রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

এবার সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে সৌদি আরব

ইরানের পর এবার সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এর মধ্যে দিয়ে দামেস্ক আবারও আরব ব্লকে ফিরতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিনের বিরতির পর দূরত্ব ঘুচিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান ও সৌদি আরব এবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চলেছে। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে। ইরানের পর এবার সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে চলেছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া হচ্ছে তেহরানের দীর্ঘদিনের মিত্র।

রয়টার্স জানায়, এক দশকেরও বেশি আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এখন সিরিয়া ও সৌদি আরব আবারও তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে।

দামেস্কের সঙ্গে সংযুক্ত একটি আঞ্চলিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক যুগান্তকারী এক চুক্তির পর রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে যোগাযোগে ব্যাপক গতি পেয়েছে।

রয়টার্স বলছে, রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা আরব রাষ্ট্রগুলোর পদক্ষেপের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে বিবেচিত হবে। কারণ ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে অনেক পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্র সিরিয়াকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেছিল।

দামেস্কের সঙ্গে সংযুক্ত আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে ঈদুল ফিতরের পরে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশের সরকার।

এ ছাড়া আঞ্চলিক একটি সূত্র ও উপসাগরীয় কূটনীতিকের মতে, সিরিয়ার একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে সৌদি আরবে আলোচনার ফলাফল হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সৌদি আরব সরকারের যোগাযোগ অফিস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে সিরিয়া সরকারও মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সৌদির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য আলোচনা চলছে।

এদিকে সিরিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর এই ধরনের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করছে বলে জানায় রয়টার্স। এর কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন সংঘাতের সময় আসাদ সরকারের বর্বরতার কথা উল্লেখ করেছে এবং সিরিয়ায় রাজনৈতিক সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দেশটি।

এসএন

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি, ৩৬টি ককটেল, একটি প্রাইভেট কার এবং একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস—যা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এ ছাড়া, পরিকল্পিত একটি বড় ধরনের স্বর্ণালংকার ডাকাতির ছকও নস্যাৎ করেছে ডিবি।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলেন- মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮), শাকিল (২১), মামুন (৪০), মো. রাব্বি (২৬), মো. আসাদ মিয়া (৪৫), মো. পলাশ শেখ (৩৭) এবং আনোয়ার হোসেন (৪৪)। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার এবং পলাশ শেখ বরিশাল জেলার বাসিন্দা। এই দুইজনই এই ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বে ছিলেন বলে ডিবি নিশ্চিত করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের ৭ সদস্য এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। ছবি: সংগৃহীত

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১০ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবির একটি দল। প্রথম ধাপে মাসুদ রানা চৌকিদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি ৭.৬২ এমএম পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি। জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতির পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩৬টি শক্তিশালী ককটেল উদ্ধার করে ডিবি। পরবর্তীতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করে এবং প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ধারণ করে আদালতে উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেয়।

ডিবি কর্মকর্তারা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে জড়ো হচ্ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল গোপালগঞ্জ জেলার বৌলতলী বাজারে অবস্থিত নিউ ডলি জুয়েলার্সে ডাকাতি চালানোর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোররাতে তারা দনিয়া কলেজে একত্র হয় এবং ডাকাতি করতে রওনা দেওয়ার আগ মুহূর্তেই ডিবির নজরে পড়ে।

সকাল ১০টার দিকে একটি প্রাইভেট কার ও একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে করে ডাকাত দলের আরও সদস্যরা সেখানে আসে। ডিবি তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে গাড়িসহ চারজন—শাকিল, মামুন, মো. রাব্বি ও মো. আসাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরের দিকে ধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাতি পরিকল্পনার মূল হোতা মো. পলাশ শেখ এবং আনোয়ার হোসেনকে।

ব্রিফ করছেন ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তার হওয়া এই সাতজনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার রেকর্ড রয়েছে। ডিবির দাবি, এরা দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের হয়ে বিভিন্ন জেলায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে আসছিল। তারা আগে রেকি করত এবং তারপর অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করত।

ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৮৭ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় সংঘটিত জুয়েলার্স ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এর মধ্যে বনশ্রীর ডাকাতি, সীমান্ত সম্ভারের ক্রাউন জুয়েলার্স, ডেমরার ফারদিন জুয়েলার্স এবং শিল্পী জুয়েলার্সের ঘটনায় গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে স্বর্ণালংকারের দোকানগুলো টার্গেট করে কাজ করে এমন কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই চক্রগুলো রেকি করে, অস্ত্র সংগ্রহ করে এবং গাড়ি ব্যবহার করে বড় ধরনের হামলা চালায়। এই চক্রগুলোর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সব সদস্যের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলাও করা হচ্ছে। পুলিশ আশা করছে, এদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।

Header Ad
Header Ad

আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের

ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জনগণের যে সম্পদ লুটপাট করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত। তিনি দাবি করেন, দলটি এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি ‘সীমান্তপারের ষড়যন্ত্রকারী শক্তি’ হিসেবে কাজ করছে।

রবিবার (১১ মে) দুপুরে পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

নুর আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ দল আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।” তিনি অভিযোগ করেন, “বিরোধী দলসমূহ একটি সমাবেশ করার পর প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অথচ আওয়ামী লীগের মাত্র ৩২ জন নেতাকর্মীও গ্রেফতার হয়নি।”

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলে সেটি দেশের জন্য ভবিষ্যতে বড় সংকট হয়ে দাঁড়াবে। তিনি অভিযোগ করেন, দলটি গত নয় মাস ধরে দেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করেছে।

নুর আরও বলেন, “আমরাও যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে প্রধান উপদেষ্টা তরুণদের বক্তব্য শুনে দেশের ভবিষ্যতের গতি নির্ধারণ করতে চান। সে বিশ্বাস থেকেই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।”

সরকারের অভ্যন্তরে ‘আপসকামী উপদেষ্টা’ থাকার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে গোপন বৈঠক করছেন। এরপরই করিডর দেওয়ার ঘোষণা আসে এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।”

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নুর। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির পালিয়ে যাওয়ার দায় শুধু একজন জেলা পুলিশ কর্মকর্তার নয়, এর সঙ্গে ইমিগ্রেশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”

নুর সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই সরকার আমাদের রক্ত-ঘাম ও জেল-জুলুমের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। আবারও যদি আমাদের এই সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামতে হয়, সেটি হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

এক অভূতপূর্ব নাটকীয়তায় দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই, লুঙ্গি, গেঞ্জি ও মাস্ক পরে গভীর রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছান তিনি। একে ‘নিরাপদ দেশত্যাগের গোপন অভিযান’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। রাষ্ট্রপতির মতো একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির এমন ছদ্মবেশে দেশত্যাগের ঘটনা জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।

বুধবার রাত প্রায় ১২টা ৪৫ মিনিট। আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত গাড়ি পৌঁছায় শাহজালালের ভিআইপি টার্মিনালে। সেখানে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে আরোহীদের পরিচয় জানতে চান। চালক জানান, গাড়িতে রয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবার। তখনও স্পষ্ট করা হয়নি, তিনি নিজেই গাড়িতে রয়েছেন। কিছুক্ষণ পর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন এবং জানান, তার বহির্গমনের অনুমতি রয়েছে।

আবদুল হামিদ প্রথমে লুঙ্গি, গেঞ্জি এবং মাস্ক পরে ছিলেন, যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কক্ষের ভেতর নিয়ে যাওয়ার আগেই গাড়ির মধ্যেই তিনি ছদ্মবেশ থেকে বেরিয়ে সাধারণ প্যান্ট-শার্ট পরে নেন। এমন গোপনীয়তা সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা মিশন বা নিরাপত্তা-হুমকির সময় দেখা যায়, অথচ এবার তা ঘটল সাবেক একজন রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে।

সব ধরনের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশন প্রটোকল এড়িয়ে, কোনও রকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই আবদুল হামিদকে বিমানে তুলে দেওয়া হয় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (TG340)। বিমানটির অবস্থান পরিবর্তন করে ভিআইপি টার্মিনালের কাছে এনে রাখা হয় যাতে তাকে সরাসরি বিমানে নেওয়া যায়। তিনি বিমানে ওঠার পর কিছু সময় পর তার ছেলে রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডা. এনএম নওশাদ খানও বিমানে ওঠেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি দেশ ত্যাগ করেন কূটনৈতিক মর্যাদার ‘লাল পাসপোর্ট’ (নম্বর D00010015) ব্যবহার করে, যেটি তার রাষ্ট্রপতি থাকার সময় ২০২০ সালে ইস্যু করা হয়েছিল। এই পাসপোর্টটির মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্যভাবে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হলেও আবদুল হামিদের পাসপোর্ট বাতিল হয়নি, যা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিমানবন্দরের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কেউ কোনো বাধা দেননি। পুলিশ, এভসেক, সিভিল এভিয়েশন কিংবা ইমিগ্রেশন—সব পক্ষই ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। এমনকি ইমিগ্রেশনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তিকে সরাসরি উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, কিন্তু আবদুল হামিদের ক্ষেত্রে সেটাও অনুসরণ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ইমিগ্রেশন অফিসারদের সামনে হাজির করা হয়নি—কারণ অনেকেই ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানে।

তথ্য অনুযায়ী, আবদুল হামিদের টিকিট ছিল দিল্লি পর্যন্ত, যদিও ফ্লাইটের রুট ব্যাংকক হয়ে। ১৬ জুন তার ফিরে আসার একটি টিকিট কনফার্ম করা রয়েছে। তবে আদৌ তিনি ফিরবেন কি না—তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।

এখনো পরিষ্কার নয়, কেন সাবেক রাষ্ট্রপতির এমন গোপন ও নাটকীয় প্রস্থান ঘটল। অনেকেই বলছেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত নিরাপদ বহির্গমন—সম্ভবত নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় তার ভূমিকার কারণে। আবার কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, তিনি হয়তো কোনো বিশেষ মিশনে বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই দেশ ছাড়লেন। তবে সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ
সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপির কথা মিলে গেছে: এ্যানি
নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না: ডিআইজি
টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, নাভিশ্বাস জনজীবনে
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, গ্রেপ্তার চাচা
লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে মারধর, নেহালসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতে ব্লক পিনাকী, ইলিয়াস, কনক ও জুলকারনাইনের ইউটিউব চ্যানেল
চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় আফগানিস্তান, ভারতীয় প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি
এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল
‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী
লা লিগার মোড় ঘুরাতে আজ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ
দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
মেসির দুর্দান্ত গোলেও রক্ষা হয়নি, মিনেসোটার কাছে বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি