বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

বাইশ বছর আগে আমার ইজিপ্টশিয়ান বন্ধু লামিয়ার সাথে যখন পরিচয় হয়েছিল তখনই তার কাছে থেকে প্রথমবারের মতো জেনেছিলাম লক্সর না এলে মিশর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাইরের পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ কায়রো এসে পিরামিড এবং স্ফিংস দেখে, জাতীয় মিউজিয়াম এবং খানে খলিলি বাজারে একটা চক্কর দিয়ে, বড় জোর আলেক্সান্দ্রিায়ার নিমজ্জিত বাতিঘর এবং হাজার বছরের পুরোনো লাইব্রেরি দেখেই ফিরে যায়। কিন্তু ফারাও সম্রাটদের প্রাচীন মিশরকে জানতে হলে আবু সিম্বেল, কোমওম্বো এবং বিশেষ করে লক্সর আসতেই হবে। লামিয়ার ভাষায়, প্রাচীন লক্সরের পুরোটাই আসলে ওপেন এয়ার মিউজিয়াম। বিকেলের দিকে আমাদের জাহাজ সেই উন্মুক্ত জাদুঘরের শহরে এসে নোঙ্গর করলো। জাহাজ ঘাটে ভেড়ার পরপরই আমরা দ্রুত জলযান ছেড়ে আমাদের নির্ধারিত মাইক্রোবাসে উঠে পড়লাম। এবারেও পথপ্রদর্শক মোস্তফা এবং সঙ্গী সাথী বলতে সেই পুরোনো ছয়জন। আমাদের প্রথম গন্তব্য কর্নাক। দূর অতীতে লক্সরের নাম ছিল থিবস। থিবস নগরীর পথ দিয়ে কর্নাকের পথে ছুটতে ছুটতেই প্রায় ভুলে যাওয়া ব্রেখটয়ের একটি কবিতার কয়েকটি লাইন মনে পড়ে গেল। 


Who built Thebes of the seven gates?

In the books you will find the name of kings.

Did the kings carry the lumps of rock?’

সত্যিই আমরা তো পিরামিড বা থিবস নগরীর নির্মাতা হিসাবে ফারাও সম্রাটদের কথাই জানি। যেমন তাজমহলের নির্মাতা হিসাবে জানি সম্রাট সাজাহানের নাম। কত সহস্র শ্রমদাসের কত বছরের উদয়াস্ত নিরলস কর্মযজ্ঞের শ্রমে ঘামে গড়ে উঠেছিল লক্সর তার হিসাব কেউ রাখেনি। অতীতের গৌরবোজ্জ্বল থিবস হাজার চারেক বছর পরে নাম বদলে লক্সর হলেও শহরটি তার অতীতের মতোই এখনো সুন্দর সাজানো একটি জনপদ। ফুটপাথের দুপাশে গাছের সারি, সড়ক দ্বীপের পুষ্পোদ্যান এবং মাঝে মাঝেই সবুজ তরু পল্লবের ফাঁকে দূরে উঁকি দিয়ে যায় উঁচু নিচু ধূসর পাহাড়ের সারি। কিছু পরেই আমরা যখন নীল নদ হাতের বাঁ দিকে রেখে এগোচ্ছি, তখন বাঁ দিকের পায়ে চলার পথ জুড়ে নাম না জানা একটি ঝাঁকড়া গাছের সারি আমাদের সাথে সাথে চলতে থাকে। জাহাজ থেকে নামার মিনিট পনের পরেই পৌঁছে গেলাম কর্নাক টেম্পল কমপ্লেক্স।


বিপুল সংখ্যক বিস্ময়কর প্রাচীন স্থাপনা ও বিশালাকৃতির স্মৃতিস্তম্ভের সমাবেশ ঘটেছে কর্নাকের মন্দিরে। আরবিতে কর্নাক শব্দের অর্থ সুরক্ষিত। এই নাম থেকেই ধরে নেয়া যায় নীল নদের পূর্ব তীরে বর্তমান লক্সর প্রশাসনিক অঞ্চলের কর্নাক অতীতে কোনো এক সময় ছিল দুর্গ-দেয়াল, প্রহরা-পরিখা বেষ্টিত একটি সুরক্ষিত নগরী। কর্নাক মন্দির কম্প্লেক্সটি পুরাকালের একটি পুর্ণাঙ্গ গ্রামের আকারে মন্দির, উপাসনালয় এবং অন্যান্য ভবন নিয়ে খ্রিস্টপূর্ব ২০৫৫ অব্দ থেকে শুরু করে ১০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দুই হাজার বছরের বেশি সময় ধরে তিলে তিলে তিলোত্তমা হয়ে গড়ে উঠেছিল। এর যাত্রা শুরু হয়েছিল সম্ভবত দেবতা আমুন, মুত এবং খানসুকে উৎসর্গ করা একটি ধর্মীয় মন্দির হিসাবে। ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নির্মিত প্রাচীন মন্দিরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এলাকা জুড়ে থাকা বৃহত্তম ভবন হিসাবে প্রাচীন মিশরীয়দের কাছে কর্নাকের পরচিতি এবং গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। 

সৌরভ আগেই বলেছিল মিশরের প্রাচীন মন্দিরগুলোর মধ্যে কর্নাক এবং ফিলাই তার সবচেয়ে পছন্দের দুটি জায়গা। ফিলাই ছোট্ট একটি দ্বীপে এবং কর্নাক তার বিশাল পরিসরে ফারাও যুগের অনন্য প্রত্মতাত্ত্বিক নির্দশন হিসাবে সারা বিশ্বের প্রত্মপ্রেমিক মানুষের কাছে এই একবিংশ শতাব্দীতেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। আমরা কর্নাক মন্দির কমপ্লেক্সের বিশাল চত্বরে নামার পরপরই মোস্তফা যথারীতি প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে এনেছে।  ভেতরে ঢুকেই একটা বড় হলঘরে পুরো মন্দির এলাকায় রেপ্লিকা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এখান থেকে প্রাথমিক ধারণা পাবার পরে কোন অংশে কতোটা সময় দেয়া দরকার সে ব্যাপারে পর্যটকেরা ইচ্ছে মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমাদের হাতে সময় কম, মডেল দেখে সময় নষ্ট করার চেয়ে আমি বাস্তব নিদর্শনগুলো যতোটা সম্ভব দেখে নিতে চাই। কাজেই হলঘর থেকে বেরিয়ে আবারও একটা দীর্ঘ বাধানো চত্বর পেরিয়ে আমরা এগোতে থাকি।  


কর্নাক মন্দির চত্বর তিনটি পরস্পর সংযুক্ত এলাকায় ভাগ করা। আমুনের সীমানা, মুটের সীমানা এবং মনটুর সীমানায় বিভক্ত মন্দির চত্বরটির মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং বিচিত্র নির্মাণ শৈলীতে পরিপূর্ণ আমুনের চত্বরটিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়। বেশিরভাগ পর্যটক এই এলাকাটি ঘুরে দেখেই তাদের কর্নাক পরিদর্শন শেষ করেন। আমুনের সীমানায় প্রবেশের আগেই হাতের ডান দিকে একটা মসজিদ দেখে কৌতূহলী হয়ে মোস্তফার কাছে এর ইতিবৃত্ত জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আরবি ভাষাভাষী মুসলমান ভাই সম্ভবত ফারাওদের সম্পর্কে যতোটা জানেন মসজিদ সম্পর্কে তাঁর ধারণা ততোটা স্পষ্ট নয়। তাই তার কাছে থেকে তেমন সদুত্তর না পেয়ে আমরা একটি সেতুর উপর দিয়ে পরিখা পেরিয়ে মূল মন্দির চত্বরের প্রবেশ পথে পৌঁছে গেলাম। এখানে দুপাশে দীর্ঘ সারিতে অসংখ্য স্ফিংস মৃর্তি থাবা পেতে বসে আছে। থাবা সিংহের মতো হলেও আসলে তাদের চেহারা যে কার বলা কঠিন। সারিবদ্ধ মূর্তিগুলোর অনেকেরই মুণ্ড কাটা পড়েছে, তবে ভালো করে দেখলে বোঝা যায় এরা যাদের প্রতিনিধিত্ব করছে, তারা ছাগল বা ভেড়ার চেয়ে উন্নততর কোনো প্রাণী নয়।  

ডমশরের নিউ কিংডোম যুগে শুরু করে পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ধরে ফারাও শাসকরা একে একে দশটি  তোরণের একটি সিরিজ নির্মাণ করে। দেয়াল দিয়ে যুক্ত তোরণগুলোর ধারণা অনেকটা সিংহ দুয়ারের মতো, একটিকে ভবন বা স্থাপনাকে অতিক্রম করে পরবর্তী প্রবেশ দ্বার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া যায় এই বিশাল তোরণের ভেতর দিয়ে। আমরা প্রথম তোরণ পেরিয়ে ঢুকে পড়ি একশ চৌত্রিশটি প্রকাণ্ড কলাম বিশিষ্ট আমুনের চত্বরে। এই হাইপোস্টাইল হল মিশরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনা। বিপুলায়তন জটিল এবং দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন জগৎ ঘুরে দেখে বিস্মিত হবার সুযোগ যখন পেয়েছি, তখন মোস্তফাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ইতিকথা শোনার কোনো মানে হয় না। এক একটি পিলারের কাছে দাঁড়ালে নিজেকে ভীষণ ক্ষুদ্র বলে মনে হয়। আড়াই কিংবা তিন হাজার বছর আগে যখন এই বিশাল পাথরের কাঠামো নতুন করে তৈরি হয়েছে, তখন কি তা সে যুগের মানুষের কাছে আশ্চর্যজনক কিছু বলে মনে হয়েছে! বড় বারোটি স্তম্ভ সত্তর ফুট এবং বাকি একশ বাইশটি স্তম্ভের প্রতিটির উচ্চতা চল্লিশ ফুট। সম্রাট সেতির রাজত্বকালে, অর্থাৎ ১২৯০ থেকে ১২৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নির্মিত হয়েছিল এই বিশাল মিলনায়তন। হলের দেয়ালে সেতি এবং তার উত্তরসূরী দ্বিতীয় রামেসেসের লিবিয়া ও সিরিয়ার যুদ্ধ শত্রæদের পরাজিত করার দৃশ্য চিত্রিত হয়েছে। 


আমরা দেয়ালের এবং স্তম্ভের শরীরে আঁকা শিল্পকর্ম দেখতে দেখতে প্রথমে বাঁ দিকের ভগ্নদশা ভবন এবং পরে ডান দিকের সুরক্ষিত চত্বর ঘুরে আসি। মন্দিরের ভেতরে তেমন কোনো গাছপালা না থাকলেও এখানে সেখানে দুই একটা খেজুর গাছ মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে খেজুর গাছের উচ্চতা ছাড়িয়ে যে বিশাল প্রস্তর মূর্তি, সেটি সম্রাট দ্বিতীয় রামসেসের। তাঁর দুই চরণযুগলের মাঝখানে একটুখানি জায়গা করে নিয়েছেন রাণী নেফারতারি! রাজার প্রিয়তমা পত্মীরই যদি এই দশা হয় তাহলে তাঁর অন্যান্য রাণীদের অবস্থান যে কোথায় ছিল তা বলা নিষ্প্রেয়োজন।  সম্রাটের সমাজ্ঞী কিংবা সাধারণের স্ত্রী, সকল নারীর অবস্থান আগে যেমন ছিল এখনো তাই আছে। আমাদের দুজনের সাথে রামসেস এবং নেফারতারিকে একফ্রেমে রেখে রানা ভাই খুব কষ্ট করে কয়েকটা ছবি তুললেন। কিন্তু ফারাওয়ের বিশালত্বের কাছে খর্বকায় আমাদের ছবিতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে গেল।   

মন্দিরের চতুর্থ পেরিয়ে আমরা ওয়াতজেত হলে। চতুর্থ এবং পঞ্চম তোরণের মাঝে ওয়াতজেত হলটি তৈরি হয়েছিল সম্রাট প্রথম থুতমোজের সময়কালে। হাইপোস্টাইল হলের মতো বিশাল না হলেও এর দৈর্ঘ্য প্রস্থও নেহায়েত কম নয়। রাজার অভিষেক, হেব-সেড ফেস্টিভ্যাল অথবা ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সমাবেশ ঘটতো এই মিলনায়তনে। তবে পরবর্তী সময়ে বৃহত্তম হলটি নির্মিত হলে গুরুত্বপূর্ণ আচার অনুষ্ঠান হাইপোস্টাইল হলে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। কোনো একজন রাজাধিরাজ তাঁর রাজত্বকালের ত্রিশতম বছরে হেব-সেড উৎসবটির আয়োজন করতেন। পুরোহিতদের একচ্ছত্র আধিপত্যের বিপরীতে ফারাওদের ঐশ্বরিক ক্ষমতা প্রদর্শন এবং ধর্মীয় নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে সম্রাট চতুর্থ আমেনহোটেপ তাঁর রাজত্বকালে দেবতা অ্যাতনকে উৎসর্গ করে এই উৎসবের প্রচলন করেছিলেন। বলা যায় ত্রিশ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন সুশাসন নিশ্চিত করার পরে এটি রজত জয়ন্তী বা সুবর্ণ জয়ন্তীর মতো একটি অনুষ্ঠান। এই উৎসবের মাধ্যমে রাজা তাঁর শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে পরবর্তী বছরগুলোতে তাঁর শাসন সুসংহত করতেন। এরপর থেকে তেত্রিশ, ছত্রিশ, ঊনচল্লিশ এমনি করে প্রতি তিন বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হতো এই উৎসব। ধর্মীয় উদ্দেশ্য বা দেব দেবীদের খুশি করার এই আয়োজনের আবরণ আসলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার একটি প্রক্রিয়া মাত্র। 

মিশরের ‘নিউ কিংডোমে’ যুগে কর্নাক ছিল ধর্ম বিশ্বাসের কেন্দ্রভূমি কিন্তু ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল সেই থিবস নগরীতে। কর্নাকের তাৎপর্যের প্রতিফলন ঘটেছে এর নির্মাণের আড়ম্বরে এবং বিশাল আকার আকৃতিতে। কর্নাকের মন্দিরটিও এখন প্রকৃতপক্ষে একটি উন্মুক্ত জাদুঘর। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে নির্মিত ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর মধ্যে কর্নাক আজও বৃহত্তম হিসাবে স্বীকৃত। এর চুয়ান্ন হাজার বর্গফুটের মহা মিলনায়তন নটরড্যাম ক্যাথেড্রালের চেয়েও বড়। ধর্মীয় গুরুত্ব ছাড়াও ফারাওদের নতুন রাজত্বকালে কর্নাক খকনো কখনো প্রশাসনিক কেন্দ্র, সম্রাটদের প্রাসাদ এবং কোষাগার হিসাবেও ব্যবহৃত হয়েছে। আশি হাজার পরিচারক এবং ক্রীতদাস আমুন রা’র সেবায় সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত ছিল। মহামহিম দেবতার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল পাঁচ হাজার মূর্তি। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল বলে ষষ্ঠ ও সপ্তম তোরণের মাঝের চত্বরে দ্রুত একটি চক্কর দিয়ে বাইরের পথ ধরলাম। আরও অনেকটা সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে প্রতিটি দেয়াল প্রতিটি স্তম্ভ খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব হলে ভালো হতো। দুই হাজার বছরের বেশি সময় নিয়ে গড়ে ওঠা কোনো স্থাপত্য, কোনো মন্দির বা কোনো শিল্পকর্ম দু চার ঘণ্টা বা দু চার দশ দিনে হয়তো চোখের দেখা দেখে শেষ করা সম্ভব। কিন্তু গভীরভাবে বুঝতে পারা বা উপলব্ধি করা হয়তো কখনোই সম্ভব নয়। 

আমরা বাইরে বেরিয়ে আসার আগেই কর্নাকের মন্দির সংলগ্ন মসজিদ থেকে মাগরিবের আজান ভেসে আসতে শুরু করেছে। তবে সে আজানের আহবান এতোটাই মৃদু যে আজানে অনভ্যস্ত পর্যটককে তা হঠাৎ করে চমকে দেয় না। কর্নাকের তোরণ পেরিয়ে মসজিদের পাশ দিয়ে আমরা পশ্চিমের রক্তিম আকাশের দিকে হেঁটে যাই। 

 


চলবে...    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপদাহে গাজীপুরে বেঁকে যাওয়া রেলপথ মেরামতে কচুরিপানা, কাঁদা ও পানি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইস্ট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর বলেছেন, সোমবার দুপুরে তীব্র তাপদাহে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আড়িখোলা এলাকায় প্রায় ১৫ফুট পরিমাণ রেলপথ বেঁকে যায়।

এতে ওই পথে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে মেরামত করে প্রায় এক ঘন্টা পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু করে।

তিনি বলেন, রেলপথে তাপমাত্রা ৫০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার উপরে উঠলে রেলপথ বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। সেদিন সেখানকার রেললাইনে তাপমাত্রা ৫৫ডিগ্রি'র মতো ছিল। তাই ঢাকা-নরসিংদী রেলরুটের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়িখোলা এলাকায় রেল লাইন বেঁকে যায়।

এ ধরনের বেঁকে যাওয়া রেলপথ ঠিক করতে প্রথমেই রেলপথ ঠান্ডা করা দরকার হয়। একাজে ব্যবহারে সেখানে বরফ না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে জলাশয় থেকে কচুরিপানা, কাঁদা ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ কচুরিপানা বা কাঁদা দীর্ঘ সময় পানি/ঠান্ডা অবস্থা ধারণ করে রাখতে পারে। গাজীপুরেও ওইসব প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে।

উচ্চতাপ থাকা অবস্থায় রেললাইন চাপ প্রয়োগ করলে তা আরো বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর রেল লাইন ঠান্ডা হলে তা অনেকটাই আগের অবস্থায় চলে যায়। পরে প্রয়োজন হলে চাপ প্রয়োগ করে বাকি অংশ ঠিক করা সম্ভব হয়। উচ্চ তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রা ৩০/৩২ ডিগ্রিতে নেমে আসার পর চাপ প্রয়োগ করা হয়। গাজীপুরেও এ থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানের রেললাইন বেঁকে যায়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস।

