পরিবারে আয় কমায় ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

০৮ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৫ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম


পরিবারে আয় কমায় ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

পাঁচটি মূল অনুষঙ্গের অন্যতম একটি হল শিক্ষা। আমরা বলে থাকি শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ঘুণপোকা ধরেছে বহু আগেই। সব জায়গাতেই অসঙ্গতি আমরা জানি। এখন সেটি শিক্ষাব্যবস্থাকেও গ্রাস করে খাচ্ছে। আমরা যতই সৃজনশীলতার বুলি আওড়াই না কেন, আমরা দেখেছি একজন শিক্ষক নিজেই জানেন না সৃজনশীল প্রশ্নপত্র কিভাবে করতে হয়। কাজেই শিক্ষা শিক্ষক শিক্ষার্থী শিক্ষাঙ্গন কোনো কিছুই আজ ঠিক নেই!

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা স্কুল বিমুখ হয়ে পড়েছে। করোনা মহামারি আমাদের একটা বড় রকমের সংকট ছিল। তখন এমনিতেই ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার পরিবেশে ছিল না। স্কুল কলেজগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ বড় একটি সময় ধরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারেনি যে কারণে পড়াশোনার ধারাবাহিকতা ছিল না। করোনা পরবর্তী সময়ে পরিবারগুলোতে সংকটের কারণ হচ্ছে ,মানুষের কর্মসংস্থান কমে গিয়েছে।

অনেকের আয় কমে গেছে, কিন্তু জীবনযাপনে ব্যয় বেড়েছে প্রচুর। তা ছাড়া, যেহেতু দেশের কর্ম বাজারে একটি বড় অংশ, শতকরা ৮০ ভাগ, যারা ইনফরমাল সেক্টরে করোনাকালে তাদের সংকট ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ তারা কোনো কাজই করতে পারেনি। আরেকটি কারণ হলো, শুধুমাত্র কম আয়ের মানুষ নয়, প্রান্তিক আয়ের মানুষের কথাও যদি চিন্তা করি, যেমন স্বল্প পুঁজির মানুষ, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মুদি দোকান, চায়ের দোকান, নতুন ব্যবসা তারা অনেকেই ধরা খেয়ে গেছে। তাদের জন্য সরকার থেকে সেভাবে প্রণোদনা ছিল না। সরকারের প্রণোদনা ছিল বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে। যার ফলে প্রান্তিক মানুষ অথবা স্বল্প আয়ের মানুষের গুছিয়ে উঠাটাই বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে।

পরবর্তীকালে যখন তারা গুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে, তখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, তেলের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি তাদের আক্রমণ করেছে। যার ফলে অনেক পরিবার ঘুরে দাঁড়াতেও পারেনি। যখনই একটি পরিবারে আর্থিক সংকট আসে, তাদেরকে বাজেট কাটছাঁট করতে হয়। বাজেট কাটছাঁটের মধ্যে এরা প্রথমেই খাদ্যদ্রব্য মূল্য কমাতে চেষ্টা করে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেটি দেখা যায়, তাদের ছেলেমেয়েরা যখন শিক্ষাগ্রহণ করতে থাকে, আর্থিক সংকট হলে তাদের উপরেই চাপটি গিয়ে পড়ে। মেয়েদের ক্ষেত্রে চাপটি আরও বেশি পড়ে।

করোনাকালীন দেখেছি শিশুশ্রম বেড়ে গিয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গেলে আমরা দেখতে পাব, কম বয়সী স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরা কাজ করছে। এটির একটি বড় কারণ হলো, তাদের অভিভাবকদের আয় অনেক কমে গেছে। গত কয়েক মাসের জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এত বড় ধাক্কা আসছে, করোনা পরবর্তী সময়ে প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার ফলে, টিকে থাকার জন্যই অনেক পরিবারে ছেলেমেয়েদের লেখা পড়া বন্ধ।

সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, সরকারি স্কুলে পড়লে বোধহয় খরচ নেই। কথাটি ঠিক নয়। সরকারি স্কুলে পড়লে সেখানেও খরচ আছে। কারণ, টিউশন ছাড়া পরীক্ষায় পাশ করা যায় না। গাইড বই কিনতে হয় বাধ্যতামূলকভাবেই। কোচিং এ যেতে হয়। সরকারি স্কুলে মেয়েদের হয়তো বেতন নেই। অন্যান্য খরচগুলো মিলে বেশ ভাল ব্যয় হয়। ফলে পড়াশোনা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় না। সেকারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হার অপেক্ষাকৃত বেশি।

একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়, শিক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া যেভাবে নেওয়া হয়, এগুলোর মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। সৃজনশীলতার নিয়ম-কানুনগুলি যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো না জেনে না বুঝেই, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত চিন্তা না করে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের যে কাঠামোগত অবস্থা সেগুলি চিন্তা না করে, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে, শিক্ষকদের গুণগতমান উন্নয়নের ব্যবস্থা না রেখে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটি চাকা বিহীন গাড়ির মতোই অকেজো হয়ে গিয়েছে। পুরো ব্যাপারটিই একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

লেখক: শিক্ষাবিদ


ইসির মিথ্যা তথ্য পরিবেশনে নিন্দা বাসদের

০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম


ইসির মিথ্যা তথ্য পরিবেশনে নিন্দা বাসদের
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মই মার্কারও একজন প্রার্থী রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি এমনিতেই দেশবাসীর কোনো আস্থা নেই। সরকারের অনুগত কমিশনের ঘোষিত প্রহসনের নির্বাচনে বেশি সংখ্যক নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে তা দেখানোর জন্যই বাসদের মই মার্কারও ১ জন প্রার্থী রয়েছে বলে মিথ্যা-ভিত্তিহীন তথ্য গণমাধ্যমে পাঠানোর মধ্য দিয়ে কমিশনের দেউলিয়াত্ব ও জালিয়াতির নমুনা আবারও জনসম্মুখে উন্মোচিত হলো।

তিনি বলেন, বাসদ দেশের রাজনীতিতে একটি ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল হিসেবে শুরু থেকেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে হরতাল পালন করে আন্দোলন বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

নির্বাচন কমিশনের এহেন প্রতারণামূলক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে সংশোধনী প্রেরণ ও দায়িত্বহীন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ফিরোজ।


ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২

০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৪ পিএম


ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ও সমমনা দলের অবরোধ কর্মসূচির আগের রাতে রাজধানীতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ফার্মগেটের ফার্মভিউ সুপারমার্কেটের সামনে পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার আলম খান বলেন, ফার্মগেট এলাকায় সবসময় জনসমাগম বেশি থাকে।

এই সুযোগে কে বা কারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এসময় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বলে জানা গেছে। আহত একজনের মাথা থেকে রক্তপাত হতে দেখা যায়। অন্যজন পেটে আঘাত পেয়েছেন। তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার আলম খান বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।


বিয়ের আসর থেকে বর উঠে যাওয়ায় কনের আত্মহত্যা

০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম


বিয়ের আসর থেকে বর উঠে যাওয়ায় কনের আত্মহত্যা
ছবি: সংগৃহীত

খুলনার পাইকগাছায় লগ্ন পেরিয়ে গেলে বিয়ে না করে বর চলে যাওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন মিতু মণ্ডল (১৯) নামের এক তরুণী। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় মিতুর বাবা তাকে নামিয়ে পাইকগাছা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিতু মণ্ডল মারা যান। এ ঘটনায় মৃত্যুর প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে।

মিতু মণ্ডলের বাবা ঠাকুরদাশ মণ্ডল বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে বটিয়াঘাটা উপজেলার কায়ুমখালীর কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে সুদিপ্ত মণ্ডলের (২২) গত সোমবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বিয়েতে সঠিক সময়ে ছেলেপক্ষ না আসায় লগ্ন পেরিয়ে যায়। পরের লগ্নে বিয়ে দিতে চাইলে ছেলের বাবা রাজি হননি। পরে ছেলের বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায় ছেলে বিয়ের আসর থেকে চলে যায়। মেয়ে এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এ কারণে গত শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলে পড়ে। তাকে নামিয়ে পাইকগাছা হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সে মারা যায়।

পাইকগাছা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গলায় রশি পেঁচিয়ে একটি মেয়ে আত্মহত্যা করে। তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত্যুর প্ররোচণায় থানায় বরের বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল ও বর সুদিপ্ত মণ্ডলের নামে মামলা হয়েছে।

অনুসরণ করুন