সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়েন হালিমা খাতুন। বড় বড় করে শ্বাস টানেন। বুকের ব্যথায় ককান। ওয়ার্ডের কর্মী অঞ্জনকে বলে, আপনি মেয়েটিকে নিয়ে সরে যান। আমি ডাক্তারকে খবর দিয়ে আসি। তিনি যেন এসে রোগী দেখেন। অঞ্জন কথা না বলে কুকড়ির হাত ধরে বেরিয়ে আসে। ওকে নিয়েই কলেজে গিয়ে ঢোকে। কমন রুমে ঢোকে। কুকড়িকে ওখানে রেখে পরের ক্লাসে যাবে। কমনরুমে গিয়ে দেখে অনেকে বসে আছে।


মিথিলা বলে, কিরে অঞ্জন এই বাচ্চা কোথায় পেলি তুই?
-রাস্তায় পেয়েছি। শহীদ মিনারের কাছে।
-ওকে এখানে এনেছিস কেন?
-ওকে এখানে বসিয়ে রেখে আমি ক্লাসে যাব। তোরা ওকে দেখেশুনে রাখবি। ও যেন বাইরে বেরিয়ে হারিয়ে না যায়।

মিথিলা ওকে কাছে ডাকে। জিজ্ঞেস করে, তোর নাম কী রে মেয়ে?
কুকড়ি চুপ করে থাকে। ওর কথা বলতে ভয় লাগে। এত বছর বয়স পর্যন্ত ও তো এমন ঘরে ঢোকেনি। এই নতুন পরিবেশ ওকে ভীত করে রেখেছে।
অঞ্জন ওর মাথা নাড়িয়ে বলে, কি রে তোর নাম বলছিস না কেন?
কথা বলে না কুকড়ি। মিথিলা ওর হাত ধরে টেনে এনে নিজের কাছে বসায়।

-তুই ক্লাসে চলে যা অঞ্জন। আমি ওকে দেখে রাখব। তুই ফিরে আসা পর্যন্ত আমি এখানে থাকব। তবে ওকে নিয়ে একটু ক্যান্টিনে যেতে পারি।

-খুব ভালো। ওকে কিছু খাওয়ারে মিথিলা। ও যদি খেতে না পারে তাহলে প্যাকেট করে ওর হাতে দিয়ে দিস। পরে খাবে।

-হ্যাঁ, ঠিক আছে। তুই বলেছিস ও রাস্তার মেয়ে। ওর অনেক কিছু দরকার রে।

-হ্যাঁ, আমি গেলাম। ক্লাস শুরু হওয়ার সময় হয়ে গেছে। ওর নাম কুকড়ি।
অঞ্জন চলে যায়।

কমনরুমে অন্য তিনজন ছেলেমেয়ে এসে মিথিলার কাছাকাছি বসে। কুকড়িকে দেখে।

-কি রে কুকড়ি তুই কেমন আছিস?

-আমি জানি না।

-জানিস না কেন? তোর ভালো লাগছে নাকি খারাপ লাগছে?

-এমন ঘর তো আমি কখনো দেখিনি। সেজন্য ভালো লাগছে। খুব সুন্দর ঘর।

-তোর বাবার নাম কী রে?

-আমি জানি না। আমার বাবাকে আমি দেখিনি।

-তোর বাবা কি মরে গেছে?

-না, বেঁচে আছে।

-কোথায় আছে?

-জানি না।

-তোকে দেখতে আসে না?

-না, আসে না।

মিথিলা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে, হয়েছে থাক। ওকে আর প্রশ্ন করিস না। ও আমার কাছে বসে আছে থাকুক। অঞ্জন এসে ওকে নিয়ে যাবে। ওর মা হাসপাতালে।

মনসুর বলে, চল আমরা ক্যান্টিনে যাই। চা খেয়ে আসি।

সবাই উঠে দাঁড়ায়। একসঙ্গে বেরিয়ে আসে। ক্যান্টিনে ঢুকলে কুকড়ি চেঁচিয়ে বলে, আল্লাহ এটা কেমন ঘর?
সবাই হাসে। হাসতে হাসতে মিথিলা বলে, এটা খাবার ঘর।

-খাবার ঘরে পিঁড়া কই?

-এখানে পিঁড়া থাকে না। এখানে সব চেয়ার।

-আয় তোকে চেয়ারে বসিয়ে দেই।

রূপা ওকে উঁচুতে তুলে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। কুকড়ি বলে, আমি এখানে বসে খেতে পারব না।

-পারবি। বসে থাক।

ওরা চারজন এক টেবিলে বসে।

বেয়ারা এসে দাঁড়ালে ওকে শিঙাড়া, কেক, আর চা আনতে বলে। খাবারের অর্ডার দিয়ে মিথিলা সবার দিকে তাকিয়ে বলে, হ্যাঁ ঠিক আছে। এর বেশি কিছু এখন আর খাওয়া যাবে না।

কুকড়ি জিজ্ঞেস করে, কেক কী?

-নিয়ে আসুক, তখন দেখবি কেক কী?

-আমি কেক দেখিনি।

-ঠিক আছে, আজকে দেখবি।
ও মাথা নাড়ায়। টেবিলে টুকটুক করে শব্দ করে। রফিক জিজ্ঞেস করে, কিরে এমন করে শব্দ করছিস কেন?

-আমার অনেক খুশি লাগছে। আমার মা এখানে থাকলে আমি আরও খুশি হতাম।

-তুই তোর মাকে খুব ভালোবাসিস না রে কুকড়ি?

-মা ছাড়া তো আমার কেউ নাই।

-খালা, মামা নাই?

-না, বলার সঙ্গে সঙ্গে ও কাঁদতে শুরু করে।

রূপা ওর মাথায় হাত রেখে বলে, চুপ কর সোনা। কাঁদিস না।
বেয়ারা খাবার নিয়ে আসে। মিথিলা বলে, এই যে দেখ এটা কেক। খেয়ে দেখ এটা খুব ভালো লাগবে।

-আমি খাব না।

-কেন রে?

-আমি মাকে কখনো খেতে দেখিনি।

-তুই এটা খা। আমরা তোর মায়ের জন্য আর একটা দেব। তুই নিয়ে মাকে খাওয়াবি।

ও খুশি হয়ে ঘাড় নেড়ে বলে, আচ্ছা। খাই। মুখে পুরে খুশিতে উচ্ছ¡সিত হয়ে ওঠে। মুখ থেকে হাসি ফুরোয় না। সবাই ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখ ফেরাতে পারে না ওকে দেখে। একটি শিশুর মায়াবী চেহারা ওদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। সবার মাথায় ওর বড় হওয়ার ভাবনা জেগে থাকে। মিথিলা সবার দিকে তাকিয়ে বলে, অঞ্জনকে বলতে হবে ও যেন আর পথের মেয়ে না হয়।

-ঠিক বলেছিস। আমরা সবাই মিলে ওর দেখাশোনা করব।

কুকড়ি মনের আনন্দে কেক খেয়ে শিঙাড়ায় কামড় বসায়। ওদের কথা ও ঠিকমতো শোনে না এবং বুঝতেও পারে না।

ওর শিঙাড়া খাওয়া শেষ হলে মিথিলা বলে, চা খাবি রে?

-হ্যাঁ, ও জোরে জোরে মাথা নাড়ায়। আমি এক দিন-দুই দিন চা খেয়েছি। এখন খাব।

চা শেষ করে সবাই কমনরুমে ফিরে আসে। কুকড়ির হাতে দেওয়া হয়েছে কাগজে মুড়িয়ে ওর মায়ের জন্য শিঙাড়া আর কেক। মিথিলা ওকে বলে, তুই এখানে বসে থাক। ঘর থেকে বের হবি না। একটু পরে তোর অঞ্জন ভাইয়া আসবে। আমরা ক্লাসে যাই।

ও হাসতে হাসতে বলে, হ্যাঁ যান।

 

চলবে....

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমিনুল ইসলাম নামে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। একই সময়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে থাকা এক পুলিশের সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহেদকেও আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ মে) বিকেলে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, তার ছোট ভাইয়ের পাঠানো ১৬ ভরি ওজনের ৮টি বালা নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় তাকে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামায় দুই যুবক। পরে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এসময় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষেরা দুই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।

এসময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টহল দল। টহল দল দুই ছিনতাইকারীর মধ্যে একজন খুলশী থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে জেলার পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় পৃথক সময়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলো- পোরশা উপজেলার নিতপুর মনোহরপুর গ্রামের রুবেল ইসলামের ছেলে লালচাঁন ইসলাম (৭) এবং মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সিফাত হোসেন (১২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রোববার দুপুরে রুবেল ইসলাম তার ছেলে লালচাঁনকে সাথে নিয়ে পোরশা উপজেলার কপালী মোড় পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে আসেন। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় মাসুদ বিড়ি বহনকারি একটি অটোরিশার লালচাঁনকে ধাক্কা দেয়। এতে লালচাঁন গুরুত্বর আহত হয়ে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে অটোরিকশার চালক আবুল কালামকে আটকসহ অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, রোববার বিকেল ৫টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের রানীপুকুর মাদ্রাসার অদূরে বাস চাপায় সিফাত হোসেন নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ফয়সাল হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। নিহত সিফাত হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এবং রানিপুকুর ক্বেরাতুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে’র মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন ইশরাক। সেই সময় শেষ হতে চলায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশরাক হোসেন পল্টন থানাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, হাই কোর্টথেকে জামিনে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বেশিরভাগ মামলাতেই আদালত জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু একটায় আটকানো হল আমাকে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার তো গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সে সময় বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকর্মীরা। তাতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছুসংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। মে সময় আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশকরেছেন বলে তিনি বক্তব্য দেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন আরেফীকে ‘মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা’ করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে ‘উসকানি’ দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর
বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