স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস বলেন, তীব্র গরমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যায়।

বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে প্রকৌশলীদের পরামর্শে রেলপথে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তা মেরামত করা হয়। মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে ধীর গতিতে গন্তব্যে চলে গেছে। ডাবল লাইনের অন্য লাইন দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অধীনে কর্মরত কি-ম্যান (দড়িপাড়া-বড়নগর) মো. বাদশা মিয়া বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। পরে আড়িখোলা-পূবাইল স্টেশনের মাঝখানে চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে টহলরত রেলওয়ে কর্মচারীরা রেলপথ বাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্ট্রেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর ওই ট্রেনটি ধীর গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিতাস কমিউটার নামের আরও একটি ট্রেন ধীর গতিতে বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে।

এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেই। বয়সটাও এখন ৪৩ ছুঁই ছুঁই। ব্যাট হাতে দেখা যায় শুধু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। প্রতিবার দলের নেতৃত্বে থাকলেও এবার চেন্নাইকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন না, দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজের ভূমিকা বদলেছেন। উইকেটে আসেন হাতে গোনা কিছু বল বাকি থাকতে। এসেই ঝড় তোলেন।

যখনই ক্রিজে আসেন, চার-ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। এই নতুন ভূমিকাতেও মহেন্দ্র সিং ধোনি পুরোপুরি সফল। মজার ব্যাপার হলো, এমন ‘হাইরিস্ক গেম’ খেলেও ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত আউট হননি।

ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৯টি, ব্যাটিং করেছেন ৭ ইনিংসে। ৭ ইনিংস ব্যাট করে খুব বেশি বল খেলেননি—৩৭টি। এই ৩৭ বলে রান করেছেন ৯৬, স্ট্রাইকরেট—২৫৯.৪৫। ছক্কা মেরেছেন ৮টি, চার ৯টি। বল খেলার সংখ্যাটা অবশ্যই খুব বেশি নয়। তবে মনে রাখতে হবে ধোনি এই ৩৭ বলের প্রায় প্রতিটিতেই খেলেছেন বাউন্ডারির জন্য। সে ক্ষেত্রে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে আরও বেশি।

ধোনি কয়েকটি বলের জন্য ক্রিজে এসে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। এই যেমন গত ১৪ এপ্রিল ‘আইপিএল ক্লাসিকো’য় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে।

ইনিংসের ২০তম ওভারে উইকেট এসে ৪ বলে ৩ ছক্কায় করেন ২০ রান। সেই ম্যাচটি চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২০ রানেই জেতে। এরপরের ম্যাচেই লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে করেন ৯ বলে ২৮ রান।

সেদিন অবশ্য ম্যাচটি জিততে পারেনি চেন্নাই। তবে ম্যাচের শেষ ওভারে যেভাবে ১০১ মিটারের ছক্কা মেরেছিলেন ধোনি, তাতে তাঁর বয়সটা আসলেই ৪২ কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ জেগেছিল! ধোনি এরপর আরও দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন। এই ২ ম্যাচ মিলিয়ে খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ৩ বল, তাতেই দুটি চার মেরেছেন।

গত মৌসুম থেকেই মূলত ধোনি চেন্নাইয়ের ইনিংসের একদম শেষভাগে ব্যাটিংয়ে নামতে শুরু করেন। গত আইপিএলে ১২ ইনিংসে বল খেলেছিলেন মাত্র ৫৭টি, রান করেছিলেন ১০৪। এবারও নিশ্চয় আরও কিছু বল খেলবেন ধোনি।

ফিনিশার হিসেবে ধোনি এমনিতেই কিংবদন্তি। তবে তাঁর ম্যাচ শেষ করার নিজস্ব একটা ধরন ছিল। শুরুতে কিছু সময় নিতে পছন্দ করতেন। এরপর শেষে গিয়ে সেটা পুষিয়ে দিতেন। তবে এখন ধোনি জানেন, সেই সুযোগটা তিনি পাবেন না। শরীরটাও হয়তো সায় দেবে না। তাই নতুন ভূমিকা বেছে নিয়েছেন। আর কীভাবে সেই ভূমিকায় সফল হতে হয়, সেটার প্রমাণ তো ম্যাচের পর ম্যাচ করেই যাচ্ছেন।

 

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনা-মতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা—সেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতা—এটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ‘আলোচিত’ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।

সর্বশেষ সংবাদ

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি
এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
নওগাঁয় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা
ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী