রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পানি ধারণ ক্ষমতা হারাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ!

রাঙামটির সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় উৎস কাপ্তাই হ্রদ। একই সঙ্গে এই হ্রদের পানি দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে কর্ণফুলি জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জলবায়ু পরিবর্তন ও কাপ্তাই হ্রদ বেদখল হওয়ায় কমে এসেছে পানির ধারণ ক্ষমতা। অন্যদিকে শুস্ক মৌসুমে তীব্র পানি সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যহত হয়।

ষাটের দশকে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারণে গড়ে ওঠে বিস্তৃীর্ণ কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেওয়া অংশে চালু করা হয় একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

শুরুর দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৮০ মেগাওয়াট। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে স্থাপনাটির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে মোট ২৪২ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। এই উৎপাদনের পুরোটাই যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রীডে। কাপ্তাই বাঁধের মধ্যে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থ আয়তনে ১৬টি জলকপাট রয়েছে। এই ১৬টি জলকপাট দিয়ে একত্রে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিগর্মণ করতে পারে।

বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদ ভরাট ও বেদখল হওয়ায় কমেছে হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা। ফলে বর্ষাকালে উপচেপড়া পানি দেখা গেললেও শুস্ক মৌসুমে থাকে তীব্র পানি সংকট। পানি সল্পতার কারণে বন্ধ হয়ে যায় শহরের সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার লঞ্চ চলাচল। চলতি শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি মাত্র ইউনিট চালু রয়েছে। পানি সংকটের কারণে ব্যহত হচ্ছে মৎস্য আহরণও। এই হ্রদের উপর নির্ভর করেই কয়েক লাখ মানুষে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্মাণকালে কাপ্তাই হ্রদের পানির গড় সর্বোচ্চ লেভেল থাকত ১২০ ফুট এমএসএলেরও (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা) বেশি। ১৯৭০ সালে জাইকার এক সমীক্ষায় পানির সর্বোচ্চ স্তর ১১৮ ফুট এমএসএল পাওয়া যায়। তবে পাঁচ দশক ধরে জমতে থাকা পলি, দখল-ভরাটের কারণে পানির সর্বোচ্চ গড় ১১০ ফুট এমএসএলের নিচে নেমে এসেছে।

গত কয়েক মাসে দেশে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিলে সস্তায় উৎপাদন সক্ষম কেন্দ্রটি থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এতে পানির স্তর কমে ৭৮ দশমিক ৮ ফুট এমএসএলে নেমে আসে। যদিও রুলকার্ভ অনুযায়ী পানির লেভেল থাকার কথা ছিল ৯১-এর বেশি। পানির স্তর ৭০-এর নিচে নেমে গেলে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর সর্বনিম্ন পর্যায়ের কাছাকাছি নেমে এসেছে। বর্তমানে ন্যূনতম একটি টারবাইন চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। শিগগিরই বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে পানির স্তর না বাড়লে অন্তত একটি ইউনিট চালু রাখাও সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কিছু করারও নেই।

কাপ্তাই হ্রদ ভরাট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, 'কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সমীক্ষার মাধ্যমে একটি ডিপিপি তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে'।

সরকারি হিসাবে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের আয়তন প্রায় ৬৮ হাজার ৮০০ হেক্টর। তবে ক্রমান্বয়ে বেদখল এবং হ্রদের পানি ময়লা-আবর্জনা ও শৌচাগারের বর্জ্যে সংকুচিত হয়ে আসছে বৃহৎ এ জলাধারটি। সম্প্রতি এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কাপ্তাই হ্রদের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও দখলদারদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এরপর প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও দখলদারদের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায় জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান।

সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজন রাঙামাটির সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার বলেন, রাঙামাটিজুড়ে কাপ্তাই হ্রদ দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। এ কারণে প্রাকৃতিক হ্রদটি ভরাট হয়ে পানির বৃহত্তম এ সংরক্ষণাগার সংকুচিত হয়ে আসছে। এতে জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হ্রদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা পার্বত্যাঞ্চলে মৎস্য আহরণের পরিমাণ দিন দিন কমছে। দুর্গম পার্বত্য এলাকাগুলোয় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যমে হ্রদ দখলমুক্ত করার পাশাপাশি ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা না করলে ক্রমশ ভরাটের মাধ্যমে নতুন সংকটের মধ্যে পড়বে কাপ্তাই হ্রদ।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় আফগানিস্তান, ভারতীয় প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি

ছবি: সংগৃহীত

চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে অংশ নেন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি, চীনের বিশেষ দূত ইউ জিয়াওয়ং এবং পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদিক।

বৈঠকে আঞ্চলিক পুনর্বিন্যাস এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পটি আফগানিস্তানে সম্প্রসারণের বিষয়ে একমত হয়েছে তিন দেশ। সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এই প্রকল্প কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তানে ভারতীয় প্রভাব কেবল কূটনৈতিক মিশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কৌশলগত দিক থেকে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া এক ঘটনায় পাকিস্তানের অবস্থানকে নীরবে সমর্থন করেছে তালেবান, এমন দাবিও করেছে সূত্রটি। এতে বোঝা যাচ্ছে, ভারতীয় অবস্থান থেকে তালেবান নেতৃত্ব ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি করছে এবং চীন-পাকিস্তান জোটের দিকে আরও ঝুঁকে পড়ছে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আফগান তালেবান শিগগিরই কাবুলে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ষষ্ঠ দফা আলোচনার আয়োজন করবে। তালেবানের নেতৃত্বে এটিই হবে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের এই ধরনের আলোচনা, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা দেবে।

তিন পক্ষ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় পশ্চিমা প্রভাব উপেক্ষা করে আফগানিস্তানের সঙ্গে গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চালিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। বিশেষ করে চীন আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক সংযোগ এবং সড়কপথে যোগাযোগ আরও মজবুত করবে।

চলমান ত্রিপক্ষীয় আলোচনার অংশ হিসেবে, পাকিস্তানের বিশেষ দূত চীনা প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী আজিজির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। আলোচনাগুলোকে গঠনমূলক আখ্যা দিয়ে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন বিশেষ দূতগণ।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ধারাবাহিকতাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তানে সিপিইসি সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

এই নতুন কৌশলগত মেরুকরণ ভারতসহ অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আফগানিস্তানে চীন-পাকিস্তান জোটের এই সক্রিয়তা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কথা বলছেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়া সফল ও সময়োপযোগীভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও অংশীদারদের মধ্যে দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতিগুলো পর্যালোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারদের মনোযোগ ও সমর্থন পেয়েছি। এখন আমাদের উচিত চলমান কর্মপ্রয়াসকে আরও শক্তিশালী করা এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হওয়া।”

তিনি প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমাদের এমন একটি সমন্বিত টিম প্রয়োজন যারা অগ্নিনির্বাপক দলের মতো সংকটে দ্রুত সাড়া দেবে—কার্যকর ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে যতক্ষণ না সমাধান আসে।” তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ার সার্বক্ষণিক তদারকি চালানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ শুধুই একটি অর্থনৈতিক মাইলফলক নয়—এটি জাতীয় সক্ষমতা, আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকীসহ উত্তরণ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও নীতি উপদেষ্টারা।

সভায় এলডিসি উত্তরণ কমিটি পাঁচটি জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক পদক্ষেপ চিহ্নিত করে, যেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়:

১. জাতীয় একক জানালা (National Single Window) পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করা, যাতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

২. জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩ বাস্তবায়নে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করা।

৩. জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর আওতায় অবকাঠামোভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা।

৪. সাভারের ট্যানারি শিল্প এলাকায় বর্জ্য শোধনাগার (ETP) কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা।

৫. গজারিয়ায় এপিআই (API) পার্ক-এর পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।

Header Ad
Header Ad

ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে কাল। এখন প্রশ্ন, দুই দেশের সংঘাতের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল কবে শুরু হতে পারে?

ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, আইপিএল আবার শুরু হতে পারে ১৫ মে। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে পিএসএল শুরু করতেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো নির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা বলতে পারেনি।

বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। এখন নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআই কর্মকর্তারা এবং আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার (১১ মে) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। দেখা যাক টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো শেষ করার জন্য কোনটা সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হয়।’

৮ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপর এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা আসে। ১৫ মে যদি আবার আইপিএল শুরু হয়, তাহলে ঠিক এক সপ্তাহই বিরতি থাকবে।

স্থগিত হওয়ার আগে আইপিএলের অষ্টাদশ আসর থেকে ছিটকে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। বাকি সাতটি দল এখনও প্লে-অফের দৌড়ে আছে। অবশ্য এর মধ্যে শীর্ষে (যথাক্রমে গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস) থাকা দলগুলোরই সম্ভাবনা বেশি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় আফগানিস্তান, ভারতীয় প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি
এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল
‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী
লা লিগার মোড় ঘুরাতে আজ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ
দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
মেসির দুর্দান্ত গোলেও রক্ষা হয়নি, মিনেসোটার কাছে বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি
‘এই মোটু’ বলে কটাক্ষ, রেগে গিয়ে গুলি
গেজেটের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
আবারও শাহবাগ অবরোধ
বিশ্ব মা দিবস আজ
আইনের মাধ্যমে আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া ইতিবাচক মনে করে বিএনপি
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে
‘লীগ ধর, জেলে ভর’: হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