মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পরিবারে আয় কমায় ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

পাঁচটি মূল অনুষঙ্গের অন্যতম একটি হল শিক্ষা। আমরা বলে থাকি শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ঘুণপোকা ধরেছে বহু আগেই। সব জায়গাতেই অসঙ্গতি আমরা জানি। এখন সেটি শিক্ষাব্যবস্থাকেও গ্রাস করে খাচ্ছে। আমরা যতই সৃজনশীলতার বুলি আওড়াই না কেন, আমরা দেখেছি একজন শিক্ষক নিজেই জানেন না সৃজনশীল প্রশ্নপত্র কিভাবে করতে হয়। কাজেই শিক্ষা শিক্ষক শিক্ষার্থী শিক্ষাঙ্গন কোনো কিছুই আজ ঠিক নেই!

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা স্কুল বিমুখ হয়ে পড়েছে। করোনা মহামারি আমাদের একটা বড় রকমের সংকট ছিল। তখন এমনিতেই ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার পরিবেশে ছিল না। স্কুল কলেজগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ বড় একটি সময় ধরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারেনি যে কারণে পড়াশোনার ধারাবাহিকতা ছিল না। করোনা পরবর্তী সময়ে পরিবারগুলোতে সংকটের কারণ হচ্ছে ,মানুষের কর্মসংস্থান কমে গিয়েছে।

অনেকের আয় কমে গেছে, কিন্তু জীবনযাপনে ব্যয় বেড়েছে প্রচুর। তা ছাড়া, যেহেতু দেশের কর্ম বাজারে একটি বড় অংশ, শতকরা ৮০ ভাগ, যারা ইনফরমাল সেক্টরে করোনাকালে তাদের সংকট ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ তারা কোনো কাজই করতে পারেনি। আরেকটি কারণ হলো, শুধুমাত্র কম আয়ের মানুষ নয়, প্রান্তিক আয়ের মানুষের কথাও যদি চিন্তা করি, যেমন স্বল্প পুঁজির মানুষ, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মুদি দোকান, চায়ের দোকান, নতুন ব্যবসা তারা অনেকেই ধরা খেয়ে গেছে। তাদের জন্য সরকার থেকে সেভাবে প্রণোদনা ছিল না। সরকারের প্রণোদনা ছিল বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে। যার ফলে প্রান্তিক মানুষ অথবা স্বল্প আয়ের মানুষের গুছিয়ে উঠাটাই বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে।

পরবর্তীকালে যখন তারা গুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে, তখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, তেলের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি তাদের আক্রমণ করেছে। যার ফলে অনেক পরিবার ঘুরে দাঁড়াতেও পারেনি। যখনই একটি পরিবারে আর্থিক সংকট আসে, তাদেরকে বাজেট কাটছাঁট করতে হয়। বাজেট কাটছাঁটের মধ্যে এরা প্রথমেই খাদ্যদ্রব্য মূল্য কমাতে চেষ্টা করে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেটি দেখা যায়, তাদের ছেলেমেয়েরা যখন শিক্ষাগ্রহণ করতে থাকে, আর্থিক সংকট হলে তাদের উপরেই চাপটি গিয়ে পড়ে। মেয়েদের ক্ষেত্রে চাপটি আরও বেশি পড়ে।

করোনাকালীন দেখেছি শিশুশ্রম বেড়ে গিয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গেলে আমরা দেখতে পাব, কম বয়সী স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরা কাজ করছে। এটির একটি বড় কারণ হলো, তাদের অভিভাবকদের আয় অনেক কমে গেছে। গত কয়েক মাসের জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এত বড় ধাক্কা আসছে, করোনা পরবর্তী সময়ে প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার ফলে, টিকে থাকার জন্যই অনেক পরিবারে ছেলেমেয়েদের লেখা পড়া বন্ধ।

সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, সরকারি স্কুলে পড়লে বোধহয় খরচ নেই। কথাটি ঠিক নয়। সরকারি স্কুলে পড়লে সেখানেও খরচ আছে। কারণ, টিউশন ছাড়া পরীক্ষায় পাশ করা যায় না। গাইড বই কিনতে হয় বাধ্যতামূলকভাবেই। কোচিং এ যেতে হয়। সরকারি স্কুলে মেয়েদের হয়তো বেতন নেই। অন্যান্য খরচগুলো মিলে বেশ ভাল ব্যয় হয়। ফলে পড়াশোনা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় না। সেকারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হার অপেক্ষাকৃত বেশি।

একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়, শিক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া যেভাবে নেওয়া হয়, এগুলোর মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। সৃজনশীলতার নিয়ম-কানুনগুলি যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো না জেনে না বুঝেই, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত চিন্তা না করে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের যে কাঠামোগত অবস্থা সেগুলি চিন্তা না করে, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে, শিক্ষকদের গুণগতমান উন্নয়নের ব্যবস্থা না রেখে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটি চাকা বিহীন গাড়ির মতোই অকেজো হয়ে গিয়েছে। পুরো ব্যাপারটিই একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

লেখক: শিক্ষাবিদ

নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে

সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহসান কবীর ওরফে শামীম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের অভিযোগে উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান (৬৬) ও তার ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহসান কবীর ওরফে শামীমকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গিয়াসউদ্দিন এ আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী এমদাদুল হকের বাবা মৃত আব্দুল লতিফ মিয়া ও চাচা আব্দুর রহমান ১৯৬৫ সালে তাদের মায়ের মৃত্যুর পর সম্পত্তি সমূহ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। ১৯৯৭ সালের ২৬ নভেম্বর সেরাজ উদ্দিন ৫৬ শতাংশ তার স্ত্রী ও ৮১ শতাংশ বদিউজ্জামান ও মনিরুজ্জামানের নিকট বিক্রি করেন।

সেই সূত্রে আব্দুর রহমান তাদের সঙ্গে একত্রে মাছ চাষ করে আসছিলেন। দুই বছর আগে সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে মাছ চাষে বাঁধা প্রদান করেন।

গত ৬ জানুয়ারি ২০২৩ সালে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে ১৯৬৪ সালে জমি ক্রয় করেছেন বলে আসামিরা একটি দলিলের ফটোকপি দেখিয়ে পুকুরের রহমানের অংশও নিজেদের দাবি করেন। যা সম্পূর্ণ জাল দলিল বলে প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন এমদাদুল হক। দীর্ঘ বিচার কাজ শেষে আদালত গত সোমবার(২২শে এপ্রিল) এ রায় দেন।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক একেএম লিয়াকত আলী জানান, জমিজমা (সিআর) মামলায় আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ঘটনায় বিকেলে বাবা ও ছেলেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: পিআইডি

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি৷ তবে যাওয়ার আগে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশা যেমন ব্যক্ত করেছেন, তেমনি ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে দুদেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে তার উপস্থিতিতে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে তাকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারের আমির। সে সময় দুই দেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়। একই সঙ্গে কাতারের আমিরের নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশীর বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়।

চুক্তি ও সমঝোতা সই। ছবি: পিআইডি

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান কাতারের আমির ও তার সঙ্গীরা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

কাতার আমিরের কার্যালয় জানিয়েছে, ঢাকা থেকে আরেক সরকারি সফরে নেপালের কাঠমান্ডু গেছেন শেখ তামিম।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রায় ২০ বছর পর বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশ সফর করলেন।

নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি

আগুনে পুড়ে গেছে বসতবাড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় অগ্নিকাণ্ডে আটটি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮টি পরিবার।

আগুনে পুড়ে গেছে বসতবাড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- রমজান আলী, মিঠুন কবিরাজ, বাবু কবিরাজ, সেলিম কবিরাজ, নুরজাহান বেওয়া, গুলজান বিবি, রশিদুল ইসলাম ও ছহির উদ্দিনের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই রমজান আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই তা আশপাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে যায় আটটি বসতবাড়ি।

আগুনে পুড়ে গেছে বসতবাড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শফিউর রহমান বলেন, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ

নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা
সাঘাটায় নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন টিটু
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী দল
"বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, আছে সন্তানও"
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
রাজধানীতে তীব্র গরমে এক পথচারীর মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো