রাজধানীর ৫৯ শতাংশ ভবনে এডিস মশার লার্ভা, বাড়ছে ডেঙ্গুর ঝুঁকি

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকার ৫৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে—যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪-২০২৫ সালের ডেঙ্গুর বাহক কীটতাত্ত্বিক জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, “২০২৩ সালে জরিপে বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি ছিল ৪২ শতাংশ। এক বছরে এই হার বেড়ে ৫৮.৮৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
তিনি জানান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১টি ও ৩১টি ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব সরকারি সূচকের তুলনায় অনেক বেশি, যা ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকার বাইরে ঝিনাইদহ, মাগুরা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলাগুলোতেও এডিস মশার লার্ভার উচ্চ উপস্থিতি ধরা পড়েছে। বিশেষ করে ঝিনাইদহ শহরের ২৭০টি বাড়ি পরিদর্শনের মধ্যে ৫৪টিতে লার্ভা পাওয়া গেছে এবং সেখানে ব্রুটো ইনডেক্স ধরা পড়েছে ৬০—যা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত বিপজ্জনক মাত্রা।
মাগুরা ও পিরোজপুরে ১০০ শতাংশ নমুনায় এডিস অ্যালবোপিক্টাস প্রজাতির মশা পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিক ড্রাম, বাস্কেট ও দইয়ের খালি পাত্রে লার্ভার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জরিপ দেশের নগর ও উপ-নগর এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন করে সতর্কতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। জনসচেতনতা, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
