ওয়ালটন মিডিয়া কাপ ব্যাডমিন্টন শুরু ১২ ডিসেম্বর থেকে


ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২)। রোববার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। এর আগে দুপুরে চলমান পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে ধরা পড়েন তিনি।
ধ্রুবজিৎ কর্মকার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার ও সুপ্তা কর্মকার দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ধ্রুবজিৎ একটি সুইসাইড নোটে লেখেন, "সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (.......) টাকাগুলো মা’কে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরের বার ফার্মেসি নিয়ে পড়ব। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।"
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, রোববার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ধ্রুবজিৎ নকল করতে গিয়ে শিক্ষকদের হাতে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে পরীক্ষার হল থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কিছু সময় পরেই তিনি নিজ কক্ষে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অধ্যক্ষ বলেন, "ছেলেটি কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে দুর্বল ছিল। পরীক্ষায় নকলের ঘটনায় সে হয়তো আরও ভেঙে পড়ে। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।"
ধ্রুবজিতের সহপাঠীরা জানান, পরীক্ষার হলে নকল করার সময় শিক্ষকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছিলেন ধ্রুবজিৎ। কান্নাকাটি করে তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে বহিষ্কার না করতে। কিন্তু শেষে হতাশ হয়ে তিনি নিজ রুমে ফিরে যান। তখন তার রুমমেটরা পরীক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ই জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ছবি: সংগৃহীত
মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ও “জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন, তারেক রহমান” এই দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি আয়োজিত গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাংনী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এই গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সদ্যঘোষিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছায় পদায়ন, কমিটি বাণিজ্য ও অপশক্তির দোসরদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এতে অংশ নেয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকরা।
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপদস্থ ১২ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রবিবার (১৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. তৌহিদ বিন হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১২ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতির সুপারিশ করে, যা প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এতদিন অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি বা সমমর্যাদার পদে কর্মরত ছিলেন। পদোন্নতির ফলে তাদের দায়িত্ব ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন পুলিশ সদর দপ্তর, বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিশেষায়িত ইউনিটে কর্মরত অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।