শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নতুন লাইসেন্স ও নবায়নে কাটছে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য

অবশেষে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য থেকে বের হতে যাচ্ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ এক বছরের বদলে পাঁচ বছর করার কথা জানিয়েছে।

সম্প্রতি (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সবায় এ সংক্রান্ত একটি নথি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এ জন্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

বিদ্যমান আইনে দেশের ব্যবসায়ীদেরকে অন্তত আটটি প্রতিষ্ঠান থেকে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। এর মধ্যে আমদানি-রপ্তানি করতে গেলে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, কল-কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। এক বছরের জন্য দেওয়া এসব লাইসেন্স বছর শেষে আবার নবায়ন করতে হয়।

কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে যখন এই আট প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ীরা নতুন লাইসেন্স করেন বা নবায়ন করতে যান তখন তাদেরকে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। লালফিতার দৌরাত্ম্যে দিনের পর দিন এসব দপ্তরে হাঁটতে হয়। এতে ব্যবসায়ীদের অনেকেই এক সময় হাল ছেড়ে দেন। আবার নবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক দপ্তর থেকে দুই মাস সময় ব্যয় করে লাইসেন্স নবায়ন করেছেন তো আরেক দপ্তর থেকে নবায়ন করতে তিন মাস কিংবা তারও বেশি। এভাবে আট দপ্তর থেকে নবায়ন করতে গিয়ে বছর শেষ হয়ে যায়। তখন আবার নতুন করে পরের বছরের জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হয়।

ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়। এ ছাড়া, আরও অন্তত সাত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বা লাইসেন্স লাগে। আইনানুযায়ী আবেদন করার সাত কর্ম দিবসের মধ্যেই লাইসেন্স ও অনুমোদন দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। ঘুষ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স মেলে না। এটা ‘ওপেন সিক্রেট’ বিষয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ টাকা না দিলে মাসের পর মাস পড়ে থাকে।

অথচ প্রতিবেশি ভারতসহ অনেক দেশ এক ধাপে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে। বাংলাদেশে এখনও আট প্রতিষ্ঠানের অনুমতি লাগে।

বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনে ব্যবসা সহজীকরণে সার্বিক বিবেচনায় অগ্রগতি বলা যায় না। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮তম। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখনো পেছনের দিকে।

এই অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভোগান্তি দূর করতে নতুন লাইসেন্স করার ক্ষেত্র সহজ করা, ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ পাঁচ বছর করার জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এমসিসিআই) ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রস্তাব করে। একই সঙ্গে এর অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করারও দাবি তুলেন ব্যভসায়ীরা। বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকারও লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত ১৪ মার্চ বোর্ড সভায় ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ট্রেড লাইসেন্সের ব্যাপারে বলা হয়েছে-সিটি কর্পোরেশনের মতো পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এ মেয়াদ ৫ বছর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক আইন ও বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর আনা যেতে পারে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো রপ্তানিকারকের এনরোলমেন্ট এর মেয়াদ এক বছর থেকে তিন বছর করার অনুমোদন দিতে পারে। একইভাবে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (আইআরসি) ও এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ইআরসি) নিবন্ধনের মেয়াদ তিন বছর করার অনুরোধ করা হয়েছে।

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমুহের পরিদপ্তর থেকে নামের ছাড়পত্র নিতে হয় ব্যবসায়ীদের। এজন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। ভোগান্তি কমাতে প্রয়োজনে আউটসোর্সিং করে বা কোনো প্রকল্পের আওতায় দ্রুত সব কাজ করতে বলা হয়ছে।

এর বাইরে পরিবেশ অধিদপ্তর সবুজ শ্রেণির ব্যবসায়ের জন্য তিন বছর ও অন্যান্য শ্রেণির জন্য এক বছর মেয়াদী ছাড়পত্র দেয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে যৌক্তিক ক্ষেত্রে শ্রেণি পরিবর্তন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। একইভাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে লাইসেন্সের মেয়াদ তিন বছরের করার জন্য প্রয়োজনে বিধিমালা সংশোধন করতে বলা হয়েছে।

অগ্নি নিরাপত্তা লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকেও এক বছরের বদলে তিন বছর করার জন্য প্রথমে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তদেরকে ৫ বছরের জন্য যে সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স ও শিপিং এজেন্ট লাইসেন্স দিয়ে আসছে সেটা অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব। তাই আমদানি-রপ্তানির জন্য বিভিন্ন সনদ দেওয়া ও নবায়নের বিষয়টি সহজ করা হয়েছে। আগে যেখানে এক বছর মেয়াদ ছিল সেটা পাঁচ বছর করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক সভায় বিভিন্ন সনদ নবায়নের সময় পাঁচ বছর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস শনাক্ত। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। টানা চারদিন ধরে ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র তাপপ্রবাহে শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট ওয়েভ অ্যালার্ট জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

গরম থেকে বাঁচতে পানিতে নেমেছেন শিশু-কিশোররা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’

২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছেন ক্লান্ত মানুষজন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।

উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বাজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ অ্যালার্ট (তীব্র তাপদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই গণসংযোগ চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজপথের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্ব প্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলব, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথাবার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন বা কোরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে অনলাইন মাধ্যম জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ-এ ঈদপুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মূলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে।

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত
১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ
হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান
আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
স্বচ্ছতার সাথে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র গরমের মধ্যেই ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহত
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন