
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
২৯ মে ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪১ এএম

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মেহদী হাছান জসিমকে গুলি করে হত্যার দায়ে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন। অন্য ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় ৭ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলী হোসেন বাচ্চু (৪৩), মোস্তফা (৪৩), খোকন (৪৮), আবুল হোসেন (৬৮), মোবারক উল্যা (৬১), কবির হোসেন রিপন (২৬), জাফর আহম্মদ (৬১) ও হিজবুর রহমান স্বপন (৪০)।
ছাত্রলীগ নেতা জসিম চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার সঙ্গে একই বাড়ির মোবারক উল্যা ও আলী হোসেন বাচ্চুদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে মোবারকরা ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি মফিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরপর থেকে মফিজের মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেয়, না করলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। এজন্য মফিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে না যেতে পেরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকতেন।
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মোবারকদের করা মামলাটি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরনবী তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মফিজের ছেলে হাসান জসিমের নাম বাদ দেওয়ায় মোবারকরা চরম ক্ষিপ্ত হয়। এ কারণে জসিম ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে আত্মীয় গোলাম মাওলার বাড়িতে অত্মগোপনে যান। জসিমের সঙ্গে তার বড় ভাই আবদুল হাই ও গোলাম মাওলার ভাই মাসুদ একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওইদিন দিবাগত রাতে আসামিরা জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে। এসময় তারা জসিমের বুকে গুলি করে। তাকে বাঁচাতে অন্যরা এগিয়ে আসলে আসামিরা গুলি করার হুমকি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে। পরে জসিমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন জসিমের বাবা মফিজ উল্যাহ বাদী হয়ে সদর থানায় মোবারকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ সোমবার এ রায় দেন।
মামলার বাদী মফিজ উল্যা বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। মামলার রায়ে আমি সন্তুষ্ট।
এসজি

সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম

নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটলেও তা ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলমগীর।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের চাপ একেবারেই নেই। তারা এসে আমাদের কাছে যেটা জানতে চান সেটা হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কী কী কাজ করেছি। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।
নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অতীতেও জেলা প্রশাসন পর্যায়ে কখনো কখনো পরিবর্তন করা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর মধ্যে একটা দাবি ছিল প্রশাসনের রদবদল করতে হবে। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী-বাহিনী , ভোটার , ইসি , জাতীয়-নির্বাচন , সংসদ-নির্বাচন , নির্বাচন , নির্বাচন-কমিশন , ইসি-আলমগীর

শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৬ পিএম

পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকে প্যান্ট, পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরে থাকেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৭৮৭) জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে।
টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা টাখনুর নিচে কাপড় পরলে ধর্মের কী অসুবিধা? তার সরল উত্তর হলো, অসুবিধা ধর্মের নয়, অসুবিধা আমাদের নিজেদের। কারণ দুনিয়াতেও টাখনুর নিচে কাপড় পরার অপকারিতা কম নয়। পুরুষের পায়ের টাখনুতে থাকে টেস্টোস্টেরন নামক যৌন হরমোন, যা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রয়োজন। টাখনুকে ঢেকে রাখলে টেস্টোস্টেরন হরমোন শুকিয়ে যায়। যার প্রভাবে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রাণু কমে যায়। ফলে সহজে বাচ্চা হয় না। এ সমস্যাটি আমাদের সমাজে মহামারি আকার ধারণ করছে। তা ছাড়া টেস্টোস্টেরনের অভাব মস্তিষ্ক ‘ঘোলাটে’ করে দেয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।
অনেকে ইসলামের বিধান মেনে টাখনুর নিচে কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকেন। তবে শীতের সময় ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরতে চান। এবিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- শীতের কারণেও টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে না। কারণ এর সমাধান জায়েজ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। সেটি হল, মোটা মোজা বা চামড়ার মোজা পরিধান করা। যেহেতু ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার বিকল্প ব্যবস্থা আছে, সেখানে নিষিদ্ধ কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই।
তবে যদি কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, আর ঠান্ডার কারণে পা জমে যাওয়া বা মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তাহলে টাখনুর নিচে জামা পরিধান জায়েজ হবে ইসলামি শরীয়তের এই মূলনীতির ভিত্তিতে, যেখানে বলা হয়েছ, তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তু হালাল করে দেয়। তবে যখনি তীব্র প্রয়োজন দূর হয়ে যাবে, সঙ্গেসঙ্গে আবার তা হারাম হয়ে যাবে এবং আবারও কাপড় টাখনুর ওপর উঠাতে হবে। (শরহু কাওয়ায়িদিল ফিক্বহিয়্যাহ লিজযারক্বা, কায়দা নং-২০)

নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম

বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৫০ ওভারের বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে লাল-সবুজেরা, এমনকি অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও পরাজয়ের মুখ দেখেছে টাইগাররা। শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে সাকিব-শান্তরা। এরমধ্যে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।
এদিকে বিশ্বমঞ্চে এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচকদের কাঠগড়ায় অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচকসহ দল সংশ্লিষ্ট সবাই। এমন ভরাডুবির পেছনের কারণ উৎঘাটনে গত বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে জোরেশোরে কাজও শুরু করেছে সেই কমিটি।
ক্রিকেটারদেরও সেই কমিটির কাছে নিজেদের হতশ্রী পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর বিসিএল খেলতে আবারও সেখানে ছুটেন তিনি। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, প্রধান কোচ নাকি এই স্পিনারকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি।
এর আগে, রোববার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছে এই তদন্ত কমিটি। প্রথমদিন বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিসিবি অফিসে শুরুতেই আসেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এরপর আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকেও সেখানে দেখা যায়। তবে তাদের কেউই গণমাধ্যমে কথা বলেননি। তাদের দাবি, তদন্ত চলাকালে কথা বলা নিষেধ।
এই দুই নির্বাচকের পর সেখানে একে একে হাজির হতে থাকেন ক্রিকেটাররাও। কমিটির কাছে শুরুতে নিজের জবাব দেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজনও উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সন্ধ্যার দিকে সেখানে আসেন ওপেনার লিটন দাস। তদন্ত কমিটির কাছে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করেন তারা। বের হওয়ার সময়ে এই দুই ক্রিকেটারও মুখে কুলুপ আঁটেন। এরপর ধাপে ধাপে কোচ, অধিনায়ক সবার কাছ থেকেই ব্যাখ্যা চাইবে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ এই কমিটিতে আছেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। এর মধ্যে সিরাজকে আহ্বায়ক এবং মাহবুব ও আকরামকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিভাগ : খেলা
বিষয় : ওয়ানডে-বিশ্বকাপ-২০২৩ , ওডিআই-বিশ্বকাপ , ক্রিকেটার-নাসুম , টাইগাররা , বিসিবি , চ্যাম্পিয়নস-ট্রফি