শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শিবির সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করে ৯ দফা তৈরি হয়: সমন্বয়ক কাদের

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিলো ৯ দফা। যার কারনেই এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রুপ নেয়। ঘোষিত সেই ৯ দফা নিয়ে এবার মুখ খুললেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। নয় দফা কিভাবে ঘোষণা হয়েছিল সে বিষয়ে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক পেজে বিস্তর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি।

সমন্বয়ক আব্দুল কাদের লিখেছেন, “কোটা সংস্কারকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল; কিন্তু সরকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে আন্দোলন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় নয় দফার অবতারণা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলাম; কিন্তু ১৬ তারিখ মঙ্গলবার আবু সাঈদসহ ৬ জন যখন শহীদ হয়। ওইদিন রাত ১২ টায় সামনের সারির সমন্বয়করা মিলে আমরা একটা অনলাইন মিটিং করি। মিটিংএ প্রথম এজেন্ডাই ছিল আজকে যে ছয়জন শহীদ হলো, এই ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার কি না? তখন সবাই হই হই করে বলে উঠে, ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার হতে পারে না। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করা হয়।”

“এই আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিসহ আরো কিছু দাবি দাওয়া উঠে আসে। বলে রাখা ভালো, আমরা এতোদিন "বাংলা ব্লকেড" থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশসহ নানান সফট এবং হার্ড কর্মসূচী নিয়ে মাঠে অবস্থান করেছিলাম; কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একেবারে নির্বিকার-নির্লিপ্ত মনোভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। আলাপ-আলোচনার দ্বার ধারে নাই সরকার, কেবল হাইকোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে চুপচাপ দেখে যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যখন বেগতিক হয়ে যায়, ৬ জন শহীদ হয়, ওইদিনই সরকার আলোচনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়, আমাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে আলোচনায় বসার জন্য। কিন্ত আমরা আলোচনার আহ্বানকে বরাবরের মতোই প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করি। যদিও ভিতর-বাহির থেকে আলোচনায় বসার নানারকম চাপ আসছিল।”

তিনি আরও লিখেছেন, “সরকার সংলাপের আহ্বান ফরমালি জানিয়েছিল কিন্ত সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অবস্থান ফরমালি ক্লিয়ার করিনি। ক্লিয়ার করার সুযোগও পাইনি। বুধবার গায়েবানা জানাযায় ঢাবি ক্যাম্পাসে পুলিশ আমাদের উপর গুলি চালায়, আমিসহ কয়েকজন আহত হই। হান্নান মাসউদ গুলিবিদ্ধ হয়। তখন থেকেই আমরা আন্দোলন পরিচালনা করে যাবার স্বার্থে কৌশলী অবস্থান নিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। যদিও সরকারের সংলাপকে প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার রাতে আমরা কিছু দাবি দাওয়া ঠিক করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে যে সেই দাবিগুলো ফাইনাল করব সে সময় পাইনি। তবে আমরা বৃহস্পতিবার মাঠের কর্মসূচি (কমপ্লিট শাটডাউন) দিয়ে নিজেদের অবস্থান ক্লিয়ার করেছিলাম। বৃহস্পতিবার আমি আর আসিফ ভাই এক বাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে চলে যাই। ওইদিন ১৮ তারিখ রাতেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। আমরাও কর্মসূচি চলমান রাখতে, গ্রেপ্তার এড়াতে বার বার জায়গা পরিবর্তন করে বেড়াচ্ছি। কারো সাথে তেমন কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।”

“আন্দোলনের শুরুতেই নাহিদ ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে এক লোকের সাথে মিট করায় এবং পরবর্তীতে আন্দোলনের পারপাসে একাধিকবার ওই লোকের সাথে যোগাযোগ হয়; পরবর্তীতে জানতে পারি তিনি ঢাবি শিবিরের ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কিন্ত তখনও শিবিরের সভাপতি এবং সেক্রেটারির সাথে ওইভাবে যোগাযোগ হয়নি। শুক্রবার যাত্রাবাড়ি এলাকায় যখন আন্দোলন করছিলাম তখন শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি ফরহাদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলল- “আন্দোলনরত কয়েকজন সমন্বয়ক সরকারের মন্ত্রীদের সাথে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে, এতো এতো শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করতেছে তারা। আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে। কিছু দাবি-দাওয়া দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, মানুষের সাথে বেইমানি করা যাবে না।" আমি সম্মতি জানাই। আমাদের তো আগেই অবস্থান ছিল আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতের মিটিংয়ে ঠিক করা কিছু দাবি দাওয়া আমার মাথায় আছে।”

“আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার মতো মাঠে কোনো সিনিয়র নাই। আসিফ-নাহিদ ভাইকে গুম করে রেখেছে। আমি সাত-পাঁচ না ভেবে রিস্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওইদিন জুমার নামাজের পর পরই যাত্রাবাড়ীতে কয়কজন শহীদ হয়, সবগুলা আমার চোখের সামনেই ঘটতেছে। মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলছে, এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। তাছাড়া দীর্ঘদিন জেল-জুলুম, হামলা-মামলার শিকার হয়ে হাসিনার এমন অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি; মাথা নত করিনি। আমার পরিণতি কি হবে, সেটা ঘুনাক্ষরেও কল্পনা করিনি। চোখের সামনে মানুষ মেরে ফেলছে, মানুষের কথা চিন্তা করে নিজের জীবনের কথা ভাবার সময় পাইনি। গত ৪/৫ বছর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই আমাদেরকে দৃঢ়তা ধরে রাখার শিক্ষাই দিয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিই। যাইহোক, কিছুক্ষণ বাদে শিবিরের সেক্রেটারি আমাকে আবারো ফোন দিল। বলতেছে, কিছু দাবি দাওয়া খসড়া আকারে করছি, তোমার সাথে আলোচনা করি৷ আমাদেরও যেহেতু আগেই আলোচনা হয়েছিল অনেকগুলো দাবির ব্যাপারে সেগুলো তখন উনার সাথে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে তৈরী হয় ৯ দফা।”

তিনি একে একে কিছু দাবি বললেন। যেগুলা খুব কমন দাবিদাওয়া- যেমন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত পুলিশ প্রশাসনকে বরখাস্ত, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা, ভিসি'র পদত্যাগ। যেগুলা ৬ জন শহীদ হওয়ার পরে মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের আলোচনাতেই আমরা ভেবেছিলাম। এছাড়া মানুষজনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছিল। শেষের দিকে গিয়ে শিবিরের সেক্রেটারি একটা দাবি এড করল- “ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে” এটা আমি মানি নাই, দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা হইলো। পরে আমি বললাম, ঢালাওভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না, এক্ষেত্রে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলতে পারেন। পরে সেটাই ঠিক হইলো- “লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে”।

“এই হইলো নয় দফা তৈরির পেছনের গল্প। তবে নয় দফা প্রচার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল শিবির। যেহেতু নেট নাই, গোলাগুলি-কারফিউয়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সশরীরে হাউজে হাউজে পৌঁছে দিয়েছে, বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা তারাই করেছে।”

“আমাকে নতুন একটা সীম এবং মোবাইল কালেক্ট করার পরামর্শ দিল তারা। আমি স্টুডেন্টের বাসা থেকে সীম নিয়ে ওই নাম্বারটা নয় দফা সংবলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির সাথে দিয়ে দিলাম। ওইদিন সন্ধ্যায় বাসা থেকে ৪-৫ কিলো দূরে হেটে গিয়ে পরিচিত সাংবাদিকদেরকে ফোন দিয়ে নয় দফার বিষয়টা জানাইলাম। টুকটাক ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের সাথে আমার পরিচয় ছিল। তো ওই রাতে তাদের অনেককে একটা একটা করে দফা বাটন ফোন দিয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে দাবিগুলা লিখে পাঠাইছি। পুরা নয়টা দাবি একসাথে ম্যাসেজে পাঠানো যায় না। কাউকে আবার মুখে বলে দিছি, সে লিখে নিছে। কেউ আবার রেকর্ড করে নিছে। কনফার্ম হওয়ার জন্য অনেকেই ফোন দিছে, এটা আসলেই আমি দিছি কি না। বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলাকেও ফোন দিয়ে কনফার্ম করা লাগছে, 'আমার পক্ষ থেকে এটা যাচ্ছে, আপনাকে একজন পেনড্রাইভের মাধ্যমে পৌঁছে দিবে।' এইভাবে চলল রাতের ১১ টা পর্যন্ত।”

“প্রতিদিন রাতের বেলায় বাসা থেকে দূরে চলে যেতাম। ফোন অন করে সাংবাদিকদের সাথে ২-৩ ঘন্টা কথাবার্তা বলে, তাদেরকে কনফার্ম করে, ফোন বন্ধ করে আবার বাসায় ফিরতাম। সিনিয়ররা গুম অবস্থায় ছিল, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিলো না বাকিদের সাথেও। এইভাবেই চলতে থাকল। আমার বাসা ছিল যাত্রাবাড়ী থানার পাশেই। গ্রেপ্তারের আতঙ্ক, তারপরও বাসায় থাকতে হতো। শুরুতেই যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। কোনো রাত মসজিদে কাটাইছি, কোনো রাত অর্ধেকটা বাহিরে কিংবা বাসার ছাদে কাটিয়ে শেষ রাতে বাসায় ফিরেছি।”

“এইতো ঐতিহাসিক নয় দফা, আমাদের নয় দফা, ফ্যাসিস্ট হাসিনা থেকে মুক্তি লাভের সনদ!”

Header Ad
Header Ad

বোতল নিক্ষেপকারী শিক্ষার্থীকে বাসায় দাওয়াত দিলেন তথ্য উপদেষ্টা

বোতল নিক্ষেপকারী শিক্ষার্থীকে বাসায় দাওয়াত দিলেন তথ্য উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম তাঁর ওপর পানির বোতল নিক্ষেপকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হুসাইনকে বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হুসাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে। পরে ডিবি কার্যালয়ে শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা এবং আন্দোলন শেষে তাকে বাসায় আসার আমন্ত্রণ জানান।

এর আগে দুপুরে তিনি হুসাইনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পরই অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়ার অনুরোধ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে হুসাইন ও তার মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন তথ্য উপদেষ্টা, যেখানে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধানের রোডম্যাপ আসছে।

ওই পোস্টে তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে সরকারের স্পষ্ট রোডম্যাপ জানানো হবে। তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জবির শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দ্রুতই সমাধান হবে।

উল্লেখ্য, আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় গত বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে এক শিক্ষার্থী তাঁর দিকে একটি পানির বোতল ছুঁড়ে মারলে সেটি মাথায় লাগে। এরপর আর কিছু না বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন ‌‘জাতীয় যুবশক্তি’ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ১৩১ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হয়।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় যুবশক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এতে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও মুখ্য সংগঠকের নাম ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী।

ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম এবং মুখ্য সংগঠক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেলের।

অনুষ্ঠানে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী হান্নান মাসাউদ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরের পর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জাতীয় যুবশক্তির নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Header Ad
Header Ad

পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই করে বিক্রি, ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে পেটে বাচ্চাসহ গাভী গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগে সোহেল মিয়া নামে এক মাংস ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে টাঙ্গাইল পৌর শহরের বটতলা বাজারে ওই ব্যবসায়ীর কসাইখানায় গিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক  আসাদুজ্জামান রোমেল জরিমানা করে।

সোহেল মিয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চিলাবাড়ির পাইকপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, সোহেলের মাংসের দোকানে কসাইখানা পরিদর্শক সিল মারতে গিয়ে একটি গাভী গরু দেখতে পান। এরপর সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেই গাভীটির পেটে দুই মাসের বাচ্চা রয়েছে শনাক্ত করে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শাহিন আলম বলেন, শহরের বটতলা বাজারে সোহেল মাংসের দোকানে একটি গাভী গরু জবাই করা হয়েছে জানতে পেরে গরুটি পরীক্ষা করে দেখেন ২ মাসের পেটে বাচ্চা রয়েছে। পরে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে সোহেল নামে ওই মাংস ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, খবর পেয়ে মাংস ব্যবসায়ী সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে। পরে তাকে  ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত ৭০ কেজি মাংস জব্দ মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে।

এ সময় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সেনেটারী ইনচার্জ সাহিদা আক্তার, কনজুমারস এসোসিয়েশন  অব বাংলাদেশ ক্যাবের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল, এএস আই মিলন প্রমুখসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বোতল নিক্ষেপকারী শিক্ষার্থীকে বাসায় দাওয়াত দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ
পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই করে বিক্রি, ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ
প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ও সাম্য হত্যার তদন্ত করে লাভ নেই: ফারুক
শাহজালালে ৭১ আরোহীসহ নিরাপদে অবতরণ করল চাকা খুলে পড়া বিমান
শ্রীনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই
উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান
গত ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে : মির্জা আব্বাস
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ থানা ঘেরাও, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
গভীর রাতে ৭৫০ জনকে পুশ-ইনের চেষ্টা, বিএসএফকে রুখে দিল বিজিবি-জনতা
১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন নওগাঁর ৩৬ জন
অশ্লীল কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ, টিকটকার মামুন-লায়লাকে আইনি নোটিশ
ঈদযাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, কাউন্টারে ভিড়
ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের খোঁজার দায়িত্বে কুবির দুই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক
দুঃখ প্রকাশ করে যা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম