সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন ও অনৈতিক কনটেন্ট ছড়িয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত হানার অভিযোগে জনপ্রিয় টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং লায়লার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম।
নোটিশে বলা হয়েছে, মামুন ও লায়লার টিকটক, ইউটিউব এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও কনটেন্টগুলো অশ্লীল, নীতিবিরোধী এবং ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী। এগুলো সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভুল পথে পরিচালিত করছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, এই কনটেন্টগুলো দেশের প্রচলিত আইন ও সামাজিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে, সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে এসে আবারও আলোচনায় আসেন মামুন। লাইভটি করেন লায়লার বাসায় ঢুকে। প্রায় ৩০ মিনিট দীর্ঘ সেই লাইভে লায়লার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগ করেন, লায়লা তার ব্যক্তিগত কিছু ভিডিও অনুমতি ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এসময় লায়লার সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়ান মামুন, যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
লাইভে মামুন বলেন, “আমার নামে পাঁচটা মামলা দিয়ে আটকে রেখেছ। অন্য কারও সঙ্গে মিশতে দাও না। মোবাইল থেকে আমার ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিয়ে খারাপ ক্যাপশন দিয়ে ছেড়ে দাও। আমার জীবন শেষ করে দিয়েছ।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “লায়লা আমাকে হুমকি দিয়েছে, আইন ছাড়া আরও অনেক কিছু আছে যা দিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করে দেবে। আমি জানি, লাইভে এসে নিজেকে বাঁচাতে পারব না, কিন্তু অন্তত সবাইকে সত্যটা বলতে চাই।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে লায়লা মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তারের পর মামুন কিছুদিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান। জামিনের পর দুজনের সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হলেও তা বেশিদিন টেকেনি। বর্তমানে তারা ফের প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়েছেন।