তিস্তায় আরো দুটি কৃত্রিম খাল ও দুটি জলবিদুৎ তৈরি করছে ভারত

১৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম


তিস্তায় আরো দুটি কৃত্রিম খাল ও দুটি জলবিদুৎ তৈরি করছে ভারত

প্রতিবেশী দেশ ভারত তার কৃষি ব্যবস্থার জন্য আন্তঃসীমান্তের নদী তিস্তার জলকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় চোখ তুলে তাকিয়েছে। বাংলাদেশ বলছে, এটি উদ্বেগজনক যেহেতু নদীটি যৌথ ও এর গতিপথ পরিবর্তন বাংলাদেশের নিচুব্যবস্থার কৃষিজমিগুলোর সর্বনাশ ডেকে আনবে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) কথাগুলো বলেছেন ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভারতের কেন্দ্রীয় জল কমিশনকে একটি রাষ্ট্রীয় পত্র প্রেরণ করবে। যেখানে প্রতিবেশী দেশটি অন্বেষণ করবে স্বাদু ও পরিস্কার পানিকে ভাগ করার ব্যাখ্যা।

গেল সপ্তাহে একটি ভারতীয় দৈনিক খবর প্রকাশ করেছে, পশ্চিমবঙ্গের জলসেচ বিভাগ আনুমানিক ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে আরও দুটি বিরাট আকারের কৃত্রিম খাল খননের জন্য যাতে এই তিস্তা নদীর বাঁধে সেগুলো তৈরির মাধ্যমে তাদের কৃষিগত বিষয়গুলো সম্পাদন করতে পারে। এই নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে ভারত তার হিমালয়ের তীরের পশ্চিমবঙ্গীয় শহর দার্জিলিংয়ে আরও তিনটি জলবিদুৎ প্লান্টও তৈরি করবে। যেগুলোর দুটিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হবে বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির দৈনিক টেলিগ্রাফ।

বাংলাদেশের খবরের বিস্তারিত হলো, দেশটি ভারতকে একটি ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য লিখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ও সেখানে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করবে এই সবগুলো প্রকল্প সম্পর্কেই যেগুলোতে ভারত সরকারের এই যৌথ নদীটির পানিগুলোতে তাদের দিকে কৃষির কাজে ব্যবহারের জন্য নেবার প্রশ্নগুলোও থাকবে।

৪১৪ কিলোমিটার বা ২৫৭ মাইলের তিস্তা নদীটি হিমালয়ের ভারতীয় পশ্চিম অংশ থেকে জন্মেছে ও বাংলাদেশের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বাংলাদেশের মোট ৫৭টি আন্ত:সীমান্ত নদী রয়েছে। তার ৫৪টিই ভারত ও বাকি তিনটি মিয়ানমারের ভেতর থেকে এসেছে।

যৌথ নদী কমিশনের সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন আরও বলেছেন, 'তারা (ভারত) আমাদের জানানো উচিত ছিল। তবে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনোকিছুই জ্ঞাত হইনি। এর ফলে আমরা একটি ‘ডেমি-অফিশিয়াল লেটার’ আমাদের ভারতীয় পক্ষকে প্রেরণ করবো, যেখানে এই বিষয়ের মূল জিজ্ঞাস্যগুলো থাকবে ও মূল বিষয়গুলোতে প্রশ্ন করা হবে এবং আমরা আমাদের উদ্বেগ ও সংকট জানাবো, যেগুলোর মধ্যে এমন একটি উদ্যোগ বাংলাদেশে তিস্তার নিম্মধারা কিভাবে প্রভাব ফেলবে সেটিও লেখা হবে।'

‘যৌথ নদী কমিশন সাধারণত বাংলাদেশের মোট ৫৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমিকে শুকনো বা গ্রীষ্মকালীন মৌসুমগুলোতে কৃষি কাজের জন্য পানি সরবরাহ করে। তবে এই বছর মোটে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পানি প্রবাহিত করতে পেরেছে। এর কারণ হলো তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহই ছিল না। এর পেছনে তিন্তা নদীতে বাঁধের পাশাপাশি আরো দুটি কৃত্রিম খালের কাজ’ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

তিস্তা নদী বাঁধ প্রকল্প মোট ২৭ মাইল বা ৪৪ কিলোমিটার জুড়ে, সেটি বাংলাদেশের নীলফামারীর উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত। এই প্রকল্পটিকে ভারত ১৯৭৯ সালে চালু করেছে।

‘ভারতের ওপরের অংশ থেকে নিম্মধারায় বাংলাদেশী প্রবাহিত তিস্তা নদীটি দেশটির পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও তাদের জলসেচের কার্যক্রমের জন্য শুকনো বা গ্রীস্মকালীন মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে প্রায় মরে যায়’ এই কথাগুলোর উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবুল হোসেন আরো জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে এই নদীটির পানিকে যদি ভাগ করে ফেলা হয় তার ফলে তিস্তার পুরো বাস্তুসংস্থানই তার নিম্মধারায় প্রবলভাবে ভুগবে।’

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের একেবারে কম পানি প্রবাহও থাকে না তিস্তা নদীতে শুকনো মৌসুমে, আমরা প্রাপ্য পাই না। তখন কোনো পানি, কোনো মাছ খুঁজে পাওয়া যায় না নদীটিতে। কেবল অসংখ্য চর বা বালির সৈকত থাকে ওপরের প্রাকৃতিকভাবে প্রবাহিত ভারতীয় নদী অংশের পানির ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে।’

মোহাম্মদ আবুল হোসেন উল্লেখ করেছেন, ‘তারা জোর করে এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছে।’

