্রতিনিয়ত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

শহিদুল জানিয়েছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করেছে, তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে, তাদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে এবং তাদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে। আর এসব কারণে ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তিনি আর যুক্ত থাকতে পারবেন না’ এবং এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং মিডিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি তার সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি ফেরত দেবেন।

এ ছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এ বাংলাদেশি আলোকচিত্রী।

রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সামনে আগানো কঠিন: সিইসি

ছবি: সংগৃহীত

আজ রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে টিআইবি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ বৈরিতা নিয়ে সামনে এগুনো কঠিন হবে। বৈরিতা দূর করে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।

বর্তমান ইসির অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ভোটের আগে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার তাগিদ এলেও শেষ পযন্ত তা হয়নি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা ১৬টি দল অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগসহ ২৮টি দল ভোটে ছিল।

টিআইবির সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ইসির অনন্ত সক্ষমতা রয়েছে এমন নয়। ইসি একা কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাও দরকার।

সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো কোনো আলাপ আলোচনা আমি দেখছি না। তাদের মধ্যে বৈরিতা অত্যন্ত প্রকট। এতো প্রকট বৈরিতা নিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে সামনে এগোনো খুব কঠিন হবে। এ বৈরিতা পরিহার করে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।’ সেই সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেন।

এসময় হলফনামার তথ্য প্রকাশ, হলফনামায় অসত্য তথ্য দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে প্রতিনিধি দল। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক জানান, ৭ জানুয়ারি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে টিআইবি। তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের ১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিলেন দুই বোন জিজি ও বেলা হাদিদ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ। সম্পর্কে তারা দুই বোন। ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় বরাবরই সরব দুই বোন। এজন্য হত্যার হুমকিও পেয়েছে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এই দুই মার্কিনী। তবে যাদের শরিরে বইছে ফিলিস্তিনের রক্তের ধারা, তারা ইসরায়েলের এই নির্মমতা নিরবে সহ্য করতে পারে না। বেলা ও জিজিও তাই ইহুদিবাদী হুমকি উপেক্ষা করে এখনও সরব ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।

ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড। দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ছোট্ট শিশুও। বিশ্বের অন্যান্য মানুষদের মতো চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন নিয়ে বেশ সরব দুই বোন ও মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ।

শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনে নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছেন তারা। এ কারণে ক্যারিয়ারে নানান বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে দুই বোনকে। এমনকি তাদেরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়েছে ইসরায়েল।

 

ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু কোনো হুমকি-ধমকির তোয়াক্কা করেননি বেলা-জিজি। বরং ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান পাঠিয়েছেন বেলা-জিজি।

আমেরিকার একটি ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য ১ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে বেলা-জিজি; যা চারটি দাতব্য সংস্থার হাত দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে এই অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় সমানভাবে বরাদ্দ করে দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান তিনি।

সেদিনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে বেলা হাদিদ লিখেছিলেন- ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা হোক। এটি সর্বদা আমার মনে, রক্তে এবং হৃদয়ে মিশে রয়েছে। যদিও আমাকে এখনও এই ভয়াবহতার মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে, আমরা আমাদের (ফিলিস্তিনিদের) সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করছি।

আমরা যেখানেই যাই না কেন, সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনকে দেখতে পাবে। পরনের এমন কেফিয়াহ পোশাক ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করছে। গাজায় এই মুহূর্তে গণহত্যার মত যা ঘটছে, সে সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করুন।’

প্রসঙ্গত, জিজি হাদিদ ও বেলা হাদিদের বাবা মোহামেদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি। এবং মার্কিন মা ইয়োলান্ডা হাদিদ। তাদের বাবা মোহামেদ একজন বড় ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ইয়োলান্ডা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। সূত্র: দ্য হলিউড রিপোর্ট

সর্বশেষ সংবাদ

গাজা ইস্যুতে সংহতি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি ফেরত দিলেন শহিদুল আলম
রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সামনে আগানো কঠিন: সিইসি
ফিলিস্তিনিদের ১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিলেন দুই বোন জিজি ও বেলা হাদিদ
বদলগাছীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি, বললেন প্রধানমন্ত্রী
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার কারাদণ্ড
জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হলেন পরীমণি
নওগাঁয় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’
পিবিআই’র তদন্তেও ফাওজিয়া-মুশতাককে অব্যাহতির সুপারিশ
পাঁচ বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ: সিপিডি
ভুক্তভোগীরা চাইলে বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে: দুদক আইনজীবী
সরকার ব্যাপক উন্নয়নের ফলে দেশ বিশ্বে এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক
হিজড়াদের হামলায় চোখ হারালেন পুলিশের এসআই
আবারও দ. কোরিয়ায় ময়লাভর্তি ৬০০ বেলুন পাঠাল উ. কোরিয়া
কৃষি সচিবের ১২ মাসে ১১ বার বিদেশ ভ্রমণ!
‘এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টেনে ধরার জন্য রাষ্ট্র বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে’
ঘূর্ণিঝড় রেমাল : ২০ জেলায় ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বড় দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ
দুপুরে তিন জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
মক্কায় আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু