মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে

বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, ২০২৩ সালটি একটা মহাসংকটের বছর হবে। আরও স্পষ্ট করে বলা যায় যে এবছর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা প্রকট হতে পারে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কৃষিই যে বিপদের দিনে আমাদের রক্ষাকবচ সে কথাটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই কৃষি খাতের বাড়তি বাজেট ছাড়াও তিনি সংকট মোকাবিলার জন্য আলাদা করে বাজেট করেছেন।

কৃষি গ্রামীণ মানুষের চল্লিশ শতাংশেরও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। কৃষি ভালো করলে অকৃষি খাতও ভালো করে। বাড়ন্ত আধুনিক কৃষি শিল্পের কাঁচামাল ও দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ চাহিদাও যোগায়। ফলে দেশে কোনো মন্দা দেখা দেয় না। ২০০৯ সালেও চলছিল বিশ্ব আর্থিক সংকট। কিন্তু সংকট মোকাবিলায় সিদ্ধহস্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি, এসএমই, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের উপর বিশেষ নজর দিয়ে এমন এক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করেছিলেন যার ফলে বাংলাদেশের মানুষ ওই বিশ্ব আর্থিক সংকটের আঁচই পায়নি।

উন্নয়নমুখী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে সময়টায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কৌশল নিয়ে সরকারের মাটিঘেঁষা উন্নয়ন অভিযাত্রায় শামিল হয়েছিল। কৃষককে ১০ টাকায় হিসাব খুলে দেওয়া, বর্গাচাষিদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, নারী উদ্যেক্তাদের বিনা জামানতে ঋণের সুযোগ করে দেওয়াসহ অসংখ্য উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ সরকারের জনবান্ধব উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সহযোগিতা করেছিল। অন্তর্ভুক্তিমূলক সেই উন্নয়ন কৌশল কভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ঝাপ্টা মোকাবিলায় যথেষ্ট কাজে লেগেছে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে প্রণোদনা কর্মসূচির আদলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এমন এক উপযোগী কৌশল গ্রহণ করেছিল যার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি। বরং উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে গতিশীল প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে।

জিডিপির প্রায় ছয় শতাংশ এই প্রণোদনার আওতায় স্বল্প সুদের ঋণ এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনো কৃষি ও ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চালু করে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চাকাকে বেশ গতিশীল রেখেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যখন সারা বিশ্বের প্রবৃদ্ধি এবছর এবং আগামী বছর তিন শতাংশের আশে পাশে রাখছে সেই সব প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার এই দুবছরই তার দ্বিগুণেরও বেশি হবে বলে তাদের অর্থনৈতিক প্রক্ষেপণে তুলে ধরেছে। এডিবি তার চেয়েও আরেকটু বেশির কথা বলছে। আর বাংলাদেশ আশা করছে তার প্রবৃদ্ধির হার এই সময়টায় সাত শতাংশের কম হবে না।

তবে এই ক্রান্তিকালে প্রবৃদ্ধি যদি প্রক্ষেপিত হারের চেয়ে খানিকটা কমও হয় তাতে দোষের কিছু নেই। এই মুহূর্তের বড় সংকট কী করে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বজুড়েই বইছে এই প্রবল মূল্যস্ফীতির লু হাওয়া। এর ফলে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হারও বাড়ন্ত। বিশেষ করে খাদ্যমূল্যস্ফীতির দাপট বেশ আক্রমণাত্মক।

অথচ এই মূল্যস্ফীতির উৎস অভ্যন্তরীণ নয়। আমদানি করা এই মূল্যস্ফীতির পেছনে একদিকে কোভিডের কারণে পর্যুদস্ত আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইন (বিশেষ করে বাড়ন্ত জাহাজ ভাড়া) এবং তদুপরি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, গ্যাস ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি খাদ্যমূল্য দারুণ হারে বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো কাজ করছে। এর মধ্যে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে নেমে এসেছে ডলারের দাম বৃদ্ধি। কোভিডের সময় যুক্তরাষ্ট্রও ব্যাপক হারে তার অর্থনীতিতে অর্থ ঢেলেছিল। সেই অর্থ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মৌলিক নীতি হার বাড়িয়েই চলেছে। এরই মধ্যে কয়েকবারে তিন শতাংশের মতো মৌলিক সুদ হার বাড়িয়েছে ফের।

যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে এখনো মূল্যস্ফীতি আট শতাংশের বেশি তাই সহজেই এই নীতি হার বাড়ানোর কৌশল থেকে সরে আসবে না ফের। এর ফলে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রার বাস্কেটের মূল্যমানের চেয়ে এরই মধ্যে প্রায় তেরো-চৌদ্দ শতাংশ বেড়েছে ডলারের দাম। আর আমাদের মতো দেশের মুদ্রার তো কথাই নেই। যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও জাপান তাদের মুদ্রার মান ধরে রাখার জন্য রিজার্ভ থেকে বিদেশি মুদ্রা ছেড়ে দিচ্ছে। রেপো রেট বাড়াচ্ছে। কিন্তু একমাত্র জাপান ছাড়া আর সব উন্নত দেশেই মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের বেশি। শুণ্য মূল্যস্ফীতির দেশ জাপানের মূল্যস্ফীতিও তার টার্গেট দুই শতাংশ কবেই অতিক্রম করে গেছে।

বিশ্বের চল্লিশ শতাংশ বাণিজ্য হয় ডলারে। বিশ্ব বন্ড বাজার প্রায় পুরোটায় ডলারনির্ভর। ডলারের দাম বাড়ায় একদিকে আমদানির খরচ বাড়ছে তো বাড়ছেই, অন্যদিকে বিদেশে ডলার মূল্যের বন্ড বিক্রি করে বিনিয়োগকারীরা ছুটছে মার্কিন ট্রেজারি বন্ড কেনার জন্য। সেদেশে বন্ড থেকে পাওয়া লাভের অংক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর শ্রীলংকার মতো যেসব দেশ ডলার বন্ড বাজারে ছেড়েছিল তারা আর বিক্রিচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের ডলারে দাম শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। শ্রীলংকা তো নিজেকে দেওলিয়া ঘোষণা করে এই সংকট থেকে বাঁচবার কতোই না চেষ্টা করে যাচ্ছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ড মার্কেট তেজি হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ফের যাতে তার নীতি হার আর না বাড়ায় সেজন্য জাতিসংঘ পর্যন্ত আহ্বান জানিয়েছে। কেননা এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এর শিকার দুর্বল অর্থনীতির উন্নয়নশীল দেশগুলোর ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। অন্য দিকে উন্নত দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় তাদের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ছে আমাদের মতো রপ্তানিকারক দেশগুলোর উপর।

বিশেষ করে মূলত বস্ত্র রপ্তানির দেশ বলে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা আয়ের বেশ খানিকটা ঝুঁকি তো তৈরি হচ্ছেই। এমনিতেই হঠাৎ আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বিলাসী ও কম অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমমদানি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কয়েক মাস ধরেই অনেকগুলো নীতি গ্রহণ করেছে। ঋণের মার্জিন বাড়িয়ে দেওয়া, বেশি মূল্যের এলসি নিবিড়ভাবে মনিটর করা, ডলার খরচ কমানোর জন্য প্রশাসনিক অনেক কৃচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেয় এবং অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি থামিয়ে দেওয়ার মতো সুবিবেচনামূলক নীতিমালার সুফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তা ছাড়া দেশে আরও বেশি ডলার প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আনার জন্য টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন এবং নিয়মনীতি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসেবে ঘাটতি গত তিন মাসে বেশ কমেছে। এর ফলে প্রায় এক বছর পরে হলেও রিজার্ভ ক্ষয়ের ধারাটি থেমেছে।

ধীরে হলেও রিজার্ভ ফের বাড়তে শুরু করেছে। ডলারের একাধিক হারের বদলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি হারের দিকে এগোতে পারলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গতি আরও বাড়বে বলেই মনে হয়। সামনের দিনগুলোতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়বে এবং অন্যদিকে আমদানি খরচ কমবে আশা করা যায়। দুইয়ে মিলে ডলার-টাকা বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে এবং রিজার্ভের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।

এই প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্ব মহামন্দার হুশিয়ারিকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে আমাদের খুবই বিচক্ষণতার সাথে পা ফেলতে হবে। সেজন্য মোদ্দা কিছু নীতি অনুসরণ করা গেলে এই মহাসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়েই ভালো করবে।

সুনির্দিষ্ট নীতিকাঠামোর উপর ভরসা করে হিসাব করে এগোলে নিশ্চয় চলমান মন্দা বা আগামী দিনের মহামন্দা মোকাবিলা করেই বাংলাদেশের উন্নয়নের সুনাম ধরে রাখতে পারবো। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

ড. আতিউর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

এসএন

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

কেএনএফ (কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) বিরোধী যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাচন আপাতত স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

থানচি, রোয়াংছড়িতে আগামী ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ২০২৪) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য তিনটি উপজেলাতে বিশেষ করে- বান্দরবানের থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের চেষ্টা করবো। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল রুমার সোনালি ব্যাংকে ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হলেও পরে ছাড়া পান তিনি।

পরের দিন রুমায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফ-এর সদস্য অভিযানে নিহতও হয়েছে।

নির্বাচন ভবনে আয়োজিত ওই সভায় নির্বাচন কমিশন সদস্য, সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়

বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়। ছবি: সংগৃহীত

তাপপ্রবাহের মাঝে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তার ইমামতিতে নামাজে অংশ নিয়েছেন শতাধিক মুসল্লি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে এই নামাজ আদায় করা হয়। এসময় নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।

নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে খুতবা ও দোয়া করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এসময় প্রাকৃতিক দুর্ভোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং অসহ্য গরম থেকে মুক্তি ও মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এ সময় তিনি বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। এখনই সচেতন না হলে সামনের দিনে আরও বিপদে পড়তে হবে। সবুজায়ন বাড়াতে সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বানও জানান তিনি।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) এই নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেয়া হয় শায়খ আহমাদুল্লাহর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে। এক পেস্টে জানানো হয়, তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। ওষ্ঠাগত মানুষ ও পশুপাখির জীব। হুমকির মুখে ফল ও ফসল। এসময়ে প্রয়োজন রহমতের বৃষ্টি। প্রিয়নবী (সা.) এমন অনাবৃষ্টিতে লোকদেরকে নিয়ে মাঠে বেরিয়ে যেতেন এবং ইস্তিসকা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত আদায় করতেন। (বুখারি, মুসলিম)

আমরা দেশের সকল ইমাম-খতীব ও দায়িত্বশীলদের প্রতি সালাতুল ইস্তিসকার সুন্নাহ জিন্দা করার বিনীত আহ্বান জানাই। আমরা ইনশাআল্লাহ আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে সালাতুল ইস্তিসকার সালাত আদায় করব। যারা আশেপাশে আছেন, আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।

পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু

ছবি সংগৃহীত

রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, নিহতরা শ্যামপুরের একটি মাদ্রাসার ছাত্র।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ২০২৪) দুপুরে উপজেলার শ্যামপুর বালুর ঘাটে গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হয়। এরপর পৌনে তিনটার দিকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলো- নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান, রেন্টুর ছেলে মানুষ যুবরাজ এবং লিটনের ছেলে আরিফ । তারা কাটাখালি পৌরসভার বাখরাজাপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ওবায়দুল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের উদ্ধারে নামে। মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’

সর্বশেষ সংবাদ

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে
বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পেলেন ১৪ হাজার ৫৫০ জন কৃষক
কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ
ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক
আপাতত বিয়ের প্ল্যান নেই, এনজয় করছি : জয়া আহসান
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
ছুটিতে বাড়ি গিয়ে হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার
বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় ফাহিম, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি
তাইওয়ানে কয়েক ঘন্টায় ৮০ বার ভূমিকম্প অনুভূত
এবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা
ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ
ঢাকাসহ ৪ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া !
কাতারের আমিরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