বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার ও কেবিন ক্রুকে সম্মাননা

বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার ও কেবিন ক্রুকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
উড়ন্ত অবস্থায় চাকা খুলে পড়ার মতো গুরুতর বিপর্যয় সত্ত্বেও যাত্রীদের নিরাপদে অবতরণ করিয়ে সাহসিকতার নজির গড়েছেন বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটের পাইলট ও কেবিন ক্রু। এ দুর্দান্ত প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন জে এস এম এম বিল্লাহ, ফার্স্ট অফিসার জায়েদ তাজিম এবং কেবিন ক্রু মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আরিয়ানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বলাকা ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই স্মারক তুলে দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি এড়িয়ে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় সংশ্লিষ্ট সবাই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ভবিষ্যতেও এমন পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের আরও সজাগ থাকতে হবে।”
এর আগে, বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের পরপরই এক চাকা খুলে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ৭১ জন যাত্রী ও ক্রুদের নিয়ে মাঝ আকাশেই ঘটে এই সংকট। তবে দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে এবং সবাই নিরাপদে ফিরে আসে।
স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের পর উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রস্তুতি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন সেশনে অংশ নেন।
পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি তৃতীয় টার্মিনালের কাজ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমান, এবং মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
