শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

"ট্রেনের অপরিচিতা"

সবেমাত্র ভর্তি হলাম।ভেবেছিলাম ছোট্ট ক্যাম্পাসটা একটু ঘুরে দেখব।।কিন্তু সময়ই বা কই?ট্রেন যে ৩.৩০ মিনিট। কালবিলম্ব না করে রিক্সা ডেকে সোজা রওনা দিলাম কমলাপুর রেলস্টেশনে।

যাক....হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। স্টেশনে যথাসময়েই পৌঁছলাম। জানালার পাশের সিটটায় বসে বসে সেই কিছুক্ষণ আগের মধুময় স্মৃতি মনের আয়নায় অবলোকন করতে লাগলাম। কী সুন্দর তার চাহনি! তার সৌন্দর্যে স্বয়ং লজ্জাবতীও যেন লজ্জায় মাথা নুইয়ে দেয়।সেই জায়গায় আমার দিকে ক্ষণিকের আঁড়চোখে চাহনি যেন হৃদয়ে তীর লাগার মতোন।ভাগ্যিস... বেশিক্ষণ তাকায়নি। নাহলে যে জবির ক্যাম্পাসেই আমার সমাধি হয়ে যেত! সেখানে ভালোবাসার দৃষ্টান্তস্বরূপ আমার সমাধি— খ্যাতি পেতো "জবির মজনু" নামে।

অকস্মাৎ এক জনাব আমার রোমান্টিক দিবাস্বপ্নে এসে বলল, "বাবা! ট্রেন কখন ছাড়বে?" আমি তো রেগে অগ্নিশর্মা।ইদানীং রাতেই স্বপ্ন দেখি না,যা-ও একটা দিনে দেখছিলাম,ব্যাটা বুড়ো স্বপ্নটা ভেঙ্গে দিলো । প্রশ্নটা অন্য কাউকেও তো করতে পারতো না কি?

তারপর পাশের জন থেকে জানতে পারলাম ট্রেন যথাসময়ে ছাড়বে না। আজ ভারতের রাষ্ট্রপতি এসেছেন বলে নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষার প্রহর যেন মুহূর্তেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে লাগলো।

ঠিক তখনি ক্যাম্পাসে দেখা সেই মেয়েটি। ঠিক আমার সামনের সারির কোনাকোনি সিটে এসে বসলো। তৎক্ষণাৎ হাত চিমটি কেটে দেখলাম। বিশ্বাস হচ্ছিল না একদম। তার সৌন্দর্যের শুচিতা যেন গোধূলির কোমল আলোকেও হার মানায়।একপানে চেয়ে থাকলাম। আর ভাবতে লাগলাম আমাকে দীর্ঘক্ষণ সেই সৌন্দর্য অবলোকন করাতে স্বয়ং ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে এসে রোড ব্লক করে রাখলেন। অপেক্ষা স্বভাবতই বিরক্তির। কিন্তু সেদিন ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষা ছিলো যে কতো মধুর! এই ক্ষুদ্র যাএা যেন মহাযাএায় রূপ নিলো।

বাল্যকালে বন্ধুরা আমাকে কিউট বলিয়া উপহাস করতো। পাত্তা দিতাম না। ভাবতাম মজা নিচ্ছে। কিন্তু সেদিন মনে হলো আমি মনে হয় আসলেই কিউট। কতক্ষণ পর পর কোণার সিটটা থেকে তার আঁড়চোখের চাহনি যে তাই প্রমাণ করে। যতবার তাকাচ্ছিলো ততবার মনে হচ্ছিলো হৃদয়ে যেন একেকটা তীর ধেয়ে আসছে। যে তীরের রং গোলাপি।ইচ্ছে হচ্ছিলো গিয়ে কথা বলতে। তার মুক্তঝরা হাসি আরো কাছ থেকে দেখতে। কিন্তু তার বাপ তার পাশ একেবারেই ছাড়ছিলো না। বিন্দুমাএ সুযোগ পাই না। চোখ যে সত্যিই কথা বলে। তাইতো আড়চোখে একে-অপরকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে কাটিয়ে দিলাম। এই দীর্ঘসময় যে এতো দ্রুত শেষ হয়ে গেল টেরই পেলাম না। পলকেই আমার গন্তব্য শেষ। ।ইচ্ছে করছিলো না নামতে,ভাবছিলাম এই গন্তব্য যদি অনন্ত হতো। যার কোনো শেষ নাই। জানিনা তার গন্তব্য কোথায় শেষ হবে........কিছুই জানিনা।
তবে এতটুকু জানি আমার মনের হৃদয়ে সে ভালোবাসার তীর এখনো গেঁথে আছে।তার অপেক্ষায় আছি।হয়তো খুব শীঘ্রই কাকতালীয়ভাবে তার দেখা পাবো।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া ওই তিন সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

নাহিদ, আসিফ ও আবু বাকের তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নাহিদ হাসপাতালের সপ্তম তলার ৭০৩ নম্বর কক্ষে আর আসিফ তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। নাহিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আর আসিফের সঙ্গে বাকের ছিলেন।

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিপাকে পড়েছেন এসব ইউজাররা। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।

এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।

প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে