শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধু পীড়িত মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন

বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। সেই ছেলেবেলা থেকেই খুব বন্ধুবৎসল ছিলেন। বন্ধুদের যেকোনো প্রয়োজনে হাত বাড়িয়ে দিতেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করতেন এবং অল্পবয়স থেকেই তার সেই স্বভাব ছিল। ছোটবেলায় একবার অসুস্থ হবার কারণে দুই তিন বছর সময় হারিয়ে গেছে স্কুল জীবন থেকে। যে কারণে একটু বেশি বয়সে তিনি মেট্রিক পাস করেছেন। যেহেতু তিনি শিক্ষকদেরও খুব প্রিয় ছিলেন, যে কারণে স্পোর্টস, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সবকিছুর সঙ্গেই বঙ্গবন্ধু যুক্ত থাকতেন এবং শিক্ষকরা তাকে খুব পছন্দ করতেন।

বঙ্গবন্ধু তার আত্নজীবনীতে লিখেছেন যে তখন তার বয়স ছিল দুই কিংবা তিন। তারা একজন স্যার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন, বঙ্গবন্ধু তার লাগেজ মাথায় করে নিয়ে নদীর ঘাটে দিয়ে এসেছেন। এরকমই ছিল শিক্ষকদের প্রতি তার অনুরাগ ভালবাসা সম্মান। আরেকজন শিক্ষক ছিলেন কাজী আবদুল হামিদ। তার সঙ্গে শৈশবের অনেক সৃতিকথা আছে। তিনিই তার দৃষ্টিভঙ্গি টুকু বিপ্লবী করে তুলেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি সমাজকল্যাণের কাজেও তার অবদান রেখেছেন। তখন গোপালগঞ্জে তারা বিভিন্ন ধরনের জনহিতকর কাজের সাথে যুক্ত থেকেছেন। গরিব ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করতেন। স্কুলে থাকা অবস্থায় তিনি মুসলিম লীগের সাথে যুক্ত হন এবং সোহরাওয়ার্দীর খুব কাছাকাছি চলে আসেন।

পরবর্তী সময়ে কলেজে পড়ার সময় তিনি শিক্ষকদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তেতাল্লিশ সালের দুর্ভিক্ষে তিনি লঙ্গরখানা খুলেছিলেন তার ছাত্র বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষকে তিনি যে অনুভব করেছেন, তিনি তার কষ্টের কথা লিখেছেন এভাবে যে, ‘যে দেশ সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা এবং যে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, সে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় কি করে?’ ছাত্র অবস্থাতেই তিনি বাংলা পীড়িত মানুষের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। পরবর্তীকালে ঢাকায় এসে তিনি ছাত্রলীগ তৈরি করলেন এবং ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেন। আমি যে কথাটি বলতে চাচ্ছি যে, তরুণ শেখ মুজিব সবসময় মানুষের কাছাকাছি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি ছিলেন। সাধারণ মানুষই ছিল তার পাঠক্রম। তাদের কস্ট তিনি খুব কাছে থেকে অনুভব করছেন এবং তাদের কষ্ট তিনি সবসময়ই অনুভব করেছেন। সবসময়ই মানুষের কাছে থেকে তিনি শিখেছেন। তিনি নিজেও একসময় বলেছেন, শিক্ষা তিন রকমের হতে পারে. ১) বই পড়ে শেখা যায়। ২) অন্যের কাছে থেকে শেখা যায় এবং ৩) করে করে শেখা যায়। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, তিনি করে করে শেখার পক্ষপাতি।

