রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইতিকাফ

ইতিকাফের সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও স্থান

ইতিকাফ-এর শাব্দিক অর্থ অবস্থান করা, কোনো বস্তুর উপর স্থায়িভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ হতে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরীয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়ত পুরুষের ঐ মসজিদে অবস্থান করা যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামা’আতের সঙ্গে আদায় করা হয় অথবা কোনো মহিলার নিজ ঘরে নামাযের স্থানে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো, দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে একমাত্র তার ইবাদতে মশগুল থাকা।
যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে জামা‘আতের সঙ্গে নামায আদায় হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা সহীহ্ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান মসজিদুল হারাম, এরপর মসজিদে নববী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরপর মসজিদে আকসা। এরপর ঐ জুমু‘আর মসজিদ, যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামা‘আতের সঙ্গে আদায় করা হয়। এরপর সে মসজিদ যেখানে মুসল্লীর সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে (শামী, ২য় খণ্ড ও আলমগীর, ১ম খণ্ড)।

ইমাম আযম আবু হানীফা (র.) থেকে বর্ণিত আছে যে ইতিকাফ সহীহ্ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামা‘আতের সঙ্গে আদায় করা হয় (হিদায়া, ১ম খণ্ড)। মহিলাগণ নিজ ঘরে নামাযের জন্য নির্ধারিত জায়গায় ইতিকাফ করবেন। নামাযের জন্য জায়গা নির্ধারিত না থাকলে ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারিত করে নিলেও সহীহ্ হবে।

ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা

ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। কেননা দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে মুক্ত করে, নিভৃতে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ ও মহিলা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। বান্দা ইতিকাফ অবস্থায় আল্লাহ্ তাআলার দরবারে উপস্থিত থাকে। এ জন্য আল্লাহর কাছে সে খুবই মর্যাদাসম্পন্ন হয় এবং আল্লাহ তাআলা তাকে রহমত, অনুগ্রহ ও ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তি পুরো সময় ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল-খোরাসানী (র.) বলেছেন, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির ন্যায়, যে নিজেকে আল্লাহর সম্মুখে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যও ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মধ্যে বান্দা আল্লাহর ঘরে ইবাদতে মশগুল রাখার মাধ্যমে নিজের অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে (বাদায়েউস্ সানায়ে, ২য় খণ্ড)।

ইতিকাফের মধ্যে অন্তরকে দুনিয়াবী বিষয় থেকে মুক্ত করা হয়, নিজেকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করা হয়, আল্লাহর ঘরে নিজেকে আবদ্ধ রাখা হয় এবং আল্লাহর ঘরে নিজেকে সবসময় আটকিয়ে রাখা হয়। অধিকন্তু ই‘তিকাফকারী ব্যক্তি আল্লাহর ঘরের সঙ্গে নিজেকে স্থায়ীভাবে সম্পৃক্ত করে রাখে, যেন আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেন। ইতিকাফ সর্বশ্রেষ্ঠ আমল যদি তা একনিষ্ঠতার সঙ্গে হয়ে থাকে (বাহরুর রাইক, ২য় খণ্ড)।

হযরত সাঈদ ইব্ন জুবাইর হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন যে, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার কারণে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকীর হিসাব সব ধরনের নেক কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির ন্যায় জারি থাকে (ইব্ন মাজা)।

বান্দা যখন ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে মসজিদে আটকিয়ে রাখে তখন যদিও সে সালাত, যিকির ও তিলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদতের মাধ্যমে বহু সওয়াব অর্জন করতে সক্ষম হয়, কিন্তু এর পাশাপাশি কিছু কিছু সাওয়াবের কাজ থেকেও সে বিরত হয়। সে রোগীর সেবা করতে পারে না। ইয়াতীম, বিধবা, নিঃস্ব ও সর্বস্বান্তের সহযোগিতা করতে পারে না, কোনো মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিতে পারে না, জানাযার নামাযে শরীফ হতে পারে না-যেগুলো খুবই পুণ্যের কাজ বলে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। সে জন্য উল্লিখিত হাদীসে ইতিকাফকারী ব্যক্তির জন্য এ সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, তার আমলনামায় সেইসব ইবাদতের সাওয়াবও লেখা হবে, ইতিকাফের কারণে যে গুলো থেকে সে বিরত হয়েছিল।

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা রমযানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর তিনি সফর করেছিলেন সে জন্যে পরের বছর বিশদিন ইতিকাফ করেছেন (ইব্ন মাজা)।
হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) রমযানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন। বর্ণনাকারী নাফী (র.) বলেন, আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রা) আমাকে মসজিদের সেই স্থানটি দেখিয়েছেন, যেখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করেছেন (ইব্ন মাজা)।

সুন্নাত ইতিকাফ

রমযানের শেষ দশকরে ইতিকাফ যা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। মহল্লাবাসীর কোনো একজন তা আদায় করলে অন্য সকলে দায়মুক্ত হবে। আর কেউ আদায় না করলে সকলেই তরকে সুন্নাতের জন্য দায়ী হবে।
এই প্রকার ইতিকাফের হুকুম হলো, সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া থেকে মুক্ত হওয়া এবং সাওয়াব হাসিল করা (হাশিয়াতুত্ তাহতাবী ও বাহরুর রাইক, ২য় খণ্ড)।

রমযানের শেষ দশদিনের ইতিকাফত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। এ ইতিকাফের জন্য রোযা রাখা জরুরি। এই ইতিকাফ শুরু করার পর ভঙ্গ করে দেওয়া হলে অথবা ভঙ্গ হয়ে গেলে, যে কয়দিনের ছুটি গেছে রোযাসহ সে কয়দিনের কাযা জরুরি। কিন্তু একদিনের ছুটলেও রমযানের পর সতর্কতামূলক পুরো দশদিনের কাযা করে নেওয়া উত্তম (শামী, ২য় খণ্ড)।

সর্বশেষে বলব, ইতিকাফের ফজিলত অনেক। যেহেতু রমযান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করলে ২৭ শে রমযান যদি শবে কদর নাও হয়, তবু এ দশদিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত এ ইতিকাফের মধ্যে আদায় হয়ে যায় এবং এর ফলে কদরের রাতের ফজিলতও লাভ করা যায়।

ড. মাহবুবা রহমান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা

Header Ad
Header Ad

আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের

ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জনগণের যে সম্পদ লুটপাট করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত। তিনি দাবি করেন, দলটি এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি ‘সীমান্তপারের ষড়যন্ত্রকারী শক্তি’ হিসেবে কাজ করছে।

রবিবার (১১ মে) দুপুরে পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

নুর আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ দল আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।” তিনি অভিযোগ করেন, “বিরোধী দলসমূহ একটি সমাবেশ করার পর প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অথচ আওয়ামী লীগের মাত্র ৩২ জন নেতাকর্মীও গ্রেফতার হয়নি।”

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলে সেটি দেশের জন্য ভবিষ্যতে বড় সংকট হয়ে দাঁড়াবে। তিনি অভিযোগ করেন, দলটি গত নয় মাস ধরে দেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করেছে।

নুর আরও বলেন, “আমরাও যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে প্রধান উপদেষ্টা তরুণদের বক্তব্য শুনে দেশের ভবিষ্যতের গতি নির্ধারণ করতে চান। সে বিশ্বাস থেকেই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।”

সরকারের অভ্যন্তরে ‘আপসকামী উপদেষ্টা’ থাকার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে গোপন বৈঠক করছেন। এরপরই করিডর দেওয়ার ঘোষণা আসে এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।”

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নুর। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির পালিয়ে যাওয়ার দায় শুধু একজন জেলা পুলিশ কর্মকর্তার নয়, এর সঙ্গে ইমিগ্রেশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”

নুর সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই সরকার আমাদের রক্ত-ঘাম ও জেল-জুলুমের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। আবারও যদি আমাদের এই সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামতে হয়, সেটি হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

এক অভূতপূর্ব নাটকীয়তায় দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই, লুঙ্গি, গেঞ্জি ও মাস্ক পরে গভীর রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছান তিনি। একে ‘নিরাপদ দেশত্যাগের গোপন অভিযান’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। রাষ্ট্রপতির মতো একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির এমন ছদ্মবেশে দেশত্যাগের ঘটনা জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।

বুধবার রাত প্রায় ১২টা ৪৫ মিনিট। আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত গাড়ি পৌঁছায় শাহজালালের ভিআইপি টার্মিনালে। সেখানে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে আরোহীদের পরিচয় জানতে চান। চালক জানান, গাড়িতে রয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবার। তখনও স্পষ্ট করা হয়নি, তিনি নিজেই গাড়িতে রয়েছেন। কিছুক্ষণ পর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন এবং জানান, তার বহির্গমনের অনুমতি রয়েছে।

আবদুল হামিদ প্রথমে লুঙ্গি, গেঞ্জি এবং মাস্ক পরে ছিলেন, যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কক্ষের ভেতর নিয়ে যাওয়ার আগেই গাড়ির মধ্যেই তিনি ছদ্মবেশ থেকে বেরিয়ে সাধারণ প্যান্ট-শার্ট পরে নেন। এমন গোপনীয়তা সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা মিশন বা নিরাপত্তা-হুমকির সময় দেখা যায়, অথচ এবার তা ঘটল সাবেক একজন রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে।

সব ধরনের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশন প্রটোকল এড়িয়ে, কোনও রকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই আবদুল হামিদকে বিমানে তুলে দেওয়া হয় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (TG340)। বিমানটির অবস্থান পরিবর্তন করে ভিআইপি টার্মিনালের কাছে এনে রাখা হয় যাতে তাকে সরাসরি বিমানে নেওয়া যায়। তিনি বিমানে ওঠার পর কিছু সময় পর তার ছেলে রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডা. এনএম নওশাদ খানও বিমানে ওঠেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি দেশ ত্যাগ করেন কূটনৈতিক মর্যাদার ‘লাল পাসপোর্ট’ (নম্বর D00010015) ব্যবহার করে, যেটি তার রাষ্ট্রপতি থাকার সময় ২০২০ সালে ইস্যু করা হয়েছিল। এই পাসপোর্টটির মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্যভাবে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হলেও আবদুল হামিদের পাসপোর্ট বাতিল হয়নি, যা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিমানবন্দরের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কেউ কোনো বাধা দেননি। পুলিশ, এভসেক, সিভিল এভিয়েশন কিংবা ইমিগ্রেশন—সব পক্ষই ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। এমনকি ইমিগ্রেশনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তিকে সরাসরি উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, কিন্তু আবদুল হামিদের ক্ষেত্রে সেটাও অনুসরণ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ইমিগ্রেশন অফিসারদের সামনে হাজির করা হয়নি—কারণ অনেকেই ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানে।

তথ্য অনুযায়ী, আবদুল হামিদের টিকিট ছিল দিল্লি পর্যন্ত, যদিও ফ্লাইটের রুট ব্যাংকক হয়ে। ১৬ জুন তার ফিরে আসার একটি টিকিট কনফার্ম করা রয়েছে। তবে আদৌ তিনি ফিরবেন কি না—তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।

এখনো পরিষ্কার নয়, কেন সাবেক রাষ্ট্রপতির এমন গোপন ও নাটকীয় প্রস্থান ঘটল। অনেকেই বলছেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত নিরাপদ বহির্গমন—সম্ভবত নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় তার ভূমিকার কারণে। আবার কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, তিনি হয়তো কোনো বিশেষ মিশনে বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই দেশ ছাড়লেন। তবে সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপির কথা মিলে গেছে: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত বিএনপির কথার সঙ্গে মিলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

রোববার (১১ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড়বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মান্দারী ইউনিয়নের মিয়াপুর ভূঁইয়া বাড়ি নূরানী মাদরাসায় বিএনপির ওয়ার্ডভিত্তিক নেতা নির্বাচনের ভোট পর্যবেক্ষণকালে তিনি এ কথা বলেন।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “বিএনপি যা চেয়েছে, তাই হয়েছে। বহু আগেই যদি সব রাজনৈতিক দলকে একত্র করে সরকার আলোচনায় বসত, তাহলে এই নিষ্পত্তি আরও আগেই সম্ভব হতো।”

তিনি বলেন, জনগণ সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান চায়। কিন্তু সরকারের গড়িমসি, আলোচনা এড়িয়ে চলা এবং বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে মানুষ বারবার কষ্ট পাচ্ছে।

হাসিনার দ্রুত বিচার দাবি করে এ্যানি বলেন, “গণহত্যা, গুম, খুনের বিচার হলে একটি ফলাফল আসবে। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। জনগণ চায় এই বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক। অন্তর্বর্তী সরকারের এখন দায়িত্ব—সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করা।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা ১৭ বছর ধরে এই বিচার চেয়ে আসছি। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো দৃশ্যমান বিচার হয়নি। মানুষ জানতে চায়, এই বিচার প্রক্রিয়া এত ধীর কেন? হাসিনার বিচার দৃশ্যমান ও দ্রুত হলে মানুষ আশ্বস্ত হবে।”

একই সঙ্গে আন্দোলনে একসঙ্গে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদের আশঙ্কা নিয়ে তিনি বলেন, “যদি ঐক্য ভেঙে যায়, মানুষ কষ্ট পাবে। আমরা সেই কষ্ট দিতে চাই না। মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়।”

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আহমেদ ফেরদৌস মানিক, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেলাল হোসেন ও সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ
সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপির কথা মিলে গেছে: এ্যানি
নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না: ডিআইজি
টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, নাভিশ্বাস জনজীবনে
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, গ্রেপ্তার চাচা
লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে মারধর, নেহালসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতে ব্লক পিনাকী, ইলিয়াস, কনক ও জুলকারনাইনের ইউটিউব চ্যানেল
চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় আফগানিস্তান, ভারতীয় প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি
এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল
‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী
লা লিগার মোড় ঘুরাতে আজ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ
দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
মেসির দুর্দান্ত গোলেও রক্ষা হয়নি, মিনেসোটার কাছে বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি
‘এই মোটু’ বলে কটাক্ষ, রেগে গিয়ে গুলি