বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

যে কারণে শিলা বৃষ্টি হয়

ছবি সংগৃহিত

শিলাবৃষ্টি আমাদের দেশের জন্য নতুন কিছু নয়। আমাদের দেশে বৈশাখ মাসের আগে ও পরে শিলাবৃষ্টি দেখা যায়। সাধারণত গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমের কারণে শিলাবৃষ্টি হয়। ওয়েদার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গ্রীষ্মকাল না বলে প্রাক-মৌসুমী সময় বলা যায়। সেটি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এটি সাধারণত মার্চ মাসের শেষের দিকে শুরু হয়। কখনো কখনো ফেব্রুয়ারিতেও দেখা যায়।

চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে সাধারণত বিকেলের দিকে যে স্বল্পস্থায়ী প্রবল ঝড় হয়, তা কালবৈশাখী নামে পরিচিত। কোনো স্থানের আবহাওয়া হঠাৎ খুব উত্তপ্ত হলে সেখানকার বাতাস হালকা হয়ে দ্রুত ওপরের দিকে উঠে যায়। একে বলা হয় বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপ।

বাংলাদেশে মার্চ-এপ্রিলে শিলাবৃষ্টির প্রবণতা বেশি। এর সঙ্গে আবহাওয়ার পাশাপাশি ভৌগলিক কারণও জড়িত। আবহাওয়ার ধর্ম হলো, উষ্ণ বায়ু উপরের দিকে উঠবে আর শীতল বায়ু নিচের দিকে নামবে। এর মধ্যে যদি শীতল পানির উৎস পাওয়া যায়, তখন মেঘে বরফ জমতে থাকে। একপর্যায়ে বেশি ভারী হয়ে গেলে বাতাস আর সেটি ধরে রাখতে পারে না। তখন বজ্রমেঘের সঙ্গে সেই বরফ নেমে আসে শিলাবৃষ্টি হয়ে।

ঝড়ো আর সংকটপূর্ণ আবহাওয়াতে যখন শক্তিশালী বায়ু প্রবাহ উপরের দিকে উঠতে থাকে, তখন শিলা তৈরী হয়। যখন ‘convective cell’ তৈরী হয়, তখন উষ্ণ বায়ু উপরের দিকে উঠতে থাকে, আর শীতল বায়ু নিচের দিকে নামতে থাকে।

যখন সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ খুব শীতল পানির উৎস পাওয়া যায়, তখন মেঘে বরফ জমতে থাকে ঐ শীতল পানির দানা আর শীতল বায়ুর সংমিশ্রণে। উর্ধ্বমুখী বায়ু এমন একটা অবস্থানে পৌঁছায় যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে চলে যায়, অর্থাৎ যেখানে পানি বরফ হতে শুরু করে।

এক পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী বায়ুতে সৃষ্ট বরফ খণ্ডগুলো ঐ বায়ুর প্রবাহ থেকে ছুটে গিয়ে নিচের দিকে পড়তে থাকে। এই ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর উপরে উঠে যাওয়ার পরে বরফ কণা সৃষ্টি হয়ে নিম্নগামী হওয়ার প্রক্রিয়া পুনঃ পুনঃ চলতে থাকে এবং বরফ কণার উপর বার বার আস্তরণ জমা হয়ে তা বরফ খণ্ডের আকার নেয়।

এই ঊর্ধ্বমুখী বাতাসের কিন্তু বেশ ভালোই গতি থাকতে হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই গতি ৬০ মাইল/ঘন্টা ও হতে পারে। মজার ব্যাপার হল, আমরা যদি একটা শিলা খন্ড-কে অর্ধেক করে কেটে নিতে পারি, তাহলে এর ভেতর কার কেন্দ্রিভূত স্তরগুলো আমাদের কাছে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে ।

যখন শিলা ঊর্ধ্বাকাশ থেকে পতিত হতে থাকে, তখন এটি পতনশীল অবস্থায় কিছুটা গলে যায়, আর এমন তাপমাত্রায় এটা গলে যার কারণে এটা আবার ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর সাথে উপরে উঠে যায়। সুতরাং এর থেকেই বোঝা যায় যে খুব বড় আকারের শিলাখন্ড আসলে অনেক বারের পুনঃ প্রক্রিয়ার ফসল।

এই শিলাখন্ড গুলো বৃষ্টির পানির কণা বা মেঘ কে আশ্রয় করে এবং যখন এগুলো ক্রমশ ভারি হয়ে উঠে এবং ঊর্ধ্বগামী বায়ু আর এতটা ভারি কণা বহন করতে পারে না, তখন শিলাখন্ড বৃষ্টির সাথে ভূমিতে পতিত হতে থাকে। যাকে আমরা শিলাবৃষ্টি হিসেবে দেখতে পাই।

গড়ে একটা শিলার ব্যস হয় ৫ থেকে ১৫০ মিলিমিটার এর মধ্যে। শিলাবৃষ্টি কে ইংরেজি তে বলা হয় ‘Hail storm’, যদিও এটাকে ঠিক ঝড় বলা যায় না, এটা আসলে বজ্র- বৃষ্টির মত বড় কোনো ঝড়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আসলে, শিলাবৃষ্টি তৈরী- ই হয় ঝড়ের মেঘ থেকে।

শিলাবৃষ্টি যে মেঘ থেকে তৈরী হয় তাকে বলে ‘Cumulonimbus clouds’ যুক্তরাজ্যের কলোরেডোতে এর বাসিন্দারা রীতিমতো শিলাবৃষ্টির একটা ঋতুই পায়, যাকে ‘Hail storm season’ বলে, যা প্রায় মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়্। সাধারণত শিলাবৃষ্টির স্থায়িত্ব ১৫ মিনিটের বেশি হয় না।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০০ ফিলিস্তিনি, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১০০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু। সংস্থাটি জানায়, বুধবার গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েল দিনভর আক্রমণ চালায়। নিহতদের মধ্যে অনেকেই খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিতে বের হয়েছিলেন।

স্থানীয় হাসপাতাল ও সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, নিহতদের বড় একটি অংশ নারী ও শিশু। হামলার ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বহু আহত ব্যক্তি পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের চলমান অভিযানকে ‘মানবতাবিরোধী’ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

প্রবাসে বসবাসরত ৪৭ হাজার বাংলাদেশির এনআইডি আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে বসবাসরত প্রায় ৪৭ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৯টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ দেশগুলো থেকে মোট ৪৬ হাজার ৯৮২টি আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আবেদন ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, “আগামী ১৫ জুলাই থেকে জাপানে ভোটার কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রেও আমরা দ্রুত কার্যক্রম চালু করতে পারব বলে আশা করছি।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাচন অফিসে বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে ২২ হাজার ৫৭৫টি আবেদন। ইতোমধ্যে ২০ হাজার ২৬৬টি আবেদন যাচাই শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৪৯৫টি আবেদন। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট ৯টি দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আঙুলের ছাপ ও ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৫০ জন আবেদনকারীর।

দেশভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে—মোট ১৯ হাজার ৫৬২টি। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে—মাত্র ১৫৩টি। এছাড়া, বিভিন্ন কারণে যাচাই-বাছাই শেষে ৩ হাজার ৬৪৬টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রমকে সহজ ও কার্যকর করতে দূতাবাসের সহযোগিতায় তথ্য সংগ্রহ, ছবি ও আঙুলের ছাপ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে করে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা সহজেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি চারটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিলেন যে বাঙালি পাইলট

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৭ সালের জুন মাস। ইসরায়েল হঠাৎ হামলা চালায় আরব দেশগুলোর ওপর। পাঁচ দিনে ধ্বংস করে দেয় মিশরের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান। জর্ডানের মাফরাক ঘাঁটিতেও আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। কিন্তু সেদিন, এক বাঙালি পাইলট বদলে দেন যুদ্ধের দৃশ্যপট।

তিনি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম। তখন ছিলেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সদস্য। জর্ডান সরকারের আহ্বানে জর্ডান বিমান বাহিনীর হয়ে লড়তে যান। ৫ জুন, নিজের হান্টার যুদ্ধবিমানে চড়েই মাফরাকের আকাশে তিনি গুলি করে ভূপাতিত করেন ইসরায়েলের একটি ‘মিস্টেয়ার’ জেট। পরে ইরাকে গিয়েও ৭ জুন ভূপাতিত করেন আরও দুটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।

এখানেই শেষ নয়। এর আগে, ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে ভারতের একটি যুদ্ধবিমানও গুলি করে ধ্বংস করেছিলেন সাইফুল। এভাবে তিনি একমাত্র পাইলট যিনি চারটি ইসরায়েলি ও একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেন—তাও চারটি ভিন্ন দেশের হয়ে লড়াই করে: পাকিস্তান, জর্ডান, ইরাক এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশের বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়ে ইতিহাস গড়েন।

জীবনভর সাহস, দক্ষতা ও নৈতিকতা দেখানো এই বীর পাইলট ২০০১ সালে ‘লিভিং ঈগল’ হিসেবে আন্তর্জাতিক হল অব ফেমে স্থান পান। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে এমপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালে মৃত্যুর পর ইসরায়েলি সংবাদপত্রেও প্রশংসিত হন এই বাঙালি।

সাইফুল আজম—শুধু একজন পাইলট নন, তিনি ইতিহাসের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। যিনি আকাশে নিজের প্রতিভা দিয়ে রচনা করেছিলেন অসম্ভবকে সম্ভব করার এক অনন্য উপাখ্যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০০ ফিলিস্তিনি, আহত শতাধিক
প্রবাসে বসবাসরত ৪৭ হাজার বাংলাদেশির এনআইডি আবেদন
ইসরায়েলি চারটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিলেন যে বাঙালি পাইলট
পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতা বাঘের অস্তিত্বের নতুন প্রমাণ
আজ থেকে শুরু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ!
১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ’, ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ’ দিবস ঘোষণা
জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
ইসরায়েলে আবারও ড্রোন হামলা
এবার ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকায় ছাত্রলীগ নেতার নাম!
দেশে আজ ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
ইরান-ইসরায়েল বাচ্চাদের মতো মারামারি করছিল, আমি থামিয়েছি : ট্রাম্প
স্ত্রীকে হত্যা: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অংশ নেয়ায় দায়মুক্তি চান ভারতীয় কমান্ডো!
মুক্তিযুদ্ধসহ অতীতের সব ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির
নীলফামারীতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহের দায়িত্বে সাইদুর রহমান রয়েল
হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ
আশুরা ও রথযাত্রা উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
যমুনা সেতু মহাসড়কে ৫৯ লাখ টাকার মালামালসহ ট্রাক ডাকাতি, গ্রেফতার ২
‘প্রজাপতি ২’ থেকে ফারিণকে বাদ, দেবের বিপরীতে নতুন মুখ
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৬ জন