সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৮

স্নানের শব্দ 

‘আহা কি ফাঁসাই না ফাঁসল এন সি, একেই বলে পচা শামুকে পা কাটা, ফাটা বাঁশের চিপায় আটকে যাওয়া । লোকাল ভাষায় এক্কেবারে মাইনকা চিপা যাকে বলে।’ কিছুক্ষণ আগে দরজায় নক করে ওসমান গণি তার কোট টাই সমেত ঢুকে পড়েছে শবনমের ঘরে। এখন তার সামনের চেয়ারে বসে জিহ্বায় চুক চুক শব্দ তুলে দুঃখ প্রকাশ করে এই মন্তব্য তার।  

‘খুবই দুঃখজনক।’ শবনম সতর্ক ভঙ্গিতে পাল্টা মন্তব্য করে ওসমান গণিকে পর্যবেক্ষণ করে। এদের কাছে মন খুলে কিছু বলাও বিপদ, জানে সে। তবুও এই মুহূর্তে সত্যিকারভাবে তার নিজের অনুভূতিটাই বলে শবনম, ‘উনার ফ্যামিলি.. মানে, এসব শুনে তার স্ত্রী সন্তানের প্রতিক্রিয়া কি হচ্ছে ভেবে খারাপ লাগছে আমার। কিছুই তো আর অজানা থাকে না এই জমানায় ..’‘উনি তো বলেছেন এসবই সম্পূর্ণ মিথ্যা। ষড়যন্ত্র, সাজানো নাটক। কোনো স্বার্থন্বেষী মহল তাকে বিপদে ফেলতে চাইছে। আর একটা কথা বলি ম্যাডাম, ওই নাফিসা আর পল্লবি দুইজনেরই পোষাক আশাক, চাল-চলন, স্বভাব চরিত্রে কিন্তু খেয়াল করছেন কিনা- বেশ সমস্যা ছিল! আমাদের কালচারে এসব যায়, বলেন! ’ওসমান গণি একটু সামনে ঝুঁকে চোখ ছোট করে বলে। 

‘এইসব কি বলছেন গণি? কিছু হইলেই মেয়েদের চলায় বলায় জামা কাপড়ে দোষ খোঁজা বন্ধ করেন তো। সমস্যাটা পোষাকে না, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে, আমাদের সামাজিক পারিবারিক শিক্ষায়। এই দেশে তিন বছরের মেয়েও রেপ হয়, হিজাব পরা মেয়েও খুন হয়! জানেন না আপনি? অপরাধীর দোষ দেখেন না, শুধু মেয়েদের চলন বলনের দোষ ধরেন! আপনার সঙ্গে আর একজন অশিক্ষিত মানুষের তাহলে কি পার্থক্য রইল! আমার সামনে এই ধরনের কথা একদম বলবেন না। ’ শবনম বেশ রাগত স্বরেই বলে।  

‘না না, ঠিক আছে। আসলে অনেকেই ওদের চলা ফেরা, তারপর, চরিত্র টরিত্র নিয়ে আলোচনা করছিল তাই বললাম আরকি! তবে কিছু মনে কইরেন না, আরেকটা কথা বলি, এনসি এবং ম্যানেজমেন্টের অনেকের ধারণা এসবের পেছনে আপনার হাত আছে।’ ওসমান গণি আচমকা গলা নামিয়ে বলে। এবার একটু চমকে যায় শবনম। ‘মানে? .. এই উদ্ভট ধারণার কারণ কি?’‘ওই তো আপনাদের সিস্টার হুড, উইমেনহুড আরও কি কি উইমেন ফর উইমেন ইত্যাদি কি সব আছে না? তা ছাড়া কারো তাল না পেলে ওইটুকু মেয়ের এত সাহস হয় কীভাবে, একটা প্রতিষ্ঠানের সিইওর বিরুদ্ধে বাজে কথা বলে!’

‘গণি, শোনেন,’ এইবারো রাগত সুরে কিন্তু দৃঢ় গলায় বলে শবনম। ‘আপনি এইসব উল্টা পাল্টা কথা একদম ছড়াবেন না। কোথায় শুনেছেন আপনি এইসব? কে বলেছে? আনেন তাকে আমার সামনে। আমি কোনোভাবেই এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। এইসব আজগুবি কথা কারা ছড়ায়, বলেন তো? কি উদ্দেশ্য তাদের?’‘না, মানে রাগ কইরেন না। পল্লবি তো আপনার আন্ডারে অনেকদিন কাজ করেছে। ওর সঙ্গে আপনার সম্পর্কও ভাল ছিল।’ ‘হ্যাঁ, ছিল। কিন্তু ও কখনো আমার কাছে এ সব বলেনি। আমি কিছুই জানতাম না। হয়ত ভেবেছে নালিশ করে লাভ হবে না। তাই বলেনি। তবে আমি মনে করি এই অভিযোগগুলির তদন্ত অবশ্যই হওয়া উচিত এবং দোষীদের শাস্তিও হওয়া দরকার।’ 

‘না না, তাতো অবশ্যই।’ ওসমান গণি সুর পাল্টায়। ‘তবে কিনা ঘটনা তো অনেক দিন আগের। একটা প্রশ্ন উঠতে পারে যে সেই সময় অভিযোগ করে নাই কেনো? এতদিন পরে কি উদ্দেশে এইসব বিষয় সামনে আসল? এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না?’  ‘উফ! সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজা আপনাদের বদভ্যাস হয়ে গেছে ভাই।’ শবনম বিরক্ত হয়। ‘আমাদের এমন প্রশ্ন তোলাই উচিত না যে আগে কেন বলোনি, এত দিন কেনো চুপ করে ছিল? আরে ভাই, একটা মেয়ে নানা কারণে এধরনের ঘটনাগুলো চেপে রাখে, আসলে চেপে রাখতে বাধ্য হয় সামাজিক বাস্তবতার কারণে। মেয়ে না হলে এ সব আপনি বুঝবেন না। এ দেশে তো সব কিছুতেই মেয়েদের দোষ!’ শবনম তার নিজের ভাষায় যতটা পারে ওসমান গণিকে বুঝিয়ে বলে। সোশাল মিডিয়া যে মেয়েদের মুখ খোলার ব্যাপারে এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, মন খুলে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে অনেককে- সেটাও বলে সে।

ওসমান গণি অবস্থা বুঝে আর কথা না বাড়িয়ে কেটে পড়ে।  শবনম ভাল করেই জানে, ওর দুয়েকটা কথায় ওসমান গণির চিন্তা-চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি ম্যাজিকের মত নিমিষে পাল্টাবে না। বহু যুগ ধরে মনের বিপুল গভীরে শেকড় গেড়ে বসে থাকা ধারণা কয়েক মিনিটের একটা বক্তৃতায় বদলে যায় না। তবে ওসমান গণি গংদের উদ্দেশ্য ভাল না। তারা এই ঘটনার সঙ্গে শবনমকে জড়িয়ে ফেলে ফায়দা লুটবার চেষ্টা করছে। চোখ কান খোলা রেখে ওদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয় শবনম। টেবিলে রাখা স্বচ্ছ কাঁচের গোল পেপার ওয়েটটা পাঁচ আঙ্গুলের মাথা দিয়ে ধরে ঘুরায় সে। কোনো কিছু নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে থাকলে এই কাজটা করে শবনম।

এই মুহূর্তে সব কিছু বাদ দিয়ে মি-টু আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিপীড়িত মেয়েগুলোর যন্ত্রণাটা বোঝার চেষ্টা করছে শবনম। দীর্ঘ সময় ধরে সবার অগোচরে নাফিসা তানজিনা নামের ওই অল্পবয়সি মেয়েটি বা ডানপিটে পল্লবি বুকের মধ্যে কিভাবে এই বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছিল ভেবে তার মন আর্দ্র ও কাতর হয়ে ওঠে। ওই ঘটনা নিশ্চয়ই ওদের হৃদয়ে একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে। সেই দুঃসহ ক্ষত কি সহজে সারবে? কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে একজন মডেল। স্পষ্ট করে হয়রানিকারীর নাম বলেছে সে। এই যে সাহস করে নিপীড়কের নাম পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়া তার একটা প্রভাব তো সমাজে অবশ্যই পড়বে। এতদিন যারা ভাল মানুষ সেজে সুন্দর মুখে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এই মেয়েরা একটানে তাদের সেই মুখোশ ছিঁড়ে ফেলেছে। যারা ভেবেছিল অন্যায় করে পার পেয়ে গেছি, কেউ কিছু জানবে না, যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াতে পারবে, তারা এখন ভয় পাচ্ছে। নারীকে অসম্মান করতে গিয়ে একটু হলেও তারা থমকে যাচ্ছে- এটাই বা কম কিসে? হয়ত তাদের পথ ধরে আরও অনেক নারী এগিয়ে আসবে, এধরনের ঘটনার শিকার হলে হয়ত তারা নির্ভয়ে মুখ খুলবে। যদিও এসব অভিযোগের বিচার হবে কিনা- তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তারপরও থেমে যাওয়া চলবে না। প্রচলিত আদালতে না হোক সামাজিক বিচার বলেও তো একটা কথা আছে। শবনম ভাবে, এই যে মহা প্রতাপশালী এনসি, নাফিসা আর পল্লবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অফিস থেকে আপাত বিদায় নিতে বাধ্য হলো- সেটার কি কোনো মূল্য নেই? দ্বিতীয়বার এরকম ঘটনা ঘটানোর আগে অভিযুক্তরা কি দু’বার ভাববে না? একটুও শঙ্কিত হবে না? মৌসুমী একবার বলেছিল, আমাদের সমাজে নারী নিপীড়নের বিষয়টি অনেকটা সমুদ্রে ভেসে থাকা বিশাল হিমবাহের মতোই। এর উপরটা দেখা যায় সামান্যই, নিচে গোপনে জমাট বেঁধে থাকে বেশির ভাগ অংশ, যা আমরা দেখতে পাই না। সব ঘটনা প্রকাশ পেলে এর ভয়াবহতা বোঝা যেত। তখন ওই সব কুৎসিত ঘটনার ধাক্কা খেয়ে আমাদের সভ্য ভব্য টাইটানিক সমাজ ডুবন্ত জাহাজের মতো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ত। 

শুধু কি শারীরিকভাবেই মেয়েরা হেনস্থার শিকার হয়? শারীরিক মৌখিক মানসিক কত রকম ভাবেই না নিগৃহীত হচ্ছে নারী— বিশেষ করে কর্মজীবী নারী। যদি নিজের দীর্ঘ কর্মজীবন আতশ কাঁচের নিচে ফেলে দেখে তবে শবনমের জীবনেও কি ওরকম দু/চারটি হেনস্তার গল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না? ঊর্ধ্বতন বস, পুরুষ সহকর্মী কিভাবে তাকাচ্ছেন, কি আচরণ করছেন, কি ধরনের কথা বলছেন সেসবও লক্ষ্য করার বিষয়। যদিও অনেক নারী বিষয়টি নিয়ে তেমন সচেতন থাকেন না। বোঝেন না কোনটি হয়রানি, আর কোনটি হয়রানি নয়! আবার কেউ কেউ হয়ত এমনই উপায়হীন অবস্থায় পড়েন যে তিনি সব জেনে বুঝেও মুখ বুজে থাকেন, চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পান, পাছে তার চাকরিটা চলে যায়! খারাপ মানুষগুলো এই সুযোগটাই নেয়।  

তবে শবনম বেশ আশাবাদী। সামনে হয়ত নারীরা তাদের হয়রানির শিকার হবার ঘটনা ভয়ে লজ্জ্বায় আর চেপে রাখবে না বরং আরও বেশি করে সামনে আনবে। দোষীদের বিচার চাইবে। সময় আসলে একটু একটু করে বদলাচ্ছে। এতদিন স্থির হয়ে থাকা ঘড়ির কাঁটা অচলায়তন ভেঙে ঘুরতে শুরু করেছে। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা যেন আবার থেমে না যায়। 

চলবে….

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-৭

স্নানের শব্দ: পর্ব-৬

স্নানের শব্দ: পর্ব-৫

স্নানের শব্দ: পর্ব-৪

স্নানের শব্দ: পর্ব-৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১ 

আরএ/

Header Ad

পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং

অরিজিৎ সিং এবং মাহিরা খান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং আর পাকিস্তানের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান। তিনি দুবাইয়ে হাজির হয়েছিলেন অরিজিতের কনসার্ট শুনতে। তবে অরিজিৎ মঞ্চ থেকে ভিড়ের মধ্যে মাহিরাকে ঠিক চিনতে পারেননি। এ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই গায়ক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমনই এক ভিডিও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুবাইয়ে কনসার্টে গান গাইছিলেন অরিজিৎ। সেই গান শুনতে কনসার্টে হাজির ছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান।

মাহিরা খান অরিজিতের মঞ্চের পাশে ভিআইপি আসনে বসে ছিলেন। কিন্তু অরিজিত প্রথমে তাকে দেখে চিনতে পারেননি। পরে বুঝতে পেরে দর্শকের সঙ্গে মাহিরার পরিচয় করিয়ে দেন অরিজিৎই। পাশাপাশি প্রথম দেখায় চিনতে না পারার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন।

গাইতে গাইতে হঠাৎ থেমে গিয়ে অরিজিৎ বলেন, আপনারা হয়তো শুনে চমকে যাবেন। আচ্ছা, আমি একটু অন্যভাবেই বিষয়টি উপস্থাপন করছি। ওখানে কি কোনো ক্যামেরা আছে? অনেকক্ষণ ধরে চেনার চেষ্টা করছিলাম। তারপর মনে পড়ল, আরে ওর জন্য তো আমি ‘জালিমা’ গানটা গেয়েছিলাম।

কালো পোশাকে বসে ছিলেন মাহিরা। গায়কের কথা শুনে হেসে ওঠেন তিনি। এসময় অরিজিৎ বলেন, আমার সামনে বসে রয়েছেন মাহিরা খান। জালিমা গানটা গাওয়ার সময় মাহিরা নিজেও গাইছিলেন এবং ওখানে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, আমি চিনতে পারিনি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত ম্যাম।

