রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানব পাচার আইনে ২ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড

বরিশালে মানব পাচার অপরাধ দমন আইনে দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত উজিরপুর উপজেলার বাঁগধা এলাকার মো. ফারুক হোসেন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি স্থানীয় হারতা জামবাড়ির মিনি পারুয়া পলাতক ছিলেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি হারতা এলাকার শোভা সরকার ও চন্দ্রনী মন্ডলকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফারুক হোসেনের হাতে তুলে দেয় মিনি পারুয়া। পরিবারের অজান্তে তাদের লঞ্চে ঢাকায় নিয়ে মিরপুর ১৪ নম্বরের একটি বাসায় আটকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করে ফারুক। পরে তাদের পতিতা সর্দারের হাতে তুলে দেন ফারুক। লঞ্চে ওই দুজনকে ঢাকায় নেওয়ার সময় স্থানীয় দুই ব্যক্তি তাদের চিনে ফেলেন। সেই সূত্র ধরে শোভার বাবা উজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ২ মাস পর ৩ মার্চ তাদের দুজনকে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের লঞ্চে তুলে দেন ফারুকসহ দালালরা। বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলেন তারা।

এ ঘটনায় ২৭ মার্চ নির্যাতিত শোভা সরকার বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। একই বছরের ২৫ মে আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২০১২ সালে মানব পাচার আইন প্রবর্তন হলে ওই অপরাধের মামলা মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের ৪৭ ধারা অনুযায়ী মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তার এবং ভিকটিমসহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার রায় দেন বিচারক।

রায় ঘোষণার পর ফারুককে বিশেষ ব্যবস্থায় কারাগারে পাঠায় পুলিশ। অন্যদিকে পলাতক পারুয়ার বিরুদ্ধে সাজা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

এসজি/

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচন নিয়ে দেশে এক ধরনের গড়িমসি চলছে যা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।’

আজ রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এসব কথা বলেন রিজভী।

 বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি দুরভিসন্ধিমূলক।জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না বলে জানান তিনি।

রিজভী আরও বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। একমাত্র ভোটের মাধ্যমেই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।’

Header Ad
Header Ad

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮ তম বিশ্ব ইজতেমার শেষ হয়েছে। মোনাজাতে মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুভেজা চোখে ক্ষমা প্রার্থনা ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করা হয়।

এই পর্বে অংশগ্রহণ করেন মাওলানা সাদ অনুসারিরা। ফজরের পর হেদায়েতি বয়ানের পর আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২. ৩৮ মিনিটে এই মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। মোনাজাত শেষ হয় ১.০৭ মিনিটে।

ইজতেমা ময়দানে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে। মানুষের কান্নার সুরে প্রকম্পিত হয় তুরাগতীর। নানা বয়সী ও পেশার মুসল্লিরা মোনাজাতে অংশ নিয়ে আল্লাহর দরবারে মনের আকুতি জানান।

ফজরের নামাজের পর হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মোরসালিন, যার বাংলা তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। আখেরি মোনাজাতের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতের কথা বলেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, যার তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

আখেরি মোনাজাত নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে বিভাগ আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে। এবারের ইজতেমায় ৪৯টি দেশের প্রায় দেড় হাজার বিদেশি মুসল্লি অংশ নেন। আখেরি মোনাজাত শেষে তারা দাওয়াতি সফরে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়বেন।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত তিনজন মুসল্লির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর আগে, প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাবলিগ জামাতের আলমি শুরার অনুসারীরা অংশ নেন।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ নয় নাট্যকর্মীদের একটা অংশ উৎসবের বিরোধিতা করে: ফারুকী

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত

বছরজুড়েই একের পর এক নাটকের মঞ্চায়ন চলে সারা দেশে। সে ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।

