সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের

ছবি সংগৃহিত

ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বিকল্প চাষ হিসাবে ভালো সফল হয়েছেন একাধিক কৃষক। বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। ফলে স্থানীয় বাজার গুলিতে বিক্রি হচ্ছে ড্রাগন ফল। লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। নতুন করে অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

বরেন্দ্র ভূমিতে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতার দেখা পেয়েছেন রাজশাহীর শতাধিক চাষি। ফলটি দেখতে সুন্দর। খেতেও সুস্বাদু ও মানে ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদাও প্রচুর। ফলে রাজশাহী-নাটোর-নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ড্রাগন ফলের চাষ। শুধু চাষই নয়, বেড়েছে বিক্রিও। বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষিরা এখন আমেরিকার জনপ্রিয় এই ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন।

চাষিরা বলছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের আশা জাগাচ্ছে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল চাষ করে ভাগ্যবদল হয়েছে শতাধিক কৃষকের। সময় বেশি লাগলেও অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। এতে তাদের অভাব মোচন হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষে আগ্রহ বাড়ছে। খরাপ্রবণ এই এলাকার মাটিতে আগে ফল তো দূরের কথা অন্যান্য ফসল তেমনভাবে উৎপাদন হতো না। কিন্তু দিন যত যায় এই অঞ্চলের মানুষের নতুন নতুন উদ্ভাবনের চিন্তা আসায় বরেন্দ্র অঞ্চলের এই মাটিতে ফলছে বিভিন্ন জাতের ফল, শাকসবজিসহ নানান ধরনের ফসল। স্ট্রবেরি, লাল তরমুজ, পেয়ারা চাষ হলেও দিন দিন ‘ড্রাগন’ ফলের চাষ বাড়ছে বহুগুণে।

রাজশাহী কৃষি বিভাগ বলছে, এটা এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। তবে এই গাছে ফুল ধরে। ফুল থেকেই হয় ড্রাগন ফল। ফলের গাছ সাধারণত দেড় থেকে আড়াই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। একটি ফলের ওজন কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এর বীজগুলো খুবই ছোট, কালো ও নরম। তবে এই গাছের কোনো পাতা হয় না। প্রতি বছরে বরেন্দ্র অঞ্চলে এই ফলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি অধিপ্তর বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় ২১৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল ড্রাগন। আর এর উৎপাদন হয় ৪ হাজার ৪১৮ মেট্রিক টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ৩২৫ মেট্রিক টন। নওগাঁ জেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ৩৬০ মেট্রিক টন। নাটোর জেলায় ১৩৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ১ হাজার ৫৪৫ মেট্রিক টন।

এরে আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় ৫৭ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে ড্রাগন ফল উৎপাদন হয় ৬৮৮ মেট্রিক টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ২৩৪ মেট্রিক টন। নওগাঁ জেলায় ২৬ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ২২০ মেট্রিক টন। নাটোর জেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ৫৫২ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় ২৭ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে ড্রাগন ফল উৎপাদন হয় ৩২৪ মেট্রিক টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ২ মেট্রিক টন। নওগাঁ জেলায় ২২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ১০৮ মেট্রিক টন। নাটোর জেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে উৎপাদন হয় ৬৪০ মেট্রিক টন।

বরেন্দ্র ভূমিতে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতার দেখা পেয়েছেন রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশে গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদীঘির মোড় এলাকায় ৫ একর (১৫ বিঘা) জমিতে গড়ে তুলেছেন বিশাল ড্রাগন বাগান। চারা রোপণের বছর না পেরোতেই দেখা পেয়েছেন ফলনের। নিয়মিত পরিচর্যায় সম্ভাবনার দাঁড় খুলেছে এই কৃষি উদ্যোক্তার। ২০২১ সালে এক একর (৩ বিঘা) জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছরের ভোজ্যতেলের ব্যবসা ছেড়ে হয়ে যান কৃষি উদ্যোক্তা। প্রথম বছরেই প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেন।

ড্রাগন চাষের প্রাথমিক ধাপে ভালো ফলন পেয়ে সিদ্ধান্ত নেন পরিসর বাড়ানোর। এক বছরের মাথায় ৪ একর জমি লিজ নেন ইসমাইল। বছর না পেরোতেই সেখানেও ফলন পেতে শুরু করেছেন তিনি। প্রতি সিজনে এক একর জমিতে ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি হয় অনায়াসেই। সেই হিসেবে ৫ একর জমিতে বছরে কোটি টাকার ড্রাগন বিক্রির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখছেন এই চাষী।

তিনি বলেন, ড্রাগন আবাদে আসল কথা লস নাই, লাভজনক একটা আবাদ। এই আবাদ করলে ইনশাআল্লাহ কিছু করতে পারবে। এক বিঘা ড্রাগন বাগানে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ করলেই সে ফল দেখতে পারবে। যদি ভালোভাবে আবাদ করতে পারে তবে প্রতি বিঘায় মোটামুটি ৮০ থেকে ১০০ মণ ফলন পাওয়া যায়। ১০০ টাকা করে কেজি বিক্রি করলেও ড্রাগনে কোনো লস নাই। এক একর জমি থেকে মোটামুটি ১০ একর জমিতে চারা বিক্রি করা হয়েছে। আমি নিজেও চার একর জমি বাড়াইছি।

গোদাগাড়ী উপজেলার আরেক ড্রাগনচাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েক বছর থেকে এই ফল চাষ করে আসছি। এ বছরে আবারও শুরু হয়েছে চাষ করা। এবার ২৭ একর জমিতে ড্রাগনের চাষ করা হবে। এর চাষ প্রতিবছর বাড়ানো হচ্ছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভের কারণে এর চাষ বাড়ছে।

জানা যায়, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ড্রাগন ফল প্রথম আমদানি করা হয়। সে সময় চড়া দামে বিক্রি হতো এই ফল। এই ফল থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে নিয়ে আসা হতো। কিন্তু এর এক দশক পর থেকে দেশেই চাষ হচ্ছে পাতাবিহীন এই ফলটি। এখন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির ধরন ড্রাগন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। উৎপাদন বেশি ও চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় এর চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ উৎসাহিত করার ফলে ড্রাগান চাষ আজকের অবস্থানে এসেছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, বরেন্দ্রভূমিতে ড্রাগন চাষ বেশ লাভজনক। ড্রাগন হচ্ছে মরুভূমি এলাকার ফল। এদিক থেকে রাজশাহী অঞ্চলের মাটি অধিকাংশ সময় খরায় শুষ্ক থাকে। ড্রাগন চাষ সহজসাধ্য ও চাষে খরচও কম হয়। এর ফলে পোকামাকড় কম আক্রমণ করে আবার অতি বৃষ্টিতেও এর ক্ষতি হয় না। একারণে আগের চেয়ে বর্তমানে এর চাষ বেড়েছে। কাজেই এ অঞ্চলে ড্রাগন চাষ লাভজনক।

 

Header Ad
Header Ad

রমজানে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবিঃ সংগৃহীত

রমজানে সুলভ মূল্যে চাল বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একথা জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ টাকা কেজি দরে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে। চাল বিতরণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

তিনি জানান, রমজানকে সামনে রেখে মার্চ এবং এপ্রিল মাসে দেড় লাখ টন করে মোট তিন লাখ টন চাল দেয়া হবে। মার্চ-এপ্রিল মাসের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছাতে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শহরে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থেকে কর্মসূচি তত্ত্বাবধায়ন করবেন। এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকায় ১১৭টি পয়েন্টে ৭০টি ট্রাকে চাল বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।

আলী ইমাম মজুমদার আরও জানান, দেশে এখন পর্যন্ত যত ভালো নির্বাচন হয়েছে সেটা প্রশাসনের হাত দিয়ে হয়েছে। আবার খারাপ নির্বাচনও প্রশাসনের হাত দিয়েই হয়েছে। প্রশাসনকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই তারা কাজ করে। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রশাসনের হাত দিয়েই ভালো নির্বাচন হবে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে : আরএসএফ

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে সম্প্রতি গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)।

মুক্ত সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে সাংবাদিকদের উপর লাঠি এবং হাতুড়ি দিয়ে আঘাতসহ গুরুতর হামলা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং নিউজরুমে আক্রমণ চালানো হচ্ছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ অফিসার এবং রাজনৈতিক কর্মীরা মূলত এই হামলাগুলো চালাচ্ছে। তারা প্রতিটি অপরাধীর বিচার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষর প্রতি আহ্বান জানায়।

আরএসএফ-এর দক্ষিণ এশিয়া ডেস্ক প্রধান সিলিয়া মেরসিয়ের বলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর গণমাধ্যমের পরিবেশে উন্নতির আশা সৃষ্টি হলেও, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অনিশ্চিতই রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, “গত কয়েক দিনে সাংবাদিকদের উপর একের পর এক আক্রমণ মিডিয়ার বিরুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। রিপোর্টিং করার সময় আক্রমণ করা হচ্ছে, লেখার জন্য শারীরিকভাবে প্রতিশোধ নেয়া হচ্ছে, এবং বিক্ষোভকারীরা নিউজরুমে হামলা করছে।”

বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদন মুছে ফেলার দাবিতে হামলা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে হামলার পাশাপাশি সাংবাদিকদের কাজে পুলিশের বাধা প্রদান ও আক্রমণ হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র আনুমানিক ২০ জন সমর্থক সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এটিএন নিউজ-এর জাভেদ আক্তারকে আক্রমণ করে। এনটিভির হাসান জাবেদ এবং দীপ্ত টিভির আজিজুল ইসলাম পান্নু আক্তারকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরও আক্রমণ করা হয়। সাংবাদিকরা ওই সময়ে একটি মামলায় রায় কাভার করতে গিয়েছিলেন।

‘একদিন পরেই, ইন্ডিপেন্ডেন্ট২৪ টিভি’র মোহাম্মাদ ওমোর ফারুক, একাত্তর টিভি’র সাইয়েদ মাইনুল আহাসান মারুফ এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের উপর বিক্ষোভকারীরা হামলা করে। ঐ সময় তারা ঢাকা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ও স্মৃতি জাদুঘর ভাঙ্গার ঘটনা কাভার করছিল। পুলিশ কোন হস্তক্ষেপ করেনি’ উল্লেখ করা হয় আরএসএফ’র প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৬ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয় পুলিশের হাতে। দ্য রিপোর্ট লাইভ-এর কাওসার আহমেদ রিপন, কালের কণ্ঠ থেকে আসিফ-উজ জামান এবং মুহাম্মাদ মাহাদি, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর আজহার রাকিব, জাগো নিউজ-এর মোহাম্মাদ রাদওয়ান এবং ব্রেকিং নিউজ-এর শিমুল খানকে পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটায়, ঘুষি এবং লাথি দেয়। আহত সাংবাদিকরা জানায়, তাদের প্রেস কার্ড দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ তাদের ইচ্ছা করে হামলা করে।

‘ঢাকার বাইরে শরিয়তপুরে কয়েকজন সাংবাদিক তাদের কাজের জন্য নৃশংসতার মুখে পড়ে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি, সমকাল-এর প্রতিনিধি সোহাগ খানের উপর হাতুড়ি এবং ছুঁড়ি দিয়ে হামলা চালানো হয়। একটি ক্লিনিকের অবহেলা নিয়ে প্রতিবেদন করায় ক্লিনিকের মালিকের ভাই এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা আক্রমণ করে। অন্য তিনজন সাংবাদিক – নিউজ২৪ টিভি’র বিধান মজুমদার ওনি, বাংলা টিভি’র নয়ন দাস এবং দেশ টিভি’র শফিউল ইসলাম আকাশ সহকর্মীর সাহায্যে এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তাদের উপরও হামলা চালায়।’

সহিংসতার এসব ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে মিডিয়া পেশাজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওাতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে আরএসএফ।

Header Ad
Header Ad

সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা ৫ দিনের রিমান্ডে  

সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর থানাধীন গোল চত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলায় একাত্তর টিভির সাবেক সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন সরকার তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। পরে আদালত তাদের ৫ দিনেরই রিমান্ডের আদেশ দেন।

জানা গেছে, বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্তর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলাটি করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রমজানে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা
ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে : আরএসএফ
সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা ৫ দিনের রিমান্ডে  
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ৫ গাড়ির সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি  
সিলেটে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, অন্যত্র বাড়বে তাপমাত্রা  
তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন    
আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভেঙে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন    
আজ থেকে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি
ইউক্রেন নিয়ে জরুরি সম্মেলন আহ্বান ম্যাক্রোঁর    
বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ায় ফল স্থগিত  
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ
মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি
মালিতে পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে পড়ে অন্তত ৪৮ জন নিহত
কেমন হলো টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি
‘হজযাত্রী প্রতি অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা বেশি নিয়ে আমরা ভাগ করে নেব’
হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি: অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণার পর খুলল ৬ জলকপাট
বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রির অভিযোগে দুটি স্টল বন্ধ