বঙ্গবন্ধু বড় নেতা হয়েছেন, রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। কিন্তু তিনি শিখেছেন সাধারণ মানুষের কাছে থেকেই। আমাদের বড়ই সৌভাগ্য যে, তিনি একজন মানবিক নেতা এবং মানবিকতার পাঠ তিনি সাধারণ মানুষের কাছে থেকেই শিখেছেন। এই পাঠ প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্কুল জীবন থেকেই অর্থাৎ তার শৈশব কৈশোর থেকেই। বড় হবার পরেও তিনি তাদের কখনও ভুলে যাননি। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেও তিনি তার স্কুলজীবনের শিক্ষকদের যে সম্মান দেখিয়েছেন, সেটি বিরল এবং শিক্ষণীয়। শিক্ষা তো মূলত শিক্ষক নির্ভর। শিক্ষকরা হলেন সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অভিভাবক আমাদের। বঙ্গবন্ধু এটি খুবই ভাল বুঝতেন। বঙ্গবন্ধুর শৈশব কেটেছে প্রকৃতির সাথে, মানুষের সঙ্গে এবং তার শিক্ষকদের সাহচর্যে।

বাংলাদেশের এগিয়ে চলা আনন্দ উদযাপনের মধ্যেই বাংলাদেশর স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হওয়া, করোনা মহামারির পরও দ্রুত মাথাপিছু আয়-বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার গতিশীল হওয়ার মতো ঘটনা আমাদের সামনেই ঘটেছে। আজ দেখছি সরকারের ‘গ্রামেও শহরের মতো সব সুবিধা’ নিশ্চিত করার নীতি-কৌশলের ফলে গ্রাম-বাংলার মানুষের আয়েরও শতকরা ষাট ভাগ আসছে অ-কৃষি খাত থেকে। তাই বলা যায়, স্বাধীনতার পাঁচ দশকে আমরা সত্যিই আমূল পাল্টে দিতে পেরেছি এদেশের মেহনতি মানুষের জীবনচলার চিত্রটি।

চ্যালেঞ্জতো এখনো আছে। তবু যে বিপুল ইতিবাচক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গেছে, বিশেষত গত এক যুগের কিছু বেশি সময় ধরে, তার স্বীকৃতি না দিয়ে তো উপায় নেই। এই অদম্য অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, স্বাধীন দেশে পা রেখেই। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে লাখো জনতা যখন তাকে বরণ করে নিচ্ছিল তখনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যদি এদেশের মানুষ খেতে না পায়, যদি কর্মসংস্থান না হয় তাহলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পাবে না। মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে বহু বিশেষজ্ঞের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু তার বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ‘এক্সপ্রেস ওয়ে’তে তুলে দিয়েছিলেন।

ঐ অল্প সময়েই তিনি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিত্তিই শুধু দিয়েছিলেন তাই নয়, বরং দ্রুত গতির এবং জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নের আগামীর পথনকশা জনগণের সামনে হাজির করে তিনি সকলকে আশাবাদীও করে তুলেছিলেন। সঙ্গত কারণেই তাই আমরা আফসোস করি, আর ভাবি-যদি বিশ্বাসঘাতকদের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবে হারাতে না হতো, তাহলে আমরা এত দিনে নিশ্চয়ই আরও অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারতাম।

ড.আতিউর রহমান: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় যুবদল নেতা মজিদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ (৪৮) হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় নওগাঁ-সান্তাহার সড়কে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদকে গুলি করা হয়। এ সময় মজিদের দুই ভাই কাবিল হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সুবিদ আলী হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁদের কুপিয়ে জখম করে। ২৬ নভেম্বর বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মজিদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী এখনও গ্রেপ্তার হননি।

বোয়াালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজমুল হক, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মামুনুর রহমান ও শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সারওয়ার কামাল চঞ্চল, আব্দুস সালাম পিন্টু ও নিহত যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের বড় ভাই মোকসেদুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেলে এসে আব্দুল মজিদের ওপর গুলি চালায়। এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ আলী, তাঁর সহযোগী আব্দুল্লাহ, রফিক ও মিলন। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর দখলে থাকা জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে মজিদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে ২ নভেম্বর আব্দুল মজিদের ওপর মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলার ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ এখনও মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মোহাম্মদ আলীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন বক্তারা।

মজিদের বড় ভাই মোকসেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু কোনো দিন কোনো অন্যায় কোনো কাজ করেনি। মানুষের উপকার করে বেড়াত। এলাকার কোথায় কার কি সমস্যা হচ্ছে সেখানে চলে যেত, সমাধানের চেষ্টা করতো। সেই মানুষটাকে গুলি করে হত্যা করা হলো। অথচ পুলিশ এখনও হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করতে পারলো না। আমি মোহাম্মদ আলীসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তার দেখতে চাই, তাদের বিচার আওতায় আনা হয়েছে দেখতে চাই।’

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলীসহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা কনফারেন্স রুমে বিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীজ নাজিয়া নওরীন এর সভাপতিত্বে ও একাডেমি সুপারভাইজার আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহম্মেদ, বিরামুপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক শাহ আলম মণ্ডল, সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক মাহমুদুল হক মানিক,
বৈষম্য ছাত্র আনন্দোনের সমন্বয় তন্ময়, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জোনায়েদ হোসেন প্রমুখ।

এসময় বিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট- ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধী মন্ডলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা পরবর্তী প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad
Header Ad

পাঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন দমনে ইন্টারনেট বন্ধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে পাঞ্জাব রাজ্য থেকে দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের পদযাত্রা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কৃষকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে।

এ অবস্থায় আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিছু জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেটসহ টেক্সট বার্তা পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা পুনরায় শুরুর চেষ্টা করছিলেন কৃষকরা। পরে রাজধানী থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার উত্তরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কৃষকরা পুলিশের লোহার ব্যারিকেডের একটি স্তর ভেঙে ফেলেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে বাধার মুখে পরে সুরক্ষা বাহিনী পিছুও হটে। তবে পরে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকরা ফসলের জন্য রাষ্ট্রীয় সহায়তার আইনি গ্যারান্টি এবং ঋণ মওকুফের দাবি করছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা বন্ধ করে দেয়। প্রতিবেশী হরিয়ানা রাজ্যের কৃষকরাও পাঞ্জাবের কৃষকদের এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।

এদিকে, নতুন করে পদযাত্রার সময় হরিয়ানা সরকার আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিছু জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেটসহ টেক্সট বার্তা পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার শুক্রবারের বিক্ষোভ নিয়ে যদিও এখনো কোনো মন্তব্য করেনি, তবে হরিয়ানার বিজেপি দলীয় মন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, কৃষকরা যদি দিল্লি যেতে চান তবে অনুমতি নিতে হবে।

এর আগে ২০২১ সালে কৃষকরা কয়েক মাস ধরে দিল্লির বাইরে শিবির স্থাপন করে অবস্থান করার মোদি সরকার কিছু কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা কৃষকদের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় যুবদল নেতা মজিদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন
বিরামপুরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
পাঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন দমনে ইন্টারনেট বন্ধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড: চন্দন ও রিপনের রিমান্ড মঞ্জুর
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ডিভাইস নেই; ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু
ভারতের কোনো প্রতিবেশী তাদের সঙ্গে নেই : রিজভী
অ-১৯ এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ট্রান্সকম শেয়ার জালিয়াতি: সিমিন রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন
শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট
রাজবাড়ী‌তে পুলিশকে গুলি করে পালালো আসামি
সংস্কারে গতি বাড়ান, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন: ডা. শফিকুর রহমান
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর মারা গেছেন
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
অটোরিকশার পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, কলেজছাত্র নিহত
লাহোরকে হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে রংপুর
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত নতুন সম্পর্কের সেতু গড়তে পারত: উপদেষ্টা ফারুকী
দিনাজপুরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪
আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার আরেক আসামি রিপন দাস গ্রেপ্তার
কুবিতে আজ 'ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজ'
মেঘনায় নৌকাডুবি: ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২