তবে ‘একদল ব্যক্তির হুমকির মুখে’ নিরাপত্তা শঙ্কায় এ উৎসব স্থগিতে বাধ্য হওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান। এদিকে নাট্য উৎসব স্থগিত হওয়ার পর থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এবার এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে উপদেষ্টা জানান, নাট্যকর্মীদের মধ্যেই একটা অংশই উৎসব বন্ধের জন্য আহ্বান জানায়।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেসবুকে উপদেষ্টা ফারুকী বলেছেন, নাট্য উৎসব বন্ধের খবরটা দেখে আমরা কাল সন্ধ্যা থেকেই খোঁজ খবর নেয়া শুরু করি। কারণ সরকার শিল্পকলার মাধ্যমে সারাদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিচ্ছে, গতকালও শিল্পকলায় তিনটা প্রদর্শনী হলো। আজকেও প্রাচ্যনাটের শো আছে শিল্পকলায়। তাহলে এখানে কেনো পুলিশ উৎসব বন্ধ করতে বলবে? খোঁজ নিয়ে জানলাম, পুলিশ এইরকম কিছুই বলেনি। কালকে রাতেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তারা কাউকে উৎসব বন্ধ করতে বলেনি। বরং তারা নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত।

উৎসবে বাতিলের কারণ উল্লেখ করে ফারুকী বলেন, আমাদের দ্রুত অনুসন্ধান থেকে জানা গেলো, নাট্যকর্মীদের মধ্যেই একটা অংশ এই উৎসবের বিরোধিতা করে মহিলা সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে হল বরাদ্দ বাতিলের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। বিক্ষুব্ধ নাট্যকর্মীদের দাবি, এই উৎসবের আড়ালে জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা হত্যায় বিবৃতি দিয়ে উসকানি দেয়া কিছু ব্যক্তি বা তাদের গোত্রীয় কিছু মানুষ সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা দাবি জানায় জুলাইয়ে তাদের ভূমিকার জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আগে কোনো পুনর্বাসন চলবে না। অবশেষে কালকে মহিলা সমিতি বরাদ্দ বাতিল করে।

ফারুকী আরও বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে, বিবৃতিতে তারা এইসব কিছু না বলে কৌশলে প্রথমে পুলিশের কাঁধে দোষ চাপানোর চেষ্টা করলো। এবং বিবৃতির শেষে বললো- মবের কারণে উৎসব বাতিল করতে হলো। তারা তো জানেই কারা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। তাদের পরিচয় না লিখে মব বলে চালিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য কি একটা বিশেষ ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করা? বা কেনো ঐ বিক্ষুব্ধ নাট্যকর্মীরা প্রতিবাদ করছে তারা জানে। কিন্তু সেটাও তারা বিবৃতিতে উল্লেখ না করা কি ঐ বিশেষ ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা কিনা সেটা সবাই ভেবে দেখতে পারেন। পাশাপাশি আরেকটা প্রশ্নও আসে, জুলাইয়ে তাদের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে এখনো কি একবারও ক্ষমার চাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেছে তারা?

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: রিজভী
আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা
পুলিশ নয় নাট্যকর্মীদের একটা অংশ উৎসবের বিরোধিতা করে: ফারুকী
পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ২৫ লাশ উদ্ধার  
সাকিব যেনো নিঃস্ব প্রাণ এক, একের পর এক হারাচ্ছেন সব
সাতক্ষীরায় পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার    
খরা মৌসুমে হঠাৎ ফুঁসে উঠেছে তিস্তা, শঙ্কায় কৃষকরা  
নয়াদিল্লিকে এফ-৩৫ দেবে যুক্তরাষ্ট্র, ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ  
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালকদের বিক্ষোভ  
দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা
আজ তিন দিনের সফরে কুয়েত যাচ্ছেন সেনাপ্রধান  
আ.লীগের শীর্ষ নেতারা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন  
কুম্ভ মেলার ট্রেনে উঠতে গিয়ে দিল্লি স্টেশনে ১৮ জন নিহত
নওগাঁয় সাত দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শুরু
দেব চৌধুরীর নাম মুহাম্মদ চৌধুরী
তরুণী সেজে ছাত্রলীগ নেতার ‘অসামাজিক’ কাজ, অবশেষে ধরা  
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি হাসনাতের  
ঘরে বসে যেভাবে দেখবেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা    
সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পরিচয়ে প্রতারণা, ৩ জনকে আটক