
কম-শর্করার পথ্য কি মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়?
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৫৪ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২১ এএম

'প্রমাণ-নির্ভর চিকিৎসা বিজ্ঞান' বা 'এভিডেন্স বেজড মেডিসিন' হচ্ছে বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে বাস্তবতার নিরিখে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে চিকিৎসা পরামর্শ তৈরি করা। 'প্রমাণ-নির্ভর বিজ্ঞান' এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য হলো প্রণালীবদ্ধ পর্যালোচনা বা 'সিস্টেমেটিক রিভিউ'।
'কিটো-ডায়েট' এর ব্যাপারে এরকম দুটো রিভিউ আজ আলোচনা করছি।
ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি (ESC) হচ্ছে ১৫০টিরও বেশি দেশের হৃদরোগ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পেশাজীবিদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন। প্রায় আশি হাজার বিশেষজ্ঞ এবং সাতান্নটি জাতীয় হৃদরোগ সমিতি এর সদস্য।
ইএসসি'র বার্ষিক সম্মেলন বা কংগ্রেস হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী সম্মেলন। এখানে উপস্থাপিত বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের আলোকে বিভিন্ন হৃদরোগ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা বা গাইডলাইন তৈরি হয়, পরবর্তীতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের চিকিৎসকরা এই নীতিমালাগুলো অনুসরণ করেন।
২০১৮ সালে আগষ্ট মাসের ইএসসির সম্মেলনে লো-কার্ব ডায়েটের উপর একটা বড় গবেষণার ফল উপস্থাপন করা হয়। এতে পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হয়, দীর্ঘ মেয়াদে লো-কার্ব ডায়েটগুলো বিপদজনক আর তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
গবেষণার ফল ব্যাখ্যা করে পোল্যান্ডের উঝ (Lodz) মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষক প্রফেসর মা'চেই বানাখ (Maciej Banach) বলছেন: ‘আমরা দেখছি যারা লো-কার্ব ডায়েট বা কম শর্করার খাবার গ্রহণ করেছিলেন তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি ছিল। শুধু তাই না, আলাদা করে করোনারি হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সার - এগুলোতে মৃত্যুর ঝুঁকিও ছিল বেশি। তাই এই ডায়েটগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।''
স্থুলতা বা মেদবাহুল্য দুনিয়াজুড়ে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারসহ বেশ কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি তৈরি করে।
ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন রকম ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি হলো, 'লো-কার্ব' ডায়েট বা কম শর্করাসহ বেশি আমিষ ও বেশি চর্বি সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের দেশে বহুল আলোচিত 'কিটো ডায়েট' 'লো-কার্ব' ডায়েটগুলোর মধ্যে একটি। এই ডায়েটের দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নিয়ে এতোকাল বিতর্ক ছিল৷
আগের গবেষণাগুলোতে হৃদরোগ বা স্ট্রোক, ক্যান্সার এবং মৃত্যুর ঝুঁকিতে 'লো-কার্ব' ডায়েটের প্রভাব নিয়ে পরস্পর-বিরোধী ফল দেখানো হয়েছিলো।
নিয়ম অনুসারে খাবারে শক্তির উৎস বা ক্যালোরির ৫০ থেকে ৫৫ ভাগ আসা উচিত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থেকে। এর পরিমাণ যদি বিশ ভাগের কম হয় তাহলে একে 'লো-কার্ব ডায়েট' বা কম শর্করার পথ্য বলতে পারি।
এবারের গবেষণায় মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি জরিপ (National Health and Nutrion Examination Survey) এর ২৪ হাজার ৮২৫ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে 'লো-কার্ব' বা কম শর্করার ডায়েট এর সঙ্গে যে কোনো কারণে মৃত্যু এবং করোনারি হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ, সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ (স্ট্রোক সহ) এবং ক্যান্সারের মধ্যকার সম্পর্কের সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হয়েছে (১৯৯৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত)। এতে দেখানো হয়, 'লো-কার্ব' ডায়েট অনুসারীদের যে কোন কারণে মৃত্যু ৩২ শতাংশের বেশি। করোনারি হার্ট ডিজিজ (হৃদরোগ), সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ (স্ট্রোক) এবং ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি যথাক্রমে ৫১%, ৫০% এবং ৩৫% বেড়েছে।
যারা মেদবাহুল্য বা স্থূলতায় ভুগছেন না অথচ লো-কার্ব ডায়েটের অনুসারী ছিলেন আর যারা বয়স্ক তাঁদের মধ্যে এ ঝুঁকির প্রবণতা ছিল বেশি।
NHANES এর গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৪৭.৬ বছর, এবং ৫১% ছিলেন নারী।
পরবর্তীতে সাতটি বড়সড় সমীক্ষা ও গবেষণা নিয়ে একটি অধি-বিশ্লেষণ (Meta-analysis) করা হয়। এতে ছিলেন মোট ৪৪৭,৫০৬ জন অংশগ্রহণকারী এবং গড়পড়তা ১৫.৬ বছর ধরে এদের অনুসরণ করা হয়। এতে পাওয়া গেছে, লো-কার্ব ডায়েট অনুসারীদের হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সারে অতিরিক্ত মৃত্যু ঝুঁকি হচ্ছে যথাক্রমে ১৫%, ১৩%, এবং ৮%।
অধ্যাপক বানাখ বলেছেন: "কম শর্করার ডায়েটগুলি ওজন কমাতে, রক্তচাপের উন্নতি করতে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে স্বল্পমেয়াদে কার্যকর হতে পারে তবে এ গবেষণায় বোঝা যায় যে দীর্ঘমেয়াদে এগুলি সরাসরি মৃত্যু-ঝুঁকির সাথে যুক্ত রয়েছে এবং এতে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (হৃদরোগ), সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ (স্ট্রোক) এবং ক্যান্সার।
কম-শর্করা ডায়েট এবং মৃত্যুর মধ্যে সম্পর্কের কারণ সম্পর্কে অধ্যাপক বানাখ বলেছেন, প্রাণীজ প্রোটিন, বিশেষত লাল এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ফাইবার এবং ফল কম খেলে প্রাণীজ আমিষ, কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে করে খনিজ, ভিটামিন এবং ফাইটোকেমিক্যালগুলি গ্রহণের তারতম্যও ঘটে। এ ব্যাপারটাও উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে।
একই মাসে চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট এ প্রকাশিত আরেকটি বড় অধি-বিশ্লেষনে (Meta-analysis) শর্করা গ্রহণের সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকির সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। লো-কার্ব ডায়েট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির, তারপর রয়েছে হাই-কার্ব ডায়েট।
গণমাধ্যম বিবিসির শিরোনাম হয় এ গবেষণা, বলা হয় লো-কার্ব ডায়েট অন্তত চার বছর আয়ু কমিয়ে দিতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেরা পাঠ্যপুস্তকগুলোর কোনটাতেই ওজন কমানোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদি লো-কার্ব ডায়েটের পক্ষে বলা হয়নি।
যুক্তরাজ্যের ডায়েবেটিক সমিতি পাঁচটি লো-কার্ব ডায়েটের ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে সেলেব্রিটি মেগান ফক্স, কিম কার্দাশিয়ান ও রিহানার আনুকূল্য পাওয়া 'কিটো ডায়েট'।
লেখক: এমবিবিএস, এমফিল (ফার্মাকোলজি), কনসালট্যান্ট, জেরিয়াট্রিক মেডিসিন, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, ইংল্যান্ড

ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।
কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পিএম

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।
পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।
ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।
যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’
এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।
তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।