শাহরুখ খানের ‘রাইস’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মাহিরা খান। যেই সিনেমারই জনপ্রিয় একটি গান ‘জালিমা’। শাহরুখের গলায় এই গানটির কণ্ঠ দিয়েছিলেন অরিজিৎ।

টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি

গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক স্কুলছাত্রী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তীব্র দাবদাহ ও গরমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে হিট‌স্ট্রো‌কে ফারজানা আক্তার মিরা নামে এক স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপু‌রে উপ‌জেলার ফলদা শ‌রিফু‌ন্নেছা বা‌লিকা উচ্চ‌ বিদ্যাল‌য়ে এ ঘটনা ঘটে।

এরপর বিদ্যালয়েই প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা শে‌ষে তা‌কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি‌য়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপু‌রে উপ‌জেলার ফলদা শ‌রিফু‌ন্নেছা বা‌লিকা উচ্চ‌ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মিরা অসুস্থ হ‌য়ে প‌ড়ে। প‌রে ওই বিদ্যালয়েই প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা শে‌ষে তা‌কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি‌য়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফারজানা আক্তার মিরা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

শিক্ষকরা জানান, স্কুল বির‌তি চলাকালীন সময়ে হঠাৎ ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী প্রচণ্ড গর‌মে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প‌রে ওই ক্লা‌সের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের জানা‌নোর পর তা‌কে অ‌ফিস রু‌মে নি‌য়ে আসা হলে প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা দেওয়া হয় এবং স্থানীয় চি‌কি‌ৎস‌কের পরাম‌র্শে ওই ছাত্রী‌কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি‌য়ে যাওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অ‌ফিসার ডা. সৃ‌ষ্টি তনুকা ব‌লেন, ওই শিক্ষার্থীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট অনুভূত হ‌চ্ছে। প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা শে‌ষে উন্নত চি‌কিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতা‌লে রেফার্ড করা হ‌য়ে‌ছে।

এ ব্যাপারে ফলদা শ‌রিফু‌ন্নেছা বালিকা উচ্চ‌ বিদ্যালয়ের প্রধান স‌ন্তোষ কুমার দত্ত ব‌লেন, প্রচণ্ড তাপদা‌হের কার‌ণে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ‌ হ‌য়ে প‌ড়েছে। এতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প‌রে স্থানীয় চি‌কিৎসক‌দের দি‌য়ে প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, প‌রে ওই শিক্ষার্থীকে শিক্ষকদের সা‌থে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। সেখান থে‌কে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতা‌লে পাঠি‌য়ে‌ছেন কর্তব্যরত চি‌কিৎসকরা।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!

গুজরাটে খুঁজে পাওয়া সাপের জীবাশ্ম। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৪ কোটি ৭০ লাখ বছর আগের এই সাপের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৫০ ফুট। ভারতের গুজরাটের এই সাপের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।

ভারথীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসুকি ইন্ডিকাস নামে বিশাল আকারের এই সাপ এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত সবচেয়ে বড় সাপ।

সাপের জীবাশ্ম। ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি রুর্কির একদল গবেষক এই জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। অধ্যাপক সুনিল বাজপাই ও দেবজিত দত্ত এই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছেন, যা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল সাইন্টিফিক রিপোর্টসে।

দেবজিত দত্ত বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী বাসুকি নামে এক বিশাল সাপ রয়েছে। মূলত তার নামানুসারেই এই আবিস্কৃত সাপের নাম রাখা হয়েছে ভাসুকি ইন্ডিকাস।

সাপের জীবাশ্ম। ছবি: সংগৃহীত

গবেষকদের দাবি, এই সাপ যে সময় পৃথিবীতে বিচরণ করত তখনকার ভূতত্ত্ব এখনকার চেয়ে অনেক আলাদা। বিখ্যাত সাপ টাইটানোবোয়ার আকৃতির সঙ্গে এর তুলনা করা যেতে পারে। কলম্বিয়ায় এই সাপের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। এর দৈর্ঘ্য ৪৩ ফুট পর্যন্ত হতো। সে হিসেবে ভারতে পাওয়া বাসুকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ ছিল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।

দেবজিত দত্ত বলেন, আমাদের ধারণা ভাসুকি কিছুটা নম্র প্রজাতির সাপ ছিল। এর ওজন হতে পারে ১ টনের মতো।

সর্বশেষ সংবাদ

পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
কারা বিক্রি করছে ফুটপাত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এখনো উদ্ধার হয়নি লেকে ডুবে যাওয়া সেই শিশু
রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে