বগুড়ায় হঠাৎ আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতাল ভর্তি, আর তাতে ছুটে যাওয়া স্ত্রী রিয়ামনির। সব মিলিয়ে আবারো আলোচনার কেন্দ্রে উঠেছে হিরো আলম ও রিয়ামনির সম্পর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন ছড়িয়ে পড়ে ‘ডিভোর্স হয়েছে’ এমন তথ্য, তখনই রিয়ামনি জানিয়ে দিলেন—“আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমানে এসব বলেছিলেন।”
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ামনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি বারবার বলেছি, আমাদের মাঝে তৃতীয় একজন ঢুকে পড়েছিল। সেখান থেকেই যত জটিলতা। এখন ধীরে ধীরে হিরো আলম ঠিক হচ্ছেন। শিগগিরই তিনি মিডিয়ার সামনে আসবেন, তখন সব পরিষ্কার হবে।”

এদিকে হিরো আলমের অতীত অভিযোগ ছিল রিয়ামনিকে ঘিরেই। বাবার মৃত্যুর সময় পাশে না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সংসার না করার ঘোষণা দেন। তখন রিয়ামনি বিষয়টিকে ব্যক্তিগত ক্ষোভ বলে মন্তব্য করেছিলেন। বলেন, “উনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এমন কথা বলছেন।”
তবে এরপর রিয়ামনি পারিবারিক আদালতে ১২ লাখ টাকার দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের দাবি করে একটি মামলা করেন। তার ভাষায়, “আমি এখনো কোনো তালাকনামা হাতে পাইনি। আইনি দিক থেকে এখনো আমি তার স্ত্রী। সে আমার খোঁজখবরও নেয় না। তাই দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের জন্য আদালতে মামলা করেছি।”
অন্যদিকে, হিরো আলম গত ২১ জুন স্ত্রী রিয়ামনির বিরুদ্ধে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় পরকীয়ার অভিযোগ এনে মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, রিয়ামনিকে ভাড়াবাড়িতে অপর একজন পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে মারধর করা হয় এবং তার গলার সোনার চেইন চুরি হয় বলে উল্লেখ করেন হিরো আলম।

এতসব নাটকীয় ঘটনার মাঝেই ২৮ জুন সকালে বগুড়ার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হিরো আলমকে। প্রাথমিকভাবে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছুটে যান রিয়ামনি। হাসপাতালের সঙ্গেই আবার নতুন করে আলোচনায় আসে তাদের সম্পর্ক।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—যদি সত্যিই তালাক হয়ে থাকে, তাহলে রিয়ামনি কেন নিজেকে হিরো আলমের স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন? রিয়ামনির জবাব পরিষ্কার, “কোনো কাগজপত্র ছাড়াই তালাকের ঘোষণা দিয়ে মিডিয়ায় বলে বেড়ানো হচ্ছে। আমি এখনো আইনত তার স্ত্রী। আর আমি এখনো ওর প্রতি দায়িত্বশীল।”