রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সচিবালয়ের উল্টো দিকে গা ছমছম করা ওসমানী উদ্যান

গা ছমছম করা একটা ভীতিকর পরিবেশ। ঝোপঝাড় আর জঙ্গলে একাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেতরে সব ভবঘুরে ছিন্নমুল মানুষ। কেউ বিড়ি ফুঁকছে, কেউ বা গল্প করছে জঙ্গলের আড়ালে। কেউ কেউ আবার আড্ডা দিছে। আবার কেউ সন্তানকে নিয়ে জঙ্গলের পাশেই ছেঁড়া কাঁথা বিছিয়ে শুয়ে আছে। কেউই কারো পরিচিত নয়। কিন্তু তাদের দখলে পুরো উদ্যান। এসব দৃশ্য রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে উল্টো দিকের ওসমানী উদ্যানের।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টা। মাথার উপর খাড়া রোদ। এর মধ্যেই সচিবালয় থেকে বের হয়ে ছুটলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোশনের নগর ভবনে। রাস্তা সংক্ষিপ্ত করতে সচিবালয় গেটের উল্টো দিকে ওসমানী উদ্যানের ভেতর দিয়ে রওয়ানা হলাম। পায়ে হাঁটা পথ। মিনিট কয়েক হাঁটলেই উদ্যানের ওপাশে নগর ভবন।

কিন্তু ওসমানী উদ্যানের ভেতরে ঢুকতেই কেমন যেন একটা ভয় ভয় লাগছিল। ওয়াকওয়ে দিয়ে হাঁটছি, কিন্তু খুব একটা জনমানব নেই। প্রথমেই চোখে পড়ল ভবঘুরে দুই-তিন জন নারী-পুরুষকে। তাদের চেহারার মধ্যে একটা নেশাখোর নেশাখোর ভাব। আরেকটু সামনে যেতেই চোখ গেল ডান দিকে। তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার হঠাৎ করেই কেউ একজন জঙ্গলের ভেতর থেকে বের হচ্ছে।

এই অবস্থায় নিজের ভেতরে অজানা ভয় আর শঙ্কা। উদ্যানে ঢুকে ভুল করলাম কি না। কিন্তু পেছনে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। আবার যত সামনে যাচ্ছি ততই ভয়ে বুক দুরু-দুরু করছে। ভুতুরে একটা অবস্থা। মনে হচ্ছে তিন চার মিনিটের এই পথ যেন শেষই হচ্ছে না। একপর্যায়ে যখন উদ্যানের নগর ভবন প্রান্তের কাছাকাছি পৌঁছালাম তখন হঠাৎ করেই ছিন্নমূল এক কিশোর ড্রেনের ভেতর থেকে বের হয়ে ওয়াকওয়েতে একদম আমার সামনে। ভয়ে থমকে গেলাম। কালো চিক চিকে শরীর, ছেঁড়া শার্ট-প্যান্ট। নাক দিয়ে ময়লা বের হচ্ছে।

কোনোভাবে দ্রুত পায়ে সামনে এগোতেই বের হওয়ার ফটক পাওয়া গেল। প্রাণ নিয়ে ফিরলাম নগর ভবনে।

রাজধানীর অন্যতম সুন্দর উদ্যান হিসেবে পরিচিতি ওসমানী উদ্যানের অবস্থা এখন এতটাই বেহাল। গত প্রায় ছয় বছর ধরে এই অবস্থা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যানকে আরও আধুনিক ও জনবান্ধব উন্নয়ন করতে কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু মাঝপথে প্রকল্পের কাজ থেমে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে এটি এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্য।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন একটি মেগা প্রকল্প নিয়েছিল দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। প্রায় ১৭ শ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়নের কার্যক্রমও ছিল। তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন এই প্রকল্পের নাম দিয়েছিলেন ’জল সবুজে ঢাকা’। এর আওতায় ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন করার কথা ছিল। এরই একটি হচ্ছে ওসমানী উদ্যান। তৎকালীন মেয়র এর নাম দিয়েছিলন ‘গোস্বা নিবারণ পার্ক’।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী উদ্যানের উন্নয়নে মোট পাঁচটি প্যাকেজে কাজ করার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করে কার্যাদেশও দেওয়া হয় দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে।

সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উদ্যানের উন্নয়নে কাজ শুরু করে ২০১৭ সালে। কিন্তু কাজ শুরুর পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হঠাৎ করেই কাজ ফেলে যায় নির্মাণ সামগ্রির দাম বাড়ার অজুহাতে। তারপর থেকে কাজ আর এগোয়নি।

সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, এই অবস্থায় ঠিকাদারের কাজ বাতিল করার জন্য সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে। তার আলোকে ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সের কার্যাদেশ ও চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌ. (পুর) পরিবেশ, জলবায়ু ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল মো. খায়রুল বাকের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঠিকাদারের সমস্যার কারণে এই প্রকল্পের কাজ অনেকদিন ধরেই বন্ধ। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। আশা করছি খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে।

এদিকে সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বলেন, আপনি এই উদ্যানের ভেতর দিয়ে এলেন কেন? উদ্যানের ভেতর দিয়ে তো মানুষ চলাচল নিষিদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকার কারণে পুরো উদ্যান জুড়ে ঝোপঝাড় ও জঙ্গল হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এখন ওসমানী উদ্যান অপরাধীদের অভয়ারণ্য। রাতে তো নানান অপরাধ সংঘটিত হয়। মানুষ চলাচল নিষিদ্ধ এমন কোনো সাইনবোর্ড তো কোথাও চোখে পড়ল না-এ কথা বলতেই ডিএসসিসির ওই কর্মকর্তা বলেন, সাইনবোর্ড দিয়ে কী হবে? মানুষ তো এগুলো মানে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো ওসমানী উদ্যানের চারপাশ টিন দিয়ে ঘেরা। চারপাশের দেওয়ালের লোহার গ্রিল আগেই খুলে নেওয়া হয়েছে। মূল দুটি প্রবেশদ্বার টিন দিয়ে ঘেরা। নগর ভবন প্রান্তের গেটে আবার তালার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে লোকজনও আছে। তবে চারপাশের দেওয়ালের গ্রিল না থাকায় এবং একাধিক জায়গায় টিনের বেড়া না থাকায় অপরাধীরা নির্বিঘ্নে উদ্যানে ঢুকছে এবং নানান অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য