
ব্রণ সমস্যা: মেনে চলুন কিছু টিপস
২৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩, ১২:২৬ পিএম

ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে ব্রণ সবচেয়ে কমন, যার ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ সবাই। সারা বিশ্বে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। বয়ঃসন্ধিকাল, হরমোনের সমস্যা, অতিরক্ত দুঃশ্চিন্তা, রাত জাগা অথবা জীবনযাপনের অনিয়ম-বিভিন্ন কারণেই ত্বকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অথচ দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মানলেই ব্রণ সমস্যা থেকে ত্বক থাকবে সুরক্ষিত। তাই ব্রণ সমস্যা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে জীবনযাপনে আনুন কিছু পরিবর্তন।
• খবার তালিকায় রাখুন প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি। এড়িয়ে চলুন ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার। যাদের ফাংগাল ব্রণের সমস্যা, তারা খাবারে ইস্ট আছে যেমন বার্গার, পিৎজা, পেটিস-এগুলো বাদ দিন। চা-কফির পরিমাণ কমিয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
• ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সম্ভব হলে দিনে তিন থেকে চারবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে তৈলাক্ত ভাব যেমন কমবে, ত্বকের পোরসে ধুলাময়লাও জমবে না।
• যেসব ছেলেদের ত্বক ব্রণযুক্ত, তাদের ঘন ঘন শেভ না করাই ভালো। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
• চুলে তেল বা অন্য কোনো ময়েশ্চার সাবধানে দিতে হবে যাতে মুখে না লাগে।
• নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
• ব্রণ দূর করার পাশাপাশি প্রতিরোধ করতে ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ডেড প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
যাদের ত্বক ব্রণ প্রবণ, তাদের ত্বক পরিচর্যার রুটিন এমন হওয়া উচিত যাতে অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে থাকে, পোরস পরিষ্কার থাকে আর পুরনো ব্রণ দ্রুত শুকিয়ে যায়। সাধারণত ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য উপযোগী কার্যকরী উপাদনগুলো হলো-গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি যা ভালো মানের অ্যান্টি-অ্যাকনি প্রোডাক্টে থাকে।
ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ডেড ব্র্যান্ড সিওডিল, ক্লিনজার, সিরাম, জেল ও ক্রিমের সমন্বয়ে তৈরি করেছে একটি অ্যান্টি-অ্যাকনি লাইন আপ। একটি ব্রণ প্রতিরোধী ত্বক পরিচর্যার রুটিনে প্রয়োজনীয় সকল পণ্যই এই লাইন আপে আছে। গ্রনবার্গ ল্যাবরেটরি, ইউএসএ এর ফর্মুলেশনে তৈরি আমেরিকান এই ব্র্যান্ড এর প্রতিটি পণ্য ত্বকের জন্য নিরাপদ ও কার্যকরী উপাদান বেছে নিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত হয়েছে।
মনে রাখবেন, ব্রণের বিস্তার যেমনই হোক না কেন এতে হাত দেওয়া যাবে না। বারবার স্পর্শ করলে ব্রণ থেকে ত্বকে সংক্রমণ বাড়ে। অধিকাংশ সময় ব্রণ এমনিতেই সেরে যায়।
এমএমএ/