সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সাফল্যে কৃষির রয়েছে অসামান্য অবদান। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের ব্যাপক সাফল্য রয়েছে (দম্পতিপ্রতি জন্মহার মাত্রা ২.১)। তবু জনসংখ্যা তো বেড়েছে। তাই মাথাপিছু চাষের জমি ১৯৭৩-এ ২৮ শতাংশ থেকে ২০১৮-তে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু শস্যসহ সব খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে দূরদর্শী কৃষিনীতির মাধ্যমে, সরকারি ও বেসরকারি কৃষি উদ্যোগগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে।

এ সময়ের ব্যবধানে মাথাপিছু বার্ষিক চাল উৎপাদন ১৪০ কেজি থেকে বেড়ে ২৪০ কেজি, মাছের উৎপাদন ১১ কেজি থেকে বেড়ে ২৫ কেজি, মাংসের উৎপাদন তিন কেজি থেকে বেড়ে ৪৪ কেজি, ডিমের উৎপাদন ১৫টি থেকে বেড়ে ১০১টি এবং দুধ ছয় কেজি থেকে বেড়ে ৫৮ কেজি হয়েছে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদন সূচকে আমরা চীন, ভারত ও ভিয়েতনামের মতো বড় কৃষি খাতের দেশকে অতিক্রম করে গেছি।

কৃষি, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের এমন সাফল্যের জন্য যথাযথ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে সরকারের সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাপকভিত্তিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অভিযান। আগে আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে আসা এবং ‘রিয়াল ইকোনমি’তে ঋণ সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত এই অভিযানের মূল চালিকাশক্তি ছিল ডিজিটাল প্রযুক্তির সময়োচিত ব্যবহার। এর ফলে ২০০৮-০৯-এর বৈশ্বিক আর্থিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ যেমন সফল হয়েছে, তেমনি শত সংকটের মুখেও দেশের প্রবৃদ্ধির চাকা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গতিশীল করা গেছে।

বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে সরকারের সময়োচিত মনোযোগও সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতু, কালনা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের মতো বৃহৎ প্রকল্পগুলো দেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩৪ শতাংশের জীবনমান উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। আর জিডিপিতে ১.২ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি যুক্ত করবে আগামী বছরগুলোতে। ফলে একসময় যে দেশের সামনে ছিল অনেক হতাশা আর অনিশ্চয়তা, আজ সেই দেশ সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে সামনে এগোতে হয়। ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের ‘দ্য টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি’ প্রতিবেদনে তাই বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম শীর্ষ অর্থনীতির মর্যাদা পেয়েছে।

সার্বিক বিচারে তা-ই বলা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযানের মাধ্যমে একদিকে যেমন সামষ্টিক অর্থনীতির একটি নাটকীয় অন্তর্ভুক্তিমূলক উল্লম্ফন ঘটানো গেছে, অন্যদিকে তেমনি পরের দুটি দশকের জন্য আরও বড় সম্ভাবনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অভিযাত্রার দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের অভিযান নিয়ে আশাবাদী হতেই হয়। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরাও এই আশাবাদের অর্কেস্ট্রায় তাল মেলাচ্ছেন।

তারা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো যে পথে ২ হাজার ৪০০ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে অল্প সময়ের মধ্যে ৪ হাজার ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, বাংলাদেশের সামনেও তেমন সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৬-এর মধ্যেই আমাদের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে। ওই সময়ের মধ্যে আরও ১১ শতাংশ নাগরিক নিম্ন আয় শ্রেণি থেকে উঠে আসবে।
তবে সামনের পথটি একেবারেই মসৃণ নয়। কোভিড-উত্তর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ইউরোপে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি-সারের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ চেইনে বাধা, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে যে আয় আমরা পেয়েছি তা আমদানি ব্যয়ের ৮২ শতাংশ (অর্থাৎ ১৮ শতাংশের ব্যবধান রয়ে গেছে)। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখার যে ঐতিহ্য আমরা গড়ে তুলতে পেরেছি গত ১৩-১৪ বছরে, তার বরাতে এবারের এই চ্যালেঞ্জগুলোও সফলভাবে মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে হচ্ছে।

সবচেয়ে বড় ভরসার কথা এই যে আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব একদিকে এযাবৎকালের অর্জনের কারণে যেমন আশাবাদী, অন্যদিকে তেমনি আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়েও যথার্থ সংবেদনশীলতা দেখিয়ে চলেছে। বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তাই প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সংকটের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার প্রতি জোর দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। বহিঃস্থ যে বিষয়গুলোর উপর আমাদের নীতি নির্ধারকদের নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই, সেগুলোর প্রতি এহেন সংবেদনশীলতাই আমাদের বড় পুঁজি।

এই সামাজিক পুঁজি আর বলিষ্ঠ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে সব অংশীজনের সর্বাত্মক সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখাই এখন মূল কাজ।

ড. আতিউর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

এসএন

 

Header Ad

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত

ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে ছোড়া হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, এই হামলায় তাদের তিন সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩.৬ কিলোমিটার (২.২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আইডিএফ আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

গাজায় সাত মাস ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং এতে করে সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে গাজার অসহায় ও দুর্গত মানুষকে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যে কয়েকটি পথ ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে এই ক্রসিংটি অন্যতম।

এদিকে মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী আলোচনা করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, সর্বশেষ রাউন্ডের এই আলোচনা রোববার শেষ হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিদল এখন হামাস নেতৃত্বের সাথে পরামর্শ করতে কায়রো থেকে কাতারে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস এই মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন এবং তিনিও এখন দোহায় আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী ত্যাগ করেছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি হলে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের বন্দিদের সাথে গাজায় আটক বন্দিদের বিনিময় করা হবে। হামাস বলেছে, তারা বর্তমান প্রস্তাবটিকে ‘ইতিবাচক আলোকে’ দেখেছে, তবে মূল পয়েন্ট হচ্ছে- যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনটি হবে তা নিয়ে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি যে কোনও চুক্তিতে যুদ্ধের অবসানের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিচ্ছে, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র (হামাসের এই দাবি) মেনে নিতে পারে না, আমরা এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত নই যেখানে হামাস ব্রিগেডগুলো তাদের বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসবে এবং আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে, তাদের সামরিক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করবে এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’

ইসরায়েলের এই কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘এটি ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য হবে ভয়ঙ্কর পরাজয়।’

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী