মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে রেলওয়ের কোটি টাকা আত্নসাৎ

ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।

ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯৭ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। বিল যাচাই-বাছাই, চেক হস্তান্তর, ব্যাংকে জমাদান এবং উত্তোলনের পর বিষয়টি জানতে পেরেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দপ্তর (এফএঅ্যান্ডসিএও)।

নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছে নাবিল আহসান চৌধুরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (সাপ্লাইয়ার) দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় হিসাব কর্মকর্তা (ডিএফএ) জয়শ্রী মজুমদারকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি; আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি থানায় জিডি করা হচ্ছে।

ভুয়া বিলে প্রায় কোটি টাকা হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা রেলের ইতিহাসে প্রথম বলে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, অতীতে ক্যাশ লেনদেন হতো; কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার জানতে পারে। তবে গতকাল রবিবার ঘটনাটি রেল অঙ্গনে জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিভাগের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তারা।

জানা গেছে, পণ্য সরবরাহের বিপরীতে কসমো পলিটন প্রতিষ্ঠানের মালিক নাবিলের পক্ষে চারটি বিল দাখিল করা হয়। বিলগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে অর্থছাড়ও হয়েছে; কিন্তু ওই চারটি বিলের মধ্যে ৯৭ লাখ টাকার একটি বিল ছিল; কিছু দলিলাদি পরিবর্তন করে সেই বিলটি পুনরায় দাখিল করে। যাচাই-বাছাই শেষে বিলটি পাস হয় এবং সীমান্ত ব্যাংকের নগরীর আগ্রাবাদ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভুয়া বিল দাখিল করে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ঠিকাদারের সঙ্গে হিসাব ও স্টোরস শাখার একটি চক্র কাজ করেছে। অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা মো. রফিকুল বারী খানের ব্যক্তিগত সহকারী আসিফ এবং ওই অফিসের অস্থায়ী কর্মচারী হাবিব জড়িত। হাবিব রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক এক এফএঅ্যান্ডসিএওর ভাগিনা। সেই সুবাদে অস্থায়ী কর্মচারী হলেও তার কাছে অফিসের গোপন পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা প্রকাশের পর হাবিব আত্মগোপনে চলে যায়। অবশ্য তাকে গতকাল অফিসে হাজির করা হয়েছে। তবে তদন্ত চলমান থাকায় এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি মো. রফিকুল বারী খান। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মূলত বাংলাদেশ রেলওয়েতে সব কেনাকাটা প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের (সিসিএস) দপ্তরের মাধ্যমে করতে হয়। সব বিভাগ তাদের চাহিদা পাঠানোর পর পণ্য ক্রয় করে স্টোরে জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে আহ্বানকৃত টেন্ডারের বিপরীতে বিল পাঠানো হয় বিভাগীয় হিসাব কর্মকর্তার দপ্তরে। সেখান থেকে প্রধান অর্থ ও হিসাব কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানে সব ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে এফএঅ্যান্ডসিএও অনুমোদনের পর চেক ইস্যু করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে- ঠিকাদাররা বিল উত্তোলন করতে গেলে স্টোরস শাখা ও হিসাব শাখার একাধিক টেবিলে টাকা দিতে হয়। যে ঠিকাদার যতবেশি টাকা দেন তার বিল তত দ্রুত এগিয়ে যায়। কসমো পলিটনের মালিক নাবিল কর্মচারীদের চাহিদার চেয়েও বেশি ‘ঘুষ’ দিতেন। ফলে তার বিল প্রদানের কাজ চলত দ্রুত গতিতে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার বিল যাচাই-বাছাইয়ে সময়ক্ষেপণ করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছেন তিনি। ফলে তার প্রতিষ্ঠানের বিল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চাইতেন না কেউ।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গত অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কয়েকজনকে বদলির বিষয়ে আমাকে জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এফএঅ্যান্ডসিএওকে বলা হয়েছে।’

এফএঅ্যান্ডসিএও বলেন, ভুয়া বিলের বিপরীতে টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বদলি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, কসমো পলিটনের চারটি বিল ছিল, সেখানে একটি বিলের বিপরীতে দুইবার অর্থ ছাড় নিয়ে গেছে।

টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশনের মালিক দাবি করছেন বিলটি তারা দেননি। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে জালিয়াতি করা হয়েছে। চেকটি কোন ব্যাংকে জমা হয়েছে এবং কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য চেয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছি। পাশাপাশি টাকা ছাড়ের আগে ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ফোন দেওয়া হয়েছিল কিনা সেই বিষয়টিও আমরা দেখছি। কসমো পলিটনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার ধারণা বিল গ্রহণ, প্রক্রিয়ায় ডেসপাস শাখার কর্মচারীরা জড়িত থাকতে পারে।

সূত্র জানায়,দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশনের নামে ব্যাংক হিসাব থাকলেও ৯৭ লাখ টাকা নিতে নতুন একটি হিসাব খোলা হয়েছে সীমান্ত ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায়। সেই শাখা থেকেই টাকা উত্তোলন হয়েছে। ব্যাংক কীভাবে হিসাব খুলেছে সে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ব্যাংকের কেউ জড়িত কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে। কারণ ১ লাখ টাকা উত্তোলন করতে অর্থছাড়ের আগে হিসাবধারীকে ফোন করা হয়। ব্যাংক সেই দায়িত্ব পালন করেছিল কিনা, কিংবা কাকে ফোন দিয়েছিল সে বিষয়টিও দেখা হবে।

প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিসিএস) ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা কোনো বিল হিসাব শাখায় পাঠাইনি। সরঞ্জাম শাখার বাজেট থেকে কি টাকা চলে গেছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা হিসাব বিভাগ দেখবে। আমাদের কিছু করার নেই, আমার দপ্তরের কেউ জড়িত নন।

 

Header Ad
Header Ad

হংকং, জিম্বাবুয়ে, আমিরাতের সাথেও পারেনা টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

হংকং, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০৫ রানও যথেষ্ট হলো না শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে এই রানও তুলে ফেললো আরব আমিরাত! ১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো স্বাগতিকরা!

শেষ ২ ওভারে আরব আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। টেলএন্ডার ব্যাটাররা কি এই রান আর তুলতে পারবে? এমন একটি ভাব ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে। যার ফলে ভুলটা করলেন শরিফুল ইসলাম। ১৯তম ওভারে তিনি দিলেন ১৭ রান। ওভারের শেষ বলে গিয়ে ওভার থ্রোতে বাউন্ডারি খেয়ে বসলেন। অহেতুক ৫টি রান হজম করে হারতে হলো টাইগারদের।

১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো স্বাগতিকরা। ছবি: সংগৃহীত

তবুও, শেষ ওভারে আমিরাতের প্রয়োজন ১২ রান। তানজিম হাসান সাকিব প্রথমেই দিলেন ওয়াইড। পরের বলে ১ রান। এরপর খেলেন ছক্কা। ৪ বলে ৪ রান প্রয়োজন। তৃতীয় বলটিতে দারুণ ডেলিভারি দিলেন, বোল্ড হলো ব্যাটার। ম্যাচ তখন জমে উঠলো।

তিন বলে চার রান দরকার। মাতিউল্লাহ ১ রান নিলেন। চাপের মুখে চতুর্থ বলটিকে নো করে বসলেন তানজিম। এসময় রান আউটেরও দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু উইকেটরক্ষক জাকের আলির দুর্বল থ্রো এবং তানজিম সাকিবের তৎপরতার অভাবে রানআউট হলো না। পরের বলে ২ রান নিলেন হায়দার আলি। রান আউটের এবারও দারুণ সুযোগ। কিন্তু তাওহিদ হৃদয় বলটা প্রথমে থ্রো করেননি। কিন্তু যখন থ্রো করলেন তখন দেরি হয়ে গেছে। প্রথমে থ্রো করলেও রান আউট হতো নিশ্চিত।

ছোট ছোট এসব ভুলের কারণে ২০৫ রান করেও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো বাংলাদেশকে।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম রান প্রসবিনী, আরও একবার প্রমাণ হলো। যে কারণে দুই দল মিলে টি-টুয়েন্টিতে তুলতে পারলো ৪১১ রান। এমন ম্যাচে হারতে হলো বাংলাদেশকে।

অথচ, সিরিজ জয় আজই নিশ্চিত করে ফেলার দারুণ সম্ভাবনা ছিল। আগের ম্যাচে ১৯১ রান করেও ২৭ রানে জয় পেয়েছিল লিটন দাসের দল। আজ ২০৫ রান করার পর জয় কেন নয়! এমনটাই ছিল সমর্থকদের চাওয়া।

কিন্তু ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের দুই ওপেনার মুহাম্মদ জোহাইব ও মোহাম্মদ ওয়াসিম মিলে ১০৭ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েই বাংলাদেশকে পেছনের পায়ে ঠেলে দেন। ১০.১ ওভারে তানভির ইসলাম যখন জুটি ভাঙেন তখন আরব আমিরাতের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।

দুই ওপেনার জোহাইব ও ওয়াসিম মিলে অনবদ্য এক জুটি গড়েই বাংলাদেশকে পেছনের পায়ে ঠেলে দেন। ছবি: সংগৃহীত

৩৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হন মুহাম্মদ জোহাইব। এরপর রাহুল চোপড়াকে রিশাদ হোসেন দ্রুত (২ রানে) ফিরিয়ে দিলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের কাজ করে দিয়ে গেছেন তিনি। ৪২ বলে খেলে গেছেন ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই আরব আমিরাতের উইকেট নিতে থাকে বাংলাদেশের বোলাররা। আসিফ খান ১২ বলে ১৯ এবং আলিশান শরাফু ৯ বলে ১৩ রান করে কিছুটা চড়াও হতে চাইলেও নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম তাদেরকে বেশি এগুতে দেননি। এরপর আরিয়ানস শর্মা ৭ রানে আউট হলে বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি চলে আসে।

কিন্তু ধ্রুব পারাসার ১১ রান করে এবং হায়দার আলি ৬ বলে ১৫ রান করে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা কেড়ে নেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও দায় কম নয়। অভিজ্ঞতায় স্রেয়তর দল হিসেবে এসব ভুলগুলো না করলে ম্যাচ বাংলাদেশেরই থাকতো।

টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাস মিলে ৯০ রানের বিশাল জুটি গড়েই বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন। এরপর শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

ওপেনার তানজিদ তামিম ৩৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হন। তাওহিদ হৃদয় ২৪ বলে করেন ৪৫ রান এবং লিটন দাস করেন ৪০ রান। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৭ রান।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলিদের হামলা। চলমান এই হামলায় মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে হামলার জেরে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

আল জাজিরা বলছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর মধ্যরাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে এবং আরও ৩৮ জনকে হত্যা করেছে।

এদিকে কানাডা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা গাজায় নতুন করে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “জোরালো পদক্ষেপ” নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে ২২টি দেশ অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ১৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হাজার ৪৮৬ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ৩৬৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৯৮ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

Header Ad
Header Ad

ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস আবারও ভয় ধরাচ্ছে ভারতসহ এশিয়ার একাধিক দেশে। সম্প্রতি হংকং ও সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব এবার ভারতেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভারতজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ২৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১২ মে থেকে ভারতে নতুন করে ১৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু রাজ্যে। কেরালায় গত সপ্তাহে নতুন করে ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৪ জন এবং তামিলনাড়ুতে ৩৪ জন।

মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। বর্তমানে সেখানে মোট ৫৬ জন কোভিড পজিটিভ রয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে একজন ৫৯ বছর বয়সী ক্যানসার আক্রান্ত নারী এবং অন্যজন ১৪ বছর বয়সী কিডনি রোগে আক্রান্ত কিশোরী। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের মৃত্যু সরাসরি করোনার কারণে হয়নি, তবে তারা দুজনই কোভিড পজিটিভ ছিলেন।

এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের মৃত্যুসনদে কেন কোভিড সংক্রান্ত কোনো উল্লেখ নেই। বিশেষ করে ৫৯ বছরের ওই নারীর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে মুম্বাইয়ের ভোইওয়াডা শ্মশানে সরকারি প্রোটোকল মেনে দাহ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুইজন পরিবারের সদস্য। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাবেক কর্পোরেটর অনিল কোকিল।

করোনার নতুন এই উত্থান ফের মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা। যখন কোভিড-১৯ মহামারিতে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল, অর্থনীতি ছিল চরম চাপে, এবং সাধারণ মানুষ ছিল চরম আতঙ্কে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রশ্ন উঠছে — আবার কি সেই ভয়াবহ সময় ফিরে আসছে?

সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। প্রশাসন দুই জায়গায়ই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে এই দুই অঞ্চলের যোগাযোগ থাকায় নয়াদিল্লিতেও বেড়েছে উদ্বেগ।

তবে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কিংবা কোনো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। চিকিৎসক মহলও এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। কেউ কেউ সাবধানতার পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার কেউ মনে করছেন আতঙ্ক না ছড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাই শ্রেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। তাই সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এখনো জরুরি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তথ্যসূত্র: এবিপি নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হংকং, জিম্বাবুয়ে, আমিরাতের সাথেও পারেনা টাইগাররা
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮
ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা
চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ
নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক
হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি, ক্ষমা চাইলেন ইশরাক হোসেন
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, ব্যাপক স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ক্ষমা চাইতে হাসনাতকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম কুমিল্লা জেলা বিএনপির
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক
১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সরকার: প্রেস সচিব
বিরামপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ!
একযোগে ১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!
বদলে গেলো নাম, ধানমন্ডি ২৭ এখন 'শহীদ ফারহান ফাইয়াজ' সড়ক