শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

রোজাদারের বর্জনীয় ও করণীয়

হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রমজান মাসে যারা সিয়াম পালন করেন তাদের দুটি শ্রেণি রয়েছে। এক শ্রেণির পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে। অন্য শ্রেণি ক্ষুধা-পিপাসায় কষ্ট করা ছাড়া কিছুই লাভ হবে না। প্রথম শ্রেণির রোজাদারদের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: “যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে এবং আল্লাহর নিকট সাওয়াব অর্জনের খাঁটি নিয়তে রমজানের সিয়াম পালন করবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে।” (বুখারি, আস-সহিহ ১/২২, ৬/৬৭২; মুসলিম, আস-সহিহ ১/৫২৩)

দ্বিতীয় শ্রেণির রোজাদারদের বিষয়ে তিনি বলেন: “অনেক সিয়াম পালনকারী আছে যার সিয়াম থেকে শুধু ক্ষুধা ও পিপাসা ছাড়া আর কোন লাভ হয় না। এবং অনেক কিয়ামকারী বা তারাবিহ-তাহাজ্জুদ পালনকারী আছে যাদের কিয়াম-তারাবিহ থেকে শুধু রাত্রি জাগরণ ছাড়া আর কোনোই লাভ হয় না।” (ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ১/৫৩৯; আলবানী, সহীহুত তারগীব ১/২৬২)
এরূপ রোজাদারদের প্রতি বদদোয়া করে তাদের দুর্ভাগ্যের কথা জানিয়ে রাসূলুল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল, কিন্তু এই মাসে তাকে ক্ষমা করা হলো না সেই ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে চির বিতাড়িত।” (২. হাকিম, আল-মুসতাদরাক ৪/১৭০; ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ২/১৪০-১৪১; আলবানী সহীহুত তারগীর ১/২৬২।)

আমরা যারা রমজানের সিয়াম পালন করতে যাচ্ছি তাদের একটু ভাবতে হবে, আমার কোন দলে পড়ব। আর তা জানতে হলে রোজা বা সিয়ামের অর্থ বুঝতে হবে। রাসূলুল্লাহ বলেন:
“পানাহার বর্জনের নাম সিয়াম নয়। সিয়াম হলো অনর্থক ও অশ্লীল কথা-কাজ বর্জন করা।” (৩. ইবনু হিব্বান, আস-সাহীহ ৮/২৫৫: হাকিম, আল-মুসতাদরাক ১/৫৯৫; আলবানী, সহীহহুত তারগীব ১/২৬১)।

বর্জনীয়:
তাহলে চিন্তাহীন, অনুধাবনহীন, সৎকর্মহীন পানাহর বর্জন “উপবাস” বলে গণ্য হতে পারে তবে ইসলামি “সিয়াম” বলে গণ্য হবে না। হারাম বা মাকরূহ কাজেকর্মে রত থেকে হালাল খাদ্য ও পানীয় থেকে নিজের বিরত রাখার নাম সিয়াম নয়। সিয়াম অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সকল হারাম, মাকরূহ ও পাপ বর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে হালাল খাদ্য, পানীয় ও সম্ভোগ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। এভাবে হৃদয়ে সার্বক্ষণিক আল্লাহ সচেতনতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে লক্ষ্য রেখে শত প্রলোভন ও আবেগ দমন করে সততা ও নিষ্ঠার পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য সিয়াম। যদি আপনি কঠিন ক্ষুধা বা পিপাসায় কাতর হয়েও আল্লাহর ভয়ে ও তার সন্তুষ্টির আশায় নিজেকে খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত রাখেন, অথচ সামান্য রাগের জন্য গালি, ঝগড়া ইত্যাদি হারাম কাজে লিপ্ত হন, মিথ্যা অহংবোধকে সমুন্নত করতে পরনিন্দা, গিবত, চোগলখুরী ইত্যাদির ভয়ংকর হারামে লিপ্ত হন, সামান্য লোভের জন্য মিথ্যা, ফাঁকি, ঘুষ ও অন্যান্য যাবতীয় হারাম নির্বিচারে ভক্ষণ করেন, তাহলে আপনি নিশ্চিত জানুন যে, আপনি সিয়ামের নামে আত্মপ্রবঞ্চনার মধ্যে লিপ্ত আছেন। ধার্মিকতা ও ধর্ম পালনের মিথ্যা অনুভূতি ছাড়া আপনার কিছুই লাভ হচ্ছে না।

রাসলুল্লাহ বলেছেন, “যে ব্যক্তি পাপ, মিথ্যা বা অন্যায় কথা, অন্যায় কর্ম, ক্রোধ, মূর্খতাসুলভ ও অজ্ঞতামূলক কর্ম ত্যাগ করতে না পারবে, তার পানাহার ত্যাগ করাতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।” (৪. বুখারি, আস-সহীহ ২/৬৭৩, ৫/২২৫১)।

আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, তোমরা রোজার সময় দিবসে পানাহার কর না। এরপরের আয়াতেই আল্লাহ বললেই, তোমরা অপরের সম্পদ অবৈধভাবে আহার কর না। এখন আপনি প্রথম আয়াতটি মেনে দিবসে আপনার ঘরের খাবার আহার করলেন না, কিন্তু পরের আয়াতটি মানলেন না, সুদ, জুলুম, চাঁদাবাজি, যৌতুক, গিবত, মিথ্যা মামলা, জবর-দখল, সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখল ইত্যাদি নিষিদ্ধ পদ্ধতিতে অন্যের সম্পদ আহার করলেন, তাহলে আপনি কেমন রোজাদার?

ইফতারের সময় ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। সবরত ও ঠান্ডা তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়াই উত্তম। পরিমিত আহার করতে হবে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে রোজার মর্ম উপলদ্ধি করা যাবে না। রোজা রেখে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির কষ্ট অনুভব করা যাবে না।

করনীয়:
সিয়াম শুধু বর্জনের নাম নয়। সকল হারাম ও মাকরূহ বর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সকল ফরজ-ওয়াজিব ও যথাসম্ভব বেশি নফল মুস্তাহাব কর্র্ম করাই সিয়াম। বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে, রমজান মাসে নফল-ফরজ সকল ইবাদতের সাওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এজন্য সকল প্রকার ইবাদতের বেশি বেশি আদায় করা দরকার। সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, রমজান মাসে উমরা আদায় করা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে হজ করার সমতুল্য। যদি কেউ রোজা অবস্থায় দরিদ্রকে খাবার দেয়, অসুস্থ মানুষকে দেখতে যায় এবং জানাজায় শরিক হয় তবে সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাত দান করবেন। এ ছাড়া হাদিসে রমজানে বেশি বেশি তাসবিহ, তাহলিল, দুআ ও ইসতিগফারের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, রোজা অবস্থার দুআ ও ইফতারের সময়ের দুআ আল্লাহ কবুল করেন।

বিশেষভাবে দু প্রকারের ইবাদত রমজানে বেশি করে পালন করতে হাদিসে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, দান। সাদকা বা দান আল্লাহ তাআলার প্রিয়তম ইবাদত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, সাদকার কারণে মুমিন অগণিত সওয়াব লাভ ছাড়াও অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার লাভ করেন: প্রথমত দানের কারণে গোনাহ ক্ষমা করা হয় এবং দ্বিতীয়ত দানের কারণে আল্লাহর বালা-মুসিবত দূর হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, দুজন মানুষের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া, ন্যায় কর্মে নির্দেশ দেওয়া, অন্যায় থেকে নিষেধ করা, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক দ্রব্য বা বস্তু সরিয়ে দেওয়া, বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করা বা যে কোনোভাবে মানুষের উপকার করাই আল্লাহর নিকট সাদকা হিসাবে গণ্য। রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা বেশি বেশি দান করতে ভালোবাসতেন। আর রমজান মাসে তার দান হতো সীমাহীন। কোনো বাঞ্ছাকারীকে বা প্রার্থীকে তিনি বিমুখ করতেন না।

রমজান এলেই দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়। বাংলাদেশ মুসলমানদের দেশ। এদেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী মুসলমান। অধিকাংশ ব্যবসায়ী রোজা রাখেন ও দান করেন। কিন্তু আমাদের দান হালাল উপার্জন থেকে হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। গুদামজাত করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা বা স্বাভাবিকের বাইরে অতিরিক্ত দাম গ্রহণের মাধ্যমে ক্রেতাদের জুলুম করা নিষিদ্ধ। হারাম বা নিষিদ্ধভাবে লক্ষ টাকা আয় করে থেকে হাজার টাকা ব্যয় করার চেয়ে হালাল পদ্ধতিতে হাজার টাকা আয় করে তা থেকে দু-এক টাকা ব্যয় করা অনেক বেশি সাওয়াব ও বরকতের কাজ। এ ছাড়া অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা জানি, মানুষের কল্যাণে ও সহমর্মিতায় যা কিছু করা হোক সবই দান। যদি কোনো সৎ ব্যবসায়ী যদি রমজানে ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে তার প্রতিটি পণ্যে এক টাকা কম রাখেন বা নায্যমূল্যে তা বিক্রয় করেন তাও আল্লাহর নিকট অত্যন্ত বড় সাদকা হিসেবে গণ্য হবে।

রমজানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কুরআন তিলওয়াত। বিগত খুতবায় আমরা এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করেছি। রমজানে দুভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে: প্রথমত কুরআন কারীম দেখে দেখে দিবসে ও রাতে তিলাওয়াত করতে হবে। সম্ভব হলে অর্থসহ অন্তত একখতম কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। যারা তিলাওয়াত করতে পারেন না তারা আল্লাহর ওয়াস্তে রমজানে তিলাওয়াত শিখতে শুরু করুন। অবসর সময়ে তিলাওয়াতের বা অর্থসহ তিলাওয়াতের ক্যাসেট শুনুন। কুরআন তিলাওয়াতে যেমন সাওয়াব, তা শ্রবণেও তেমনি সওয়াব।

কুরআনের দ্বিতীয় ইবাদত হলো কিয়ামুল্লাইল। সালাতুল ইশার পর থেকে সুবহে সাদেক পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেকোনো সময়ে নফল সালাত আদায় করাকে কিয়ামুল্লাইল, সালাতুল্লাইাল বা রাতের সালাত বলা হয়। তাহাজ্জুদও কিয়ামুল্লাইল। একটু ঘুমিয়ে উঠে কিয়ামুল্লাহইল আদায় করলে তাকে তাহাজ্জুদ বলা হয়। সারা বৎসরই কিয়ামুল্লাইল করা দরকার।

রমজানের কিয়ামের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি খাঁটি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সাওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজানে কিয়ামুল্লাইল আদায় করবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে।” (বুখারি, আস-সহীহ ১/২২, ২/৭০৭; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৫২৩)

রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান ও গাইর রমজান সর্বদা প্রতি রাতে মধ্য রাত থেকে শেষ রাত পর্যন্ত ৪/৫ ঘণ্টা ধরে কিয়ামুল্লাইল আদায় করতেন। উমার (রা)- এর সময়ে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এরা কুরআনের হাফিজ না হওয়াতে হাফিযদের পেছনে কিয়াম করতে চেষ্টা করতেন। এজন্য মসজিদে নববীতে সালাতুল ইশার পর ছোট ছোট জামাত শুরু হতো। এ দেখে উমার (রা) উবাহ ইবনু কাব (রা) কে বলেন, মানুষেরা দিবসে রোজা রাখে, কিন্তু তারা কুরআনের হাফেজ না হওয়াতে রাতের কিয়াম ভালোভাবে আদায় করতে পারে না। এজন্য আপনি তাদের নিয়ে সালাতুল ইশার পরে জামাতে কিয়াম বা তারাবিহ আদায় করেন। এ ছাড়া তিনি সুলাইমান ইবনু আবী হাসমাকে নির্দেশ দেন মহিলাদের নিয়ে পৃথক তারাবিহের জামাত করতে। উসমান (রা) ও আলী (রা) এর সময়েও এভাবে জামাতে তারাবিহ আদায় করা হতো এবং মহিলাদের জন্য পৃথক তারাবিহের জামাত কায়েম করা হতো। (বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা, ২/৪৯৩)

উমরা (রা) সময়ে ৮ ও ২০ রাকাত তারাবিহ পড়া হতো বলে সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে, সাহাবি-তাবিয়িদের সময়ে ইশার পর থেকে মধ্য রাত বা শেষ রাত পর্যন্ত তারাবিহের জামাত চলত এবং তারা প্রত্যেক রাকাতে ১/২ পারা কুরআন পাঠ করতেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, প্রথম দিকে ৮ রাকাত তারাবিহ আদায় করা হতো। প্রত্যেক রাকাতে তারা ১/২ পারা কুরআন পাঠ করতেন এবং ইশার পর থেকে শেষ রাত পর্যন্ত প্রায় ৫/৬ ঘণ্টা তারা এভাবে সালাত আদায় করতেন। প্রতি রাকাতে আধা ঘণ্টা বা তার বেশি দাঁড়াতে কষ্ট বেশি। এজন্য পরে তারা এরূপ ৫/৬ ঘণ্টা ধরে ২০ রাকাত পাঠ করতেন। রাকআতের সংখ্যা বাড়াতে দাঁড়ানো কষ্ট কিছুটা কম হতো।

সাহাবি-তাবিয়িরা প্রতি তিন দিন বা দশ দিনে তারাবিহের জামাতে কুরআন খতম করেতন। আর আমরা পুরো রমজানে এক খতম করতেও কষ্ট পাই। তারা ৫/৬ ঘণ্টা ধরে তারাবিহ পড়তেন। আমরা একঘণ্টাও দাঁড়াতে চাই না। হাফেজ সাহেব একটু সহিহ তারতিলের সঙ্গে পড়লে আমরা রাগ করি। কুরআনের সঙ্গে এর চেয়ে বেশি বেয়াদবি আর কী হতে পারে। কুরআন শ্রবণের আগ্রহ নিয়ে ইমামের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত তারাবিহ আদায় করুন। ইমামের সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ত করুন এবং পুরো কুরআন মহব্বতের সঙ্গে শুনুন। সময় তো চলেই যাবে। হয়ত এভাবে কুরআন শোনার সময় আর পাব না। আল্লাহ আমাদের সিয়াম ও কিয়াম কবুল করুন। আমীন।

পিতা-মাতার দ্বায়িত্ব:
পিতা-মাতার দায়িত্ব হলো, সাত বছর থেকে ছেলেমেয়েদের নামাজ, রোজা,তারাবিহ ইত্যাদিতে অভ্যস্থ করা। তাদের বয়স দশ বৎসর হলে এ বিষয়ে কঠোরতা অবলম্বন করা ফরজ। নিজের নামাজ-রোজা যেমন ফরজ, ছেলেমেয়েদের নামাজ-রোজা আদায় করানোও তেমনি ফরয। ছেলেমেয়েরো নামাজ পড়লে, রোজা রাখলে, তারাবিহতে শরিক হলে তারা যেমন সাওয়াব বরকত লাভ করবে, তেমনি তাদের পিতামাতাও সাওয়াব ও বরকত লাভ করবেন। এছাড়া ছেলেমেয়েরা আজীবন যত নামাজ, রোজা, তারাবিহ, কুরআন, যিক্র, দান ও অন্যান্য ইবাদত করবে সকল ইবাদতের সমপরিমাণ সাওয়াব পিতামাতা লাভ করবেন। পক্ষান্তরে পিতামাতার অবহেলার কারণে যদি ছেলেমেয়েরা বেনামাজি বা বে-রোজাদার হয় তবে তাদের গোনাহের সমপরিমাণ গোনাহ তারা লাভ করবেন। ছেলেমেয়েরা আমাদের হৃদায়ের শান্তি। আসুন রমজানের বরকতে তাদের শরিক করি। তাদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করি। ৭ বৎসর বা তার বেশি বয়সের ছেলেদেরকে তারাবিহের জামাতে সঙ্গে করে নিয়ে যাই। তাদের নেককার রূপে গড়ে তুলি। তাহলে তারা দুনিয়াতে যেমন আমাদের হৃদয়ের শান্তি হবে, জান্নাতেও তেমনি আমাদের হৃদয়ের শান্তি হবে, জান্নাতেও তেমনি আমাদের হৃদয়ের শান্তি হবে। আল্লাহ কবুল করুন। আমীন।

ড. মাহবুবা রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা।

এসএন

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

রাতেই ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা

ফাইল ছবি

দেশের ৯টি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনেও দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সময়ে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আগামীকাল শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পরদিন রোববার (৩১ মার্চ) একই সময় পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি যান খাদে পড়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং গাড়িটি রামবান জেলার ‘ব্যাটারি চেশমা’ নামক স্থানে ৩০০ ফুট একটি খাদে পড়ে যায়।

হতাহতরা অভিবাসী শ্রমিক এবং তারা শ্রীনগরে যাচ্ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে, মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এবং পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

হতাহতের এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। নিহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, রামবনে দুর্ভাগ্যজনক সড়ক দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত, যাতে মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছে। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি জেলা প্রশাসক ও ডিভি কম-কে নির্দেশ জারি করেছি, নিয়ম অনুসারে ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) নিচে খাদে পড়ে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর বিবিসি’র।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিম্পোপো রাজ্যে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে সেতুর ওপর দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এরপর মাটিতে পড়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বায়োজিদের একটি জুতা কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে টেক্সটাইল মোড়ের ‘রং দা ইন্টারন্যাশনাল’ নামের ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতার কারখানায় আগুনের সংবাদ পাই। এর ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। শুরুতে চারটি ইউনিট কাজ শুরু করলেও এখন ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি এ ফায়ার কর্মকর্তা।

সর্বশেষ সংবাদ

রাতেই ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা
রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০
চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএনপি ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু আজ