বাংলাদেশের নৌমন্ত্রী জাহিদ ফারুকও জানিয়েছেন, ভারতের তিস্তা নদীর ওপর নতুনভাবে দুটি বিরাট কৃত্রিম খাল খনন ও দুটি জলবিদুৎ প্রকল্প তৈরির কাজে বাংলাদেশের উদ্বেগ রয়েছে। তিনি রাজধানী ঢাকাতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের সরকার এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান করতে নয়াদিল্লীকে বলবে।

সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শেহেলি সাবরিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ও ভারতের সাড়া প্রদানের ওপর ভিত্তি করে সঠিক অ্যাকশনে যাবে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর বারবার নিশ্চয়তা প্রদান সত্ত্বে, যেগুলোর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাস ও নিশ্চয়তা রয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রতিরোধ হলেও বাংলাদেশ গত ১২ বছর চেষ্টা করেও দীর্ঘকালের পানি-ভাগাভাগির চুক্তিটি প্রতিবেশী ও বড় দেশ ভারতের সঙ্গে করতে পারেনি।

বাংলাদেশের ১১টি ছোট নদী যেগুলোর বেশিরভাগ উত্তরের জেলাগুলোতে প্রবাহিত, সেগুলো তিস্তা নদীর ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এই নদীর পানি প্রবাহ থেমে যাওয়ায় এই নদীগুলোও মারা যাচ্ছে। এর কারণও হলো, ওপরের ভারতীয় অংশে প্রবাহিত ধারাগুলোতে স্বজ্ঞানে দেশটি পানি প্রবাহ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বাঁধ দিয়ে ও প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে পানি চুক্তি করতে অস্বীকার করছে বা রাজি হচ্ছে না অথবা এগিয়ে আসছে না।

ওএফএস/এএস


বিভাগ : সারাবিশ্ব



মেঘের মাঝেও পাওয়া গেল প্লাস্টিক কণা

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৭ পিএম


মেঘের মাঝেও পাওয়া গেল প্লাস্টিক কণা

মেঘের মধ্যে প্লাস্টিকের অনু বা কণার (মাইক্রোপ্লাস্টিকস) সন্ধান পেয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। এতে জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলে ধারণা করছেন তারা। তবে সে সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।

জাপানি বিজ্ঞানীদের একটি দল মাউন্ট ফুজি ও মাউন্ট ওয়ামা পর্বতে আরোহণ করেছিল। পরে পর্বতের শিখরগুলো কুয়াশার মতো আবৃত করে রাখা মেঘের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা এবং এসব নমুনার ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ধারণের জন্য উন্নত ইমেজিং কৌশল প্রয়োগ করেন।

বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান, যখন দেখেন ওই মেঘের নমুনায় ৯ ধরনের পলিমার ও এক ধরনের রাবারের উপস্থিতি রয়েছে। বায়ুবাহিত এসব প্লাস্টিক কণার আকার ছিল ৭ দশমিক ১ থেকে ৯৪ দশমিক ৬ মাইক্রোমিটার।

এ ছাড়া নমুনাগুলোতে ‘হাইড্রোফিলিক’ বা পানি-আকৃষ্ট পলিমার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এতে ধারণা করা হয়, প্লাস্টিক কণাগুলো মেঘ গঠনে এবং জলবায়ু ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলছে।

এতে বলা হয়, মেঘের পানির প্রতি এক লিটারে ৬.৭ থেকে ১৩.৯ পিস পর্যন্ত প্লাস্টিক পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গত বুধবার গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হিরোশি ওকোচি বলেন, ‘বায়ুবাহিত প্লাস্টিকের দূষণ যদি সক্রিয়ভাবে সমাধান করা না হয়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত ঝুঁকি বাস্তবে পরিণত হবে। বিষয়টি ভবিষ্যতে অপরিবর্তনীয় এবং গুরুতর পরিবেশগত ক্ষতির কারণ হতে পারে।’

ওকোচি জানান, বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো বায়ুমণ্ডলের ওপরের অংশে পৌঁছালে এগুলো সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস সৃষ্টিতেও এগুলো ভূমিকা রাখে। কিন্তু বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা এখনো সীমিত পর্যায়ে রয়েছে।


সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৭ পিএম


সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে
মারধরে আহত অভিনয়শিল্পী শিশির সরদার (বামে), চিত্রনায়িকা রাজ রিপা (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের টিম। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

তবে ম্যাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। সেখানে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন নায়িকা রাজ রিপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

দীপনের দলের খেলোয়াড়দের একজন অভিনেতা মনির হোসেন শিমুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এটা কোন ধরনের সিসিএল খেলা? এখানে তো ক্রিকেট খেলছে না তারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।

একই দলের আরেক খেলোয়াড় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, রাজ ভাইয়ের টিম থেকে আমাদের দলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এর মধ্যে মৌসুমী হামিদ আহত হন।

ঘটনার বিষয়ে দীপঙ্কর দীপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দেব। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আমি মনে করি, ঢালাওভাবে শিল্পী সমাজের ওপর এর দায় চাপানো খুবই ভুল হবে। আমরা সবাই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই মর্মাহত। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিল্পী নাম ধরে কিছু অশিল্পী মানুষ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে, যারা আসলে পুরো অরাজকতা তৈরি করেছিল।

তবে এ ঘটনার পরপরই দল নিয়ে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান মোস্তফা কামাল রাজ। ফলে তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের তারকারাসহ কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।


জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ পিএম


জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।

আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।

৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।

অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।

ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।

মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই অর্জন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তথা পুরো গাইবান্ধা জেলার। তিনি আরও বলেন, তার স্কুলের ছেলেরা একদিন জাতীয়দলে খেলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

 

 

অনুসরণ করুন