মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বাড়িকেই ‘শেল্টার হোম’ বানানো উচিত

বিড়ালকে বলা হয় বাঘের মাসি। আমাদের এবারের সিত্রাং, যেটি হলো এটিকে আমি বাঘ বলতে চাই না। এটি একটা বিড়াল মার্কা সাইক্লোন হয়েছে। আমি কথাটিকে হালকাভাবে বললেও এটিই সত্যি। আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমাদের বড় কোনো সাইক্লোন হয়নি। যদিও আমাদের বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়। তবে একইসঙ্গে আমাদের অনেক সমস্যাও আছে।

প্রথম সমস্যা হচ্ছে যে, সাইক্লোনের সময়কাল। সাইক্লোন সাধারণত মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের শেষ, এই ছয় সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে। আবার অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শেষ, এই ছয় সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব বলছে যে, সাইক্লোনের তীব্রতা বিশ্বব্যপী বাড়বে। এখন থেকে বিশ ত্রিশ বছর পরে হয়তো আমি থাকব না তবে ঘন ঘন সাইক্লোন হতে পারে। কারণ, সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা যদি ২৬/২৭ ডিগ্রির উপরে উঠে যায়, বিষুবরেখা বরাবর, তাহলে এই নিম্নচাপগুলোর সৃষ্টি হয়। আমরা যেহেতু কর্কটক্রান্তি, বিষুবরেখা বরাবর তাপমাত্রা কিন্তু অনেক বেশি। সউদি আরবে প্রায় ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাহলে এই নিম্নচাপ ঘন ঘন হবে। নিম্নচাপ হওয়ার পরে সাইক্লোনটি কোনদিকে যাবে, এটির কোনো বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা নেই। এখন থেকে ৫০/১০০ বছর আগে যখন সাইক্লোন হতো, আমরা প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকতাম ।সাইক্লোনটি কোন দিকে যাবে? এখন গত আট দশ বছরে যে সাইক্লোনগুলো হয়েছে এগুলো কোথায় কীভাবে আঘাত করবে এই অনিশ্চয়তাকে মেনে নিয়েই আমাদের চলতে হবে।

আমাদের দেশের সেই ক্ষমতা নেই যে ঝড় আমরা উপকূলের কাছাকাছি এলে আমাদের রাডার সেটি ধরতে পারে। কিন্তু উপকূলের আকাশে বাতাসের নিম্নচাপ কোথায় এটি উন্নত বিশ্ব বলতে পারে। কাজেই আমাদের প্রথম কাজ হবে, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে চুক্তি করে তাদের কাছে থেকে পূর্বাভাস নেওয়া। আমাদের পূর্বাভাস অনেকটা আমি বলব এ রকম স্টুপিডিটি পৃথিবীর কোথাও নেই। এবারে উয়ারনিং সিস্টেমে পৃথিবীর কোথাও কোনো সাইক্লোনের কোনো জোরই ছিল না। বাতাসের গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটারের বেশি হলে সেটি ক্যাটাগরি-১ ।আর ২৫০এর মতো হলে ক্যাটাগরি-৫ ধরা হয়। আমাদের হয়েছে ৭০/৮০কিলোমিটার। অতএব এটি কোনোটির মধ্যেই পড়ে না।

আমরা জানি, অমাবস্যা পূর্ণিমায় সাইক্লোনগুলো বেশি হয়। এখন অমাবস্যা চলছে। কাজেই এই ভরা কাটাল যদি জোয়ারের সময় আসতো, তাহলে সাইকোনটি আরও দশ ফুট উপরে উঠতো। এটি এসেছে ভাটার সময়। যে কারণে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব খুব একটা পড়েনি। পড়েছে ঝড়ের প্রভাব। আমরা বেশি ভয় পাই জলোচ্ছ্বাসকে।

আরও একটি পয়েন্ট হল বাধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়েছে। কেন বাধ ভাংলো। ১৫ফুট উঁচু বাধ কেন ৩/৪ফুট পানির চাপে ভাংলো?আমরা এর জবাবদিহিতা চাই। পানি মন্ত্রণালয়কে এর জবাব দিতে হবে। সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নিচ্ছে। তাহলে আমরা ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে বাঁধগুলো কেন মেরামত করতে পারি না! বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকবে কেন? আমরা এর জবাবদিহিতা চাই।

এরপর আমাদের দরকার সাইক্লোন শেল্টার। আমাদের প্রয়োজন নয় হাজার থেকে দশ হাজার। আমাদের আছে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার। আমরা বলছি, সরকারিভাবে শেল্টার না বানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে যাদের বাড়িঘর উপকূল এলাকায় আছে, তাদেরকে যদি একটি ঘর উঁচুভাবে বানাতে সাহায্য করা হয়, কিছু খরচ দেওয়া হয়, তাহলে এটিই তো একটি শেল্টার।

প্রত্যেকের বাড়ি যেন তার শেল্টার হিসেবে কাজ করে।আমি বলব, আমাদের দেশ যেহেতু প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলা করেই চলতে হয়। সেক্ষেত্রে সেই দূর্যোগ মোকাবেলাটুকু যেন অর্থবহ হয়। সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা জরুরি। ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াটুকু জরুরি। দূর্যোগ আসবেই। তবে সেটিকে ভয় পেয়ে নয়, মোকাবিলার মাধ্যমেই সেটিকে আমাদের সামাল দিতে হবে।

লেখক: শিক্ষাবিদ,পরিবেশবিদ ও পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ

 

চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ, সাথে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গাসহ এ অঞ্চলের জনজীবন। তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে সকাল সাড়ে ১০টায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এ নামাজ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

ইস্তিস্কার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা নুরুদ্দীন। নামাজ শেষে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র দাবদাহ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া হয়।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা বশির আহমেদ।

ছুটিতে বাড়ি গিয়ে হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফলে হিটস্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাউফল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়৷ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের মেয়ে শিমু আক্তার জানান, তিনি হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন বলে তাদের জানিয়েছেন ডাক্তার।

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।

ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ পদক নিচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা । ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।

এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সংগীতশিল্পী। রবীন্দ্রসংগীতের একজন নিবেদিত অনুশীলনকারী। তিনি মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে ‘বৈষ্ণব জান তো’ গেয়েছিলেন।

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।

এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।

সংগীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
ছুটিতে বাড়ি গিয়ে হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার
বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় ফাহিম, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি
তাইওয়ানে কয়েক ঘন্টায় ৮০ বার ভূমিকম্প অনুভূত
এবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা
ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ
ঢাকাসহ ৪ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া !
কাতারের আমিরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ
‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব’ গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস পেলেন বনি আমিন ও সবুজ মাহমুদ সহ ১৫ সাংবাদিক
রাজধানীতে হিট স্ট্রোকে রিকশা চালকের মৃত্যু
আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করছে সরকার: ভূমিমন্ত্রী
সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
হিট স্ট্রোক হলে করণীয় কী?