বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার খুলছে আজ

এক কথায় রূপকথার গল্পকেও হার মনিয়েছে। সকল অসম্ভবকে মাটিচাপা দিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যানে সগৌররে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’। অপেক্ষা করছে তার উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। প্রত্যাশীত সেই শুভক্ষণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পুরো জাতি। সবার দৃষ্টি এখন প্রমত্তা পদ্মা তীরে। দেশের সক্ষমতার প্রতীক, অহংকার, গর্বের প্রতীক, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো ‘পদ্মা সেতু’র দ্বার খুলছে। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে সকাল ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উম্মোচন ও মোনাজাত করে দ্বার খুলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই শুভক্ষণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ পৌঁছাবে এক অন্য উচ্চতায়।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র পুরো বাংলাদেশ এখন এক সুতোয় আবদ্ধ। পদ্মার দুই তীরে উৎসবের আমেজ। মাওয়াপ্রান্তে হবে সুধী সমাবেশ। আর শরীয়তপুরের জাজিরাপ্রান্তে ফলক উম্মোচন ও মোনাজাত করে প্রধানমন্ত্রী মাদারীরপুরের শিবচরে যোগ দিবেন স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশে। যেখানে ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

দেশি-বিদেশী নানান ষড়যন্ত্র আর বাধা-বিপত্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, কথিত দুর্নীতির অভিযোগকে অসাড় প্রমাণ করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এক অসম্ভবকে সম্ভব করে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু। আমাজনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় খরশ্রোতা প্রমত্তা পদ্মায় সেতু নির্মাণ ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগিদের এই প্রকল্প থেকে হটাৎ করে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি। যা বাংলাদেশের স্বপ্নের প্রকল্পকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে হাত দেন পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে। তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া, পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান, মূল সেতুর প্রাকযোগ্য দরপত্র আহ্বান করার কাজ শেষ করেন। সেতুর অর্থায়ন সংস্থা বিশ্বব্যাংক, জাপানের জাইকা, ইসলামী উন্নয়ন সংস্থা এবং এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেন। স্বল্পসময়ে ভূমি অধিগ্রহণ কাজেও বড় অগ্রগতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ যাবতীয় কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসেন। এমনকী প্রাকযোগ্য দরদাতা নির্বাচন প্রক্রিয়াও শেষ করেন। মাত্র দু’বছরে পদ্মা সেতুর প্রস্তুতির কাজ শেষ করা হয়। টার্গট ছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শেষ করা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির কথিত অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ২০১২ সালে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগিরাও সরে যায়। দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।

ঋণ দাতাদের চাপে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে পদত্যাগ করতে হয়। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যেতে হয় সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াকে। প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠে। মামলা হয় কানাডার আদালতে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা তদন্তে আসেন বাংলাদেশে। যদিও শেষ পর্ন্ত দুর্নীতির কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। কানাডার আদালত সবাইকে খালাস দেয়।

কিন্তু এই সময়ে দেশের রাজনীতিতে অনেক জল ঘোলা হয় পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি নিয়ে। বিশিষ্টজনরাও সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন। পদ্মা সেতু হবেনা, এটা প্রায় সবাই বলতে থাকেন। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চেষ্টা করেন বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এতোসব অনিশ্চয়তা আর নানান চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল, সাহস আর আত্মপ্রত্যয় সেই অনিশ্চয়তাকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে সাহস দেখায় সরকার। শুরু হয় সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া।

সেতুর পিলার তৈরির জন্য ২০১৫ সালে ১ মার্চ প্রথম পরীক্ষামূলক পাইলিং শুরু হয়। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তারপর আর থেমে থাকতে হয়নি। একে একে নির্মাণ হতে থাকে একেকটি পিলার। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান।

এভাবেই ধীরে ধীরে এগোতে থাকে সেতুর কাজ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর ৪২টি পিলারের সবকটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মার এপার-ওপার একিভূত হয়। শতভাগ দৃশ্যমান হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতুর নকশা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি এইকম। আর পদ্মা সেতুর মূল নকশাবিদ ছিলেন বৃটিশ নাগরিক রবিন শ্যাম। সেতুর নির্মাণকাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চায়না মেজর ব্রীজ কোম্পানি লিমিটেড। প্রায় সাত বছরের পরিশ্রম শেষে পদ্মা সেতুর মূল কাজ শেষ হয় চলতি জুনে। গত বৃহস্পতিবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু কতৃপক্ষকে সেতুটি বুঝিয়ে দেয়। আজ সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর। যার প্রতীক্ষায় পুরো দেশ।

দোতলা এই সেতুর নিচ তলায় চলবে ট্রেন। তবে মূল সেতু অর্থাৎ সড়ক সেতুকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করায় রেল অংশের কাজ শ্লথ হয়। যার ফলে সেতুর উপর রেললাইনের কাজ শুরু হবে আর কিছু দিনের মধ্যে। আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালের জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

এনএইচবি/

নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ

চিত্রনায়ক রিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে।

এতে সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন, ইউটিউবারসহ ২০ জনের মতো আহত হন। এদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহতে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাংবাদিকদের উপর এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন শিবা শানু, আলেকজান্ডার বো এবং শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী।

সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের উপর শিল্পীদের এই হামলা ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সাংবাদিকরা এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছে।

এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন শিল্পী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ।

চিত্রনায়ক রিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসাবে, আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে।

ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি।

নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

নারী কর্মচারীদের বোরকা ও নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি)-র কর্তৃপক্ষ।

গত ১৬ এপ্রিল মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মো. কবির হোসেনের সই করা এক চিঠিতে ওই ঘোষণা দেয় সিইআইটিসি কর্তৃপক্ষ।

‘ইউনিফর্ম পলিসি, ড্রেস কোড, পার্সোনাল অ্যাপিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড এবং গ্রুমিং কোড’ শিরোনামের ৩ পৃষ্ঠার অফিস আদেশটিতে বলা হয়, ‘আমাদের গ্রাহকদের কাছে একটি ইতিবাচক পেশাদার ভাবমূর্তি তৈরি করতে এবং রোগী ও জনসাধারণের আস্থা বাড়াতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার একটি অংশ হিসাবে, ব্যবস্থাপনা কর্মীদের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে সিইআইটিসি। এটি ১ মে থেকে কার্যকর করা হবে। সবাইকে তাদের সহযোগিতা প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

 

ওই ড্রেস কোডের বি সেকশনের তৃতীয় কলামের দ্বিতীয় সারিতে লেখা আছে, মহিলা কর্মচারীরা মুখ ঢেকে রাখতে পারবেন না। হিজাব অনুমোদিত। ডিউটির সময় নেকাব এবং বোরকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিইআইটিসির নারী কর্মচারী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, মুসলিম নারীদের জন্য বোরকা একটি বাধ্যতামূলক ড্রেস কোড। ধর্মীয় এই পোশাকটি নিষিদ্ধ করার অধিকার কর্তৃপক্ষের নেই। এটি অতিরঞ্জিত বাড়াবাড়ি আর কিছু নয়।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- সিইআইটিসি নামে পরিচিত হাসপাতালটি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেসরকারি এ হাসপাতালটি চক্ষু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় সাত শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংকক ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নবাইরাকুল এবং দেশটির ইন্টেরিয়র মন্ত্রী পুয়াংপেত চুনলাইয়াড, ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রাচার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল চুমফোন ক্লোইপায়ান।

সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ১৯ বার তোপধ্বনি দিয়ে গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

এ সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা আছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ
গাইবান্ধায় ‘শ্রুতিকটু’ ৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
হিটস্ট্রোকে প্রাণ হারালেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশতিয়াক
মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন থেকে না সরলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে বাস, পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল ট্রেনের যাত্রীরা
ইনশাল্লাহ স্পিন বিভাগে পার্থক্য গড়ব : বাংলাদেশের নতুন কোচ
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এফডিসিতে সাংবাদিক-শিল্পীদের মারামারি, কী ঘটেছিল?
তীব্র গরমের মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল লোডশেডিং
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ
ছয় দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা