বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও আকাশছোঁয়া। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সর্বশেষ প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বৃদ্ধির ফলে এই নতুন রেকর্ড তৈরি হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের নামে নামকরণ করা মোট ৯৭৭টি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে বেশিরভাগ নাম পরিবর্তনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ বছরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, যেমন সেনানিবাস, বিমানঘাঁটি, নৌবাহিনীর জাহাজ, মেগা সেতু, মহাসড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনার নাম শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দলীয় নেতাদের নামে রাখা হয়েছিল।

বর্তমানে নতুন সরকার ওইসব স্থাপনাকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এসব নাম পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। বাকি যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন বাকি রয়েছে, সেগুলোর প্রক্রিয়া চলমান।

তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের ভিসা (এফ, এম ও জে ক্যাটাগরি) পেতে এখন থেকে ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ বা উন্মুক্ত রাখার বাধ্যবাধকতা জারি করেছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে এম, এম এবং জে ক্যাটাগরির ননইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদনকারীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি সেটিংস ‘পাবলিক’ রাখতে হবে।

দূতাবাস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে। মূলত ভিসা আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের যোগ্যতা নির্ধারণের প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করতেই এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।

এতে স্পষ্ট করে বলা হয়, গোপন বা ‘প্রাইভেট’ প্রোফাইলের কারণে আবেদনকারীর তথ্য যাচাইয়ে অসুবিধা হতে পারে, যা ভিসা প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

নতুন এই নীতির ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীদের নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট উন্মুক্ত করে রাখার প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রাসঙ্গিক তথ্য দ্রুত যাচাই করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি

এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা’—এমন শিরোনামে দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত ২৪ জুন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) আক্তার হোসেন বলেছেন, হাসনাত আবদুল্লাহ যখন প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন কী ঘটেছে, তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন; যে তিনি ভুল করেছেন। দুদক কর্মকর্তাদের নামে যারা ফোন দিয়েছিল, তারা ছিল প্রতারক। সেসব প্রতারকদের ধরতে দুদকসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, যে বিষয়টি হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে তুলে এনেছেন, সে বিষয়টির ওপর দুদক অনুসন্ধান করছে। এছাড়াও এ বিষয়ে অনুসন্ধানের আরও অনেক দিক আসবে। তবে হাসনাত আবদুল্লাহ একটা দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে ভেরিফাই না করে এ ধরনের তথ্য ছড়ালে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠান যাতে বিতর্কিত না হয়, নিশ্চয়ই সবাই সহযোগিতা করবো।

আক্তার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে একটা এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানের পরপরই যে চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, এনফোর্সমেন্ট অভিযানে তার নাম এসেছে বলে দাবি করেছেন। কিন্তু দুদক থেকে যখন অভিযানের তথ্য গণমাধ্যমে দেওয়া হয়, তখন তার নাম দেওয়া হয়নি। তিনি অন্যভাবে নাকি জেনেছেন। তাকেও এই অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে বার বার অভিযোগ করছিলেন। এখন কেন তিনি প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়েই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি পোস্ট কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন।

এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে দুদক বলে, একটি প্রতারক চক্র দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। যার সঙ্গে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নন। ইতিমধ্যে কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

এর আগে, ২৪ জুন রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা।' ওই স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করা হয়, 'আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে।'

তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা দাবি করা হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার ও একজন উপপরিচালকের পরিচয়ে। মাহমুদাকে বলা হয়, 'আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না। আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।'

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় দুদকের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি
রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালকে ২ লাখ জরিমানা
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন দায়ে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
৮৩ লাখ মাদকাসক্ত দেশে, গাঁজা সেবনকারী সবচেয়ে বেশি
নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