মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কার্যকর সিটি করপোরেশনের প্রত্যাশায়

বাংলাদেশে পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নিয়ে নগর স্থানীয় সরকার গঠিত। নগর স্থানীয় সরকার আইনসভার মতো কাজ করে। এটি সিটি করপোরেশনের সাধারণ নীতি এবং কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করে এবং বিতর্ক করে, শহুরে স্থানীয় সংস্থার বাজেট পাস করে, কর, সম্পদ বৃদ্ধি, পরিষেবার মূল্য নির্ধারণ এবং পৌর প্রশাসনের অন্যান্য দিকগুলির সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত নীতি তৈরি করে। নগর পরিকল্পনা শহুরে স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেখানে কর্তৃপক্ষকে জনগনের মৌলিক অবকাঠামো পরিষেবা (পরিবহন, জল এবং স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বিনোদন) নিশ্চিত করতে হয়।

সিটি করপোরেশন বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সিটি করপোরেশনকে কার্যকর করার জন্য কীভাবে এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করা যায় সে সম্পর্কে আমি এই লেখায় সংক্ষেপে আলোচনা করব। উদ্বেগের বিষয় হল কেন্দ্রীয় প্রশাসন সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হয় (মেয়র সহ) কিন্তু এর কার্যাবলী একটি সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এবং যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে ধারণা করা হয়। প্রতিনিধিত্ব ও তার মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনসাধারণের প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রতি নজর দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। শহর পর্যায়ে ভূমিহীনদের নাগরিকত্ব না থাকায় গ্রামীণ অভিবাসীদের বিশাল জনসমষ্টির স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার নেই। বাস্তবতা বলছে, একটি সিটি করপোরেশন স্বাধীনভাবে তার কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারে এমন লক্ষণ খুব কম। দুর্ভাগ্যবশত, এই শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলি তাদের অর্গানোগ্রামের অনুমোদনসহ অনেক বিষয়ে আর্থিক সহায়তা এবং প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলি তাদের হার, কর, ফি বা এমনকি ছোট চার্জ সংশোধন করতে পারে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া।

স্থানীয় মধ্যস্থতাকারীরা সক্রিয়ভাবে বস্তিবাসীদের এনজিও থেকে সুবিধা নিতে নিরুৎসাহিত করে এবং ফলস্বরূপ এনজিওগুলিকে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এই স্থানীয় মধ্যস্থতাকারী নেটওয়ার্কগুলির সাথে মধ্যস্থতা করতে হয়। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রথমত, স্থানীয় জনগণকে মৌলিক সেবা প্রদানের জন্য দায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে জনবলের ঘাটতি রয়েছে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের পরিষেবা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন যা তাদের দায়িত্ব। আবার আর্থিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, বাজেট বরাদ্দের প্রক্রিয়াটি আনাড়ি এবং ধীর। প্রতিষ্ঠানগুলোরসিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে । বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু ওভারল্যাপিং ফাংশন রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, ডিসিসি এবং ঢাকা ওয়াসা উভয়ই ঢাকা মহানগরে পানি সরবরাহ করে।

দেশে বর্তমানে ১২টি সিটি করপোরেশন ছাড়াও ৩৩০টি পৌরসভা রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয় ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান এবং ব্লক বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল। সম্পদের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি করদাতাদের প্রতি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের ফলে টেকসইযোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টা অদৃশ্য বলে মনে হচ্ছে। অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল, কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বল মনিটরিং, পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য আইন ভঙ্গ করে হলেও কাউন্সিলররা কর বৃদ্ধি বা নতুন কর আরোপকে সমর্থন করতে নারাজ। এভাবে ক্রমবর্ধমান শহুরে জনসংখ্যার চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সরকারকে রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়।

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের জন্য এর কমিটিগুলোর কার্যকারিতা সহায়ক ভূমিকা পালন পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্থায়ী কমিটি সদস্যদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ রয়েছে, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। কমিটির সভাগুলি সহযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানের একটি ফোরাম হিসাবে কাজ করে। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জন্য প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়মিতভাবে আয়োজন করতে হবে যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

সর্বোপরি সিটি করপোরেশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চেতনা সমুন্নত রাখতে কমিটিকে শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ভূমি-ব্যবহার এবং ভবন নির্মাণের যথাযথ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নগর পরিকল্পনার উপর জোর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। গার্হস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জল সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জনস্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে যেন সিটি করপোরেশনে বসবাসকারী নাগরিকরা সময়মতো সর্বোত্তম পরিষেবা পায়। এক্ষেত্রে কর্মদক্ষতাকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। নির্বাচনী সংস্কারের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকারে সিটিজেন চার্টার/ নাগরিক সনদ ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থার মতো আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।

মেয়রের পর্যালোচনায় কর মওকুফের সংস্কৃতি বন্ধ করা এবং বর্তমানে প্রচলিত ব্লক বরাদ্দের পরিবর্তে কার্যক্ষমতাভিত্তিক অনুদান ব্যবস্থা কার্যকর করা উচিত।একটি অভিযোগ প্রতিকার কমিটি এবং স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা প্রতিনিধিত্বে গঠিত একটি সমন্বয় কমিটি থাকা উচিত যাতে সোচ্চার হওয়া এবং জবাবদিহিতার একটি পদক্ষেপ হিসাবে কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করা যায়। সু-নগর শাসনের জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যকর নেতৃত্বের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের, স্থানীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত, এনজিও, সুশীল সমাজ এবং জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

সিটি করপোরেশনের পরিষেবা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা ও এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস এবং স্থানীয় পরিষেবাসমূহকে উন্নত করা প্রয়োজন। এই স্তরে স্থানীয় জবাবদিহিতা এবং উন্নত কর্মক্ষমতা, উভয়ের অগ্রগতিকেই উৎসাহ দেয়া দরকার। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা আবশ্যক।

 

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইমেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad
Header Ad

ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

নতুন অর্থবছরের বাজেটে অত্যান্ত বাস্তব ভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না। ধার করে বড় বড় মেগা প্রকল্প করব না।’

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভক্ত করায় রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। ইতোমধ্যে রাজস্ব আদায় গতবারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। খুব হতাশাব্যাঞ্জক না, আমি আরও এক্সপেক্ট করছি। এটলিস্ট গত বারের তুলনায় কম হবে না।’

তিনি বলেন, ‘মোটামুটি বাজেটটা আমরা বাস্তবায়ন করব, বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে করব না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন করব অত্যান্ত বাস্তব ভিত্তিতে। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে, ধার করে ডেফিসিট দিয়ে এগুলো করব না। ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না। কিছুটা তো ডেফিসিট (ঘাটতি) থাকবে। সেটা পূরণ করতে আমি নেগোশিয়েট করছি, আমরা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা বলছি, সেটা মোটামুটি এখন সাকসেসফুল।’

গতকাল একটি অধ্যাদেশ হয়েছে, যেটার মাধ্যমে ৫৩ বছরের এনবিআর ভেঙে গেল। বলা হচ্ছে- কাস্টম ট্যাক্স ক্যাডারের যারা কর্মকর্তারা তারা লম্বা সময় ধরে আন্দোলন করছিলেন, তাদের মতামত উপেক্ষা করে এই অধ্যাদেশ করা হলো। বিষয়টি কী সে রকম? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেস্টা বলেন, ‘অধ্যাদেশটা ভালো করে পড়ে দেখেন, তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত আছে। পলিসি একটা ডিভিশন হবে, এটা অত্যান্ত ছোট একটা ডিভিশন। অতএব এনবিআররের দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। এনবিআর থাকবে, এনবিআরটা যেভাবে আছে কতোগুলো টার্মস অব রেফারেন্স হিসেবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা ইন্টারন্যাশনাল প্যাকটিস পালিসি ডিভিশন আর ইমপ্লিমেশন ডিভিশন এক থাকে না। সব দেশেই আলাদা থাকে। কারণ পলিসি ডিভিশনটা প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়ে। অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, দেশের জিডিপি এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর এনবিআর করবে এটা ইমপ্লিমেন্ট। এখন এনবিআর যদি পলিসিও করে, মানে যাদের কাজ কেবল আদায় করা এটা একটা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকে। আমি পলিসি করলাম, আমি আবার লোক দিয়ে আদায় করলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘অত্যন্ত চিন্তা করে এটা করা হয়েছে। ওদের সঙ্গে যে আলাপ করিনি তা না, যদি মনে করেন এনবিআরের হাজার হাজার লোকের সঙ্গে আলাপ করতে হবে, তা না। যারা মেম্বার, সদস্য ডেফিনেটলি তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। ওদিকে আবার প্রশাসনের লোকের কিছু মন্তব্য আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ও ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে পৃথকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার এক আলোচনা সভা চলাকালে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের কিছু শিক্ষার্থী, যারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। সেখানে তাদের সঙ্গে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এরপর ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা বাইরে গেটে অবস্থান নেন এবং বিএসসি শিক্ষার্থীরা মূল গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেন।

গেট ভাঙার চেষ্টা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ উপস্থিত থাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একাধিক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তারা মারধর ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন।

ঘটনার পর রাজশাহী নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বোয়ালিয়া জোন) হাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর একটি দল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে।

ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের হামলায় ১১ সেনাসহ ৫১ জন নিহতের কথা জানালো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের চালানো এক হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। নিহতদের মধ্যে ১১ জন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং বাকিরা বেসামরিক নাগরিক। সোমবার (১২ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়। খবর দিয়েছে জিও নিউজ।

আইএসপিআরের দাবি, ৬ ও ৭ মে রাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘উসকানিমূলক ও কাপুরুষোচিত’ হামলা চালায়। নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১২১ জন, যাদের মধ্যে ১০ জন নারী ও ২৭ জন শিশু রয়েছেন।

দেশ রক্ষায় প্রাণ দিয়েছেন পাকিস্তানের ১১ সেনা সদস্য এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৮ জন।

এই ঘটনার পর সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৫টায় ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক পর্যায়ে ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষই আর কোনো গোলাগুলি না চালানোর বিষয়ে একমত হয়েছে।

প্রথমে বৈঠকটি দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্বিত হয়ে সন্ধ্যায় শুরু হয়। বৈঠকে সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাস, সেনা সংখ্যা কমানো এবং পারস্পরিক আক্রমণাত্মক মনোভাব পরিহারের বিষয়ে আলোচনা হয়। ভারতের পক্ষে ডিজিএমও রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের পক্ষে ডিজিএমও কাশিফ আব্দুল্লাহ এই বৈঠকে অংশ নেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না: অর্থ উপদেষ্টা
রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ও ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
ভারতের হামলায় ১১ সেনাসহ ৫১ জন নিহতের কথা জানালো পাকিস্তান
সৌদি আরবের মাটিতে ট্রাম্প, স্বাগত জানালেন যুবরাজ সালমান
আপিলের জন্য জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ
মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা
চিকিৎসক-সার্জনদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
‘ইতিহাসে প্রথম রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে’
সারা দেশে এনআইডি সেবা সাময়িক বন্ধ
শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে
ঈদে চলবে ১০টি বিশেষ ট্রেন, জানুন সময়সূচি ও রুট
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র
রাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ
কেন থামাল ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ, রহস্য ফাঁস করলেন ট্রাম্প
মধ্যরাতে এনবিআর ভেঙে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ চালু
চোখের চিকিৎসায় ব্যাংকক গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
কাতারের বিমান উপহার প্রস্তাব ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’: ডোনাল্ড ট্রাম্প
মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ২০
রাজধানীতে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম